পিরোজপুর প্রতিনিধি
পিরোজপুরে দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে মিশ্র ফল চাষ। ফলে একদিকে যেমন বাড়ছে বাগানের পরিমাণ, সেই সঙ্গে বাড়ছে ফলচাষির সংখ্যা। ফলে সম্ভাবনার দুয়ার খুলে দিয়েছে এ চাষপদ্ধতির।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, চলতি মৌসুমে পিরোজপুর জেলার ৭টি উপজেলায় ৫৫ হেক্টর জমিতে ছোট-বড় ১ হাজারের বেশি বাগানে মিশ্র ফলের চাষ করা হয়েছে। তার মধ্যে নাজিরপুর, নেছারাবাদ, পিরোজপুর সদর ও ইন্দুরকানীতে বেশি মিশ্র ফলের চাষ করা হয়েছে। এর মধ্যে আপেল কুল, মালটা, ড্রাগন ফল, আম, পেয়ারা, দেশি কুল, লেবু, কমলা অন্যতম। এসব বাগানে চাষিরা ধানের চেয়ে প্রায় পাঁচ গুণ বেশি লাভবান হবেন বলে জানায় জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।
মনজুরুল মোর্শেদ রাতুল পেশায় একজন আইনজীবী। থাকেন ইন্দুরকানী উপজেলার লাহুরী গ্রামে। শখের বশে আম দিয়ে শুরু করেছিলেন ফল চাষ। পরে একে একে রোপণ করেন লেবুজাতীয় বিভিন্ন ফল যেমন: মালটা, কমলা, সিডলেস লেবু এবং বিভিন্ন দেশি-বিদেশি কুল। শখের পাশাপাশি পরিচর্যারও ঘাটতি ছিল না কোনো।
মনজুরুল মোর্শেদ রাতুল বলেন, ‘প্রথমে অনেকটা শখের বশেই মিশ্র ফলের চাষ করি। দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে আপেল কুলের কলম, আম ও মালটার কলম এনে চাষ করি। আপেল কুলে অনেকটাই সফলতা পেয়েছি। গত বছরের তুলনায় এ বছর ফল অনেকটাই ভালো হয়েছে। ফল সঠিকভাবে বাজারজাত করতে পারলে লাভবান হতে পারব।’
কৃষক মুনির হাওলাদার বলেন, তিনি দীর্ঘদিন ধরে জমিতে ধানসহ অন্যান্য ফসলের চাষ করে আসছিলেন; কিন্তু লাভবান হতে পারেননি কখনো। তাই কয়েক বছর ধরে তিনি মিশ্র ফলের চাষ করছেন। আম, লেবু, আপেল কুল, মালটাসহ বিভিন্ন ফলের চাষ করে অনেকটাই সফল তিনি। তিন-চার বছর ধান চাষ করে যা পাওয়া যায়, এক বছরে মিশ্র ফল চাষে তার চেয়ে বেশি লাভবান হওয়া যায়।
চাষি বারেক মৃধা বলেন, মিশ্র ফলের চাষ অনেকটাই ফলপ্রসূ। তবে ভালো কলম, বীজের বড় অভাব। অনেক দূর-দূরান্ত থেকে কলম ও বীজ আনতে হয় চাষিদের। ফলে অনেক বেশি দাম দিতে হয় তাঁদের। পড়তে হয় ভোগান্তিতে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ড. মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম সিকদার বলেন, ‘কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, পিরোজপুরে হাজারের বেশি সমন্বিত ফলবাগান রয়েছে। প্রত্যক্ষ-পরোক্ষভাবে এর সঙ্গে জড়িত থেকে জীবিকা নির্বাহ করছেন প্রায় ১ হাজার মানুষ। দিন দিন এটি বৃদ্ধি পাচ্ছে। আমরা সমন্বিত ফলবাগান করার জন্য কৃষকদের পরামর্শসহ বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করে যাচ্ছি।’
পিরোজপুরে দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে মিশ্র ফল চাষ। ফলে একদিকে যেমন বাড়ছে বাগানের পরিমাণ, সেই সঙ্গে বাড়ছে ফলচাষির সংখ্যা। ফলে সম্ভাবনার দুয়ার খুলে দিয়েছে এ চাষপদ্ধতির।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, চলতি মৌসুমে পিরোজপুর জেলার ৭টি উপজেলায় ৫৫ হেক্টর জমিতে ছোট-বড় ১ হাজারের বেশি বাগানে মিশ্র ফলের চাষ করা হয়েছে। তার মধ্যে নাজিরপুর, নেছারাবাদ, পিরোজপুর সদর ও ইন্দুরকানীতে বেশি মিশ্র ফলের চাষ করা হয়েছে। এর মধ্যে আপেল কুল, মালটা, ড্রাগন ফল, আম, পেয়ারা, দেশি কুল, লেবু, কমলা অন্যতম। এসব বাগানে চাষিরা ধানের চেয়ে প্রায় পাঁচ গুণ বেশি লাভবান হবেন বলে জানায় জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।
মনজুরুল মোর্শেদ রাতুল পেশায় একজন আইনজীবী। থাকেন ইন্দুরকানী উপজেলার লাহুরী গ্রামে। শখের বশে আম দিয়ে শুরু করেছিলেন ফল চাষ। পরে একে একে রোপণ করেন লেবুজাতীয় বিভিন্ন ফল যেমন: মালটা, কমলা, সিডলেস লেবু এবং বিভিন্ন দেশি-বিদেশি কুল। শখের পাশাপাশি পরিচর্যারও ঘাটতি ছিল না কোনো।
মনজুরুল মোর্শেদ রাতুল বলেন, ‘প্রথমে অনেকটা শখের বশেই মিশ্র ফলের চাষ করি। দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে আপেল কুলের কলম, আম ও মালটার কলম এনে চাষ করি। আপেল কুলে অনেকটাই সফলতা পেয়েছি। গত বছরের তুলনায় এ বছর ফল অনেকটাই ভালো হয়েছে। ফল সঠিকভাবে বাজারজাত করতে পারলে লাভবান হতে পারব।’
কৃষক মুনির হাওলাদার বলেন, তিনি দীর্ঘদিন ধরে জমিতে ধানসহ অন্যান্য ফসলের চাষ করে আসছিলেন; কিন্তু লাভবান হতে পারেননি কখনো। তাই কয়েক বছর ধরে তিনি মিশ্র ফলের চাষ করছেন। আম, লেবু, আপেল কুল, মালটাসহ বিভিন্ন ফলের চাষ করে অনেকটাই সফল তিনি। তিন-চার বছর ধান চাষ করে যা পাওয়া যায়, এক বছরে মিশ্র ফল চাষে তার চেয়ে বেশি লাভবান হওয়া যায়।
চাষি বারেক মৃধা বলেন, মিশ্র ফলের চাষ অনেকটাই ফলপ্রসূ। তবে ভালো কলম, বীজের বড় অভাব। অনেক দূর-দূরান্ত থেকে কলম ও বীজ আনতে হয় চাষিদের। ফলে অনেক বেশি দাম দিতে হয় তাঁদের। পড়তে হয় ভোগান্তিতে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ড. মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম সিকদার বলেন, ‘কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, পিরোজপুরে হাজারের বেশি সমন্বিত ফলবাগান রয়েছে। প্রত্যক্ষ-পরোক্ষভাবে এর সঙ্গে জড়িত থেকে জীবিকা নির্বাহ করছেন প্রায় ১ হাজার মানুষ। দিন দিন এটি বৃদ্ধি পাচ্ছে। আমরা সমন্বিত ফলবাগান করার জন্য কৃষকদের পরামর্শসহ বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করে যাচ্ছি।’
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৩ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৩ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৩ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৩ দিন আগে