ফারুক মেহেদী, ঢাকা
সংকটে পড়া রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানগুলোকে তহবিল জুগিয়ে সচল রাখে সরকার। কখনো ভর্তুকি, আবার কখনো ধার হিসেবে এই অর্থ দেওয়া হয়। এভাবে অর্থ ঢালতে থাকায় গত বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত রাষ্ট্রায়ত্ত ১৩২টি প্রতিষ্ঠানের কাছে অর্থ মন্ত্রণালয়ের পাওনা দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৮৩ হাজার ১৭০ কোটি টাকা। বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। সংস্থাটি বলছে, লোকসানি প্রতিষ্ঠানকে দেওয়া ভর্তুকি ও ধার সরকারের তহবিল ব্যবস্থাপনায় ঝুঁকি বাড়াচ্ছে।
ঢাকা সফরে আসা আইএমএফের কারিগরি দল অর্থ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করে রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানকে ভর্তুকি ও ধার দেওয়া নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছে। পাশাপাশি সরকারের স্পর্শকাতর আর্থিক ব্যবস্থাপনার সফটওয়্যার আইবাস (ইন্টিগ্রেটেড বাজেট অ্যান্ড অ্যাকাউন্টিং সিস্টেম) কীভাবে কাজ করে, তা দেখতে এতে প্রবেশের সুযোগও চেয়েছে তারা। শুধু তা-ই নয়, সরকারকে অনুমোদন দেওয়া ৪৭০ কোটি ডলার ঋণের দ্বিতীয় কিস্তি ছাড়ের আগে এ বিষয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আরও স্পষ্ট অঙ্গীকার জানতে চেয়েছে আইএমএফ। সংস্থাটির সিনিয়র অর্থনীতিবিদ সন্দ্বীপ সাক্সেনার নেতৃত্বে চার সদস্যের কারিগরি টিম গত মঙ্গলবারও এসব বিষয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছে।
ভর্তুকি নিয়ে আইএমএফের অব্যাহত চাপের বিষয়ে মন্তব্য জানতে চাইলে সানেমের নির্বাহী পরিচালক ড. সেলিম রায়হান আজকের পত্রিকাকে বলেন, বিশাল অঙ্কের এই ধারদেনা ও ভর্তুকি নিঃসন্দেহে সরকারের তহবিল ব্যবস্থাপনায় ঝুঁকি ও চাপ তৈরি করছে। এটা শুধু আইএমএফ চাইছে বলে নয়; নিজেদের প্রয়োজনেই এর একটা পর্যালোচনা হওয়া দরকার। সরকারি এসব সংস্থা কেন এভাবে ধার ও ভর্তুকির টাকায় চলছে? কত দিন চলবে? এদের দক্ষতা বাড়ছে না কেন? এসব বিষয়ে একটা জবাবদিহি অবশ্যই থাকা দরকার।
প্রতিবছরই রাজস্ব ঘাটতিতে থাকে সরকার। রাজস্বের লক্ষ্য পূরণ না হওয়ায় ঋণ নিয়ে বাজেট ব্যয় নির্বাহ করতে হয়। এই অবস্থার মধ্যেও লোকসানি প্রতিষ্ঠানগুলোকে ক্রমাগত অর্থ জোগান দিয়ে আসছে অর্থ মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয়ের ডিএসএল শাখার সূত্র থেকে জানা যায়, রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলো সরকারের কাছ থেকে প্রতিবছর ধার বা ভর্তুকি হিসেবে বিপুল অর্থ নিলেও তা পরে শোধ করতে পারছে না। গত বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত রাষ্ট্রায়ত্ত করপোরেশন, বোর্ড, কর্তৃপক্ষসহ বিভিন্ন সংস্থার কাছে অর্থ মন্ত্রণালয়ের ধারদেনার অঙ্ক দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৮৩ হাজার ১৭০ কোটি টাকা।
এর মধ্যে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) কাছেই অর্থ মন্ত্রণালয়ের পাওনা ৬৫ হাজার কোটি টাকা। বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) কাছে পায় ১৬ হাজার কোটি টাকা। এ ছাড়া বিসিআইসির কাছে ১২ হাজার কোটি, ঢাকা ওয়াসার কাছে ২৪ হাজার কোটি এবং বিমানের কাছে ৮৭২ কোটি টাকা পায় সরকার। একইভাবে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি), বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটিরশিল্প করপোরেশন (বিসিক), বাংলাদেশ পাটকল করপোরেশন (বিজেএমসি), বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশন (বিআরটিসি), বাংলাদেশ বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস করপোরেশন (বিটিএমসি), ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশ (আইসিবি), বেসিক ব্যাংকসহ ১৩২টি সংস্থার কাছে বকেয়ার পাহাড় জমে আছে। এর বেশির ভাগই লোকসানি প্রতিষ্ঠান। কোনো কোনোটি কিছু লাভ করলেও অর্থ মন্ত্রণালয়ের বকেয়া শোধ করতে পারছে না।
এ নিয়ে আইএমএফের কারিগরি দল প্রশ্ন তুলেছে, এটা কতকাল দেওয়া হবে? এর ফলে সরকারের তহবিল ও হিসাব ব্যবস্থাপনায় কী প্রভাব পড়বে? যেখানে সরকারের রাজস্ব আয়ে তেমন সুখবর নেই—এমন অবস্থায় বিরাট খরচের চাপ সামলানো কঠিন হবে কি না?
অর্থ মন্ত্রণালয়ের স্পর্শকাতর সফটওয়্যার আইবাসের বিষয়েও আগ্রহ দেখিয়েছে আইএমএফ। সংস্থাটির কর্মকর্তারা জানতে চেয়েছেন, এই সফটওয়্যার কীভাবে কাজ করে? এটা তহবিল ও অ্যাকাউন্ট ব্যবস্থাপনায় দক্ষ কি না? এতে তাদের প্রবেশাধিকার দেওয়া যায় কি না?
এ বিষয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানান, আইবাস খুবই দক্ষতার সঙ্গে পরিচালিত হচ্ছে। এখানে সব হিসাব-নিকাশের তথ্য যথাযথভাবে সংরক্ষিত হচ্ছে। রিয়েল টাইমে তা ট্রেক করা যাচ্ছে। সুতরাং আইবাস নিয়ে কোনো প্রশ্ন নেই। এটা সরকারের স্পর্শকাতর সফটওয়্যার। তাই এখানে সরকারের বাইরে অন্য কোনো সংস্থার প্রবেশাধিকার দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই।
সংকটে পড়া রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানগুলোকে তহবিল জুগিয়ে সচল রাখে সরকার। কখনো ভর্তুকি, আবার কখনো ধার হিসেবে এই অর্থ দেওয়া হয়। এভাবে অর্থ ঢালতে থাকায় গত বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত রাষ্ট্রায়ত্ত ১৩২টি প্রতিষ্ঠানের কাছে অর্থ মন্ত্রণালয়ের পাওনা দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৮৩ হাজার ১৭০ কোটি টাকা। বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। সংস্থাটি বলছে, লোকসানি প্রতিষ্ঠানকে দেওয়া ভর্তুকি ও ধার সরকারের তহবিল ব্যবস্থাপনায় ঝুঁকি বাড়াচ্ছে।
ঢাকা সফরে আসা আইএমএফের কারিগরি দল অর্থ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করে রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানকে ভর্তুকি ও ধার দেওয়া নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছে। পাশাপাশি সরকারের স্পর্শকাতর আর্থিক ব্যবস্থাপনার সফটওয়্যার আইবাস (ইন্টিগ্রেটেড বাজেট অ্যান্ড অ্যাকাউন্টিং সিস্টেম) কীভাবে কাজ করে, তা দেখতে এতে প্রবেশের সুযোগও চেয়েছে তারা। শুধু তা-ই নয়, সরকারকে অনুমোদন দেওয়া ৪৭০ কোটি ডলার ঋণের দ্বিতীয় কিস্তি ছাড়ের আগে এ বিষয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আরও স্পষ্ট অঙ্গীকার জানতে চেয়েছে আইএমএফ। সংস্থাটির সিনিয়র অর্থনীতিবিদ সন্দ্বীপ সাক্সেনার নেতৃত্বে চার সদস্যের কারিগরি টিম গত মঙ্গলবারও এসব বিষয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছে।
ভর্তুকি নিয়ে আইএমএফের অব্যাহত চাপের বিষয়ে মন্তব্য জানতে চাইলে সানেমের নির্বাহী পরিচালক ড. সেলিম রায়হান আজকের পত্রিকাকে বলেন, বিশাল অঙ্কের এই ধারদেনা ও ভর্তুকি নিঃসন্দেহে সরকারের তহবিল ব্যবস্থাপনায় ঝুঁকি ও চাপ তৈরি করছে। এটা শুধু আইএমএফ চাইছে বলে নয়; নিজেদের প্রয়োজনেই এর একটা পর্যালোচনা হওয়া দরকার। সরকারি এসব সংস্থা কেন এভাবে ধার ও ভর্তুকির টাকায় চলছে? কত দিন চলবে? এদের দক্ষতা বাড়ছে না কেন? এসব বিষয়ে একটা জবাবদিহি অবশ্যই থাকা দরকার।
প্রতিবছরই রাজস্ব ঘাটতিতে থাকে সরকার। রাজস্বের লক্ষ্য পূরণ না হওয়ায় ঋণ নিয়ে বাজেট ব্যয় নির্বাহ করতে হয়। এই অবস্থার মধ্যেও লোকসানি প্রতিষ্ঠানগুলোকে ক্রমাগত অর্থ জোগান দিয়ে আসছে অর্থ মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয়ের ডিএসএল শাখার সূত্র থেকে জানা যায়, রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলো সরকারের কাছ থেকে প্রতিবছর ধার বা ভর্তুকি হিসেবে বিপুল অর্থ নিলেও তা পরে শোধ করতে পারছে না। গত বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত রাষ্ট্রায়ত্ত করপোরেশন, বোর্ড, কর্তৃপক্ষসহ বিভিন্ন সংস্থার কাছে অর্থ মন্ত্রণালয়ের ধারদেনার অঙ্ক দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৮৩ হাজার ১৭০ কোটি টাকা।
এর মধ্যে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) কাছেই অর্থ মন্ত্রণালয়ের পাওনা ৬৫ হাজার কোটি টাকা। বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) কাছে পায় ১৬ হাজার কোটি টাকা। এ ছাড়া বিসিআইসির কাছে ১২ হাজার কোটি, ঢাকা ওয়াসার কাছে ২৪ হাজার কোটি এবং বিমানের কাছে ৮৭২ কোটি টাকা পায় সরকার। একইভাবে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি), বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটিরশিল্প করপোরেশন (বিসিক), বাংলাদেশ পাটকল করপোরেশন (বিজেএমসি), বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশন (বিআরটিসি), বাংলাদেশ বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস করপোরেশন (বিটিএমসি), ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশ (আইসিবি), বেসিক ব্যাংকসহ ১৩২টি সংস্থার কাছে বকেয়ার পাহাড় জমে আছে। এর বেশির ভাগই লোকসানি প্রতিষ্ঠান। কোনো কোনোটি কিছু লাভ করলেও অর্থ মন্ত্রণালয়ের বকেয়া শোধ করতে পারছে না।
এ নিয়ে আইএমএফের কারিগরি দল প্রশ্ন তুলেছে, এটা কতকাল দেওয়া হবে? এর ফলে সরকারের তহবিল ও হিসাব ব্যবস্থাপনায় কী প্রভাব পড়বে? যেখানে সরকারের রাজস্ব আয়ে তেমন সুখবর নেই—এমন অবস্থায় বিরাট খরচের চাপ সামলানো কঠিন হবে কি না?
অর্থ মন্ত্রণালয়ের স্পর্শকাতর সফটওয়্যার আইবাসের বিষয়েও আগ্রহ দেখিয়েছে আইএমএফ। সংস্থাটির কর্মকর্তারা জানতে চেয়েছেন, এই সফটওয়্যার কীভাবে কাজ করে? এটা তহবিল ও অ্যাকাউন্ট ব্যবস্থাপনায় দক্ষ কি না? এতে তাদের প্রবেশাধিকার দেওয়া যায় কি না?
এ বিষয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানান, আইবাস খুবই দক্ষতার সঙ্গে পরিচালিত হচ্ছে। এখানে সব হিসাব-নিকাশের তথ্য যথাযথভাবে সংরক্ষিত হচ্ছে। রিয়েল টাইমে তা ট্রেক করা যাচ্ছে। সুতরাং আইবাস নিয়ে কোনো প্রশ্ন নেই। এটা সরকারের স্পর্শকাতর সফটওয়্যার। তাই এখানে সরকারের বাইরে অন্য কোনো সংস্থার প্রবেশাধিকার দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই।
১০ বছর ধরে নিজের আত্মজীবনী লিখেছেন বরেণ্য অভিনেতা, নাট্যকার ও নির্মাতা আবুল হায়াত। নাম দিয়েছেন ‘রবি পথ’। অবশেষে প্রকাশ হচ্ছে তাঁর আত্মজীবনী। আগামী ২ নভেম্বর বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে আয়োজন করা হয়েছে রবি পথের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠান।
১ ঘণ্টা আগেএকদিন ভোরবেলা জাকারবার্গ লক্ষ করলেন যে পৃথিবীতে একটা ছোট্ট দেশে তাঁর সবচেয়ে বেশি ব্যবসা হচ্ছে। সামনের ফ্লোরটায় দেখলেন দেশটা ছোট বটে, কিন্তু জনসংখ্যা বেশি। আর এই দেশের জনসংখ্যার মধ্যে প্রায় অর্ধেক মানুষ ফেসবুক ব্যবহার করে। ফেসবুকে দেখতে পেলেন অসংখ্য বার্তা—সবই রাজনৈতিক এবং ছবিতে এ বিষয়ে বিপুল জনগণের
২ ঘণ্টা আগেঅন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ২৩ অক্টোবর এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। ওই সংগঠনের বিরুদ্ধে অভিযোগ—বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় তাদের নেতা-কর্মীরা ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সশস্ত্র হামলা পরিচালনা করে অসংখ্য আন্দোলনকারীকে হত্যা ও অনেকের জীবন বি
২ ঘণ্টা আগেইংরেজি সাহিত্যের অন্যতম রোমান্টিক কবি ছিলেন জন কিটস। কবিতা ছাড়া কিটস কোনো গদ্য লেখার চেষ্টা করেননি। তাঁর কাব্যজীবন ছিল মাত্র ছয় বছরের। অর্থাৎ উনিশ থেকে চব্বিশ বছর বয়স পর্যন্ত। মৃত্যুর মাত্র চার বছর আগে তাঁর কবিতাগুলো প্রকাশিত হয়। তৎকালীন সমালোচকদের দ্বারা কিটসের কবিতা খুব একটা আলোচিত হয়নি। তবে মৃত্য
২ ঘণ্টা আগে