শাহরিয়ার হাসান, ঢাকা
দেশে ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচন ঘিরে আগ্নেয়াস্ত্রের ব্যবহার আশঙ্কাজনকভাবে বেড়ে গেছে। বৈধ অস্ত্রের সন্ধানে এর আগে অভিযানে নেমেছিল আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। কিন্তু সাত দিন যেতে না যেতেই সেই অভিযান বন্ধ হয়ে যায়। তবে অভিযান থামলেও থামেনি অবৈধ অস্ত্রের ব্যবহার।
জানতে চাইলে সাবেক নির্বাচন কমিশনার এম সাখাওয়াত হোসেন বলছেন, ভোটের আগেই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে দিয়ে বৈধ অস্ত্র জমা রাখা ও অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে অভিযান পরিচালনা করতে ইসিকে নির্দেশ দিতে হয়। এখন এসবের কিছুই করা হয় না। শুরু হয়েও তা বন্ধ হয়ে গেল। নির্বাচনের আগে অস্ত্র উদ্ধার অভিযান হলে এত সহিংসতা হতো না।
গত বছরের ২১ জুন থেকে সারা দেশে ইউপি নির্বাচন শুরু হয়েছে। এর মধ্যে গতকাল শেষ হয়েছে পঞ্চম ধাপের নির্বাচন। প্রাপ্ত হিসাবে দেখা গেছে, এখন পর্যন্ত নির্বাচনে মোট গুলির ঘটনা ঘটেছে ৪১টি। এসব ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন ৮৭ জন। তার মধ্যে মারা গেছেন ৪৫ জন। তবে ইউপি নির্বাচনী সহিসংতায় গুলিসহ সারা দেশে মোট মৃত্যু হয়েছে ১২৪ জনের।
চারপাশে এত অবৈধ অস্ত্রের ব্যবহারের পরও কেন অস্ত্রবিরোধী অভিযান বন্ধ হলো, জানতে চাইলে পুলিশ সদর দপ্তরের উপ-পুলিশ মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মিডিয়া অ্যান্ড প্ল্যানিং হায়দার আলী খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, নির্বাচনকালীন পুলিশ থাকে নির্বাচন কমিশনের আওতায়। তারা যেভাবে চায় সেভাবেই স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনকে কাজ করতে হয়।
সূত্র জানায়, গত বছরের ১৬-২২ নভেম্বর সাত দিন সারা দেশে একযোগে বিশেষ অস্ত্র উদ্ধার অভিযান চালানো হয়। তৃতীয় দফায় ইউপি নির্বাচন ঘিরে হতাহতের ঘটনা বেড়ে যাওয়ার পর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে এই অভিযান হয়। অভিযান চালায় পুলিশ ও র্যাব। পরবর্তী সময়ে পুলিশ সদর দপ্তর থেকে এই অভিযানকে সফল অভিযান হিসেবে উল্লেখ করা হয়। তবে পুলিশেরই কেউ কেউ বলেন, দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ রাখতে এই অভিযান চালিয়ে গেলে সুফল পাওয়া যেত।
দেশের রাজনৈতিক সহিংসতার নানা হিসাব রাখে এমন মানবাধিকার সংস্থা আইন ও সালিশ কেন্দ্র বলছে, গত বছর রাজনৈতিক দলের অভ্যন্তরীণ কোন্দলসহ মোট প্রায় ৯৩২টি রাজনৈতিক সংঘাতের ঘটনা ঘটে। এসব সংঘাতে ১৬৮ জন নিহত ও ১০ হাজার ৮৩৩ জন আহত হন। ইউপি নির্বাচনের সহিংসতায় মারা যান ১২৪ জন। এ ছাড়া পৌর ও সিটি করপোরেশন নির্বাচন ঘিরে ৮৩টি ঘটনায় ১৩ জন নিহত ও ৭৮৮ জন আহত হন। সহিংসতার অধিকাংশ ঘটনায় গুলি চালানোর ঘটনা ঘটেছে।
এদিকে গতকাল পঞ্চম ধাপে ৭০৮টি ইউপি নির্বাচনে মারা গেছেন ১১ জন। দেশের বিভিন্ন স্থানে সংঘর্ষ, পাল্টাপাল্টি হামলা, গোলাগুলি, গাড়ি ভাঙচুরের মতো সহিংসতার ঘটনায় তিন পুলিশ পরিদর্শকসহ আহত হয়েছেন অন্তত ৫০০ জন। মুন্সিগঞ্জ, নোয়াখালীসহ চার জেলায় এলজি, শটগানসহ অন্তত ১০টি ভারী অস্ত্র উদ্ধার করেছে পুলিশ।
এর আগে ২ জানুয়ারি সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার তাড়ল ইউনিয়নে নির্বাচন-পরবর্তী সহিংসতায় উভয় পক্ষের ৮ জন গুলিবিদ্ধ হন। তাঁদের মধ্যে গুলিবিদ্ধ দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তিনটি গুলিও উদ্ধার করে।
দিরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিজুর রহমান জানান, অবৈধ অস্ত্র বেড়ে যাওয়ায় এমন ঘটনা ঘটছে।
পুলিশ সদর দপ্তরের একাধিক উচ্চপদস্থ পুলিশ কর্মকর্তা বলছেন, হঠাৎ অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র বেড়ে যাওয়াতে তাঁরাও উদ্বিগ্ন। সহিংসতাগুলোতে কারা জড়িত, অস্ত্র ও গুলির উৎস কোথায়, অবৈধ অস্ত্রের নামে বৈধ অস্ত্র ব্যবহার হচ্ছে কি না, জানতে পুলিশ সদর দপ্তরের অস্থায়ী একটি সেল গঠন করেছে।
সদর দপ্তরের সূত্র বলছে, অস্ত্র উদ্ধারের সেই অভিযানে সারা দেশে ৪৫টি আগ্নেয়াস্ত্র ও ৫২৫টি দেশীয় অস্ত্র (রামদা, কিরিচ, দা, ছোরা ইত্যাদি) উদ্ধার করা হয়। গুলি উদ্ধার করা হয় ৫৬টি। অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় মামলা হয় ৫২টি। আসামি করা হয়েছে ১৩৯ জনকে। তাঁদের মধ্যে গতকাল পর্যন্ত গ্রেপ্তার হয়েছেন ৮৮ জন।
সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক ও আওয়ামী লীগের সাংসদ নূর মোহাম্মদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সহিংসতার ঘটনা খুবই দুঃখজনক। আইনশৃঙ্খলার সঙ্গে যাঁরা সম্পৃক্ত, তাঁদের এখন শক্ত ব্যবস্থা নিতে হবে। নির্বাচন কমিশনের নির্দেশের বাইরেও পুলিশের মৌলিক যে কাজ আছে, তা চালিয়ে যেতে হবে।
দেশে ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচন ঘিরে আগ্নেয়াস্ত্রের ব্যবহার আশঙ্কাজনকভাবে বেড়ে গেছে। বৈধ অস্ত্রের সন্ধানে এর আগে অভিযানে নেমেছিল আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। কিন্তু সাত দিন যেতে না যেতেই সেই অভিযান বন্ধ হয়ে যায়। তবে অভিযান থামলেও থামেনি অবৈধ অস্ত্রের ব্যবহার।
জানতে চাইলে সাবেক নির্বাচন কমিশনার এম সাখাওয়াত হোসেন বলছেন, ভোটের আগেই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে দিয়ে বৈধ অস্ত্র জমা রাখা ও অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে অভিযান পরিচালনা করতে ইসিকে নির্দেশ দিতে হয়। এখন এসবের কিছুই করা হয় না। শুরু হয়েও তা বন্ধ হয়ে গেল। নির্বাচনের আগে অস্ত্র উদ্ধার অভিযান হলে এত সহিংসতা হতো না।
গত বছরের ২১ জুন থেকে সারা দেশে ইউপি নির্বাচন শুরু হয়েছে। এর মধ্যে গতকাল শেষ হয়েছে পঞ্চম ধাপের নির্বাচন। প্রাপ্ত হিসাবে দেখা গেছে, এখন পর্যন্ত নির্বাচনে মোট গুলির ঘটনা ঘটেছে ৪১টি। এসব ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন ৮৭ জন। তার মধ্যে মারা গেছেন ৪৫ জন। তবে ইউপি নির্বাচনী সহিসংতায় গুলিসহ সারা দেশে মোট মৃত্যু হয়েছে ১২৪ জনের।
চারপাশে এত অবৈধ অস্ত্রের ব্যবহারের পরও কেন অস্ত্রবিরোধী অভিযান বন্ধ হলো, জানতে চাইলে পুলিশ সদর দপ্তরের উপ-পুলিশ মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মিডিয়া অ্যান্ড প্ল্যানিং হায়দার আলী খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, নির্বাচনকালীন পুলিশ থাকে নির্বাচন কমিশনের আওতায়। তারা যেভাবে চায় সেভাবেই স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনকে কাজ করতে হয়।
সূত্র জানায়, গত বছরের ১৬-২২ নভেম্বর সাত দিন সারা দেশে একযোগে বিশেষ অস্ত্র উদ্ধার অভিযান চালানো হয়। তৃতীয় দফায় ইউপি নির্বাচন ঘিরে হতাহতের ঘটনা বেড়ে যাওয়ার পর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে এই অভিযান হয়। অভিযান চালায় পুলিশ ও র্যাব। পরবর্তী সময়ে পুলিশ সদর দপ্তর থেকে এই অভিযানকে সফল অভিযান হিসেবে উল্লেখ করা হয়। তবে পুলিশেরই কেউ কেউ বলেন, দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ রাখতে এই অভিযান চালিয়ে গেলে সুফল পাওয়া যেত।
দেশের রাজনৈতিক সহিংসতার নানা হিসাব রাখে এমন মানবাধিকার সংস্থা আইন ও সালিশ কেন্দ্র বলছে, গত বছর রাজনৈতিক দলের অভ্যন্তরীণ কোন্দলসহ মোট প্রায় ৯৩২টি রাজনৈতিক সংঘাতের ঘটনা ঘটে। এসব সংঘাতে ১৬৮ জন নিহত ও ১০ হাজার ৮৩৩ জন আহত হন। ইউপি নির্বাচনের সহিংসতায় মারা যান ১২৪ জন। এ ছাড়া পৌর ও সিটি করপোরেশন নির্বাচন ঘিরে ৮৩টি ঘটনায় ১৩ জন নিহত ও ৭৮৮ জন আহত হন। সহিংসতার অধিকাংশ ঘটনায় গুলি চালানোর ঘটনা ঘটেছে।
এদিকে গতকাল পঞ্চম ধাপে ৭০৮টি ইউপি নির্বাচনে মারা গেছেন ১১ জন। দেশের বিভিন্ন স্থানে সংঘর্ষ, পাল্টাপাল্টি হামলা, গোলাগুলি, গাড়ি ভাঙচুরের মতো সহিংসতার ঘটনায় তিন পুলিশ পরিদর্শকসহ আহত হয়েছেন অন্তত ৫০০ জন। মুন্সিগঞ্জ, নোয়াখালীসহ চার জেলায় এলজি, শটগানসহ অন্তত ১০টি ভারী অস্ত্র উদ্ধার করেছে পুলিশ।
এর আগে ২ জানুয়ারি সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার তাড়ল ইউনিয়নে নির্বাচন-পরবর্তী সহিংসতায় উভয় পক্ষের ৮ জন গুলিবিদ্ধ হন। তাঁদের মধ্যে গুলিবিদ্ধ দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তিনটি গুলিও উদ্ধার করে।
দিরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিজুর রহমান জানান, অবৈধ অস্ত্র বেড়ে যাওয়ায় এমন ঘটনা ঘটছে।
পুলিশ সদর দপ্তরের একাধিক উচ্চপদস্থ পুলিশ কর্মকর্তা বলছেন, হঠাৎ অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র বেড়ে যাওয়াতে তাঁরাও উদ্বিগ্ন। সহিংসতাগুলোতে কারা জড়িত, অস্ত্র ও গুলির উৎস কোথায়, অবৈধ অস্ত্রের নামে বৈধ অস্ত্র ব্যবহার হচ্ছে কি না, জানতে পুলিশ সদর দপ্তরের অস্থায়ী একটি সেল গঠন করেছে।
সদর দপ্তরের সূত্র বলছে, অস্ত্র উদ্ধারের সেই অভিযানে সারা দেশে ৪৫টি আগ্নেয়াস্ত্র ও ৫২৫টি দেশীয় অস্ত্র (রামদা, কিরিচ, দা, ছোরা ইত্যাদি) উদ্ধার করা হয়। গুলি উদ্ধার করা হয় ৫৬টি। অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় মামলা হয় ৫২টি। আসামি করা হয়েছে ১৩৯ জনকে। তাঁদের মধ্যে গতকাল পর্যন্ত গ্রেপ্তার হয়েছেন ৮৮ জন।
সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক ও আওয়ামী লীগের সাংসদ নূর মোহাম্মদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সহিংসতার ঘটনা খুবই দুঃখজনক। আইনশৃঙ্খলার সঙ্গে যাঁরা সম্পৃক্ত, তাঁদের এখন শক্ত ব্যবস্থা নিতে হবে। নির্বাচন কমিশনের নির্দেশের বাইরেও পুলিশের মৌলিক যে কাজ আছে, তা চালিয়ে যেতে হবে।
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
৩ ঘণ্টা আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৪ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৪ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৪ দিন আগে