কামারপাড়ায় বেড়েছে ব্যস্ততা

কালাই (জয়পুরহাট) প্রতিনিধি
Thumbnail image

কদিন পর ঈদুল আজহা।  এ উপলক্ষে জয়পুরহাটের কালাইয়ে বেড়েছে কামারদের কর্মব্যস্ততা। জেলার মধ্যে সবচেয়ে বড় কামারশালা এই উপজেলায়। কামারের দোকানগুলোতে সারা দিন টুং-টাং শব্দ বিরাজ করছে। কোরবানির পশু জবাই ও মাংস কাটার হাতিয়ার তৈরি ও মেরামতের কর্মযজ্ঞ সেখানে চলছে।

সরেজমিনে কালাই কর্মকারপাড়া, পুনট কর্মকারপাড়া, পুনট বাজারের কামারের দোকানগুলোতে দেখা গেছে কেউ গলে যাওয়া লোহা হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে হাতিয়ার তৈরির উপযোগী করছেন। কেউবা পশু জবাই করার ছুরি ধার করছেন। একটি হাতিয়ার তৈরি করতে লোহা অনুযায়ী দাম নেওয়া হচ্ছে।

উপজেলায় প্রায় ১০০টি কামারের দোকান রয়েছে। এতে প্রায় ৫০০ মানুষের কর্মসংস্থান আছে। প্রতি বছর ধানের মৌসুম, কোরবানির ঈদে কামারদের ব্যস্ততা যেন বেড়ে যায়। ধান কাটার কাস্তে, কোরবানির ঈদে ছুরি, দা, কুড়াল তৈরি ও মেরামতের কাজে ব্যস্ত থাকেন কামাররা।

এই এলাকার কামারের তৈরি জিনিসের কদর থাকায় সিলেট, ফেনি, কুমিল্লা, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ঢাকা, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, গোবিন্দগঞ্জ, বগুড়া, পাকুটিয়া, ময়মনসিংহ, পাবনা, দিনাজপুর, রংপুরের শুঁটি বাড়িসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় দা, এতের চাকু, চাপাতি, জবাই ছুরি, সেমি কুড়াল, চিপিং কুড়াল, পাগলু, কাস্তে, শক্তা, বঁটিসহ অর্ডার নেওয়ার পরে দেশের বিভিন্ন জায়গায় হাতিয়ার তৈরি করে ডেলিভারি দেওয়া হয়।

স্থানীয় কামার সনজিত কর্মকার আজকের পত্রিকাকে বলেন, পাকা লোহার তৈরি হাতিয়ার ধারালো হওয়ায় এ লোহা থেকে তৈরি প্রতি কেজি দা-বঁটি ৩০০ টাকা, বড় বঁটি প্রতিটি ৬০০ টাকা, পাগলু প্রতিটি ১৫০ টাকা, বড় ছুরি প্রতিটি ৬০০ টাকা, কুড়াল প্রতি কেজি ১৮০ টাকা পর্যন্ত নেওয়া হচ্ছে। এদিকে, একটি পুরাতন হাতিয়ার মেরামত ও ধারালো করতে নেওয়া হচ্ছে ১০০ টাকা।

আরেক কামার প্রতাপ কর্মকার বলেন, কামারের ব্যবসা আগের মতো নেই। গত বছরের থেকে প্রতি কেজি কাঁচা লোহার দাম বেড়েছে ৩০-৩৫ টাকা ও পাকা লোহার দাম বেড়েছে ৫০-৬০ টাকা। এ জন্য প্রতিটি লোহার হাতিয়ারের দাম বেশি পড়ছে।

বফলগাড়ী পূর্বপাড়া জামে মসজিদের ইমাম মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘কোরবানির পশু জবাই করার জন্য ধারালো ছুরি ব্যবহার করতে হয়। এ জন্য কামারের কাছে এসেছি ছুরি ধার করাতে।’ 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত