টাঙ্গাইল প্রতিনিধি
প্রথমবারের মতো টাঙ্গাইল-৭ (মির্জাপুর) আসনের উপনির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট গ্রহণ হতে যাচ্ছে। এ নিয়ে বিভিন্ন প্রার্থী ও ভোটারদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে।
এদিকে হাতে মাত্র এক সপ্তাহ থাকলেও এই আসনের অনেক ভোটারই জানেন না ইভিএমে কীভাবে ভোট দিতে হয়। এ নিয়ে তাঁদের মধ্যে কিছুটা অসন্তোষ রয়েছে। সেই সঙ্গে দু-একজন প্রার্থীও ইভিএম নিয়ে তুলেছেন আপত্তি। তবে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা বলছেন, ভোটারদের দেখানো হবে কীভাবে ইভিএমে ভোট দিতে হয়।
এ উপনির্বাচনে পাঁচজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তাঁরা হলেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী খান আহমেদ শুভ (নৌকা), জাতীয় পার্টির জহিরুল হক জহির (লাঙ্গল), বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির গোলাম নওজব, চৌধুরী (হাতুড়ি), বাংলাদেশ কংগ্রেস পার্টির রুপা রায় চৌধুরী (ডাব) এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী নুরুল ইসলাম নুরু (মোটরসাইকেল)।
মির্জাপুরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, প্রচারে ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রার্থীরা। ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ঘুরে ভোট প্রার্থনা করছেন তাঁরা। ভোটারদের মন জয় করতে দিচ্ছেন নানা প্রতিশ্রুতি।
কথা হয় উপজেলার গোড়াই ইউনিয়নের নজরুল ইসলামের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘এবার নাকি আমাদের এখানে ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট হবে। এই মেশিন আমি এখন পর্যন্ত দেখি নাই। তাহলে ভোট দেব কীভাবে? আমরা গ্রামের মানুষ, আমাদের এখানে ব্যালটে ভোট হলে ভালো হতো।’
প্রায় একই কথা বলেন বানাইল ইউনিয়নের ইসমাইল হোসেন। তিনি বলেন, ‘শুনলাম উপনির্বাচনে আমাদের এখানে ইভিএমে ভোট হবে। কিন্তু এই মেশিন সম্পর্কে আমাদের এলাকার অধিকাংশ ভোটারের কোনো ধারণা নেই। অনেক ভোটারই ভোট দিতে গিয়ে সমস্যায় পড়বেন।’
ভোটের পরিবেশ নিয়ে জাতীয় পার্টির প্রার্থী জহিরুল হক বলেন, ‘ভোটের পরিবেশ নিয়ে কিছুটা চিন্তায় আছি। সেই সঙ্গে ইভিএম নিয়ে এ অঞ্চলের মানুষের রয়েছে কিছুটা দ্বিধাদ্বন্দ্ব। অনেক ভোটারই সন্দিহান তাঁরা ইভিএমএ সঠিকভাবে ভোট দিতে পারবেন কি না। আমি একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন প্রত্যাশা করছি নির্বাচন কমিশনের কাছে।’
আওয়ামী লীগ প্রার্থী খান আহমেদ শুভ বলেন, ‘ইভিএম সম্পর্কে মানুষের ধারণা কম। এটা আমাদের জন্য নতুন। ভোটারদের প্রশিক্ষণ দিতে পারলে তাঁরা ভোট দিতে উৎসাহিত হতেন। নির্বাচনের পরিবেশ বেশ ভালো। আশা করি মানুষ আমাকে বিপুল ভোটে নির্বাচিত করবে।’
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা এ এইচ এম কামরুল হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আগামী ১৬ তারিখ প্রথমবারের মতো ইভিএমে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে আমাদের প্রস্তুতি অনেকটাই সম্পন্ন হয়েছে। ৯ থেকে ১২ জানুয়ারি পর্যন্ত ভোট গ্রহণ কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হবে। আর প্রতিটি কেন্দ্রে ভোটারদের ইভিএমের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হবে ১৪ জানুয়ারি।’
এই নির্বাচন কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘ইভিএম নিয়ে ভোটারদের আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। ব্যালটে ভোট দেওয়ার চাইতেও সহজ। আশা করি ভোটিংয়ের পর ভোটারদের শঙ্কা থাকবে না।
এ ছাড়া নির্বাচনী আচরণবিধি পর্যবেক্ষণে একজন যুগ্ম জেলা জজের নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। সেই সঙ্গে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরাও পর্যবেক্ষণ করছেন। এখন পর্যন্ত লিখিত কোনো অভিযোগ আমাদের কাছে আসেনি। আশা করছি অবাধ, সুষ্ঠু ও উৎসবমুখর পরিবেশে এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।’
একটি পৌরসভা ১৪টি ইউনিয়ন নিয়ে টাঙ্গাইল মির্জাপুর-৭ আসন। মোট ভোটকেন্দ্র রয়েছে ১২১টি। ৭৫৬টি ভোট কক্ষে ৩ লাখ ৪০ হাজার ৩৭৯ জন ভোট দেবেন। তাঁদের মধ্যে পুরুষ ভোটারের সংখ্যা ১ লাখ ৭০ হাজার ৫০১ জন এবং নারী ভোটার রয়েছেন ১ লাখ ৬৯ হাজার ৮৭৮ জন।
প্রথমবারের মতো টাঙ্গাইল-৭ (মির্জাপুর) আসনের উপনির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট গ্রহণ হতে যাচ্ছে। এ নিয়ে বিভিন্ন প্রার্থী ও ভোটারদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে।
এদিকে হাতে মাত্র এক সপ্তাহ থাকলেও এই আসনের অনেক ভোটারই জানেন না ইভিএমে কীভাবে ভোট দিতে হয়। এ নিয়ে তাঁদের মধ্যে কিছুটা অসন্তোষ রয়েছে। সেই সঙ্গে দু-একজন প্রার্থীও ইভিএম নিয়ে তুলেছেন আপত্তি। তবে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা বলছেন, ভোটারদের দেখানো হবে কীভাবে ইভিএমে ভোট দিতে হয়।
এ উপনির্বাচনে পাঁচজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তাঁরা হলেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী খান আহমেদ শুভ (নৌকা), জাতীয় পার্টির জহিরুল হক জহির (লাঙ্গল), বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির গোলাম নওজব, চৌধুরী (হাতুড়ি), বাংলাদেশ কংগ্রেস পার্টির রুপা রায় চৌধুরী (ডাব) এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী নুরুল ইসলাম নুরু (মোটরসাইকেল)।
মির্জাপুরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, প্রচারে ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রার্থীরা। ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ঘুরে ভোট প্রার্থনা করছেন তাঁরা। ভোটারদের মন জয় করতে দিচ্ছেন নানা প্রতিশ্রুতি।
কথা হয় উপজেলার গোড়াই ইউনিয়নের নজরুল ইসলামের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘এবার নাকি আমাদের এখানে ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট হবে। এই মেশিন আমি এখন পর্যন্ত দেখি নাই। তাহলে ভোট দেব কীভাবে? আমরা গ্রামের মানুষ, আমাদের এখানে ব্যালটে ভোট হলে ভালো হতো।’
প্রায় একই কথা বলেন বানাইল ইউনিয়নের ইসমাইল হোসেন। তিনি বলেন, ‘শুনলাম উপনির্বাচনে আমাদের এখানে ইভিএমে ভোট হবে। কিন্তু এই মেশিন সম্পর্কে আমাদের এলাকার অধিকাংশ ভোটারের কোনো ধারণা নেই। অনেক ভোটারই ভোট দিতে গিয়ে সমস্যায় পড়বেন।’
ভোটের পরিবেশ নিয়ে জাতীয় পার্টির প্রার্থী জহিরুল হক বলেন, ‘ভোটের পরিবেশ নিয়ে কিছুটা চিন্তায় আছি। সেই সঙ্গে ইভিএম নিয়ে এ অঞ্চলের মানুষের রয়েছে কিছুটা দ্বিধাদ্বন্দ্ব। অনেক ভোটারই সন্দিহান তাঁরা ইভিএমএ সঠিকভাবে ভোট দিতে পারবেন কি না। আমি একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন প্রত্যাশা করছি নির্বাচন কমিশনের কাছে।’
আওয়ামী লীগ প্রার্থী খান আহমেদ শুভ বলেন, ‘ইভিএম সম্পর্কে মানুষের ধারণা কম। এটা আমাদের জন্য নতুন। ভোটারদের প্রশিক্ষণ দিতে পারলে তাঁরা ভোট দিতে উৎসাহিত হতেন। নির্বাচনের পরিবেশ বেশ ভালো। আশা করি মানুষ আমাকে বিপুল ভোটে নির্বাচিত করবে।’
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা এ এইচ এম কামরুল হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আগামী ১৬ তারিখ প্রথমবারের মতো ইভিএমে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে আমাদের প্রস্তুতি অনেকটাই সম্পন্ন হয়েছে। ৯ থেকে ১২ জানুয়ারি পর্যন্ত ভোট গ্রহণ কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হবে। আর প্রতিটি কেন্দ্রে ভোটারদের ইভিএমের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হবে ১৪ জানুয়ারি।’
এই নির্বাচন কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘ইভিএম নিয়ে ভোটারদের আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। ব্যালটে ভোট দেওয়ার চাইতেও সহজ। আশা করি ভোটিংয়ের পর ভোটারদের শঙ্কা থাকবে না।
এ ছাড়া নির্বাচনী আচরণবিধি পর্যবেক্ষণে একজন যুগ্ম জেলা জজের নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। সেই সঙ্গে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরাও পর্যবেক্ষণ করছেন। এখন পর্যন্ত লিখিত কোনো অভিযোগ আমাদের কাছে আসেনি। আশা করছি অবাধ, সুষ্ঠু ও উৎসবমুখর পরিবেশে এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।’
একটি পৌরসভা ১৪টি ইউনিয়ন নিয়ে টাঙ্গাইল মির্জাপুর-৭ আসন। মোট ভোটকেন্দ্র রয়েছে ১২১টি। ৭৫৬টি ভোট কক্ষে ৩ লাখ ৪০ হাজার ৩৭৯ জন ভোট দেবেন। তাঁদের মধ্যে পুরুষ ভোটারের সংখ্যা ১ লাখ ৭০ হাজার ৫০১ জন এবং নারী ভোটার রয়েছেন ১ লাখ ৬৯ হাজার ৮৭৮ জন।
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
১ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৫ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৫ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৫ দিন আগে