ফরিদপুর প্রতিনিধি
ফরিদপুরে নানা কর্মসূচির মধ্যে দিয়ে পল্লীকবি জসীমউদ্দীনের ৪৬তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হয়েছে। গতকাল সোমবার দিবসটি উপলক্ষে জেলা প্রশাসন ও জসীম ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।
জেলা প্রশাসক ও জসীম ফাউন্ডেশনের সভাপতি অতুল সরকারের নেতৃত্বে গতকাল সকাল ৮টায় শহরের গোবিন্দপুরে কবির কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়। এ সময় জেলা পুলিশ, আনসার উদ্দিন উচ্চবিদ্যালয়সহ বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে কবির সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়।
কবির বাড়ির আঙিনায় সকাল সোয়া ৮টার দিকে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল করা হয়। সভার শুরুতে কবি ও তাঁর পরিবারের মৃত ব্যক্তিদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) দীপক কুমার রায়ের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক অতুল সরকার। আবু সুফিয়ান চৌধুরী কুশলের পরিচালনায় সভায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) জামাল পাশা, স্থানীয় সরকারের উপপরিচালক আসলাম মোল্লা, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মোহাম্মদ সাইফুল কবির, জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. নুরুল্লাহ মো. আহসান, বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ আবুল ফয়েজ শাহনেওয়াজসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় কবির ছেলে ড. জামাল আনোয়ার, কবি শওকত আলী জাহিদ, নারীনেত্রী আসমা আক্তার মুক্তা, অম্বিকাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু সাঈদ চৌধুরী বারী প্রমুখ বক্তব্য দেন।
সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক অতুল সরকার বলেন, পল্লীকবি জসীমউদ্দীন তাঁর সাহিত্যের মাধ্যমে বাংলার অপরূপ সৌন্দর্য বিশ্বব্যাপী তুলে ধরেছেন। গ্রাম-বাংলার সেই রূপ-সৌন্দর্য অনুধাবন করতে হলে জানতে হবে পল্লীকবি জসীমউদ্দীনকে, পড়তে হবে তাঁর কবিতা ও গ্রন্থাবলি। যিনি গাছের পাশে, নদীর পাড়ে মাটিতে বসে মাটির সঙ্গে মিশে গিয়ে কবিতা, গল্প লিখতেন।
জেলা প্রশাসক আরও বলেন, রূপসী গ্রাম-বাংলাকে তাঁর মতো ভালোবেসে অন্য কেউ সাহিত্য রচনা করেননি। জসীমউদ্দীন পল্লির মানুষকে নায়ক-নায়িকায় পরিণত করেছেন। আসমানী, গুনাই বিবি, রুপাই, সাজু প্রভৃতি তাঁর সৃষ্ট শ্রেষ্ঠ চরিত্র। তাই তিনি ‘পল্লীকবি’ হিসেবে পরিচিত। তাঁর লেখা কবর কবিতাটি বাংলা সাহিত্যে এক অবিস্মরণীয় অবদান। বর্তমান ডিজিটাল যুগে গ্রাম বাংলার সেই রূপ-সৌন্দর্য প্রায় হারিয়েই গেছে। গ্রাম বাংলার সেই রূপ-সৌন্দর্য অনুধাবন করতে হলে জানতে হবে পল্লীকবি জসীমউদ্দীনকে, পড়তে হবে তাঁর কবিতা-গ্রন্থাবলি।
পল্লীকবিকে স্মরণ রাখতে কবিকে নিয়ে সারা বছর বিভিন্ন অনুষ্ঠান করার আহ্বান জানান জেলা প্রশাসক। তিনি এ সময় জানান, আগামী ঈদের পর ‘জসীম পল্লী মেলা’ আয়োজন করা হবে। তবে এবারের মেলাটি ভিন্নভাবে আয়োজন করার পরিকল্পনা রয়েছে। মেলাটি যেন পল্লীকবি জসীমউদ্দীনকে স্মরণ করিয়ে দেয়, সে জন্য মেলা চলাকালীন নিয়মিত কবির জীবনী নিয়ে আলোচনা, কবির রচিত গান, কবিতা, গল্প ইত্যাদি উপস্থাপনের ব্যবস্থা থাকবে। এ ছাড়া এই জনপদে আরও যে সকল কবি, লেখক বা সাহিত্যিক রয়েছেন, তাঁদের নিয়েও বিভিন্ন অনুষ্ঠানের পরিকল্পনা রয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
বাঙালি কবি, গীতিকার, ঔপন্যাসিক ও লেখক জসীমউদ্দীন ১৯০৩ সালের ১ জানুয়ারি ফরিদপুর সদরের কৈজুরী ইউনিয়নের তাম্বুলখানা গ্রামে নানাবাড়িতে জন্ম নেন। কবির বাবা আনছারউদ্দীন ও মা আমেনা খাতুন। তিনি ১৯৭৬ সালের ১৪ মার্চ মারা যান। কবির শিক্ষাজীবন শুরু হয় ফরিদপুর শহরের হিতৈষী স্কুলে।
সেখানে প্রাথমিক শেষ করে তিনি ফরিদপুর জেলা স্কুল থেকে ১৯২১ সালে এসএসসি, ১৯২৪ সালে ফরিদপুর রাজেন্দ্র কলেজ থেকে এইচএসসি ও একই কলেজ থেকে বিএ পাস করেন। তিনি ১৯৩১ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে থেকে এমএ পাস করেন। পরে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেন।
১৯৬১ সালে চাকরি থেকে অবসর নেন কবি। তিনি বাল্য বয়স থেকেই কাব্য চর্চা করতেন। তিনি ১৯৭৬ সালে ইউনেসকো পুরস্কার, ১৯৬৮ সালে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের ডি. লিট উপাধি ও ১৯৭৬ সালে ২১শে পদকে ভূষিত হন। ‘পল্লীকবি’ উপাধিতে ভূষিত জসীমউদ্দীন আবহমান বাংলার সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যে লালিত প্রথম পূর্ণাঙ্গ আধুনিক কবি।
ফরিদপুরে নানা কর্মসূচির মধ্যে দিয়ে পল্লীকবি জসীমউদ্দীনের ৪৬তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হয়েছে। গতকাল সোমবার দিবসটি উপলক্ষে জেলা প্রশাসন ও জসীম ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।
জেলা প্রশাসক ও জসীম ফাউন্ডেশনের সভাপতি অতুল সরকারের নেতৃত্বে গতকাল সকাল ৮টায় শহরের গোবিন্দপুরে কবির কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়। এ সময় জেলা পুলিশ, আনসার উদ্দিন উচ্চবিদ্যালয়সহ বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে কবির সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়।
কবির বাড়ির আঙিনায় সকাল সোয়া ৮টার দিকে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল করা হয়। সভার শুরুতে কবি ও তাঁর পরিবারের মৃত ব্যক্তিদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) দীপক কুমার রায়ের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক অতুল সরকার। আবু সুফিয়ান চৌধুরী কুশলের পরিচালনায় সভায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) জামাল পাশা, স্থানীয় সরকারের উপপরিচালক আসলাম মোল্লা, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মোহাম্মদ সাইফুল কবির, জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. নুরুল্লাহ মো. আহসান, বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ আবুল ফয়েজ শাহনেওয়াজসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় কবির ছেলে ড. জামাল আনোয়ার, কবি শওকত আলী জাহিদ, নারীনেত্রী আসমা আক্তার মুক্তা, অম্বিকাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু সাঈদ চৌধুরী বারী প্রমুখ বক্তব্য দেন।
সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক অতুল সরকার বলেন, পল্লীকবি জসীমউদ্দীন তাঁর সাহিত্যের মাধ্যমে বাংলার অপরূপ সৌন্দর্য বিশ্বব্যাপী তুলে ধরেছেন। গ্রাম-বাংলার সেই রূপ-সৌন্দর্য অনুধাবন করতে হলে জানতে হবে পল্লীকবি জসীমউদ্দীনকে, পড়তে হবে তাঁর কবিতা ও গ্রন্থাবলি। যিনি গাছের পাশে, নদীর পাড়ে মাটিতে বসে মাটির সঙ্গে মিশে গিয়ে কবিতা, গল্প লিখতেন।
জেলা প্রশাসক আরও বলেন, রূপসী গ্রাম-বাংলাকে তাঁর মতো ভালোবেসে অন্য কেউ সাহিত্য রচনা করেননি। জসীমউদ্দীন পল্লির মানুষকে নায়ক-নায়িকায় পরিণত করেছেন। আসমানী, গুনাই বিবি, রুপাই, সাজু প্রভৃতি তাঁর সৃষ্ট শ্রেষ্ঠ চরিত্র। তাই তিনি ‘পল্লীকবি’ হিসেবে পরিচিত। তাঁর লেখা কবর কবিতাটি বাংলা সাহিত্যে এক অবিস্মরণীয় অবদান। বর্তমান ডিজিটাল যুগে গ্রাম বাংলার সেই রূপ-সৌন্দর্য প্রায় হারিয়েই গেছে। গ্রাম বাংলার সেই রূপ-সৌন্দর্য অনুধাবন করতে হলে জানতে হবে পল্লীকবি জসীমউদ্দীনকে, পড়তে হবে তাঁর কবিতা-গ্রন্থাবলি।
পল্লীকবিকে স্মরণ রাখতে কবিকে নিয়ে সারা বছর বিভিন্ন অনুষ্ঠান করার আহ্বান জানান জেলা প্রশাসক। তিনি এ সময় জানান, আগামী ঈদের পর ‘জসীম পল্লী মেলা’ আয়োজন করা হবে। তবে এবারের মেলাটি ভিন্নভাবে আয়োজন করার পরিকল্পনা রয়েছে। মেলাটি যেন পল্লীকবি জসীমউদ্দীনকে স্মরণ করিয়ে দেয়, সে জন্য মেলা চলাকালীন নিয়মিত কবির জীবনী নিয়ে আলোচনা, কবির রচিত গান, কবিতা, গল্প ইত্যাদি উপস্থাপনের ব্যবস্থা থাকবে। এ ছাড়া এই জনপদে আরও যে সকল কবি, লেখক বা সাহিত্যিক রয়েছেন, তাঁদের নিয়েও বিভিন্ন অনুষ্ঠানের পরিকল্পনা রয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
বাঙালি কবি, গীতিকার, ঔপন্যাসিক ও লেখক জসীমউদ্দীন ১৯০৩ সালের ১ জানুয়ারি ফরিদপুর সদরের কৈজুরী ইউনিয়নের তাম্বুলখানা গ্রামে নানাবাড়িতে জন্ম নেন। কবির বাবা আনছারউদ্দীন ও মা আমেনা খাতুন। তিনি ১৯৭৬ সালের ১৪ মার্চ মারা যান। কবির শিক্ষাজীবন শুরু হয় ফরিদপুর শহরের হিতৈষী স্কুলে।
সেখানে প্রাথমিক শেষ করে তিনি ফরিদপুর জেলা স্কুল থেকে ১৯২১ সালে এসএসসি, ১৯২৪ সালে ফরিদপুর রাজেন্দ্র কলেজ থেকে এইচএসসি ও একই কলেজ থেকে বিএ পাস করেন। তিনি ১৯৩১ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে থেকে এমএ পাস করেন। পরে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেন।
১৯৬১ সালে চাকরি থেকে অবসর নেন কবি। তিনি বাল্য বয়স থেকেই কাব্য চর্চা করতেন। তিনি ১৯৭৬ সালে ইউনেসকো পুরস্কার, ১৯৬৮ সালে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের ডি. লিট উপাধি ও ১৯৭৬ সালে ২১শে পদকে ভূষিত হন। ‘পল্লীকবি’ উপাধিতে ভূষিত জসীমউদ্দীন আবহমান বাংলার সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যে লালিত প্রথম পূর্ণাঙ্গ আধুনিক কবি।
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
৫ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