কাপাসিয়া (গাজীপুর) প্রতিনিধি
খাল আছে কিন্তু পানি নেই। পানির অভাবে পাশের ধানখেতগুলো শুকিয়ে আছে। প্রায় শত একর জমিতে গভীর নলকূপ বসিয়ে মাটির নিচ থেকে পানি তুলে সেখানে সেচ দেওয়া হচ্ছে। পানির অভাব এবং সেচের খরচের কারণে ভোগান্তিতে আছেন গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার সনমানিয়া ইউনিয়নের চাষিরা।
চাষিরা জানান, গভীর নলকূপ দিয়ে পানি তুলতে এক মৌসুমে বিঘা প্রতি চার মন ধান দিতে হয়। চার মণ ধানের বাজারমূল্য প্রায় চার হাজার টাকা। একদিকে জমিতে পানি সেচের খরচ বেশি হচ্ছে, অপরদিকে ভূগর্ভের পানির স্তর নিচে নেমে যাচ্ছে।
উপজেলার সনমানিয়া ইউনিয়নের ঐতিহ্যবাহী মাদুলি বিলের মাঝ দিয়ে বয়ে চলা ছোট ছোট খালগুলো অনেক দিন ধরেই পানিশূন্য।
মাদুলি বিলের খালে গত শুক্রবার একজন কৃষককে গরু চরাতে দেখা যায়। ওই কৃষককে নাম সিরাজুল ইসলাম। তিনি ইকুরিয়া গ্রামের বাসিন্দা।
কৃষক সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘বিলে আমার দুই বিঘা জমি রয়েছে। নলকূপের পানি দিয়ে ধান চাষ করতে মেলা খরচ। এখন ধান চাষ করে খরচ ওঠানো অনেক কষ্ট। কিন্তু কি করব, জমি তো আর খালি ফেলে রাখতে পারি না।’
খালে পানি নেই কেন, জানতে চাইলে সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘কিছু লোকের কারণে খালে পানি ধরে রাখা যায় না। মাছ খাওয়ার লোভে খালের সব পানি ছেড়ে দেন তাঁরা। যে কারণে খালে পানি ধরে রাখা যায় না। অথচ ৮-৯ বছর আগে এ খালের পানি দিয়েই জমিতে সেচ দিতে পারতাম আমরা। এই বিলের পশ্চিম পাশে ইকুরিয়ার খালটিরও একই অবস্থা। সেখানেও পানি থাকে না।’
এ বিষয়ে উপজেলা সহকারী জনস্বাস্থ্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ রেজাউর রহমান মিঠু বলেন, ‘আমাদের এখন থেকেই উচিত ভূমির উপরিভাগের পানির সঠিক ব্যবহার করা। ভূগর্ভ থেকে পানি যথাসম্ভব কম উত্তোলন করা। এতে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম হুমকির মুখে পড়ছে।’
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সুমন কুমার বসাক বলেন, ‘জমির উপরিভাগের পানি আমরা যত ব্যবহার করতে পারি ততই আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য মঙ্গল। কৃষিজমিতে সেচের জন্য ভূগর্ভস্থ পানির ব্যবহার কমাতে হবে।’
আধুনিক পদ্ধতিতে চাষাবাদ করার বিষয়ে সুমন কুমার বসাক বলেন, ‘এখন কৃষি বিভাগ অনেক আধুনিক হয়েছে। কৃষি জমিতে কীভাবে পানির ব্যবহার কম করে চাষাবাদ করা যায়, তার বিভিন্ন পদ্ধতি বের হয়েছে। কৃষকদের সেই পদ্ধতি অবলম্বন করা উচিত।’
উপজেলা সহকারী জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী কর্মকর্তা রেজাউর রহমান মিঠু আরও বলেন, ‘এই গভীর নলকূপ, শ্যালো মেশিন দিয়ে ভূগর্ভ থেকে পানি তোলা হচ্ছে। ফলে দিনদিন পানির স্তর নিচে নেমে যাচ্ছে। যে কারণে অনেক এলাকাতেই এখন টিউবওয়েলে পানি থাকছে না। সামনে এ সংকট আরও বাড়বে। এ জন্য আমাদের এখনই ভূগর্ভস্থ পানি ব্যবহারের ব্যাপারে সাবধান হতে হবে।’
