জমির উদ্দিন, চট্টগ্রাম
রেলের দোকান বরাদ্দ পাওয়ার জন্য দরপত্র নিতে গিয়ে মারধরের শিকার হন আজাদুর ইসলাম নামের এক ব্যক্তি। তাঁর অভিযোগ, তিনি সিন্ডিকেটের কেউ নন, তাই মারধরের শিকার হয়েছেন।
অভিযোগ উঠেছে, অনেকটা গোপনে নিজেদের লোকদের দরপত্র নেওয়ার সুযোগ করে দিয়েছে রেলের একটি সিন্ডিকেট। এই সিন্ডিকেট প্রতিটি প্লট থেকে আগাম নিয়েছে ১০ লাখ টাকা।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, রেলের ভূসম্পত্তি বিভাগের আওতাধীন চাঁদপুর থেকে দোহাজারী পর্যন্ত ১২টি স্টেশনে ১০১০টি প্লট বিক্রির বিজ্ঞপ্তি দেওয়ার আগে থেকে সক্রিয় হয়ে ওঠে সিন্ডিকেটটি। রেলের এক ঠিকাদার, ক্ষমতাসীন দলের দুই নেতা ও ভূসম্পত্তি বিভাগের অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারী মিলে ১০১০টি প্লট নিজেদের আওতায় আনতে গোপনে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। তারপর নিজেদের লোকেরা এসব প্লট বিক্রির দরপত্র কিনছেন। যাঁরা প্লট পাচ্ছেন, তাঁরা সবাই ওই সিন্ডিকেটের সদস্য। প্রতিটি স্টেশনে আগ্রহীরা ১০ লাখ টাকা দিয়ে সিন্ডিকেটটির কাছ থেকে দোকান বরাদ্দ নিচ্ছেন।
চাঁদপুর কোর্ট স্টেশন, নগরের ২ নম্বর গেটে দোকান বরাদ্দ পাওয়া ১২ জন নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ১০০ বর্গফুটের একটি দোকান
নিতে ১০ লাখ টাকা করে দিতে হয়েছে এবং ২০০ বর্গফুটের দোকানগুলো ২০ লাখ টাকায়।
এদিকে এখন পর্যন্ত ১০১০টি প্লটের মধ্যে ৪৬০টি বিক্রির কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এর বিপরীতে শিডিউল কিনেছেন মাত্র এক হাজার জন। যাঁদের থেকে সরকার রাজস্ব পেয়েছে ১০ লাখ টাকা।
গত ১২ ডিসেম্বর তফসিল ঘোষণা করে রেলের ভূসম্পত্তি বিভাগ। চাঁদপুরের চিতোষী, লাকসাম, ষোলশহর, মাদারবাড়ী, চৌমুহনী, দোহাজারীতে ৬৩১টি প্লট বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহারের জন্য দরপত্র আহ্বান করে বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়। এই বিজ্ঞপ্তিও দুটি জাতীয় ও দুটি স্থানীয় পত্রিকায় প্রকাশ করা হয়। এরপর দরপত্র বিক্রির দিন নিজেদের লোক ছাড়া বাইরের কারও কাছে দরপত্র বিক্রি করেনি ভূসম্পত্তি বিভাগ।
যদিও বিভাগীয় ভূসম্পত্তি কর্মকর্তা মাহবুব উর আলম দরপত্র বিক্রির প্রথম দিনেই শিডিউল জেলা প্রশাসনে পাঠানো হয়েছে বলে দাবি করেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ওই দিন সিন্ডিকেটের বাইরে যাঁরা দরপত্র নিয়েছেন, সবাইকে মারধর করা হয়েছে। সিসিটিভির ফুটেজেও ঘটনাটি সংরক্ষিত আছে। মারধর করার পর কাউকে কাউকে বিষয়টি কোথাও না বলার জন্য হুমকিও দেওয়া হয়। মারধরের শিকার পাঁচজনের একজন নাম প্রকাশ করে কথা বলতে রাজি হন। তিনি বলেন, ‘জেলা প্রশাসনের নিচতলায় রুম থেকে পাঁচটি শিডিউল কিনে নিই। তারপর জমা দিয়ে রুম থেকে বের হওয়ার সময় সামনে আসেন ১০-১৫ জন। পকেট থেকে তাঁরা টাকাপয়সা হাতিয়ে নেন। মোবাইল ফোনটি কেড়ে নেওয়ার পর বেধড়ক মারধর করে শিডিউলগুলো ছিঁড়ে ফেলেন তাঁরা। পরে কোনোরকমে জান নিয়ে পালিয়ে আসি।’
দরপত্র বিক্রির দিন এটির তত্ত্বাবধান করছিলেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ আল মামুন। জানতে চাইলে তিনি বলেন, শিডিউল নেওয়ার পর যাওয়ার পথে কাউকে মারধর ঠেকানো ম্যাজিস্ট্রেটের কাজ নয়।
মাহবুব উর আলম বলেন, প্রকল্পের দরপত্রের বিষয়টি দেখার জন্য আলাদা কমিটি আছে। সেই কমিটি দরপত্র মূল্যায়ন করে। দরপত্র যেগুলো জমা পড়ছে, সেগুলোর মধ্যে বেশি দাম দেওয়া ব্যক্তিদের দোকান বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে।
জানতে চাইলে রেল পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘দোকান বরাদ্দে অনিয়ম পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমি অবশ্যই বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করব।’
রেলের দোকান বরাদ্দ পাওয়ার জন্য দরপত্র নিতে গিয়ে মারধরের শিকার হন আজাদুর ইসলাম নামের এক ব্যক্তি। তাঁর অভিযোগ, তিনি সিন্ডিকেটের কেউ নন, তাই মারধরের শিকার হয়েছেন।
অভিযোগ উঠেছে, অনেকটা গোপনে নিজেদের লোকদের দরপত্র নেওয়ার সুযোগ করে দিয়েছে রেলের একটি সিন্ডিকেট। এই সিন্ডিকেট প্রতিটি প্লট থেকে আগাম নিয়েছে ১০ লাখ টাকা।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, রেলের ভূসম্পত্তি বিভাগের আওতাধীন চাঁদপুর থেকে দোহাজারী পর্যন্ত ১২টি স্টেশনে ১০১০টি প্লট বিক্রির বিজ্ঞপ্তি দেওয়ার আগে থেকে সক্রিয় হয়ে ওঠে সিন্ডিকেটটি। রেলের এক ঠিকাদার, ক্ষমতাসীন দলের দুই নেতা ও ভূসম্পত্তি বিভাগের অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারী মিলে ১০১০টি প্লট নিজেদের আওতায় আনতে গোপনে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। তারপর নিজেদের লোকেরা এসব প্লট বিক্রির দরপত্র কিনছেন। যাঁরা প্লট পাচ্ছেন, তাঁরা সবাই ওই সিন্ডিকেটের সদস্য। প্রতিটি স্টেশনে আগ্রহীরা ১০ লাখ টাকা দিয়ে সিন্ডিকেটটির কাছ থেকে দোকান বরাদ্দ নিচ্ছেন।
চাঁদপুর কোর্ট স্টেশন, নগরের ২ নম্বর গেটে দোকান বরাদ্দ পাওয়া ১২ জন নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ১০০ বর্গফুটের একটি দোকান
নিতে ১০ লাখ টাকা করে দিতে হয়েছে এবং ২০০ বর্গফুটের দোকানগুলো ২০ লাখ টাকায়।
এদিকে এখন পর্যন্ত ১০১০টি প্লটের মধ্যে ৪৬০টি বিক্রির কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এর বিপরীতে শিডিউল কিনেছেন মাত্র এক হাজার জন। যাঁদের থেকে সরকার রাজস্ব পেয়েছে ১০ লাখ টাকা।
গত ১২ ডিসেম্বর তফসিল ঘোষণা করে রেলের ভূসম্পত্তি বিভাগ। চাঁদপুরের চিতোষী, লাকসাম, ষোলশহর, মাদারবাড়ী, চৌমুহনী, দোহাজারীতে ৬৩১টি প্লট বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহারের জন্য দরপত্র আহ্বান করে বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়। এই বিজ্ঞপ্তিও দুটি জাতীয় ও দুটি স্থানীয় পত্রিকায় প্রকাশ করা হয়। এরপর দরপত্র বিক্রির দিন নিজেদের লোক ছাড়া বাইরের কারও কাছে দরপত্র বিক্রি করেনি ভূসম্পত্তি বিভাগ।
যদিও বিভাগীয় ভূসম্পত্তি কর্মকর্তা মাহবুব উর আলম দরপত্র বিক্রির প্রথম দিনেই শিডিউল জেলা প্রশাসনে পাঠানো হয়েছে বলে দাবি করেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ওই দিন সিন্ডিকেটের বাইরে যাঁরা দরপত্র নিয়েছেন, সবাইকে মারধর করা হয়েছে। সিসিটিভির ফুটেজেও ঘটনাটি সংরক্ষিত আছে। মারধর করার পর কাউকে কাউকে বিষয়টি কোথাও না বলার জন্য হুমকিও দেওয়া হয়। মারধরের শিকার পাঁচজনের একজন নাম প্রকাশ করে কথা বলতে রাজি হন। তিনি বলেন, ‘জেলা প্রশাসনের নিচতলায় রুম থেকে পাঁচটি শিডিউল কিনে নিই। তারপর জমা দিয়ে রুম থেকে বের হওয়ার সময় সামনে আসেন ১০-১৫ জন। পকেট থেকে তাঁরা টাকাপয়সা হাতিয়ে নেন। মোবাইল ফোনটি কেড়ে নেওয়ার পর বেধড়ক মারধর করে শিডিউলগুলো ছিঁড়ে ফেলেন তাঁরা। পরে কোনোরকমে জান নিয়ে পালিয়ে আসি।’
দরপত্র বিক্রির দিন এটির তত্ত্বাবধান করছিলেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ আল মামুন। জানতে চাইলে তিনি বলেন, শিডিউল নেওয়ার পর যাওয়ার পথে কাউকে মারধর ঠেকানো ম্যাজিস্ট্রেটের কাজ নয়।
মাহবুব উর আলম বলেন, প্রকল্পের দরপত্রের বিষয়টি দেখার জন্য আলাদা কমিটি আছে। সেই কমিটি দরপত্র মূল্যায়ন করে। দরপত্র যেগুলো জমা পড়ছে, সেগুলোর মধ্যে বেশি দাম দেওয়া ব্যক্তিদের দোকান বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে।
জানতে চাইলে রেল পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘দোকান বরাদ্দে অনিয়ম পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমি অবশ্যই বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করব।’
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
২ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