হাসনাত শোয়েব, ঢাকা
টানা চোটে বিপর্যস্ত রাফায়েল নাদালের ক্যারিয়ারে প্রশ্নবোধক চিহ্ন বসিয়ে দিয়েছিলেন অনেকে। ব্যাপারটা এমন ছিল যে এই নাদালকে দিয়ে আর হবে না! কিন্তু সেই সমালোচকেরা হয়তো ভুলে গিয়েছিলেন, রজার ফেদেরারের গড়ে তোলা সাম্রাজ্যের ভিত একাই নাড়িয়ে দিয়েছিলেন নাদাল। এখন তো আনুষ্ঠানিকভাবে ছাড়িয়েই গেলেন ‘কিং রজার’কে।
শুরুতে ফেদেরারের ছায়াতেই অনেকটা আড়াল হয়ে ছিলেন নাদাল। ফেদেরার যদি হন টেনিস নান্দনিকতার সর্বোচ্চ উদাহরণ, নাদাল সেখানে লড়াইয়ের অগ্রদূত।
তবে নোভাক জোকোভিচের আগমনে লড়াইটা দুই পক্ষ থেকে তিন পক্ষের হতেও সময় লাগেনি। গত বছর জোকোভিচ টানা তিনটি গ্র্যান্ড স্লাম জয়ের পর মনে হচ্ছিল, সবার আগের চূড়ায় উঠবেন তিনিই। তবে বছরের শেষ গ্র্যান্ড স্লামটি হাতছাড়া করেন জোকোভিচ। আর এবারের অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে তো টিকা না নেওয়ার জেরে খেলতেই পারলেন না তিনি।
এখন সংখ্যার হিসেবে সর্বকালের সেরা বলা যায় নাদালকে। যদিও সর্বকালের সেরার প্রসঙ্গটি সব সময়ই আপেক্ষিক। অনেকে স্বীকৃতির ক্ষেত্রে অবশ্য সংখ্যা হিসাবে নিতে চাইবেন না। খেলার ধরন, মানিয়ে নেওয়ার প্রবণতাসহ অনেক কিছু এতে যুক্ত হবে। তবে কোনো সিদ্ধান্তে না গিয়েই বিভিন্ন মানদণ্ডে এই তিন তারকার পারফরম্যান্সের তুলনা করা যেতে পারে।
শিরোপা জয়ের লড়াই
অস্ট্রেলিয়ান ওপেন জিতে এখন ২১ গ্র্যান্ড স্লামের মালিক নাদাল। ফেদেরার ও জোকোভিচের সঙ্গে পার্থক্য মাত্র একটি শিরোপার। এই ন্যূনতম ব্যবধানে কাউকে নিরঙ্কুশভাবে শ্রেষ্ঠ বলা কঠিনই।
২০০৯ সালে ২৭ বছর বয়সে উইম্বলডন জিতে ফেদেরার যখন পিট সাম্প্রাসকে ছাড়িয়ে ১৫ গ্র্যান্ড স্লাম জিতে নেন, তখন খুব কম মানুষই ছিলেন, যাঁরা ভাবতে পেরেছিলেন এই রেকর্ড ভেঙে যাবে একদিন। এ সময় নাদাল গ্র্যান্ড স্লাম জিতেছিলেন ৬টি। ২০১১ সাল থেকে ফেদেরার শ্রেষ্ঠত্বের গ্রাফ নিচের দিকে নামতে শুরু করে। ২০১২ সালে উইম্বলডন জেতার পর ২০১৭ সাল পর্যন্ত আর কোনো শিরোপা জেতা হয়নি ফেদেরারের। তখনই নতুন উচ্চতায় উঠতে থাকেন জোকোভিচ।
নাদাল-জোকোভিচ যখন ফেদেরারের সঙ্গে ব্যবধান কমিয়ে আনার লড়াই চালিয়ে যাচ্ছিলেন, তখন অনেকেই ফেদেরারের নামের পাশে দাড়ি বসিয়ে দেন। ২০১৭ সালে বিপ্লব ঘটিয়ে ফিরে আসেন ফেদেরার। শুধু ফেরেননি, আরও তিনটি গ্র্যান্ড স্লাম জিতে নিজেকে নিয়ে যান অনন্য উচ্চতায়। ২০০৯ সালের উইম্বলডন থেকে ২০২০ সালের ফ্রেঞ্চ ওপেন পর্যন্ত শীর্ষ স্থানটা এককভাবে নিজের দখলে রাখেন ফেদেরার। এরপর তাঁর সঙ্গী হন নাদাল।
