জাহীদ রেজা নূর
কল্পনা দত্তকে কি এ যুগের মানুষ চিনবে?
ইতিহাসের নানা বিচিত্র ঘটনার চাপে হারিয়ে যেতে বসেছে অগ্নিযুগ। সে যুগে মানুষ মৃত্যুকে পরোয়া করত না।
কল্পনা দত্ত ছিলেন সেই অকুতোভয় মানুষের একজন।
অনুশীলন সমিতি ছিল ব্রিটিশবিরোধী বিপ্লবী দল। তারই ভেতর জন্ম নিয়েছিল আরেকটি দল—যুগান্তর। চট্টগ্রামে যুগান্তর দলের প্রধান সংগঠক ছিলেন মাস্টারদা সূর্য সেন। ১৯৩০ সালের ১৮ এপ্রিল মাস্টারদার নেতৃত্বে চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার লুণ্ঠনের ঘটনা ঘটে। কল্পনা দত্ত এই লুণ্ঠনের খবরে রোমাঞ্চিত হন। ১৯১৩ সালে চট্টগ্রাম জেলার শ্রীপুর গ্রামে জন্ম নেওয়া মেয়েটি বিপ্লবী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে প্রথম পরিচিত হন ক্ষুদিরাম আর কানাই দত্তের বিপ্লবী কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে, তখন তাঁর বয়স মাত্র বারো। সে সময় তিনি বিপ্লবী আন্দোলনে যোগ দেওয়ার কথা ভাবেন এবং যোগ দেন ছাত্রী সংঘে।
১৯৩১ সালে সূর্য সেনের সঙ্গে দেখা করেন কল্পনা দত্ত। সে সময় কল্পনা দত্তকে দায়িত্ব দেওয়া হয় কলকাতা থেকে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন বিস্ফোরক কৌশলে বহন করে আনার। সেই অস্ত্র দিয়ে ‘গান-কটন’ তৈরি করে কারাগার আক্রমণের পরিকল্পনা করা হয়। বিচারাধীন বিপ্লবীদের মুক্ত করার জন্য চট্টগ্রাম আদালত ভবন আর কারাগারে ডিনামাইট ফিউজ পেতে তা উড়িয়ে দেওয়ার কথা ভাবা হয়। কিন্তু সে পরিকল্পনা ফাঁস হয়ে যায়।
১৯৩১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে চট্টগ্রামের ইউরোপিয়ান ক্লাব আক্রমণের দায়িত্ব পেয়েছিলেন কল্পনা দত্ত ও প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার। বালকের ছদ্মবেশে এলাকা জরিপ করতে গিয়ে কল্পনা গ্রেপ্তার হন। জেলে থাকতেই তিনি প্রীতিলতার আত্মহত্যার খবর পান। জামিনে মুক্তি পেয়ে মাস্টারদার নির্দেশে তিনি আত্মগোপনে যান। ১৯৩৩ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি গভীর রাতে যখন গোপন আস্তানা থেকে সূর্য সেন গ্রেপ্তার হন, তখন সেখান থেকে কল্পনা দত্ত আর মহেন্দ্র দত্ত পালিয়ে যেতে সক্ষম হন। তবে সে বছরের ১৯ মে তিনি দলের আরও কয়েকজন সদস্যের সঙ্গে ধরা পড়েন। মাস্টারদা ও তারকেশ্বর দস্তিদারের ফাঁসির আদেশ হয়। কল্পনাকে দেওয়া হয় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড।
কল্পনা কারামুক্ত হন ১৯৩৯ সালে। ১৯৪০ সালে তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন। সিপিআইয়ের কর্মী হিসেবে ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনে যুক্ত থাকেন। চট্টগ্রামে কৃষক ও নারী ফ্রন্ট গঠন করেন। চট্টগ্রাম থেকে বিধানসভার নির্বাচনেও দাঁড়ান ১৯৪৬ সালে। ১৯৪৭ সালে দেশভাগের সময় তিনি বেছে নেন ভারতকে। তিনি মারা যান ১৯৯৫ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি।
ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনে সক্রিয় অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে কল্পনা দত্ত একটি উল্লেখযোগ্য নাম। আজ ২৭ জুলাই তাঁর জন্মদিন।
কল্পনা দত্তকে কি এ যুগের মানুষ চিনবে?
ইতিহাসের নানা বিচিত্র ঘটনার চাপে হারিয়ে যেতে বসেছে অগ্নিযুগ। সে যুগে মানুষ মৃত্যুকে পরোয়া করত না।
কল্পনা দত্ত ছিলেন সেই অকুতোভয় মানুষের একজন।
অনুশীলন সমিতি ছিল ব্রিটিশবিরোধী বিপ্লবী দল। তারই ভেতর জন্ম নিয়েছিল আরেকটি দল—যুগান্তর। চট্টগ্রামে যুগান্তর দলের প্রধান সংগঠক ছিলেন মাস্টারদা সূর্য সেন। ১৯৩০ সালের ১৮ এপ্রিল মাস্টারদার নেতৃত্বে চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার লুণ্ঠনের ঘটনা ঘটে। কল্পনা দত্ত এই লুণ্ঠনের খবরে রোমাঞ্চিত হন। ১৯১৩ সালে চট্টগ্রাম জেলার শ্রীপুর গ্রামে জন্ম নেওয়া মেয়েটি বিপ্লবী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে প্রথম পরিচিত হন ক্ষুদিরাম আর কানাই দত্তের বিপ্লবী কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে, তখন তাঁর বয়স মাত্র বারো। সে সময় তিনি বিপ্লবী আন্দোলনে যোগ দেওয়ার কথা ভাবেন এবং যোগ দেন ছাত্রী সংঘে।
১৯৩১ সালে সূর্য সেনের সঙ্গে দেখা করেন কল্পনা দত্ত। সে সময় কল্পনা দত্তকে দায়িত্ব দেওয়া হয় কলকাতা থেকে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন বিস্ফোরক কৌশলে বহন করে আনার। সেই অস্ত্র দিয়ে ‘গান-কটন’ তৈরি করে কারাগার আক্রমণের পরিকল্পনা করা হয়। বিচারাধীন বিপ্লবীদের মুক্ত করার জন্য চট্টগ্রাম আদালত ভবন আর কারাগারে ডিনামাইট ফিউজ পেতে তা উড়িয়ে দেওয়ার কথা ভাবা হয়। কিন্তু সে পরিকল্পনা ফাঁস হয়ে যায়।
১৯৩১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে চট্টগ্রামের ইউরোপিয়ান ক্লাব আক্রমণের দায়িত্ব পেয়েছিলেন কল্পনা দত্ত ও প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার। বালকের ছদ্মবেশে এলাকা জরিপ করতে গিয়ে কল্পনা গ্রেপ্তার হন। জেলে থাকতেই তিনি প্রীতিলতার আত্মহত্যার খবর পান। জামিনে মুক্তি পেয়ে মাস্টারদার নির্দেশে তিনি আত্মগোপনে যান। ১৯৩৩ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি গভীর রাতে যখন গোপন আস্তানা থেকে সূর্য সেন গ্রেপ্তার হন, তখন সেখান থেকে কল্পনা দত্ত আর মহেন্দ্র দত্ত পালিয়ে যেতে সক্ষম হন। তবে সে বছরের ১৯ মে তিনি দলের আরও কয়েকজন সদস্যের সঙ্গে ধরা পড়েন। মাস্টারদা ও তারকেশ্বর দস্তিদারের ফাঁসির আদেশ হয়। কল্পনাকে দেওয়া হয় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড।
কল্পনা কারামুক্ত হন ১৯৩৯ সালে। ১৯৪০ সালে তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন। সিপিআইয়ের কর্মী হিসেবে ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনে যুক্ত থাকেন। চট্টগ্রামে কৃষক ও নারী ফ্রন্ট গঠন করেন। চট্টগ্রাম থেকে বিধানসভার নির্বাচনেও দাঁড়ান ১৯৪৬ সালে। ১৯৪৭ সালে দেশভাগের সময় তিনি বেছে নেন ভারতকে। তিনি মারা যান ১৯৯৫ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি।
ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনে সক্রিয় অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে কল্পনা দত্ত একটি উল্লেখযোগ্য নাম। আজ ২৭ জুলাই তাঁর জন্মদিন।
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
১ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৫ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৫ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৫ দিন আগে