আব্দুর রাজ্জাক, ঘিওর (মানিকগঞ্জ)
মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত ক্ষীণ স্রোতোধারার ইছামতী নদী বর্তমানে খালের রূপ ধারণ করেছে। কিন্তু অসময়ে যেন খেপে উঠেছে যৌবনহারা নদীটি। এর দুই তীরে দেখা দিয়েছে ভাঙন। ইতিমধ্যে বেশ কিছু বাড়ি নদীগর্ভে চলে গেছে। এ ছাড়া উপজেলার বড়টিয়া ইউনিয়নের হিজুলিয়া, বড় রামকান্তপুর ও কুঠিবাড়ি এলাকার শতাধিক পরিবারের মধ্যে দেখা দিয়েছে ভাঙন-আতঙ্ক।
স্থানীয়দের অভিযোগ, বারবার জানানোর পরও ভাঙন রোধে সংশ্লিষ্ট কোনো দপ্তর এগিয়ে আসেনি। হিজুলিয়া উত্তরপাড়া গ্রামের শেফালী বেগম বলেন, ‘কয়েক দিন আগে মাঝরাতে প্রতিবেশীদের হইচই শুনে উঠে দেখি অনেক মানুষজন। চোখের পলকে চলে গেল আমার ভিটেবাড়ির অর্ধেক জায়গা, গাছপালা। ঘরটাও নদীতে যাইবার উপক্রম। সব সময় ভয়ে ভয়ে থাকি। এই বাড়িটুকু ছাড়া আর কোনো জায়গা নাই। বসতবাড়ি নদীতে চইলা গেলে কোথায় যামু। আমাগো দেখবার কেউ নাই।’
গতকাল বড়টিয়া ইউনিয়নের হিজুলিয়া এলাকা ঘুরে দেখা যায়, ইছামতী নদীতে পানি অনেক কম। পানি কমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নদীর পাড়ে দেখা দিয়েছে ভাঙন। গত এক মাসে বেশ কিছু ঘরবাড়ি বিলীন হয়েছে। শতাধিক পরিবার ভাঙনের ঝুঁকিতে রয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, চলতি বছরের বর্ষায় ইছামতী নদীতে ভাঙন শুরু হয়। এরই ধারাবাহিকতায় ধীরে ধীরে ভেঙেই চলছে দুপাড়। ইছামতীর তীরবর্তী এলাকার পূর্বপাড়া আব্দুল আওয়াল দরজির বাড়ি থেকে নুরু প্রধানের বাড়ি পর্যন্ত ইতিমধ্যে ৩০টি বসতবাড়ি ভাঙনের শিকার হয়েছে। ভাঙন-আতঙ্কে রয়েছে কমপক্ষে ৬০টি পরিবার। ভাঙন-আতঙ্কে রয়েছে বড় রামকান্তপুর-কুঠিবাড়ি এলাকায় আরও ৪০টি পরিবার। ক্ষতিগ্রস্ত অনেক পরিবারের অন্যত্র বাড়ি করার মতো সামর্থ্য নেই। জরুরি ভিত্তিতে ভাঙন প্রতিরোধে পদক্ষেপ না নিলে আরও অনেক বসতভিটা বিলীন হয়ে যাবে।
হিজুলিয়া গ্রামবাসীর পক্ষ থেকে ১০ নভেম্বর জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) কাছে ভাঙন প্রতিরোধের জন্য লিখিত আবেদন করা হয়। কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানিয়ে অনুলিপি দেওয়া হয় জেলা প্রশাসক, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকেও (ইউএনও)।
বড়টিয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান সামছুল হক মোল্লা রওশন বলেন, হিজুলিয়া পূর্বপাড়াসহ আশপাশের গ্রামের তীব্র নদীভাঙনের কথা ইউএনওকে জানিয়েছি। দুঃখের বিষয়, দীর্ঘদিন অতিবাহিত হলেও পাউবোসহ সংশ্লিষ্ট কোনো কর্মকর্তা ভাঙন এলাকায় আসেনি এবং ভাঙন রোধে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কোনো তৎপরতা নেই। ভাঙন রোধে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না নিলে ওই এলাকার অপূরণীয় ক্ষতি হয়ে যাবে।
ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত আব্দুল বাতেন ও শাহীন দরজি বলেন, দুই দফায় পানি বৃদ্ধি ও কমার কারণে এবার ভাঙনটা বেশি। যমুনার ভাঙনের মতোই এই নদীও ভাঙন শুরু হয়েছে। এই ভাঙন থামার নয়। পুরো গ্রামটাই যেন ভাঙনে উজাড় হয়ে যাবে।
জেলা পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাঈন উদ্দিন জানান, বর্ষা মৌসুমে জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙন ঠেকানোর কাজ শুরু হয়েছে। এখন অসময়ে হঠাৎ ভাঙন শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে হিজুলিয়ার ইছামতী নদীর ওই ভাঙন এলাকা অফিসের একজন প্রকৌশলী পরিদর্শন করেছেন। বন্যায় ইমার্জেন্সি ভাঙনের বাজেট গত সেপ্টেম্বর মাসের ১৫ তারিখে শেষ হয়ে গেছে। তাই বাজেট পেতে একটু দেরি হচ্ছে।ওই এলাকার ভাঙন প্রতিরোধের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে বাজেট পাঠানো হয়েছে।
ইউএনও হামিদুর রহমান বলেন, ‘আমার প্রতিনিধিরা ভাঙন এলাকা পরিদর্শন করেছেন। আমি আগামীকাল (সোমবার) যাব। এ বিষয়ে পাউবোসহ জেলা প্রশাসক মহোদয়কে অবহিত করেছি। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ভাঙন প্রতিরোধে সার্বিক খোঁজখবর রাখা হচ্ছে।’
মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত ক্ষীণ স্রোতোধারার ইছামতী নদী বর্তমানে খালের রূপ ধারণ করেছে। কিন্তু অসময়ে যেন খেপে উঠেছে যৌবনহারা নদীটি। এর দুই তীরে দেখা দিয়েছে ভাঙন। ইতিমধ্যে বেশ কিছু বাড়ি নদীগর্ভে চলে গেছে। এ ছাড়া উপজেলার বড়টিয়া ইউনিয়নের হিজুলিয়া, বড় রামকান্তপুর ও কুঠিবাড়ি এলাকার শতাধিক পরিবারের মধ্যে দেখা দিয়েছে ভাঙন-আতঙ্ক।
স্থানীয়দের অভিযোগ, বারবার জানানোর পরও ভাঙন রোধে সংশ্লিষ্ট কোনো দপ্তর এগিয়ে আসেনি। হিজুলিয়া উত্তরপাড়া গ্রামের শেফালী বেগম বলেন, ‘কয়েক দিন আগে মাঝরাতে প্রতিবেশীদের হইচই শুনে উঠে দেখি অনেক মানুষজন। চোখের পলকে চলে গেল আমার ভিটেবাড়ির অর্ধেক জায়গা, গাছপালা। ঘরটাও নদীতে যাইবার উপক্রম। সব সময় ভয়ে ভয়ে থাকি। এই বাড়িটুকু ছাড়া আর কোনো জায়গা নাই। বসতবাড়ি নদীতে চইলা গেলে কোথায় যামু। আমাগো দেখবার কেউ নাই।’
গতকাল বড়টিয়া ইউনিয়নের হিজুলিয়া এলাকা ঘুরে দেখা যায়, ইছামতী নদীতে পানি অনেক কম। পানি কমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নদীর পাড়ে দেখা দিয়েছে ভাঙন। গত এক মাসে বেশ কিছু ঘরবাড়ি বিলীন হয়েছে। শতাধিক পরিবার ভাঙনের ঝুঁকিতে রয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, চলতি বছরের বর্ষায় ইছামতী নদীতে ভাঙন শুরু হয়। এরই ধারাবাহিকতায় ধীরে ধীরে ভেঙেই চলছে দুপাড়। ইছামতীর তীরবর্তী এলাকার পূর্বপাড়া আব্দুল আওয়াল দরজির বাড়ি থেকে নুরু প্রধানের বাড়ি পর্যন্ত ইতিমধ্যে ৩০টি বসতবাড়ি ভাঙনের শিকার হয়েছে। ভাঙন-আতঙ্কে রয়েছে কমপক্ষে ৬০টি পরিবার। ভাঙন-আতঙ্কে রয়েছে বড় রামকান্তপুর-কুঠিবাড়ি এলাকায় আরও ৪০টি পরিবার। ক্ষতিগ্রস্ত অনেক পরিবারের অন্যত্র বাড়ি করার মতো সামর্থ্য নেই। জরুরি ভিত্তিতে ভাঙন প্রতিরোধে পদক্ষেপ না নিলে আরও অনেক বসতভিটা বিলীন হয়ে যাবে।
হিজুলিয়া গ্রামবাসীর পক্ষ থেকে ১০ নভেম্বর জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) কাছে ভাঙন প্রতিরোধের জন্য লিখিত আবেদন করা হয়। কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানিয়ে অনুলিপি দেওয়া হয় জেলা প্রশাসক, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকেও (ইউএনও)।
বড়টিয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান সামছুল হক মোল্লা রওশন বলেন, হিজুলিয়া পূর্বপাড়াসহ আশপাশের গ্রামের তীব্র নদীভাঙনের কথা ইউএনওকে জানিয়েছি। দুঃখের বিষয়, দীর্ঘদিন অতিবাহিত হলেও পাউবোসহ সংশ্লিষ্ট কোনো কর্মকর্তা ভাঙন এলাকায় আসেনি এবং ভাঙন রোধে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কোনো তৎপরতা নেই। ভাঙন রোধে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না নিলে ওই এলাকার অপূরণীয় ক্ষতি হয়ে যাবে।
ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত আব্দুল বাতেন ও শাহীন দরজি বলেন, দুই দফায় পানি বৃদ্ধি ও কমার কারণে এবার ভাঙনটা বেশি। যমুনার ভাঙনের মতোই এই নদীও ভাঙন শুরু হয়েছে। এই ভাঙন থামার নয়। পুরো গ্রামটাই যেন ভাঙনে উজাড় হয়ে যাবে।
জেলা পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাঈন উদ্দিন জানান, বর্ষা মৌসুমে জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙন ঠেকানোর কাজ শুরু হয়েছে। এখন অসময়ে হঠাৎ ভাঙন শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে হিজুলিয়ার ইছামতী নদীর ওই ভাঙন এলাকা অফিসের একজন প্রকৌশলী পরিদর্শন করেছেন। বন্যায় ইমার্জেন্সি ভাঙনের বাজেট গত সেপ্টেম্বর মাসের ১৫ তারিখে শেষ হয়ে গেছে। তাই বাজেট পেতে একটু দেরি হচ্ছে।ওই এলাকার ভাঙন প্রতিরোধের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে বাজেট পাঠানো হয়েছে।
ইউএনও হামিদুর রহমান বলেন, ‘আমার প্রতিনিধিরা ভাঙন এলাকা পরিদর্শন করেছেন। আমি আগামীকাল (সোমবার) যাব। এ বিষয়ে পাউবোসহ জেলা প্রশাসক মহোদয়কে অবহিত করেছি। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ভাঙন প্রতিরোধে সার্বিক খোঁজখবর রাখা হচ্ছে।’
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৩ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৩ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৩ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৩ দিন আগে