তখনো এ দুজন থেকে কিছুটা দূরে ছিলেন জোকোভিচ। ২০২১ সাল সৌভাগ্যের গান হয়ে আসে জোকোভিচের জন্য। টানা তিনটি গ্র্যান্ড স্লাম জিতে ফেদেরার-নাদালের সঙ্গী হন এই সার্বিয়ান মহাতারকাও।
কোন কোর্টে কে কেমন
নাদালের শীর্ষে ওঠার পথে বড় অবদান রেখেছে ফ্রেঞ্চ ওপেন। ২১টির ১৩টিতেই তিনি জিতেছেন মাটির কোর্টে। যেখানে ফেদেরার, জোকোভিচ কিংবা অন্য কেউ সেভাবে ঘাঁটি গড়তে পারেননি। এটিই আবার কখনো কখনো নাদালের বিরুদ্ধে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা হয় যে, তিনি মাটির কোর্টের বাইরে অতটা কার্যকর নন। তবে নাদাল ইতিহাসের চতুর্থ খেলোয়াড় যিনি সবগুলো কোর্টে অন্তত দুবার করে শিরোপা জিতেছেন।
মাটির কোর্ট বাদ দিলে অন্যগুলোয় ফেদেরার ও জোকোভিচ দারুণ সাফল্য পেয়েছেন। আরেকটি ক্ষেত্রে নাদাল, ফেদেরারের চেয়ে নিজেকে শ্রেষ্ঠ দাবি করতে পারেন জোকোভিচ। মুখোমুখি লড়াইয়ে ফেদেরার ও নাদালের চেয়ে বেশি ম্যাচ জিতেছেন তিনি। ব্যক্তিগত পছন্দ বা ভালোবাসার নিরিখে শ্রেষ্ঠত্ব নির্ণয় করা গেলেও গভীরে তলিয়ে দেখলে এককভাবে কাউকে সর্বকালের সেরা ঘোষণা শুধু কঠিনই নয়, রীতিমতো অসম্ভব।
টানা চোটে বিপর্যস্ত রাফায়েল নাদালের ক্যারিয়ারে প্রশ্নবোধক চিহ্ন বসিয়ে দিয়েছিলেন অনেকে। ব্যাপারটা এমন ছিল যে এই নাদালকে দিয়ে আর হবে না! কিন্তু সেই সমালোচকেরা হয়তো ভুলে গিয়েছিলেন, রজার ফেদেরারের গড়ে তোলা সাম্রাজ্যের ভিত একাই নাড়িয়ে দিয়েছিলেন নাদাল। এখন তো আনুষ্ঠানিকভাবে ছাড়িয়েই গেলেন ‘কিং রজার’কে।
শুরুতে ফেদেরারের ছায়াতেই অনেকটা আড়াল হয়ে ছিলেন নাদাল। ফেদেরার যদি হন টেনিস নান্দনিকতার সর্বোচ্চ উদাহরণ, নাদাল সেখানে লড়াইয়ের অগ্রদূত।
তবে নোভাক জোকোভিচের আগমনে লড়াইটা দুই পক্ষ থেকে তিন পক্ষের হতেও সময় লাগেনি। গত বছর জোকোভিচ টানা তিনটি গ্র্যান্ড স্লাম জয়ের পর মনে হচ্ছিল, সবার আগের চূড়ায় উঠবেন তিনিই। তবে বছরের শেষ গ্র্যান্ড স্লামটি হাতছাড়া করেন জোকোভিচ। আর এবারের অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে তো টিকা না নেওয়ার জেরে খেলতেই পারলেন না তিনি।
এখন সংখ্যার হিসেবে সর্বকালের সেরা বলা যায় নাদালকে। যদিও সর্বকালের সেরার প্রসঙ্গটি সব সময়ই আপেক্ষিক। অনেকে স্বীকৃতির ক্ষেত্রে অবশ্য সংখ্যা হিসাবে নিতে চাইবেন না। খেলার ধরন, মানিয়ে নেওয়ার প্রবণতাসহ অনেক কিছু এতে যুক্ত হবে। তবে কোনো সিদ্ধান্তে না গিয়েই বিভিন্ন মানদণ্ডে এই তিন তারকার পারফরম্যান্সের তুলনা করা যেতে পারে।
শিরোপা জয়ের লড়াই
অস্ট্রেলিয়ান ওপেন জিতে এখন ২১ গ্র্যান্ড স্লামের মালিক নাদাল। ফেদেরার ও জোকোভিচের সঙ্গে পার্থক্য মাত্র একটি শিরোপার। এই ন্যূনতম ব্যবধানে কাউকে নিরঙ্কুশভাবে শ্রেষ্ঠ বলা কঠিনই।
২০০৯ সালে ২৭ বছর বয়সে উইম্বলডন জিতে ফেদেরার যখন পিট সাম্প্রাসকে ছাড়িয়ে ১৫ গ্র্যান্ড স্লাম জিতে নেন, তখন খুব কম মানুষই ছিলেন, যাঁরা ভাবতে পেরেছিলেন এই রেকর্ড ভেঙে যাবে একদিন। এ সময় নাদাল গ্র্যান্ড স্লাম জিতেছিলেন ৬টি। ২০১১ সাল থেকে ফেদেরার শ্রেষ্ঠত্বের গ্রাফ নিচের দিকে নামতে শুরু করে। ২০১২ সালে উইম্বলডন জেতার পর ২০১৭ সাল পর্যন্ত আর কোনো শিরোপা জেতা হয়নি ফেদেরারের। তখনই নতুন উচ্চতায় উঠতে থাকেন জোকোভিচ।
নাদাল-জোকোভিচ যখন ফেদেরারের সঙ্গে ব্যবধান কমিয়ে আনার লড়াই চালিয়ে যাচ্ছিলেন, তখন অনেকেই ফেদেরারের নামের পাশে দাড়ি বসিয়ে দেন। ২০১৭ সালে বিপ্লব ঘটিয়ে ফিরে আসেন ফেদেরার। শুধু ফেরেননি, আরও তিনটি গ্র্যান্ড স্লাম জিতে নিজেকে নিয়ে যান অনন্য উচ্চতায়। ২০০৯ সালের উইম্বলডন থেকে ২০২০ সালের ফ্রেঞ্চ ওপেন পর্যন্ত শীর্ষ স্থানটা এককভাবে নিজের দখলে রাখেন ফেদেরার। এরপর তাঁর সঙ্গী হন নাদাল।
তখনো এ দুজন থেকে কিছুটা দূরে ছিলেন জোকোভিচ। ২০২১ সাল সৌভাগ্যের গান হয়ে আসে জোকোভিচের জন্য। টানা তিনটি গ্র্যান্ড স্লাম জিতে ফেদেরার-নাদালের সঙ্গী হন এই সার্বিয়ান মহাতারকাও।
কোন কোর্টে কে কেমন
নাদালের শীর্ষে ওঠার পথে বড় অবদান রেখেছে ফ্রেঞ্চ ওপেন। ২১টির ১৩টিতেই তিনি জিতেছেন মাটির কোর্টে। যেখানে ফেদেরার, জোকোভিচ কিংবা অন্য কেউ সেভাবে ঘাঁটি গড়তে পারেননি। এটিই আবার কখনো কখনো নাদালের বিরুদ্ধে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা হয় যে, তিনি মাটির কোর্টের বাইরে অতটা কার্যকর নন। তবে নাদাল ইতিহাসের চতুর্থ খেলোয়াড় যিনি সবগুলো কোর্টে অন্তত দুবার করে শিরোপা জিতেছেন।
মাটির কোর্ট বাদ দিলে অন্যগুলোয় ফেদেরার ও জোকোভিচ দারুণ সাফল্য পেয়েছেন। আরেকটি ক্ষেত্রে নাদাল, ফেদেরারের চেয়ে নিজেকে শ্রেষ্ঠ দাবি করতে পারেন জোকোভিচ। মুখোমুখি লড়াইয়ে ফেদেরার ও নাদালের চেয়ে বেশি ম্যাচ জিতেছেন তিনি। ব্যক্তিগত পছন্দ বা ভালোবাসার নিরিখে শ্রেষ্ঠত্ব নির্ণয় করা গেলেও গভীরে তলিয়ে দেখলে এককভাবে কাউকে সর্বকালের সেরা ঘোষণা শুধু কঠিনই নয়, রীতিমতো অসম্ভব।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
২ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
২ দিন আগে