চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) আওয়ামী ও বামপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন হলুদ দলের স্থায়ী (স্ট্যান্ডিং) কমিটির নির্বাচন চেয়ে আহ্বায়ক বরাবর চিঠি দিয়েছেন ২০১ জন শিক্ষক। তাঁদের মধ্যে অনেকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের বিভিন্ন পদে রয়েছেন। চিঠিতে হলুদ দলের স্থায়ী কমিটির নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে অন্য সব ধরনের বিধিবদ্ধ ও অবিধিবদ্ধ পর্ষদের নির্বাচন না দিতে প্রশাসনকে অনুরোধ জানানো হয়।
এদিকে শিক্ষকেরা যখন সিন্ডিকেট নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত, ঠিক সেই সময় এ ধরনের দাবি জানানোয় ‘ভিন্ন উদ্দেশ্য’ দেখছেন হলুদ দলের নেতারা। তাঁরা বলছেন, সিন্ডিকেট নির্বাচন বিলম্বিত করতেই প্রশাসনের পক্ষে বিভিন্ন পদস্থ শিক্ষকেরা এই চিঠি পাঠিয়েছেন। পাশাপাশি এই চিঠি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাদেশ পরিপন্থী দাবি হলুদ দলের।
সম্প্রতি ২০১ জন শিক্ষকের সই করা চিঠিটি হলুদ দলের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মো. সেকান্দর চৌধুরীর কাছে পাঠানো হয়। তবে গতকাল সোমবার দুপুরে বিবৃতির মাধ্যমে চিঠির জবাব জানিয়েছে হলুদ দল। হলুদ দলের বিবৃতিতে বলা হয়, ‘চিঠিতে সই দিয়েছেন এমন প্রায় ৪০ শিক্ষক আছেন, যাঁরা হলুদ দলের সদস্যই নন। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় আইন ১৯৭৩ অনুযায়ী, সিন্ডিকেটসহ সব বিধিবদ্ধ পর্ষদের মেয়াদোত্তীর্ণ নির্বাচন বন্ধ করা এবং বাঙালি জাতীয়তাবাদ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজকে বিভক্ত করার অভিপ্রায়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তাব্যক্তিদের সরাসরি ইন্ধন ও সার্বিক তত্ত্বাবধানে এ চিঠি দেওয়া হয়েছে বলে হলুদ দলের স্ট্যান্ডিং কমিটি জানতে পেরেছে। এ চিঠি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় আইন ১৯৭৩-এর পরিপন্থী।’
চিঠিতে স্বাক্ষরকারী বেশির ভাগই বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করছেন উল্লেখ করে বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘চিঠিতে স্বাক্ষরকারী দুজন সম্মানিত ডিন বিশ্ববিদ্যালয়ের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একাডেমিক পর্ষদের প্রতিনিধিত্ব করা সত্ত্বেও স্ট্যান্ডিং কমিটির নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত সিন্ডিকেট নির্বাচন আটকে রাখার মতো বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনবিরোধী কথা বলেছেন। অথচ তাঁরা কিছুদিন আগে উপাচার্যকে চিঠি দিয়ে নির্বাচনের দাবি জানিয়েছিলেন, যা স্ববিরোধিতা। চিঠিতে স্বাক্ষরকারী এমন কয়েকজন রয়েছেন, যাঁরা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিধিবদ্ধ পর্ষদের দায়িত্বে থেকে বিধিবদ্ধ শূন্যপদগুলোতে নির্বাচনের বিরোধিতা করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় আইনকে অবজ্ঞা করেছেন।’
চিঠিতে বলা হয়, ‘ওই চিঠিতে স্বাক্ষরকারী ও বিভিন্ন গণমাধ্যমে মন্তব্যকারী দুজন শিক্ষকের মধ্যে একজন সম্প্রতি অনুষ্ঠিত ডিন নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর কাছে পরাজিত হয়েছেন। আরেকজন নিজে দলের বিদ্রোহী হয়ে অপর বিদ্রোহী প্রার্থীর কাছে পরাজিত হন। চিঠি প্রদানকারীদের মূল উদ্দেশ্য স্ট্যান্ডিং কমিটির নির্বাচন নয়, বরং বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট নির্বাচন বিলম্বিত করে বিশেষ ব্যক্তি-গোষ্ঠীর স্বার্থসিদ্ধি করা। কেননা, শিক্ষকদের আদর্শিক প্ল্যাটফর্ম অভ্যন্তরীণ নেতৃত্ব নির্বাচনের অজুহাতে বিধিবদ্ধ ও অলঙ্ঘনীয় নির্বাচন বন্ধ রাখার সুযোগ বা যৌক্তিকতা নেই।’
এ বিষয়ে হলুদ দলের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মো. সেকান্দর চৌধুরী বলেন, ‘হলুদ দলের স্ট্যান্ডিং কমিটির নির্বাচনের প্রক্রিয়া চলছে। তবে হলুদ দলের কমিটির সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধিবদ্ধ পর্ষদের নির্বাচনের কী সম্পর্ক? বিশ্ববিদ্যালয় চলে বিধিবদ্ধ পর্ষদ দিয়ে। নির্বাচন বন্ধ রাখতে অনুরোধ জানানো বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাদেশ পরিপন্থী।’
