জাহিদ হাসান ও রবিউল ইসলাম, যশোর
অভয়নগর ও বাঘারপাড়া উপজেলা এবং সদরের বসুন্দিয়া ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত সংসদীয় আসন যশোর-৪। মাঠপর্যায়ে যে ভোটের আমেজ, তা এরই মধ্যে ব্যানার, ফেস্টুন, সমাবেশ, গণসংযোগে প্রকাশ পাচ্ছে। আর রাজনীতির মাঠ এরই মধ্যে গরম একই দলের একাধিক প্রার্থীর মনোনয়ন প্রত্যাশার তৎপরতায়। এ চিত্র আওয়ামী লীগে যেমন আছে, গত নির্বাচনে কাগজে-কলমে অংশ না নেওয়া বিএনপিও এর ব্যতিক্রম নয়। হাত গুটিয়ে বসে নেই জাতীয় পার্টির (জাপা) নেতারাও।
এ আসনে টানা তিনবারের সংসদ সদস্য (এমপি) আওয়ামী লীগের রণজিৎ কুমার রায়। দলটির সূত্রের ভাষ্য, এমপির সঙ্গে নানা কারণে দূরত্ব তৈরি হওয়ায় আগামী নির্বাচনে দলের অন্তত নয়জন নেতা প্রার্থী হতে আগ্রহী। তাঁরা হলেন বর্তমান এমপি রণজিৎ কুমার রায়, যশোর মেডিকেল কলেজের গাইনি বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক নিকুঞ্জ বিহারী গোলদার, সাবেক হুইপ শেখ আবদুল ওহাব, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহিত কুমার নাথ, অভয়নগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এনামুল হক বাবুল, সাধারণ সম্পাদক সরদার অলিয়ার রহমান, জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি শাহ্ ফরিদ জাহাঙ্গীর, জেলা আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক আশরাফুল কবির বিপুল ফারাজী, সাবেক অতিরিক্ত সচিব (প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়) সন্তোষ অধিকারী ও আওয়ামী লীগ নেতা আরশাদ পারভেজ।
অপর দিকে বিএনপির প্রার্থী হওয়ার দৌড়ে আছেন কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য টি এস আইয়ুব, ফারাজী মতিয়ার রহমান ও বাঘারপাড়া পৌর বিএনপির সভাপতি আব্দুল হাই মনা। এ ছাড়া জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা ও খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক নেতা জহুরুল হক জহিরও নির্বাচনী মাঠে আছেন।
বিগত ১১টি নির্বাচনের পরিসংখ্যান ও দলীয় সূত্রের তথ্য অনুযায়ী, ৭ বার আওয়ামী লীগ এবং ২ বার করে বিএনপি ও জাতীয় পার্টির প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন। রণজিৎ কুমার রায় তিনবারের এমপি হলেও স্থানীয় আওয়ামী লীগের বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মীর সঙ্গে তাঁর দূরত্ব সৃষ্টি হয়েছে। দুই উপজেলায় নেতারা নানা দল, উপদলে বিভক্ত। দীর্ঘদিন ধরে সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক দিয়েই চলছে বাঘারপাড়া কমিটি। সভাপতি রণজিৎ রায়ের সঙ্গে এক মঞ্চে যান না সাধারণ সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা হাসান আলী। অন্য নেতারাও বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেন পৃথকভাবে।
রণজিৎ রায় নিজেও দলে বিভক্তির কথা স্বীকার করেছেন। তাঁর দাবি, এ বিভাজন শুধু নেতাদের মধ্যে, যাঁরা পদ চান। কেউ সভাপতি, সম্পাদক হতে চান; কেউ এমপি-চেয়ারম্যান হতে চান—তাঁরাই এই বিভাজন সৃষ্টি করছেন। আওয়ামী লীগের তৃণমূল কর্মীদের মধ্যে কোনো বিভাজন নেই। তিনি আরও বলেন, মনোনয়ন দেবেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী। নেতা-কর্মীরা নির্বাচনে নৌকাকে বিজয়ী করবেন। নৌকার বাইরে কেউ গেলে কর্মীরাই তাঁকে ছুড়ে ফেলে দেবেন।
মনোনয়নপ্রত্যাশী নিকুঞ্জ বিহারী গোলদার নির্বাচনী এলাকায় দরিদ্র পরিবারের নারী ও প্রসূতিদের বিনা মূল্যে গাইনি চিকিৎসা ও পরামর্শ দিচ্ছেন। বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব স্মরণে প্রতি সপ্তাহে ক্যাম্পের আয়োজন করেন। অভয়নগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এনামুল হক নওয়াপাড়া পৌরসভার মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এই উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সরদার অলিয়ার রহমান সাবেক জনপ্রতিনিধি। তাঁর অভিযোগ, বর্তমান এমপি জয়ী হওয়ার হওয়ার পর আর দলের খোঁজখবর রাখেননি। তাই এখানে নতুন প্রার্থী দরকার।
এদিকে আওয়ামী লীগের বিপরীতে বিএনপির অন্যতম প্রার্থী কেন্দ্রীয় নেতা টিএস আইয়ুব। ২০০৮ সালের সংসদ নির্বাচনে তিনি ৫ হাজার ভোটের ব্যবধানে নৌকার কাছে হেরে যান। গত নির্বাচনেও তিনি মনোনয়ন পেয়েছিলেন। বিদেশে অর্থ পাচার মামলায় প্রায় ৬ মাস ধরে কারাগারে আছেন। তবে বাঘারপাড়া উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক শামসুর রহমান বলেন, নেতা-কর্মীদের মধ্যে টিএস আইয়ুবের জনপ্রিয়তা অনেক। মামলা-হামলার সময় সবার পাশে থেকেছেন।
আরেক মনোনয়নপ্রত্যাশী ও বাঘারপাড়া পৌর বিএনপির সভাপতি আব্দুল হাই মনার বাবা আব্দুল খালেক ছিলেন বাঘারপাড়া বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি। সেই সূত্রে তিনি রাজনীতিতে আসেন। তবে স্থানীয় রাজনীতিতে আব্দুল হাই মনার সঙ্গে বিরোধ আছে টিএস আইয়ুবের। আব্দুল হাই বলেন, দল নির্বাচনে গেলে মনোনয়ন চাইবেন। তবে দল যাঁকে প্রতীক দেবে, তাঁর সঙ্গে থেকেই কাজ করবেন।
আওয়ামী লীগ, বিএনপির বাইরে এই এলাকায় সরব জাপার জহুরুল হক জহিরও। বিগত নির্বাচনেও তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। আসন্ন নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, নানা সামাজিক কর্মকাণ্ড, সভা-সমাবেশ ও গণসংযোগ করে তৃণমূলে সম্পর্ক গড়ে তুলেছেন। দলের চেয়ারম্যানসহ শীর্ষ নেতারা এ বিষয়ে অবগত আছেন। তাই দলীয় মনোনয়ন নিয়েই নির্বাচনের লড়াইয়ে থাকতে চান।
অভয়নগর ও বাঘারপাড়া উপজেলা এবং সদরের বসুন্দিয়া ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত সংসদীয় আসন যশোর-৪। মাঠপর্যায়ে যে ভোটের আমেজ, তা এরই মধ্যে ব্যানার, ফেস্টুন, সমাবেশ, গণসংযোগে প্রকাশ পাচ্ছে। আর রাজনীতির মাঠ এরই মধ্যে গরম একই দলের একাধিক প্রার্থীর মনোনয়ন প্রত্যাশার তৎপরতায়। এ চিত্র আওয়ামী লীগে যেমন আছে, গত নির্বাচনে কাগজে-কলমে অংশ না নেওয়া বিএনপিও এর ব্যতিক্রম নয়। হাত গুটিয়ে বসে নেই জাতীয় পার্টির (জাপা) নেতারাও।
এ আসনে টানা তিনবারের সংসদ সদস্য (এমপি) আওয়ামী লীগের রণজিৎ কুমার রায়। দলটির সূত্রের ভাষ্য, এমপির সঙ্গে নানা কারণে দূরত্ব তৈরি হওয়ায় আগামী নির্বাচনে দলের অন্তত নয়জন নেতা প্রার্থী হতে আগ্রহী। তাঁরা হলেন বর্তমান এমপি রণজিৎ কুমার রায়, যশোর মেডিকেল কলেজের গাইনি বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক নিকুঞ্জ বিহারী গোলদার, সাবেক হুইপ শেখ আবদুল ওহাব, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহিত কুমার নাথ, অভয়নগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এনামুল হক বাবুল, সাধারণ সম্পাদক সরদার অলিয়ার রহমান, জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি শাহ্ ফরিদ জাহাঙ্গীর, জেলা আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক আশরাফুল কবির বিপুল ফারাজী, সাবেক অতিরিক্ত সচিব (প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়) সন্তোষ অধিকারী ও আওয়ামী লীগ নেতা আরশাদ পারভেজ।
অপর দিকে বিএনপির প্রার্থী হওয়ার দৌড়ে আছেন কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য টি এস আইয়ুব, ফারাজী মতিয়ার রহমান ও বাঘারপাড়া পৌর বিএনপির সভাপতি আব্দুল হাই মনা। এ ছাড়া জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা ও খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক নেতা জহুরুল হক জহিরও নির্বাচনী মাঠে আছেন।
বিগত ১১টি নির্বাচনের পরিসংখ্যান ও দলীয় সূত্রের তথ্য অনুযায়ী, ৭ বার আওয়ামী লীগ এবং ২ বার করে বিএনপি ও জাতীয় পার্টির প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন। রণজিৎ কুমার রায় তিনবারের এমপি হলেও স্থানীয় আওয়ামী লীগের বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মীর সঙ্গে তাঁর দূরত্ব সৃষ্টি হয়েছে। দুই উপজেলায় নেতারা নানা দল, উপদলে বিভক্ত। দীর্ঘদিন ধরে সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক দিয়েই চলছে বাঘারপাড়া কমিটি। সভাপতি রণজিৎ রায়ের সঙ্গে এক মঞ্চে যান না সাধারণ সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা হাসান আলী। অন্য নেতারাও বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেন পৃথকভাবে।
রণজিৎ রায় নিজেও দলে বিভক্তির কথা স্বীকার করেছেন। তাঁর দাবি, এ বিভাজন শুধু নেতাদের মধ্যে, যাঁরা পদ চান। কেউ সভাপতি, সম্পাদক হতে চান; কেউ এমপি-চেয়ারম্যান হতে চান—তাঁরাই এই বিভাজন সৃষ্টি করছেন। আওয়ামী লীগের তৃণমূল কর্মীদের মধ্যে কোনো বিভাজন নেই। তিনি আরও বলেন, মনোনয়ন দেবেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী। নেতা-কর্মীরা নির্বাচনে নৌকাকে বিজয়ী করবেন। নৌকার বাইরে কেউ গেলে কর্মীরাই তাঁকে ছুড়ে ফেলে দেবেন।
মনোনয়নপ্রত্যাশী নিকুঞ্জ বিহারী গোলদার নির্বাচনী এলাকায় দরিদ্র পরিবারের নারী ও প্রসূতিদের বিনা মূল্যে গাইনি চিকিৎসা ও পরামর্শ দিচ্ছেন। বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব স্মরণে প্রতি সপ্তাহে ক্যাম্পের আয়োজন করেন। অভয়নগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এনামুল হক নওয়াপাড়া পৌরসভার মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এই উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সরদার অলিয়ার রহমান সাবেক জনপ্রতিনিধি। তাঁর অভিযোগ, বর্তমান এমপি জয়ী হওয়ার হওয়ার পর আর দলের খোঁজখবর রাখেননি। তাই এখানে নতুন প্রার্থী দরকার।
এদিকে আওয়ামী লীগের বিপরীতে বিএনপির অন্যতম প্রার্থী কেন্দ্রীয় নেতা টিএস আইয়ুব। ২০০৮ সালের সংসদ নির্বাচনে তিনি ৫ হাজার ভোটের ব্যবধানে নৌকার কাছে হেরে যান। গত নির্বাচনেও তিনি মনোনয়ন পেয়েছিলেন। বিদেশে অর্থ পাচার মামলায় প্রায় ৬ মাস ধরে কারাগারে আছেন। তবে বাঘারপাড়া উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক শামসুর রহমান বলেন, নেতা-কর্মীদের মধ্যে টিএস আইয়ুবের জনপ্রিয়তা অনেক। মামলা-হামলার সময় সবার পাশে থেকেছেন।
আরেক মনোনয়নপ্রত্যাশী ও বাঘারপাড়া পৌর বিএনপির সভাপতি আব্দুল হাই মনার বাবা আব্দুল খালেক ছিলেন বাঘারপাড়া বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি। সেই সূত্রে তিনি রাজনীতিতে আসেন। তবে স্থানীয় রাজনীতিতে আব্দুল হাই মনার সঙ্গে বিরোধ আছে টিএস আইয়ুবের। আব্দুল হাই বলেন, দল নির্বাচনে গেলে মনোনয়ন চাইবেন। তবে দল যাঁকে প্রতীক দেবে, তাঁর সঙ্গে থেকেই কাজ করবেন।
আওয়ামী লীগ, বিএনপির বাইরে এই এলাকায় সরব জাপার জহুরুল হক জহিরও। বিগত নির্বাচনেও তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। আসন্ন নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, নানা সামাজিক কর্মকাণ্ড, সভা-সমাবেশ ও গণসংযোগ করে তৃণমূলে সম্পর্ক গড়ে তুলেছেন। দলের চেয়ারম্যানসহ শীর্ষ নেতারা এ বিষয়ে অবগত আছেন। তাই দলীয় মনোনয়ন নিয়েই নির্বাচনের লড়াইয়ে থাকতে চান।
পর্দার নায়িকারা নিজেদের বয়স আড়ালে রাখা পছন্দ করেন। এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম আজমেরী হক বাঁধন। প্রতিবছর নিজের জন্মদিনে জানান দেন তাঁর বয়স। গতকাল ছিল বাঁধনের ৪১তম জন্মদিন। সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেই জানালেন এই তথ্য।
২ দিন আগে১০ বছরের বেশি সময় ধরে শোবিজে কাজ করছেন অভিনেত্রী শবনম ফারিয়া। নাটকের পাশাপাশি ওটিটিতে দেখা গেছে তাঁকে। সরকারি অনুদানের ‘দেবী’ নামের একটি সিনেমায়ও অভিনয় করেছেন। প্রশংসিত হলেও সিনেমায় আর দেখা মেলেনি তাঁর। ছোট পর্দাতেও অনেক দিন ধরে অনিয়মিত তিনি। এবার শবনম ফারিয়া হাজির হচ্ছেন নতুন পরিচয়ে। কমেডি রিয়েলিটি
২ দিন আগেআমাদের লোকসংস্কৃতির অন্যতম ঐতিহ্য যাত্রাপালা। গণমানুষের সংস্কৃতি হিসেবে বিবেচিত এই যাত্রাপালা নিয়ে শিল্পকলা একাডেমি আয়োজন করছে ‘যাত্রা উৎসব-২০২৪’। আগামী ১ নভেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মুক্তমঞ্চে শুরু হবে ৭ দিনব্যাপী এই উৎসব।
২ দিন আগে‘বঙ্গবন্ধু’ পদবি বিলীন হবে না। হতে পারে না। যেমনটি ‘দেশবন্ধু’ চিত্তরঞ্জন দাশের পদবি বিলীন হয়নি। ইতিহাসে এসব পদবি অম্লান ও অক্ষয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ব্যক্তিত্ব ছিল অনন্যসাধারণ। আপনজনকে তো অবশ্যই, শত্রুপক্ষের লোকেরাও ব্যক্তিগত পর্যায়ে তাঁর প্রতি আকৃষ্ট হতেন। পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর উচ্চপদের
২ দিন আগে