বেরোবি সংবাদদাতা
রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) শ্রেণিকক্ষ-সংকটে ভুগছেন শিক্ষার্থীরা। ব্যাহত হচ্ছে অধিকাংশ বিভাগের শিক্ষা কার্যক্রম। এক বিভাগের শিক্ষকেরা অন্য বিভাগের শ্রেণিকক্ষ ধার করে পাঠদান করান। কেউ কেউ খোলা মাঠে ক্লাস নিচ্ছেন।
শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে একটি ইনস্টিটিউট ও ২২টি বিভাগ থাকলেও সেই তুলনায় শ্রেণিকক্ষ নেই। এ ছাড়া শ্রেণিকক্ষ এক ভবনে থাকলেও বিভাগের অফিস ও শিক্ষকদের কক্ষ থাকছে আরেক ভবনে। সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে একাডেমিক ভবন-৩ এবং কবি হেয়াত মামুদ ভবনের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের।
প্রায় প্রতিটি বিভাগে যেখানে কমপক্ষে পাঁচটি করে ব্যাচ রয়েছে, সেখানে শ্রেণিকক্ষ আছে মাত্র একটি বা দুটি। যার ফলে এক ব্যাচের ক্লাস শেষ হতে না হতেই অন্য ব্যাচের শিক্ষার্থীরা ওই শ্রেণিকক্ষের সামনে দাঁড়িয়ে থাকেন। এতে ক্লাস করা শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মনোযোগে যেমন ব্যাঘাত ঘটে, তেমনি দাঁড়িয়ে থাকা শিক্ষার্থীরাও অস্বস্তি বোধ করেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবন-৩-এ ৮টি এবং কবি হেয়াত মামুদ ভবনে রয়েছে ৫টি বিভাগ। এখানে ক্লাসের সময় তীব্র সমস্যায় পড়তে হয় বলে জানান শিক্ষার্থীরা।
গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী জুনাইদ ইসলাম বলেন, ‘ক্লাসরুমের তীব্র সংকটের কারণে চরম ভোগান্তিতে আছি। শুধু দুটি বরাদ্দ রুমে সব ব্যাচের শিক্ষার্থীদের ক্লাস নেওয়া হয়, যা প্রয়োজনের তুলনায় অপর্যাপ্ত। মাঝেমধ্যেই আমরা ক্লাস করার জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা বাইরে দাঁড়িয়ে থাকি, যে সময় অন্য ব্যাচের ক্লাস চলে। কখনো কখনো স্যাররা বিরক্ত হয়ে মাঠে ক্লাস নিতে বাধ্য হন। রুমের সংকটের কারণে আমরা রুটিন অনুযায়ী ক্লাস করতে পারি না।’
বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায়ই দেখা যায়, অনেক শিক্ষক মাঠে ক্লাস নিচ্ছেন। কয়েক দিন আগে হেয়াত মামুদ ভবনের সামনে এভাবে ক্লাস নেওয়া গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের প্রভাষক মাহমুদুল হক বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভাগ বাড়ছে, শিক্ষার্থী বাড়ছে, কিন্তু শ্রেণিকক্ষ বাড়ছে না। সংকট প্রকটই বলা যেতে পারে। এ ছাড়া শিক্ষকের সংখ্যাও বাড়ছে, কিন্তু অনেকের কক্ষ নেই। শিক্ষকদের কক্ষও একধরনের গবেষণাগার, শ্রেণিকক্ষ। দ্বিতীয় উপাচার্যের আমলে ভবনগুলো তৈরি হয়েছে। এরপর আর কোনো উপাচার্য নতুন কোনো ভবন নির্মাণ করেননি। বর্তমান উপাচার্য সার্বিক অবকাঠামোগত উন্নয়নকাজ শিগগিরই শুরু করবেন বলে আশা করছি।’
সংকটের বিষয়ে লোকপ্রশাসন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান আসাদুজ্জামান মন্ডল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ক্লাসরুম, বিভাগের অফিস ও শিক্ষকদের কক্ষ ভিন্ন ভিন্ন ফ্লোরে হওয়ায় বিভাগের কার্যক্রম সমন্বয় করতে প্রায় সময় হিমশিম খেতে হয়। আমাদের শ্রেণিকক্ষ সংকট চরম পর্যায়ে। খুব কষ্ট করে ক্লাস নিতে হচ্ছে।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা পরিচালক নূরুজ্জামান খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ক্লাসরুম সংকট নিরসনের জন্য বর্তমান উপাচার্য ইতিমধ্যে কাজ শুরু করেছেন। আর্থিক বরাদ্দ পাস হয়ে গেছে। খুব দ্রুত দুটি ভবনে দুই তলা করে কাজ শুরু হবে।’
রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) শ্রেণিকক্ষ-সংকটে ভুগছেন শিক্ষার্থীরা। ব্যাহত হচ্ছে অধিকাংশ বিভাগের শিক্ষা কার্যক্রম। এক বিভাগের শিক্ষকেরা অন্য বিভাগের শ্রেণিকক্ষ ধার করে পাঠদান করান। কেউ কেউ খোলা মাঠে ক্লাস নিচ্ছেন।
শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে একটি ইনস্টিটিউট ও ২২টি বিভাগ থাকলেও সেই তুলনায় শ্রেণিকক্ষ নেই। এ ছাড়া শ্রেণিকক্ষ এক ভবনে থাকলেও বিভাগের অফিস ও শিক্ষকদের কক্ষ থাকছে আরেক ভবনে। সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে একাডেমিক ভবন-৩ এবং কবি হেয়াত মামুদ ভবনের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের।
প্রায় প্রতিটি বিভাগে যেখানে কমপক্ষে পাঁচটি করে ব্যাচ রয়েছে, সেখানে শ্রেণিকক্ষ আছে মাত্র একটি বা দুটি। যার ফলে এক ব্যাচের ক্লাস শেষ হতে না হতেই অন্য ব্যাচের শিক্ষার্থীরা ওই শ্রেণিকক্ষের সামনে দাঁড়িয়ে থাকেন। এতে ক্লাস করা শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মনোযোগে যেমন ব্যাঘাত ঘটে, তেমনি দাঁড়িয়ে থাকা শিক্ষার্থীরাও অস্বস্তি বোধ করেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবন-৩-এ ৮টি এবং কবি হেয়াত মামুদ ভবনে রয়েছে ৫টি বিভাগ। এখানে ক্লাসের সময় তীব্র সমস্যায় পড়তে হয় বলে জানান শিক্ষার্থীরা।
গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী জুনাইদ ইসলাম বলেন, ‘ক্লাসরুমের তীব্র সংকটের কারণে চরম ভোগান্তিতে আছি। শুধু দুটি বরাদ্দ রুমে সব ব্যাচের শিক্ষার্থীদের ক্লাস নেওয়া হয়, যা প্রয়োজনের তুলনায় অপর্যাপ্ত। মাঝেমধ্যেই আমরা ক্লাস করার জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা বাইরে দাঁড়িয়ে থাকি, যে সময় অন্য ব্যাচের ক্লাস চলে। কখনো কখনো স্যাররা বিরক্ত হয়ে মাঠে ক্লাস নিতে বাধ্য হন। রুমের সংকটের কারণে আমরা রুটিন অনুযায়ী ক্লাস করতে পারি না।’
বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায়ই দেখা যায়, অনেক শিক্ষক মাঠে ক্লাস নিচ্ছেন। কয়েক দিন আগে হেয়াত মামুদ ভবনের সামনে এভাবে ক্লাস নেওয়া গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের প্রভাষক মাহমুদুল হক বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভাগ বাড়ছে, শিক্ষার্থী বাড়ছে, কিন্তু শ্রেণিকক্ষ বাড়ছে না। সংকট প্রকটই বলা যেতে পারে। এ ছাড়া শিক্ষকের সংখ্যাও বাড়ছে, কিন্তু অনেকের কক্ষ নেই। শিক্ষকদের কক্ষও একধরনের গবেষণাগার, শ্রেণিকক্ষ। দ্বিতীয় উপাচার্যের আমলে ভবনগুলো তৈরি হয়েছে। এরপর আর কোনো উপাচার্য নতুন কোনো ভবন নির্মাণ করেননি। বর্তমান উপাচার্য সার্বিক অবকাঠামোগত উন্নয়নকাজ শিগগিরই শুরু করবেন বলে আশা করছি।’
সংকটের বিষয়ে লোকপ্রশাসন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান আসাদুজ্জামান মন্ডল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ক্লাসরুম, বিভাগের অফিস ও শিক্ষকদের কক্ষ ভিন্ন ভিন্ন ফ্লোরে হওয়ায় বিভাগের কার্যক্রম সমন্বয় করতে প্রায় সময় হিমশিম খেতে হয়। আমাদের শ্রেণিকক্ষ সংকট চরম পর্যায়ে। খুব কষ্ট করে ক্লাস নিতে হচ্ছে।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা পরিচালক নূরুজ্জামান খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ক্লাসরুম সংকট নিরসনের জন্য বর্তমান উপাচার্য ইতিমধ্যে কাজ শুরু করেছেন। আর্থিক বরাদ্দ পাস হয়ে গেছে। খুব দ্রুত দুটি ভবনে দুই তলা করে কাজ শুরু হবে।’
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৩ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৩ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৩ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৩ দিন আগে