এ বিষয়ে জানতে চিঠিতে সই করা দুজন সিন্ডিকেট সদস্য ও একজন ডিনকে মোবাইল ফোনে কল দিলেও তাঁরা ধরেননি।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) আওয়ামী ও বামপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন হলুদ দলের স্থায়ী (স্ট্যান্ডিং) কমিটির নির্বাচন চেয়ে আহ্বায়ক বরাবর চিঠি দিয়েছেন ২০১ জন শিক্ষক। তাঁদের মধ্যে অনেকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের বিভিন্ন পদে রয়েছেন। চিঠিতে হলুদ দলের স্থায়ী কমিটির নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে অন্য সব ধরনের বিধিবদ্ধ ও অবিধিবদ্ধ পর্ষদের নির্বাচন না দিতে প্রশাসনকে অনুরোধ জানানো হয়।
এদিকে শিক্ষকেরা যখন সিন্ডিকেট নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত, ঠিক সেই সময় এ ধরনের দাবি জানানোয় ‘ভিন্ন উদ্দেশ্য’ দেখছেন হলুদ দলের নেতারা। তাঁরা বলছেন, সিন্ডিকেট নির্বাচন বিলম্বিত করতেই প্রশাসনের পক্ষে বিভিন্ন পদস্থ শিক্ষকেরা এই চিঠি পাঠিয়েছেন। পাশাপাশি এই চিঠি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাদেশ পরিপন্থী দাবি হলুদ দলের।
সম্প্রতি ২০১ জন শিক্ষকের সই করা চিঠিটি হলুদ দলের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মো. সেকান্দর চৌধুরীর কাছে পাঠানো হয়। তবে গতকাল সোমবার দুপুরে বিবৃতির মাধ্যমে চিঠির জবাব জানিয়েছে হলুদ দল। হলুদ দলের বিবৃতিতে বলা হয়, ‘চিঠিতে সই দিয়েছেন এমন প্রায় ৪০ শিক্ষক আছেন, যাঁরা হলুদ দলের সদস্যই নন। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় আইন ১৯৭৩ অনুযায়ী, সিন্ডিকেটসহ সব বিধিবদ্ধ পর্ষদের মেয়াদোত্তীর্ণ নির্বাচন বন্ধ করা এবং বাঙালি জাতীয়তাবাদ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজকে বিভক্ত করার অভিপ্রায়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তাব্যক্তিদের সরাসরি ইন্ধন ও সার্বিক তত্ত্বাবধানে এ চিঠি দেওয়া হয়েছে বলে হলুদ দলের স্ট্যান্ডিং কমিটি জানতে পেরেছে। এ চিঠি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় আইন ১৯৭৩-এর পরিপন্থী।’
চিঠিতে স্বাক্ষরকারী বেশির ভাগই বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করছেন উল্লেখ করে বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘চিঠিতে স্বাক্ষরকারী দুজন সম্মানিত ডিন বিশ্ববিদ্যালয়ের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একাডেমিক পর্ষদের প্রতিনিধিত্ব করা সত্ত্বেও স্ট্যান্ডিং কমিটির নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত সিন্ডিকেট নির্বাচন আটকে রাখার মতো বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনবিরোধী কথা বলেছেন। অথচ তাঁরা কিছুদিন আগে উপাচার্যকে চিঠি দিয়ে নির্বাচনের দাবি জানিয়েছিলেন, যা স্ববিরোধিতা। চিঠিতে স্বাক্ষরকারী এমন কয়েকজন রয়েছেন, যাঁরা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিধিবদ্ধ পর্ষদের দায়িত্বে থেকে বিধিবদ্ধ শূন্যপদগুলোতে নির্বাচনের বিরোধিতা করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় আইনকে অবজ্ঞা করেছেন।’
চিঠিতে বলা হয়, ‘ওই চিঠিতে স্বাক্ষরকারী ও বিভিন্ন গণমাধ্যমে মন্তব্যকারী দুজন শিক্ষকের মধ্যে একজন সম্প্রতি অনুষ্ঠিত ডিন নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর কাছে পরাজিত হয়েছেন। আরেকজন নিজে দলের বিদ্রোহী হয়ে অপর বিদ্রোহী প্রার্থীর কাছে পরাজিত হন। চিঠি প্রদানকারীদের মূল উদ্দেশ্য স্ট্যান্ডিং কমিটির নির্বাচন নয়, বরং বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট নির্বাচন বিলম্বিত করে বিশেষ ব্যক্তি-গোষ্ঠীর স্বার্থসিদ্ধি করা। কেননা, শিক্ষকদের আদর্শিক প্ল্যাটফর্ম অভ্যন্তরীণ নেতৃত্ব নির্বাচনের অজুহাতে বিধিবদ্ধ ও অলঙ্ঘনীয় নির্বাচন বন্ধ রাখার সুযোগ বা যৌক্তিকতা নেই।’
এ বিষয়ে হলুদ দলের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মো. সেকান্দর চৌধুরী বলেন, ‘হলুদ দলের স্ট্যান্ডিং কমিটির নির্বাচনের প্রক্রিয়া চলছে। তবে হলুদ দলের কমিটির সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধিবদ্ধ পর্ষদের নির্বাচনের কী সম্পর্ক? বিশ্ববিদ্যালয় চলে বিধিবদ্ধ পর্ষদ দিয়ে। নির্বাচন বন্ধ রাখতে অনুরোধ জানানো বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাদেশ পরিপন্থী।’
এ বিষয়ে জানতে চিঠিতে সই করা দুজন সিন্ডিকেট সদস্য ও একজন ডিনকে মোবাইল ফোনে কল দিলেও তাঁরা ধরেননি।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৪ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৪ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৪ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৪ দিন আগে