হাসপাতালে শয্যাসংকট নতুন রোগী ভর্তি বন্ধ

শামিমুজ্জামান, খুলনা
প্রকাশ : ০৭ ডিসেম্বর ২০২২, ১৩: ১৬

দক্ষিণাঞ্চলের শিশু চিকিৎসার সর্ববৃহৎ কেন্দ্র ২৭৫ শয্যার খুলনা শিশু হাসপাতাল। কিন্তু শিশু রোগী বেড়ে যাওয়ায় এ হাসপাতালে দেখা দিয়েছে শয্যাসংকট। এতে সর্দি, কাশি, জ্বর, নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্টসহ শীতজনিত রোগে আক্রান্ত সন্তানদের নিয়ে বিপাকে পড়েছেন অভিভাবকেরা।

জানা গেছে, খুলনা শিশু হাসপাতালের ২৭৫ শয্যার সব কটিতে রয়েছে রোগী। শয্যাসংকটের কারণে এখন কাউকে ভর্তি নেওয়া হচ্ছে না। প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দিয়ে ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে।

তাসলিমা আক্তার তাঁর সন্তানকে গত চার দিন আগে হাসপাতালে ভর্তি করিয়েছেন। দুই বছর বয়সী ছেলের শ্বাসকষ্ট। জাহানারা আক্তার তাঁর দশ মাস বয়সী সন্তানকে নিয়ে চার দিন ধরে আছেন হাসপাতালে। তাঁর সন্তানের হয়েছে ডায়রিয়া। অপরদিকে বহির্বিভাগে জালাল হোসেন অপেক্ষার প্রহর গুনছেন চিকিৎসকের। তাঁর ৪ বছরের ছেলে সিয়ামের কয়েক দিন ধরে জ্বর, কাশি ও সর্দি। একইভাবে সন্তানকে নিয়ে চিকিৎসকের অপেক্ষায় রয়েছেন শিউলী আকতার, আরাফাত হোসেন। তাঁদের সন্তান কেউবা ডায়ারিয়া, কেউ আবার জ্বর, সর্দি, কাশি ও শ্বাসকষ্টে ভুগছে।

শিশু হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মো. কামরুজ্জামান জানান, নভেম্বর মাসের মাঝ থেকে ডায়রিয়া, সর্দি, কাশি, জ্বর, নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্টসহ শীতজনিত রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। হাসপাতালের কোনো শয্যা ফাঁকা নেই। এ কারণে রোগী ফেরত দিতে হচ্ছে। এ ছাড়া বহির্বিভাগে প্রতি দিন ছয়শ’র বেশি রোগী আসছে। অন্যান্য সময় ২৫০ থেকে ৩০০ রোগী আসত। ১৫ নভেম্বর থেকে ৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত হাসপাতালে সব মিলিয়ে ১০ হাজারের বেশি রোগী সেবা নিয়েছে।

কামরুজ্জামান আরও জানান, ঋতু পরিবর্তনের কারণে রোগীর চাপ বেড়েছে। তিনি সুস্থ থাকতে ঠান্ডা কিংবা গরম না লাগে সে বিষয়ে পরামর্শ দিয়েছেন অভিভাবকদের।

তিনি বলেন, এই সময় ঠান্ডা লাগতে পারে এই শঙ্কায় অভিভাবকেরা সন্তানকে অতিরিক্ত গরম পোশাক পরান। এ কারণে অনেক বাচ্চা ঘেমে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ছে।

আবার অনেক সময় ঠান্ডা লেগেও অসুস্থ হচ্ছে। শরীরে যাতে ঘাম না বসে সে জন্য বারবার গা মুছে দিতে হবে।

এদিকে অসুস্থ সন্তানকে হাসপাতালে ভর্তির উদ্দেশ্যে এসেছিলেন নগরীর আরাফাত হোসেন। তিনি জানান, হাসপাতালে শয্যা না থাকায় ভর্তি করেননি কর্তৃপক্ষ। তাকে অন্যত্র ভর্তির পরামর্শ দিয়েছেন সিভিল সার্জন ডা. সুজাত আহমেদ বলেন, ঋতু পরিবর্তনের কারণে ডায়রিয়া, সর্দি, কাশি, জ্বর ও নিউমোনিয়ার প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। তবে সরকারি হাসপাতালে পর্যাপ্ত চিকিৎসার ব্যবস্থা রয়েছে। এ ছাড়া উপজেলা পর্যায়ের হাসপাতালগুলোতেও চিকিৎসা সেবা নিশ্চিতের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত