বিরোধিতার রিট খারিজ, বাধা নেই পৌরসভা ঘোষণায়

বুড়িচং প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৩ এপ্রিল ২০২২, ০৭: ৪৮
আপডেট : ২৩ এপ্রিল ২০২২, ১১: ৫৯

বুড়িচংয়ের সদর ইউনিয়নকে পৌরসভা ঘোষণা করতে আর কোনো বাধা রইল না। গত বৃহস্পতিবার উচ্চ আদালত ভূমি জটিলতা সম্পর্কিত একটি রিট খারিজ করে দিলে দীর্ঘদিনের জটিলতা শেষ হয়।

জানা যায়, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের পৌর-৩ শাখা ২০০৩ সালের ২৭ মে প্রজ্ঞাপন জারি করে। প্রজ্ঞাপনে বুড়িচং উপজেলার সদর ইউনিয়নের সাতটি মৌজাকে শহর এলাকা বা পৌরসভা ঘোষণা করা হয়। এলাকাগুলো হলো উত্তর বিজয়পুর, জগতপুর, পূর্ণমতি, আরাগ-আনন্দপুর, জরুইন, বড় হরিপুর ও যদুপুর।

প্রজ্ঞাপনটি জারি হওয়ার পর ২০০৪ সালে জগতপুর গ্রামের রমিজ উদ্দিন ভূঁইয়ার পক্ষে অ্যাডভোকেট এম এইচ সর্দার ও অ্যাডভোকেট শাহ আলম সরকার সীমানা জটিলতার অভিযোগ এনে উচ্চ আদালতে রিট দায়ের করেন।

দায়ের করা রিটের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত তখন পৌরসভা ঘোষণার বিষয়ে স্থগিতাদেশ প্রদান করেন। পরে দীর্ঘ ১৮ বছর এ নিয়ে একাধিক শুনানি হয়। সর্বশেষ গত বৃহস্পতিবার উচ্চ আদালতের বিচারক নায়িমা হায়দার ও রাজিক আল জলিলের সমন্বয়ে গঠিত ডিভিশন বেঞ্চ আইটেম নম্বর ২ ও এন এস ২০ নম্বর এর শুনানি করেন। শুনানি শেষে আদালত রমিজ উদ্দিন ভূঁইয়ার দায়ের করা রিট খারিজ করে দেন।

এ বিষয়ে উচ্চ আদালতের আইনজীবী এখলাছ উদ্দিন ভূঁইয়া আজকের পত্রিকাকে জানান, রমিজ উদ্দিনের রিট আদালত খারিজ করে দিয়েছেন। ফলে ২০০৩ সালের জারি করা প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী বুড়িচং সদর ইউনিয়নের সাতটি মৌজাকে পৌরসভা ঘোষণা করতে আর কোনো বাধা নেই।

স্থানীয় সাংসদ বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল হাশেম খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ২০০৩ সালে তৎকালীন সাংসদ সাবেক আইন বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আবদুল মতিন খসরুর প্রচেষ্টায় বুড়িচং উপজেলার সদর ইউনিয়নের সাতটি গ্রামকে পৌরসভায় রূপান্তরিত করা হয়েছিল। পরবর্তীতে আদালতের নির্দেশে তা বন্ধ ছিল। বর্তমানে পুনরায় আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী পৌরসভা ঘোষণায় কোনো বাধা নেই। আদালতের নির্দেশনা স্থানীয় সরকার বিভাগ, নির্বাচন কমিশনসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পৌঁছালে পৌরসভা ঘোষণার কাজ আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হবে।

তবে বুড়িচং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হালিমা খাতুন গত বৃহস্পতিবার রাতে আজকের পত্রিকাকে জানান, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ বেশ কয়েকজনের কাছ থেকে বিষয়টি জেনেছি। তবে দাপ্তরিকভাবে কোনো চিঠি পাইনি। এ ছাড়া এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গেও আলাপ করেছি। প্রজ্ঞাপন বা আদালতের রায়ের বিষয়ে কোনো চিঠি আসেনি।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত