আসাদুজ্জামান মামুন, গাইবান্ধা
গাইবান্ধা পৌর শহরে বেড়েছে যানজট। ব্যাটারিচালিত রিকশা-ভ্যান, ইজিবাইকের নিয়ন্ত্রণহীন চলাচল ও চার লেন প্রকল্পের ধীরগতির কারণে শহরের ডিবি রোড, কাচারি বাজার, পুরোনো জেলাখানা মোড়, ব্রিজ রোড ও ২ নম্বর রেলগেট এলাকায় প্রতিদিন সৃষ্টি হচ্ছে যানজট। এতে ভোগান্তিতে পড়ছেন পৌরবাসী।
সরেজমিন দেখা গেছে, ডিবি রোডের ১ নম্বর ট্রাফিক মোড় থেকে ডাকবাংলো মোড়, ফায়ার সার্ভিস মোড়, বাসস্ট্যান্ড, কাচারি বাজার মোড় ও পুরোনো জেলখানা মোড় পর্যন্ত প্রধান সড়ক চার লেনে উন্নীতকরণের কাজ চলছে। এতে সড়কের এক পাশ বন্ধ রাখা হচ্ছে। ফলে সড়কের অন্য পাশে উভয়মুখী যানবাহনের দীর্ঘ জট সৃষ্টি হচ্ছে।
গত কয়েক দিন শহরের ওই সব এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, সকাল থেকে এই যানজট সৃষ্টি হয়। আর এই যানজটের জন্য দায়ী ইজিবাইক ও রিকশা। পৌর এলাকায় যানবাহনের ৬০ থেকে ৬৫ শতাংশ ইজিবাইক আর ব্যাটারিচালিত রিকশা-ভ্যান। এ ছাড়া শহরের ২ নম্বর রেলগেট এলাকার জেলা পরিষদ মোড়, ব্রিজ রোডসহ বিভিন্ন সড়কের পাশে গড়ে উঠেছে ইজিবাইক ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার অবৈধ স্ট্যান্ড। এতে কখনো কখনো পুরো সড়ক বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।
পৌরসভা সূত্রমতে, ২০১৫ সাল থেকে শহরে চলাচলের জন্য ইজিবাইকের নিবন্ধন দেওয়া শুরু করে পৌরসভা কর্তৃপক্ষ। পৌরসভায় নিবন্ধনধারী ইজিবাইক রয়েছে প্রায় সাড়ে তিন হাজার। ব্যাটারিচালিত রিকশা-ভ্যান আরও প্রায় এক হাজার। এ ছাড়া রয়েছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, রিকশা-ভ্যান, মোটরসাইকেল, মাইক্রোবাসসহ ব্যক্তিগত ও পণ্যবাহী গাড়ি।
শহরের ডিবি রোডের এক ফার্মেসি দোকানি জানান, মোড়গুলোতে গোলচত্বর বা ইউটার্ন না থাকায় যেখানে-সেখানে সড়কের ওপর ইজিবাইক ঘোরানো হচ্ছে। এতে যানজটের পাশাপাশি প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে। পথচারীদের হাঁটার জন্য সড়কের দুই পাশে কোনো ফুটপাত নেই। ফলে তাঁরা সড়কের মাঝ দিয়েও চলাচল করছেন।
এদিকে চালকদের দাবি, শহরের ভেতরে ইজিবাইকের কোনো বৈধ স্ট্যান্ড নেই। বৈধ স্ট্যান্ড বা ফাঁকা জায়গা না থাকায় বাধ্য হয়ে তাঁদের সড়কের ওপরেই ইজিবাইকগুলো দাঁড় করিয়ে রাখতে হয়। এ ছাড়া বৈধ ইজিবাইকের বাইরেও শহরে অবৈধভাবে ইজিবাইকও চলাচল করে।
ইজিবাইকচালক শরিফুল বলেন, ‘পৌরসভা থেকে যে পরিমাণ ইজিবাইকের লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে, তার দ্বিগুণের বেশি ইজিবাইক অবৈধভাবে শহরে চলাচল করে। অবৈধ ইজিবাইকের বিষয়ে কড়াকড়ি ব্যবস্থা নেওয়া হলে শহরে যানজট কমে যাবে।’
বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির গাইবান্ধা জেলা সভাপতি মিহির ঘোষ বলেন, ‘কিছু কারণে গাইবান্ধা শহরে যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। এর মধ্যে শহরের পূর্ব থেকে পশ্চিম এলাকায় যাতায়াতে একটি সড়কের ওপর নির্ভরশীলতা অন্যতম কারণ। শুধু চার লেন নির্মাণে এ সমস্যার সমাধান হবে না, এ জন্য একটি রিংরোড বা বিকল্প সড়ক দরকার।
গাইবান্ধা পৌরসভার মেয়র মো. মতলুবর রহমান বলেন, ‘শহরে কিছু সড়কের উন্নয়নকাজ চলছে। এতে একটি সড়কে ওপর যানবাহনের চাপ বেড়েছে। ফলে যানজট সমস্যা সম্প্রতি প্রকট আকার ধারণ করেছে। পৌর শহরের যানজট নিরসনে ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক-রিকশা ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার জন্য স্ট্যান্ড করার সদিচ্ছা রয়েছে। কিন্তু সড়কের পাশে জায়গা না থাকার স্ট্যান্ড নির্মাণ করা সম্ভব হচ্ছে না। নিবন্ধনহীন ইজিবাইকের বিরুদ্ধে করোনার সময়ে অভিযান বন্ধ ছিল। তবে সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে পৌরসভার স্বেচ্ছাসেবকেরা কাজ করছে।’
গাইবান্ধা পৌর শহরে বেড়েছে যানজট। ব্যাটারিচালিত রিকশা-ভ্যান, ইজিবাইকের নিয়ন্ত্রণহীন চলাচল ও চার লেন প্রকল্পের ধীরগতির কারণে শহরের ডিবি রোড, কাচারি বাজার, পুরোনো জেলাখানা মোড়, ব্রিজ রোড ও ২ নম্বর রেলগেট এলাকায় প্রতিদিন সৃষ্টি হচ্ছে যানজট। এতে ভোগান্তিতে পড়ছেন পৌরবাসী।
সরেজমিন দেখা গেছে, ডিবি রোডের ১ নম্বর ট্রাফিক মোড় থেকে ডাকবাংলো মোড়, ফায়ার সার্ভিস মোড়, বাসস্ট্যান্ড, কাচারি বাজার মোড় ও পুরোনো জেলখানা মোড় পর্যন্ত প্রধান সড়ক চার লেনে উন্নীতকরণের কাজ চলছে। এতে সড়কের এক পাশ বন্ধ রাখা হচ্ছে। ফলে সড়কের অন্য পাশে উভয়মুখী যানবাহনের দীর্ঘ জট সৃষ্টি হচ্ছে।
গত কয়েক দিন শহরের ওই সব এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, সকাল থেকে এই যানজট সৃষ্টি হয়। আর এই যানজটের জন্য দায়ী ইজিবাইক ও রিকশা। পৌর এলাকায় যানবাহনের ৬০ থেকে ৬৫ শতাংশ ইজিবাইক আর ব্যাটারিচালিত রিকশা-ভ্যান। এ ছাড়া শহরের ২ নম্বর রেলগেট এলাকার জেলা পরিষদ মোড়, ব্রিজ রোডসহ বিভিন্ন সড়কের পাশে গড়ে উঠেছে ইজিবাইক ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার অবৈধ স্ট্যান্ড। এতে কখনো কখনো পুরো সড়ক বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।
পৌরসভা সূত্রমতে, ২০১৫ সাল থেকে শহরে চলাচলের জন্য ইজিবাইকের নিবন্ধন দেওয়া শুরু করে পৌরসভা কর্তৃপক্ষ। পৌরসভায় নিবন্ধনধারী ইজিবাইক রয়েছে প্রায় সাড়ে তিন হাজার। ব্যাটারিচালিত রিকশা-ভ্যান আরও প্রায় এক হাজার। এ ছাড়া রয়েছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, রিকশা-ভ্যান, মোটরসাইকেল, মাইক্রোবাসসহ ব্যক্তিগত ও পণ্যবাহী গাড়ি।
শহরের ডিবি রোডের এক ফার্মেসি দোকানি জানান, মোড়গুলোতে গোলচত্বর বা ইউটার্ন না থাকায় যেখানে-সেখানে সড়কের ওপর ইজিবাইক ঘোরানো হচ্ছে। এতে যানজটের পাশাপাশি প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে। পথচারীদের হাঁটার জন্য সড়কের দুই পাশে কোনো ফুটপাত নেই। ফলে তাঁরা সড়কের মাঝ দিয়েও চলাচল করছেন।
এদিকে চালকদের দাবি, শহরের ভেতরে ইজিবাইকের কোনো বৈধ স্ট্যান্ড নেই। বৈধ স্ট্যান্ড বা ফাঁকা জায়গা না থাকায় বাধ্য হয়ে তাঁদের সড়কের ওপরেই ইজিবাইকগুলো দাঁড় করিয়ে রাখতে হয়। এ ছাড়া বৈধ ইজিবাইকের বাইরেও শহরে অবৈধভাবে ইজিবাইকও চলাচল করে।
ইজিবাইকচালক শরিফুল বলেন, ‘পৌরসভা থেকে যে পরিমাণ ইজিবাইকের লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে, তার দ্বিগুণের বেশি ইজিবাইক অবৈধভাবে শহরে চলাচল করে। অবৈধ ইজিবাইকের বিষয়ে কড়াকড়ি ব্যবস্থা নেওয়া হলে শহরে যানজট কমে যাবে।’
বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির গাইবান্ধা জেলা সভাপতি মিহির ঘোষ বলেন, ‘কিছু কারণে গাইবান্ধা শহরে যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। এর মধ্যে শহরের পূর্ব থেকে পশ্চিম এলাকায় যাতায়াতে একটি সড়কের ওপর নির্ভরশীলতা অন্যতম কারণ। শুধু চার লেন নির্মাণে এ সমস্যার সমাধান হবে না, এ জন্য একটি রিংরোড বা বিকল্প সড়ক দরকার।
গাইবান্ধা পৌরসভার মেয়র মো. মতলুবর রহমান বলেন, ‘শহরে কিছু সড়কের উন্নয়নকাজ চলছে। এতে একটি সড়কে ওপর যানবাহনের চাপ বেড়েছে। ফলে যানজট সমস্যা সম্প্রতি প্রকট আকার ধারণ করেছে। পৌর শহরের যানজট নিরসনে ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক-রিকশা ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার জন্য স্ট্যান্ড করার সদিচ্ছা রয়েছে। কিন্তু সড়কের পাশে জায়গা না থাকার স্ট্যান্ড নির্মাণ করা সম্ভব হচ্ছে না। নিবন্ধনহীন ইজিবাইকের বিরুদ্ধে করোনার সময়ে অভিযান বন্ধ ছিল। তবে সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে পৌরসভার স্বেচ্ছাসেবকেরা কাজ করছে।’
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৩ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৩ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৩ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৩ দিন আগে