কাপাসিয়ার বিএডিসির উপসহকারী প্রকৌশলী ইফতেখার আলম এ বিষয়ে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কৃষি জমিতে সেচ ব্যবহারের জন্য ইতিমধ্যে উপজেলায় অনেকগুলো খাল খনন করা হয়েছে। সরকারিভাবে বলা হচ্ছে, ভূমির উপরিভাগের পানি কৃষি জমিতে সেচের জন্য ব্যবহার করার জন্য। যে কারণে গত ৫-৬ বছর ধরে নতুন করে গভীর নলকূপ স্থাপন করা বন্ধ রয়েছে। এখন সরকার সব ধরনের খাল খননের জন্য বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে। আগামী কিছুদিনের মধ্যে পুরোনো খালগুলো নতুনভাবে খনন করা হবে। এতে কৃষকদের জন্য জমিতে সেচ করতে সুবিধা হবে।’
খাল আছে কিন্তু পানি নেই। পানির অভাবে পাশের ধানখেতগুলো শুকিয়ে আছে। প্রায় শত একর জমিতে গভীর নলকূপ বসিয়ে মাটির নিচ থেকে পানি তুলে সেখানে সেচ দেওয়া হচ্ছে। পানির অভাব এবং সেচের খরচের কারণে ভোগান্তিতে আছেন গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার সনমানিয়া ইউনিয়নের চাষিরা।
চাষিরা জানান, গভীর নলকূপ দিয়ে পানি তুলতে এক মৌসুমে বিঘা প্রতি চার মন ধান দিতে হয়। চার মণ ধানের বাজারমূল্য প্রায় চার হাজার টাকা। একদিকে জমিতে পানি সেচের খরচ বেশি হচ্ছে, অপরদিকে ভূগর্ভের পানির স্তর নিচে নেমে যাচ্ছে।
উপজেলার সনমানিয়া ইউনিয়নের ঐতিহ্যবাহী মাদুলি বিলের মাঝ দিয়ে বয়ে চলা ছোট ছোট খালগুলো অনেক দিন ধরেই পানিশূন্য।
মাদুলি বিলের খালে গত শুক্রবার একজন কৃষককে গরু চরাতে দেখা যায়। ওই কৃষককে নাম সিরাজুল ইসলাম। তিনি ইকুরিয়া গ্রামের বাসিন্দা।
কৃষক সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘বিলে আমার দুই বিঘা জমি রয়েছে। নলকূপের পানি দিয়ে ধান চাষ করতে মেলা খরচ। এখন ধান চাষ করে খরচ ওঠানো অনেক কষ্ট। কিন্তু কি করব, জমি তো আর খালি ফেলে রাখতে পারি না।’
খালে পানি নেই কেন, জানতে চাইলে সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘কিছু লোকের কারণে খালে পানি ধরে রাখা যায় না। মাছ খাওয়ার লোভে খালের সব পানি ছেড়ে দেন তাঁরা। যে কারণে খালে পানি ধরে রাখা যায় না। অথচ ৮-৯ বছর আগে এ খালের পানি দিয়েই জমিতে সেচ দিতে পারতাম আমরা। এই বিলের পশ্চিম পাশে ইকুরিয়ার খালটিরও একই অবস্থা। সেখানেও পানি থাকে না।’
এ বিষয়ে উপজেলা সহকারী জনস্বাস্থ্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ রেজাউর রহমান মিঠু বলেন, ‘আমাদের এখন থেকেই উচিত ভূমির উপরিভাগের পানির সঠিক ব্যবহার করা। ভূগর্ভ থেকে পানি যথাসম্ভব কম উত্তোলন করা। এতে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম হুমকির মুখে পড়ছে।’
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সুমন কুমার বসাক বলেন, ‘জমির উপরিভাগের পানি আমরা যত ব্যবহার করতে পারি ততই আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য মঙ্গল। কৃষিজমিতে সেচের জন্য ভূগর্ভস্থ পানির ব্যবহার কমাতে হবে।’
আধুনিক পদ্ধতিতে চাষাবাদ করার বিষয়ে সুমন কুমার বসাক বলেন, ‘এখন কৃষি বিভাগ অনেক আধুনিক হয়েছে। কৃষি জমিতে কীভাবে পানির ব্যবহার কম করে চাষাবাদ করা যায়, তার বিভিন্ন পদ্ধতি বের হয়েছে। কৃষকদের সেই পদ্ধতি অবলম্বন করা উচিত।’
উপজেলা সহকারী জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী কর্মকর্তা রেজাউর রহমান মিঠু আরও বলেন, ‘এই গভীর নলকূপ, শ্যালো মেশিন দিয়ে ভূগর্ভ থেকে পানি তোলা হচ্ছে। ফলে দিনদিন পানির স্তর নিচে নেমে যাচ্ছে। যে কারণে অনেক এলাকাতেই এখন টিউবওয়েলে পানি থাকছে না। সামনে এ সংকট আরও বাড়বে। এ জন্য আমাদের এখনই ভূগর্ভস্থ পানি ব্যবহারের ব্যাপারে সাবধান হতে হবে।’
কাপাসিয়ার বিএডিসির উপসহকারী প্রকৌশলী ইফতেখার আলম এ বিষয়ে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কৃষি জমিতে সেচ ব্যবহারের জন্য ইতিমধ্যে উপজেলায় অনেকগুলো খাল খনন করা হয়েছে। সরকারিভাবে বলা হচ্ছে, ভূমির উপরিভাগের পানি কৃষি জমিতে সেচের জন্য ব্যবহার করার জন্য। যে কারণে গত ৫-৬ বছর ধরে নতুন করে গভীর নলকূপ স্থাপন করা বন্ধ রয়েছে। এখন সরকার সব ধরনের খাল খননের জন্য বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে। আগামী কিছুদিনের মধ্যে পুরোনো খালগুলো নতুনভাবে খনন করা হবে। এতে কৃষকদের জন্য জমিতে সেচ করতে সুবিধা হবে।’
পর্দার নায়িকারা নিজেদের বয়স আড়ালে রাখা পছন্দ করেন। এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম আজমেরী হক বাঁধন। প্রতিবছর নিজের জন্মদিনে জানান দেন তাঁর বয়স। গতকাল ছিল বাঁধনের ৪১তম জন্মদিন। সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেই জানালেন এই তথ্য।
২ দিন আগে১০ বছরের বেশি সময় ধরে শোবিজে কাজ করছেন অভিনেত্রী শবনম ফারিয়া। নাটকের পাশাপাশি ওটিটিতে দেখা গেছে তাঁকে। সরকারি অনুদানের ‘দেবী’ নামের একটি সিনেমায়ও অভিনয় করেছেন। প্রশংসিত হলেও সিনেমায় আর দেখা মেলেনি তাঁর। ছোট পর্দাতেও অনেক দিন ধরে অনিয়মিত তিনি। এবার শবনম ফারিয়া হাজির হচ্ছেন নতুন পরিচয়ে। কমেডি রিয়েলিটি
২ দিন আগেআমাদের লোকসংস্কৃতির অন্যতম ঐতিহ্য যাত্রাপালা। গণমানুষের সংস্কৃতি হিসেবে বিবেচিত এই যাত্রাপালা নিয়ে শিল্পকলা একাডেমি আয়োজন করছে ‘যাত্রা উৎসব-২০২৪’। আগামী ১ নভেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মুক্তমঞ্চে শুরু হবে ৭ দিনব্যাপী এই উৎসব।
২ দিন আগে‘বঙ্গবন্ধু’ পদবি বিলীন হবে না। হতে পারে না। যেমনটি ‘দেশবন্ধু’ চিত্তরঞ্জন দাশের পদবি বিলীন হয়নি। ইতিহাসে এসব পদবি অম্লান ও অক্ষয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ব্যক্তিত্ব ছিল অনন্যসাধারণ। আপনজনকে তো অবশ্যই, শত্রুপক্ষের লোকেরাও ব্যক্তিগত পর্যায়ে তাঁর প্রতি আকৃষ্ট হতেন। পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর উচ্চপদের
২ দিন আগে