ফরিদগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স

ফরিদগঞ্জ (চাঁদপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৬ অক্টোবর ২০২১, ০৬: ৪৬
আপডেট : ১৬ অক্টোবর ২০২১, ১২: ০০

চার মাস আগে ফরিদগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ৩১ শয্যা থেকে ৫০ শয্যায় উন্নীত করা হলেও সে অনুপাতে সেবার মান বাড়েনি। এ কারণে এই এলাকার মানুষজন প্রতিনিয়ত চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

ফরিদগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আশরাফ আহাম্মেদ চৌধুরী জানান, ৫০ শয্যার হাসপাতালের জন্য চিকিৎসকের পদ ২০টি। কিন্তু হাসপাতালে চিকিৎসক রয়েছেন বর্তমানে মাত্র ৮ জন। এর মধ্যে কয়েকজন নারী চিকিৎসক আছেন মাতৃত্বকালীন ছুটিতে।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের জুলাইয়ের শুরুর দিকে এ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে শয্যা বাড়ানো হয়। শয্যা বাড়ানো হলেও চিকিৎসক, সহকারী চিকিৎসক, নার্সসহ সবগুলো পদে লোকবল সংকট রয়েছে। এতে করে বর্তমানে এ হাসপাতালটিতে বহির্বিভাগ-আবাসিক ওয়ার্ডসহ সব বিভাগে রোগী সামলাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।

স্বাস্থ্যকেন্দ্রে সেবা নিতে আসা বিল্লাল হোসেন বলেন, ‘আমি দুই ঘণ্টার বেশি সময় অপেক্ষা করে তারপর চিকিৎসক দেখাতে পেরেছি। কিন্তু আমাকে কয়েকটা পরীক্ষা দিয়েছেন, সবগুলো বাইরে থেকে করা লাগছে।’

সরেজমিনে দেখা গেছে, স্বাস্থ্যকেন্দ্রের তৃতীয় তলায় পুরুষ-নারী-শিশু ওয়ার্ডসহ সব ওয়ার্ডের শয্যাগুলো পরিপূর্ণ হয়ে ইতিমধ্যে বারান্দা, করিডরেও রোগীদের সিটের ব্যবস্থা করা হয়েছে। গতকাল দুপুরে হাসপাতালের সকল স্থানে রোগীর ভিড় ছিল লক্ষ করার মতো।

চিকিৎসক ও নার্সরা জানিয়েছেন, ক্রমেই মহিলা ও শিশু রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। আবহাওয়ার পরিবর্তন ও মাত্রাতিরিক্ত গরমের কারণে প্রায় প্রতি ঘরেই সকল বয়সী মানুষ জ্বর, সর্দি, কাশিতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভিড় করছে।

এ ছাড়াও আছে ডেঙ্গু, করোনা আক্রান্ত, প্রসূতিসহ বিভিন্ন অসুখে আক্রান্ত রোগী। প্রতিদিন বহির্বিভাগে চার শ এবং করোনা ভ্যাকসিন প্রয়োগে আট শ জনকে সেবা দেওয়া হচ্ছে। চলতি মাসের শুরু থেকে রোগী বাড়ছে। হাসপাতালে ডাক্তার ও সেবিকাসহ বিভিন্ন বিভাগে জনবল কম থাকায় রোগী সামলাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

ফরিদগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আশরাফ আহাম্মেদ চৌধুরী জানান, ফরিদগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এখন স্বাভাবিক প্রসব করানো হচ্ছে। রোগীর চাপ অনেকটা বেড়েছে। হাসপাতাল ৫০ শয্যায় উন্নীত হয়েছে, বিদ্যুৎসহ অবকাঠামোগত উন্নয়ন হয়েছে। কিন্তু লোকবল বাড়েনি। ১০ জন কনসালট্যান্ট থাকার কথা থাকলেও নেই একজনও, ২০ জন চিকিৎসকের জায়গায় আছে ৮ জন। নার্স, ওয়ার্ড বয়, পরিচ্ছন্নতাকর্মীর সংখ্যাও অনেক কম।

তিনি বলেন, অনেকবার চাহিদাপত্র দেওয়া হয়েছে। কিন্তু সমাধান হয়নি। ল্যাব অপারেটর তিনজনের মধ্যে আছে একজন। অনেক বছর ধরে পড়ে আছে আধুনিক এক্স-রে মেশিন, নেই রেডিওগ্রাফার। একটি ইসিজি মেশিন থাকলেও তা নষ্ট।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

চট্টগ্রামে নিহত আইনজীবী সাইফুল ইসলামকে নিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে গুজব

ববির ট্রেজারার সাবেক সেনা কর্মকর্তাকে যোগদানে বাধা

বিগত সরকারে বঞ্চিত কর্মকর্তাদের ক্ষতিপূরণ দিতেই যাবে শতকোটি টাকা

দুই দিনে ৭ ব্যাংককে ২০ হাজার ৫০০ কোটি টাকা দিল বাংলাদেশ ব্যাংক

কোনো পুলিশ কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলেননি রয়টার্সের প্রতিবেদক: সিএমপি

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত