আতশবাজি প্রদর্শনী

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রকাশ : ৩১ ডিসেম্বর ২০২১, ০৭: ২৬
আপডেট : ৩১ ডিসেম্বর ২০২১, ০৮: ০৫

এ সময় আতশবাজি ছাড়া থার্টি ফার্স্ট নাইট উদ্‌যাপনের কথা কল্পনা করাও যেন দোষের বিষয়। রাতের আকাশে রঙিন আলোর ঝলকানির জন্য আতশবাজির বিকল্প কিছু নেই।

৯৬০ থেকে ১২৭৯ খ্রিষ্টাব্দের মধ্যে কোনো একসময় চীনারা আতশবাজি আবিষ্কার করে। সে সময় চীনারা ভাবত আতশবাজির শব্দ ও আলো দুষ্ট শক্তিকে দূরে রাখে। সম্রাটের জন্মদিন কিংবা বড় উৎসবের সময় আতশবাজি ফোটানো হতো। ভেনিসের পর্যটক ও বণিক মার্কো পোলোর হাত ধরে ইউরোপে যায় চায়নিজ আতশবাজি। সেটা ১২০০ খ্রিষ্টাব্দের কথা। এরপর থেকেই ইউরোপে উৎসবের অনুষঙ্গ হয়ে যায় সেটি।

আতশবাজির উৎসব ঘিরে প্রচুর অর্থ ব্যয় করা হয় পৃথিবীতে। বিশ্বের ব্যয়বহুল ৫ আতশবাজি প্রদর্শনীর গল্প রইল নতুন বছরের প্রাক্কালে।

দুবাই
২০১৪ সালে মাত্র ৬ মিনিটে ৪ লাখ ৭৯ হাজার ৬৫১টি আতশবাজি পোড়ানো হয় দুবাইয়ে। বুর্জ খলিফাসহ দুবাইয়ের ৪০০টি স্থানে এই আতশবাজি ফোটানো হয়। তাতে ব্যয় হয় ৬ লাখ ডলার বা ৫ কোটি ১৫ লাখ টাকা।

নিউইয়র্ক
নববর্ষে ম্যানহাটনের আকাশ আলোকিত করতে প্রতিবছর ৬ মিলিয়ন ডলার বা প্রায় ৫১ কোটি ৫০ লাখ টাকা ব্যয় করা হয়। প্রতি মিনিটে ফোটানো হয় প্রায় ১ হাজার ৬০০টি আতশবাজি। আলোর ঝলকানি দেখতে হাজির থাকে কয়েক লাখ মানুষ।

সিডনি
সিডনি হারবার ব্রিজে থার্টি ফার্স্ট নাইট উপলক্ষে বার্ষিক ৬ দশমিক ৩ মিলিয়ন ডলার বা প্রায় ৫৪ কোটি ৭ লাখ টাকা বাজেট বরাদ্দ থাকে। একেক বছর একেক থিমে সাজানো হয় এই ব্রিজ। ১৫ লাখ মানুষ সরাসরি এই অনুষ্ঠান দেখেন। টিভিতে দেখেন ১০০ কোটি মানুষ।

কুয়েত
২০১২ সালে নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে এক ঘণ্টায় ৭৭ হাজার ২৮২টি আতশবাজি পোড়ানো হয় কুয়েতে। সে বছর ছিল প্রথম আরব দেশ হিসেবে কুয়েতে সংবিধান ও সংসদ প্রতিষ্ঠার ৫০ বছর। সেই আতশবাজির প্রদর্শনীতে ব্যয় হয় ১৫ মিলিয়ন ডলার বা প্রায় ১২৮ কোটি ৭৪ লাখ টাকা! কুয়েত সিটিতে এই প্রদর্শনী দেখেন হাজার হাজার মানুষ।

আবুধাবি
২০০৯ সালে সংযুক্ত আরব আমিরাতের ৩৭তম জাতীয় দিবস উপলক্ষে আতশবাজি প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়। ৫৫ মিনিটের এই প্রদর্শনীর জন্য ২০ মিলিয়ন ডলারের আতশবাজি পোড়ানো হয়। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ প্রায় ১৭১ কোটি ৬৬ লাখ টাকা!

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত