Ajker Patrika

আলোচনায় আ.লীগের ৩ নেতা

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
আলোচনায় আ.লীগের ৩ নেতা

জেলা পরিষদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরই চেয়ারম্যান প্রার্থী কে হচ্ছেন, তা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। গত মঙ্গলবার তফসিল ঘোষণার পরদিন গতকাল বুধবার খোঁজ নিয়ে রাজশাহী জেলা পরিষদ নির্বাচনের সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে আওয়ামী লীগের তিন নেতার নাম জানা গেছে। তবে এই নির্বাচন নিয়ে কোনো ভাবনা নেই বিএনপির। তাঁরা বর্তমান নির্বাচন কমিশনের অধীনে কোনো নির্বাচনে যেতে চাচ্ছেন না।

রাজশাহীতে সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে যাঁদের নাম শোনা যাচ্ছে তাঁরা হলেন রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর ইকবাল, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য রায়হানুল হক রায়হান এবং সাবেক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক আক্তারুজ্জামান আখতার। এই তিনজনই পরিচ্ছন্ন রাজনীতিক হিসেবে রাজশাহীতে পরিচিত। তবে এই তিনজনের বাইরে আরও দু-একজন দলের কাছে প্রার্থিতা চাইতে পারেন।

এর আগে ২০১৮ সালের শেষে প্রথমবারের মতো জেলা পরিষদ নির্বাচন হয়। সেবারও বিএনপি নির্বাচনে অংশ নেয়নি।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সম্ভাব্য তিন প্রার্থীর মধ্যে সবচেয়ে বেশি আলোচনা চলছে মীর ইকবালকে নিয়ে। তিনি বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং শহীদ পরিবারের সন্তান। দলের জাতীয় পরিষদের এই সদস্য ১৬ বছর রাজশাহী শহর ও নগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও যুগ্ম সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০০৪ সাল থেকে তিনি সহসভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

মীর ইকবাল বলেন, ‘জীবনের শেষ সময়ে এসে নির্বাচনে অংশ নিতে চাচ্ছি। আশা করি দল আমাকে সেই সম্মান দেবে।’ 

মীর ইকবালের পর বেশি আলোচনা জেলার গোদাগাড়ী উপজেলার দেওপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান হিসেবে তিনবার দায়িত্ব পালন করা আক্তারুজ্জামান আখতারকে ঘিরে। তিনি বলেন, ‘এই নির্বাচনে ভোটার স্থানীয় সরকারের জনপ্রতিনিধিরা। আমি তিনবার ইউপি চেয়ারম্যান থাকায় জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে আমার সম্পর্ক খুব ভালো। সে কারণেই জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে দলের মনোনয়ন চাচ্ছি।’

চারঘাটের বাসিন্দা রায়হানুল হক রায়হান ১৯৯৬ সালের উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। পরের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেলেও ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থীর কাছে হেরে যান। প্রবীণ ও ত্যাগী নেতা হিসেবে তাঁকে নিয়েও আলোচনা চলছে। রায়হানুল হক বলেন, ‘আমার প্রার্থী হওয়ার ইচ্ছা আছে। এখন দল যা সিদ্ধান্ত দেবে, তা-ই হবে।’

রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল ওয়াদুদ দারা বলেন, কেবল তফসিল ঘোষণা করা হলো। জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের সমন্বিত সিদ্ধান্তে প্রার্থীদের তালিকা কেন্দ্রে পাঠানো হবে। আওয়ামী লীগ সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন সমন্বয় করবেন। তারপরই প্রার্থীর ব্যাপারে একটা সিদ্ধান্ত হবে।’

এই নির্বাচন নিয়ে কোনো ধরনের চিন্তাভাবনা নেই বলে জানিয়েছেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক এরশাদ আলী ঈসা। একই কথা জানিয়েছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র মোহাম্মদ মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বনশ্রীতে স্বর্ণ ডাকাতির মামলায় গ্রেপ্তার আমিনুল ছাত্রলীগের, সুমন শ্রমিক দলের নেতা

মুসলিম ছেলে বিয়ে করে পরিবারহারা, স্বামী পরিত্যক্ত হয়ে ঢাকায় এসে ধর্ষণের শিকার

সামরিক বাহিনীর ৮ সংস্থা ও স্থাপনার নাম পরিবর্তন

মাদারীপুরে ৩ খুন: ঘটনার পেছনে পা ভাঙার প্রতিশোধসহ ৩ কারণ

মসজিদে লুকিয়েও রক্ষা পেলেন না স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা ও তাঁর ভাই, ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দিল প্রতিপক্ষ

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত