আশ্রয়ণের ঘরে পেয়ে আপ্লুত চিলমারীর লতিফা ও বিজলী

চিলমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৫ জুলাই ২০২২, ০৬: ৪২
আপডেট : ২৫ জুলাই ২০২২, ১৫: ০৫

কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলায় দুস্থ অনেকে মতো আশ্রয়ণের ঘর পেয়েছেন শাখাহাতী এলাকার প্রতিবন্ধী লতিফা বেগম এবং অগ্নিকাণ্ডে নিঃস্ব বিজলী বেগম। প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর পেয়ে আবেগ আপ্লুত তাঁরা।

একটি হুইলচেয়ারের জন্য লতিফার আকুতি নিয়ে সংবাদ প্রকাশ হলে গত বছরের জুনে তাঁর বাড়িতে গিয়ে চেয়ার দিয়ে আসেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহবুবুর রহমান। এ সময় লতিফা ঘরের দাবি করলে তা দেওয়ার আশ্বাস দেন ইউএনও।

ওই বছরই আগুনে ঘর হারান বিজলী। খবর পেয়ে ইউএনও তাঁর বাড়িতে যান। তিনি তাৎক্ষণিক আর্থিক সহযোগিতা করেন। সেই সঙ্গে ঘর দেওয়ার আশ্বাস দেন।

প্রশাসন থেকে কথা দেওয়ার এক বছর পর এই দুই নারী ২১ জুলাই চর ডিজাইনে ঘর বরাদ্দ পেয়েছেন। ওই দিন চিলমারীতে ১২০টি পরিবারকে জমিসহ ঘর দেওয়া হয়। এর মধ্যে চর ডিজাইনের ১০টি ঘর ছিল। এখন পর্যন্ত উপজেলায় মোট ৬৫০টি পরিবারকে ঘর দেওয়া হয়েছে।

প্রতিবন্ধী লতিফা বলেন, ‘থাকার ঘর ছিল না। ইউএনও স্যারের কাছে আমি একটি থাকার ঘরের দাবি করি। এখন আমাকে ঘর দিয়েছেন। আমি খুব খুশি।’

অপরদিকে বিজলীও জানান যে ঘর পেয়ে তিনি খুব খুশি হয়েছেন।

ইউএনও মাহবুবুর বলেন, ‘গত বছর আমি শাখাহাতীর চরে গিয়ে প্রতিবন্ধী ও আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া ঘর দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছিলাম। কিন্তু ওই সময় চরের জন্য ঘর বরাদ্দ ছিল না। পরে নতুন করে চর ডিজাইনের ঘর বরাদ্দ পেতে সময় লেগেছে। যার ফলে তাঁদের ঘর দিতে দেরি হয়েছে।’

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত