মাইনউদ্দিন শাহেদ, কক্সবাজার
কক্সবাজারের চকরিয়া ও বান্দরবানের লামা উপজেলার সীমান্তবর্তী মৌজা ফাইতং। সংরক্ষিত বনের পাশে উঁচু-নিচু পাহাড়ের ঘন বনজঙ্গল। এক দশক আগেও প্রাকৃতিক বনাঞ্চলসমৃদ্ধ এই পাহাড় ছিল বন্য প্রাণীর আবাসস্থল। তবে চিরহরিৎ এই বনের অস্তিত্ব সংকটে ফেলেছে ৩৬ ইটভাটা, যার সব কটিই তৈরি করা হয়েছে পাহাড় কেটে। বন ও জীববৈচিত্র্য ধ্বংস করে গড়ে তোলা এসব ভাটার কোনোটিরই নেই পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র কিংবা জেলা প্রশাসনের লাইসেন্স। আবার জ্বালানি হিসেবেও এসব ভাটায় পোড়ানো হচ্ছে সংরক্ষিত বনের কাঠ। অভিযোগ রয়েছে, সংশ্লিষ্টদের হাত করেই বছরের পর বছর ভাটাগুলো চালানো হচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ফাইতং মৌজার সাড়ে ১৬ হাজার একর জমি নিয়ে লামা উপজেলার ফাইতং ইউনিয়ন। এর পাশে চকরিয়ার মানিকপুর-সুরাজপুর ইউনিয়নে পড়েছে মৌজার একাংশ। লামার ফাইতং ইউনিয়নের ৭, ৮ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডে ২৮টি এবং চকরিয়ার ফাইতং এলাকায় ৪টি ভাটা পড়েছে।
ফাইতং সড়কের ৬ কিলোমিটার এলাকায় চকরিয়ার লক্ষ্যারচরের ফরিদুল আলমের এফএসি নামের ইটভাটা। প্রায় ১০ একর পাহাড় কেটে এই ভাটায় বসানো হয়েছে ইট পোড়ানোর চিমনি।
সরেজমিনে দেখা যায়, চিমনির পাশেই এক্সকাভেটর দিয়ে কাটা হচ্ছে পাহাড়। পাহাড় কাটা মাটি ভিজিয়ে কাঁচা ইট বানাতে ব্যস্ত ২৫-৩০ জন শ্রমিক। চিমনির চুলার আশপাশে পোড়ানোর জন্য মজুত রাখা হয়েছে কাঠের স্তূপ। সংরক্ষিত বন থেকেই এসব কাঠ ভাটায় আনা হচ্ছে।
ভাটার অনুমোদন আছে কি না, জানতে চাইলে ভাটাটির ব্যবস্থাপক পরিচয়ে এক যুবক ভাটা মালিক সমিতির সঙ্গে যোগাযোগের পরামর্শ দেন।
একটি ভাটার মালিক মানিকপুর-সুরাজপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আজিমুল হক। তিনি বলেন, ‘সরকারি নীতিমালা মেনে ১২টি ভাটা আমরা জিগজ্যাগ পদ্ধতিতে স্থাপন করেছি। এসব ভাটা সম্পূর্ণ কয়লাভিত্তিক। কিন্তু পাহাড়ি এলাকা হওয়ায় ইটভাটা নীতিমালার সঙ্গে সাংঘর্ষিক। এ কারণে লাইসেন্স আটকে আছে। এ ক্ষেত্রে আমরা উচ্চ আদালতের আশ্রয় নিয়েছি।’
ফাইতং ইটভাটা মালিক সমিতির সভাপতি মোক্তার আহমদ দীর্ঘদিন ধরে লাইসেন্স পাওয়ার চেষ্টা করছেন জানিয়ে বলেন, ‘সব ভাটার অনুকূলে আয়কর, ভ্যাট ও ইউনিয়ন পরিষদের ট্রেড লাইসেন্স নেওয়া হয়েছে। তারপরও সবাইকে ম্যানেজ করেই ভাটা চালাতে হয়।’
৮৭ ভাটার ছাড়পত্র পেয়েছে ৪১টি
কক্সবাজার পরিবেশ অধিদপ্তরের উপপরিচালক নুরুল আমিন বলেন, জেলায় ৮৭টি ইটভাটা চালু আছে। এর মধ্যে যাচাই-বাছাই করে ৪১টি ভাটাকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। বাকি ভাটা বন্ধের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান বলেন, তালিকা হালনাগাদ করে অবৈধ ভাটার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ভাটা উচ্ছেদ চায় বন বিভাগ
কক্সবাজারে বন বিভাগের দুটি অঞ্চল উত্তর ও দক্ষিণ। উত্তর বন বিভাগের আওতাধীন সদর, রামু, ঈদগাঁ, চকরিয়া ও পেকুয়ার সংরক্ষিত বনের আশপাশেই রয়েছে ৩৪টি ইটভাটা। ফাইতং মৌজার ২৮টি ভাটাও পড়েছে এই বনের কাছে। দক্ষিণ বন বিভাগের আওতাধীন উখিয়া ও টেকনাফ এলাকায় রয়েছে ১২টি। বনের ওপর চাপ কমাতে এসব ভাটা বন্ধ বা উচ্ছেদের জন্য বন বিভাগ লিখিত ও মৌখিকভাবে সংশ্লিষ্টদের অবহিত করেছে বলে জানান দক্ষিণ বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা সরওয়ার আলম।
উত্তর বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন সরকার বলেন, সংরক্ষিত বনের পাশের ভাটাগুলো বন্ধে বিভিন্ন সময়ে বন বিভাগ থেকে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে চিঠি দেওয়া হয়েছে। বনের কাঠ পোড়ানো নিয়ন্ত্রণ করতে বনকর্মীরা সার্বক্ষণিক নজরদারি রাখছেন।
কক্সবাজারের চকরিয়া ও বান্দরবানের লামা উপজেলার সীমান্তবর্তী মৌজা ফাইতং। সংরক্ষিত বনের পাশে উঁচু-নিচু পাহাড়ের ঘন বনজঙ্গল। এক দশক আগেও প্রাকৃতিক বনাঞ্চলসমৃদ্ধ এই পাহাড় ছিল বন্য প্রাণীর আবাসস্থল। তবে চিরহরিৎ এই বনের অস্তিত্ব সংকটে ফেলেছে ৩৬ ইটভাটা, যার সব কটিই তৈরি করা হয়েছে পাহাড় কেটে। বন ও জীববৈচিত্র্য ধ্বংস করে গড়ে তোলা এসব ভাটার কোনোটিরই নেই পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র কিংবা জেলা প্রশাসনের লাইসেন্স। আবার জ্বালানি হিসেবেও এসব ভাটায় পোড়ানো হচ্ছে সংরক্ষিত বনের কাঠ। অভিযোগ রয়েছে, সংশ্লিষ্টদের হাত করেই বছরের পর বছর ভাটাগুলো চালানো হচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ফাইতং মৌজার সাড়ে ১৬ হাজার একর জমি নিয়ে লামা উপজেলার ফাইতং ইউনিয়ন। এর পাশে চকরিয়ার মানিকপুর-সুরাজপুর ইউনিয়নে পড়েছে মৌজার একাংশ। লামার ফাইতং ইউনিয়নের ৭, ৮ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডে ২৮টি এবং চকরিয়ার ফাইতং এলাকায় ৪টি ভাটা পড়েছে।
ফাইতং সড়কের ৬ কিলোমিটার এলাকায় চকরিয়ার লক্ষ্যারচরের ফরিদুল আলমের এফএসি নামের ইটভাটা। প্রায় ১০ একর পাহাড় কেটে এই ভাটায় বসানো হয়েছে ইট পোড়ানোর চিমনি।
সরেজমিনে দেখা যায়, চিমনির পাশেই এক্সকাভেটর দিয়ে কাটা হচ্ছে পাহাড়। পাহাড় কাটা মাটি ভিজিয়ে কাঁচা ইট বানাতে ব্যস্ত ২৫-৩০ জন শ্রমিক। চিমনির চুলার আশপাশে পোড়ানোর জন্য মজুত রাখা হয়েছে কাঠের স্তূপ। সংরক্ষিত বন থেকেই এসব কাঠ ভাটায় আনা হচ্ছে।
ভাটার অনুমোদন আছে কি না, জানতে চাইলে ভাটাটির ব্যবস্থাপক পরিচয়ে এক যুবক ভাটা মালিক সমিতির সঙ্গে যোগাযোগের পরামর্শ দেন।
একটি ভাটার মালিক মানিকপুর-সুরাজপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আজিমুল হক। তিনি বলেন, ‘সরকারি নীতিমালা মেনে ১২টি ভাটা আমরা জিগজ্যাগ পদ্ধতিতে স্থাপন করেছি। এসব ভাটা সম্পূর্ণ কয়লাভিত্তিক। কিন্তু পাহাড়ি এলাকা হওয়ায় ইটভাটা নীতিমালার সঙ্গে সাংঘর্ষিক। এ কারণে লাইসেন্স আটকে আছে। এ ক্ষেত্রে আমরা উচ্চ আদালতের আশ্রয় নিয়েছি।’
ফাইতং ইটভাটা মালিক সমিতির সভাপতি মোক্তার আহমদ দীর্ঘদিন ধরে লাইসেন্স পাওয়ার চেষ্টা করছেন জানিয়ে বলেন, ‘সব ভাটার অনুকূলে আয়কর, ভ্যাট ও ইউনিয়ন পরিষদের ট্রেড লাইসেন্স নেওয়া হয়েছে। তারপরও সবাইকে ম্যানেজ করেই ভাটা চালাতে হয়।’
৮৭ ভাটার ছাড়পত্র পেয়েছে ৪১টি
কক্সবাজার পরিবেশ অধিদপ্তরের উপপরিচালক নুরুল আমিন বলেন, জেলায় ৮৭টি ইটভাটা চালু আছে। এর মধ্যে যাচাই-বাছাই করে ৪১টি ভাটাকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। বাকি ভাটা বন্ধের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান বলেন, তালিকা হালনাগাদ করে অবৈধ ভাটার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ভাটা উচ্ছেদ চায় বন বিভাগ
কক্সবাজারে বন বিভাগের দুটি অঞ্চল উত্তর ও দক্ষিণ। উত্তর বন বিভাগের আওতাধীন সদর, রামু, ঈদগাঁ, চকরিয়া ও পেকুয়ার সংরক্ষিত বনের আশপাশেই রয়েছে ৩৪টি ইটভাটা। ফাইতং মৌজার ২৮টি ভাটাও পড়েছে এই বনের কাছে। দক্ষিণ বন বিভাগের আওতাধীন উখিয়া ও টেকনাফ এলাকায় রয়েছে ১২টি। বনের ওপর চাপ কমাতে এসব ভাটা বন্ধ বা উচ্ছেদের জন্য বন বিভাগ লিখিত ও মৌখিকভাবে সংশ্লিষ্টদের অবহিত করেছে বলে জানান দক্ষিণ বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা সরওয়ার আলম।
উত্তর বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন সরকার বলেন, সংরক্ষিত বনের পাশের ভাটাগুলো বন্ধে বিভিন্ন সময়ে বন বিভাগ থেকে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে চিঠি দেওয়া হয়েছে। বনের কাঠ পোড়ানো নিয়ন্ত্রণ করতে বনকর্মীরা সার্বক্ষণিক নজরদারি রাখছেন।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
২ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
২ দিন আগে