দেবহাটা (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি
অপরিকল্পিতভাবে সাপমারা খাল পুনঃখননে বিভিন্ন পয়েন্টের সংযোগ সেতুগুলো ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে। যার মধ্যে অন্যতম পারুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের পাশে খেজুরবাড়িয়া সংযোগ সেতু। দেবহাটা উপজেলার সাপমারা খালের ওপর নির্মিত পারুলিয়া ফুটবল মাঠের পাশে সংযোগ সেতুটি কয়েক মাস আগে ভেঙে যায়। গত বর্ষার মৌসুমে প্রবল বর্ষণে সেতুর পাশের মাটি সরে যাওয়ায় আরও বেশি হুমকির মুখে পড়ে যোগাযোগ ব্যবস্থা।
বিষয়টি নিয়ে দৈনিক আজকের পত্রিকায় গত ৫ আগস্ট একটি সচিত্র সংবাদ প্রকাশিত হয়। বিষয়টি কর্তৃপক্ষের নজরে আসায় উপজেলা পরিষদ থেকে প্রকল্প নিয়ে ভাঙন রোধে পাইলিংয়ের কাজ হাতে নেওয়া হয়। এ কাজের জন্য ১ লাখ ৯৮ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। পরে উপজেলা পরিষদের এই অর্থ স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে বাস্তবায়িত হয়। কিন্তু সে সময়ের বরাদ্দ দিয়ে শুধু পাইলিংয়ের কাজ শেষ করা হয়। কিন্তু মাটি ভরাট না দেওয়ায় পরবর্তীতে সেতুর উভয় রাস্তায় ধস হতে থাকে। যা বর্তমানে সেতুটি মরণ ফাঁদের রূপ নিয়েছে।
অপরদিকে তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তাছলিমা আক্তারের নির্দেশয় উপজেলা এলজিইডির সার্বিক তত্ত্বাবধানে উপজেলা ঠিকাদার সংগঠনের সভাপতি শেখ মারুফ হোসেনের মাধ্যমে পারুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের পশ্চিম পাশে সাপমারা খালের ওপর সেতুর কাজ শুরু হয়। পরে গত ২৫ আগস্ট এ কাজ পরিদর্শন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাছলিমা আক্তারসহ সংশ্লিষ্টরা।
খোঁজ নিয়ে আরও জানা যায়, ১৯৯৭ সালে ১৩,৯৪. ৫০০ টাকায় নির্মিত হয় সেতুটি। এরপর থেকে দীর্ঘ কয়েক যুগের পর বর্তমানে সেতুটি ব্যবহারের অনুপযোগী হতে চলেছে। এমনকি হেঁটে চলাও বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে। ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হতে যেয়ে প্রতিদিন কেউ না কেউ পড়ে আহত হচ্ছেন। এই জনবহুল সেতু দিয়ে স্থানীয়রা বাজার, ব্যাংক, জরুরি কাজসহ কর্মস্থলে যান। এ ছাড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের পারাপার হতে হয়। সেতুটি ব্যবহার অনুপযোগী হওয়ায় অনেকে দীর্ঘপথ ঘুরে যাচ্ছেন গন্তব্যে। এতে তাঁদের ভোগান্তি বেড়ে গেছে।
সাধারণ মানুষ বলছে, সেতুটি গত বছর থেকে ভাঙনের কবলে। খাল খননের প্রভাবে সেতুর দুপাশে মাটি সরে গিয়ে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এলাকাবাসী আরও জানান, সাপমারা মৃত খালটি গত অর্থবছরে সরকারের খাল খনন কর্মসূচির আওতায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের অধীন ১৯ কোটি টাকা ব্যয়ে খনন করে পুনর্জীবিত করা হয়েছিল। কিন্তু তাতে খুব বেশি লাভবান হয়নি স্থানীয়রা। উল্টো সংযোগ সেতুগুলো ভেঙে পড়েছে। এতে তাঁদের অনেক সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে।
উপজেলা ঠিকাদার সংগঠনের সভাপতি শেখ মারুফ হোসেন জানান, ‘বরাদ্দ অনুযায়ী সাপমারা খালের ওপর পারুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের পাশে সংযোগ সেতুটির পাইলিংয়ের কাজটি বাস্তবায়ন শেষে আমি ব্যক্তিগত ভাবে উপজেলা চেয়ারম্যান ও নির্বাহী কর্মকর্তাকে জিও ব্যাগ দিয়ে মাটি ভরাটের অনুরোধ জানাই। কেননা জিও ব্যাগ দিয়ে মাটি ভরাট না দেওয়া হলে সেতু ভাঙন রক্ষা সম্ভব না। কিন্তু কাজ শেষ হওয়ার দীর্ঘ সময় পার হয়ে যাওয়ার ফলে সেতুর দুপাশে ভাঙনের সৃষ্টি হয়েছে শুনেছি।’
পারুলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম জানান, ‘বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানানো হলেও কোনো সমাধান পাওয়া যায়নি। এমনকি উপজেলা উন্নয়ন সমন্বয় সভায় বিষয়টি তুলে ধরা হলেও সমাধান হয়নি। আমরা চাই সেতুটি দ্রুত চলাচলের উপযোগী করা হোক।’
এ বিষয়ে দেবহাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবিএম খালিদ হোসেন সিদ্দিকী জানান, খেঁজুরবাড়িয়া সেতুটি দিয়ে চলাচলের ব্যবস্থা করতে আজই উদ্যোগ হাতে নেওয়া হয়েছে। আগামী দুএকদিনের মধ্যে কাজ শুরুর আশ্বাস দেন তিনি।
অপরিকল্পিতভাবে সাপমারা খাল পুনঃখননে বিভিন্ন পয়েন্টের সংযোগ সেতুগুলো ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে। যার মধ্যে অন্যতম পারুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের পাশে খেজুরবাড়িয়া সংযোগ সেতু। দেবহাটা উপজেলার সাপমারা খালের ওপর নির্মিত পারুলিয়া ফুটবল মাঠের পাশে সংযোগ সেতুটি কয়েক মাস আগে ভেঙে যায়। গত বর্ষার মৌসুমে প্রবল বর্ষণে সেতুর পাশের মাটি সরে যাওয়ায় আরও বেশি হুমকির মুখে পড়ে যোগাযোগ ব্যবস্থা।
বিষয়টি নিয়ে দৈনিক আজকের পত্রিকায় গত ৫ আগস্ট একটি সচিত্র সংবাদ প্রকাশিত হয়। বিষয়টি কর্তৃপক্ষের নজরে আসায় উপজেলা পরিষদ থেকে প্রকল্প নিয়ে ভাঙন রোধে পাইলিংয়ের কাজ হাতে নেওয়া হয়। এ কাজের জন্য ১ লাখ ৯৮ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। পরে উপজেলা পরিষদের এই অর্থ স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে বাস্তবায়িত হয়। কিন্তু সে সময়ের বরাদ্দ দিয়ে শুধু পাইলিংয়ের কাজ শেষ করা হয়। কিন্তু মাটি ভরাট না দেওয়ায় পরবর্তীতে সেতুর উভয় রাস্তায় ধস হতে থাকে। যা বর্তমানে সেতুটি মরণ ফাঁদের রূপ নিয়েছে।
অপরদিকে তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তাছলিমা আক্তারের নির্দেশয় উপজেলা এলজিইডির সার্বিক তত্ত্বাবধানে উপজেলা ঠিকাদার সংগঠনের সভাপতি শেখ মারুফ হোসেনের মাধ্যমে পারুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের পশ্চিম পাশে সাপমারা খালের ওপর সেতুর কাজ শুরু হয়। পরে গত ২৫ আগস্ট এ কাজ পরিদর্শন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাছলিমা আক্তারসহ সংশ্লিষ্টরা।
খোঁজ নিয়ে আরও জানা যায়, ১৯৯৭ সালে ১৩,৯৪. ৫০০ টাকায় নির্মিত হয় সেতুটি। এরপর থেকে দীর্ঘ কয়েক যুগের পর বর্তমানে সেতুটি ব্যবহারের অনুপযোগী হতে চলেছে। এমনকি হেঁটে চলাও বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে। ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হতে যেয়ে প্রতিদিন কেউ না কেউ পড়ে আহত হচ্ছেন। এই জনবহুল সেতু দিয়ে স্থানীয়রা বাজার, ব্যাংক, জরুরি কাজসহ কর্মস্থলে যান। এ ছাড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের পারাপার হতে হয়। সেতুটি ব্যবহার অনুপযোগী হওয়ায় অনেকে দীর্ঘপথ ঘুরে যাচ্ছেন গন্তব্যে। এতে তাঁদের ভোগান্তি বেড়ে গেছে।
সাধারণ মানুষ বলছে, সেতুটি গত বছর থেকে ভাঙনের কবলে। খাল খননের প্রভাবে সেতুর দুপাশে মাটি সরে গিয়ে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এলাকাবাসী আরও জানান, সাপমারা মৃত খালটি গত অর্থবছরে সরকারের খাল খনন কর্মসূচির আওতায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের অধীন ১৯ কোটি টাকা ব্যয়ে খনন করে পুনর্জীবিত করা হয়েছিল। কিন্তু তাতে খুব বেশি লাভবান হয়নি স্থানীয়রা। উল্টো সংযোগ সেতুগুলো ভেঙে পড়েছে। এতে তাঁদের অনেক সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে।
উপজেলা ঠিকাদার সংগঠনের সভাপতি শেখ মারুফ হোসেন জানান, ‘বরাদ্দ অনুযায়ী সাপমারা খালের ওপর পারুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের পাশে সংযোগ সেতুটির পাইলিংয়ের কাজটি বাস্তবায়ন শেষে আমি ব্যক্তিগত ভাবে উপজেলা চেয়ারম্যান ও নির্বাহী কর্মকর্তাকে জিও ব্যাগ দিয়ে মাটি ভরাটের অনুরোধ জানাই। কেননা জিও ব্যাগ দিয়ে মাটি ভরাট না দেওয়া হলে সেতু ভাঙন রক্ষা সম্ভব না। কিন্তু কাজ শেষ হওয়ার দীর্ঘ সময় পার হয়ে যাওয়ার ফলে সেতুর দুপাশে ভাঙনের সৃষ্টি হয়েছে শুনেছি।’
পারুলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম জানান, ‘বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানানো হলেও কোনো সমাধান পাওয়া যায়নি। এমনকি উপজেলা উন্নয়ন সমন্বয় সভায় বিষয়টি তুলে ধরা হলেও সমাধান হয়নি। আমরা চাই সেতুটি দ্রুত চলাচলের উপযোগী করা হোক।’
এ বিষয়ে দেবহাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবিএম খালিদ হোসেন সিদ্দিকী জানান, খেঁজুরবাড়িয়া সেতুটি দিয়ে চলাচলের ব্যবস্থা করতে আজই উদ্যোগ হাতে নেওয়া হয়েছে। আগামী দুএকদিনের মধ্যে কাজ শুরুর আশ্বাস দেন তিনি।
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
৪ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