নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
আজ থেকে ২০ বছর আগে কর্ণফুলী নদীর অভয় মিত্র ঘাটে যেখানে নৌকা ভিড়ত, এখন সেখানে নদীর কোনো চিহ্নই নেই। পুরোনো যাত্রীছাউনি পেরিয়ে অনেক দূর যাওয়ার পর এখন যেখান থেকে নৌকায় উঠতে হয়, সেই জায়গাটা মাঝনদী ছিল দুই দশক আগে।
শুধু অভয় মিত্র ঘাট নয়, নদী ভরাটে একই হাল হয়েছে সদরঘাট, ফিরিঙ্গিবাজার ফেরিঘাট, বাংলাবাজারঘাটসহ কর্ণফুলীর প্রায় প্রতিটি খেয়াঘাটে। নদীর দক্ষিণ তীরেও একই চিত্র। ২১ বছরের ব্যবধানে বাণিজ্যিক দিক থেকে দেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নদী কর্ণফুলীর প্রশস্ততা অর্ধেকের বেশি কমেছে।
চট্টগ্রাম নদী ও খাল রক্ষা আন্দোলন সংগঠনের ব্যানারে পরিচালিত এক জরিপের তথ্য বলছে, ২০০০ সালে যেখানে কর্ণফুলী নদীর প্রস্থ ছিল ৯৩০ মিটার, সেখানে ২১ বছর পর ২০২২ সালে প্রস্থ কমে দাঁড়িয়েছে ৪১০ মিটারে। অর্থাৎ দুই দশকে ৫২০ মিটার প্রস্থ কমেছে কর্ণফুলীর। এর পাশাপাশি দখল-দূষণের কারণে নদীর গভীরতা কমে বিভিন্ন পয়েন্টে তৈরি হয়েছে চর।
গতকাল রোববার চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে জরিপ প্রতিবেদনের তথ্য তুলে ধরে সংগঠনটি। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আলীউর রহমান। এতে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন নদী গবেষক প্রফেসর ড. ইদ্রিস আলী, সমুদ্র বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক নোমান আহমেদ সিদ্দিকি ও বাংলাদেশ পরিবেশ ফোরাম, চট্টগ্রামের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক প্রদীপ কুমার দাশ।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, গুগলের টাইমলেপস ম্যাপে ১৯৮৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর ধারণ করা চিত্রে দেখা যায়, চাক্তাই খালের মোহনায় নদীর প্রশস্ততা ৯৫২ দশমিক ২৮ মিটার, গ্রাউন্ড লেংথ ৯৫২ দশমিক ২৯ মিটার। ২০০০ সালের ২ ডিসেম্বর একই জায়গায় নদীর প্রশস্ততা ৯৩০ দশমিক ৩১ মিটার, গ্রাউন্ড লেংথ ৯৩০ দশমিক ৩২ মিটার। এরপর ২০১৩ সালের ১৫ এপ্রিল বর্তমান চাক্তাই খাল ও রাজাখালীর মুখে চর জেগে ওঠার কারণে ম্যাপ লেংথ ৬৬৬ দশমিক ৫৬ মিটার, গ্রাউন্ড লেংথ ৬৬৬ দশমিক ৫৬ মিটার। অন্যদিকে, ২০২১ সালের ১২ অক্টোবর ধারণ করা চিত্রে দেখা যায়, কর্ণফুলী শাহ আমানত সেতুর নিচে রাজাখালী খালের মোহনায় কর্ণফুলীর প্রস্থ ৪৪৭ দশমিক ৩৭ মিটার, গ্রাউন্ড লেংথ ৪৪৬ দশমিক ৩৭ মিটার।
এ দুই দশকে ৪৮৪ মিটার নদী দখল করে মাছবাজার, ভেড়া মার্কেট, মেরিনার্স পার্ক ইত্যাদি গড়ে তোলা হয়েছে। পাশাপাশি খনন না করায় শাহ আমানত সেতুর নিচ থেকে চাক্তাই খালের মোহনা এলাকা পর্যন্ত তিন কিলোমিটার চর জেগে সংকীর্ণ হয়ে গেছে কর্ণফুলীর গতিধারা। সংকীর্ণ গতিধারায় পানির স্রোতের কারণে শাহ আমানত সেতুর চার ও পাঁচ নম্বর পিলারের নিচে ৭৮.৬ ফুট গর্তের সৃষ্টি হয়েছে, যা শিকলবাহা খালের মোহনা থেকে ফিরিঙ্গি বাজার পর্যন্ত তিন কিলোমিটার নদীর তলদেশের সর্বোচ্চ গভীরতা। ফ্যাদোমিটারের মাধ্যমে ভাটার সময় নদীর গভীরতা পরিমাপ করা হয়। তাতে চর পাথরঘাটা ব্রিজঘাট থেকে উত্তর পাশে গভীরতা পাওয়া যায় ২৫ ফুট। চাক্তাই খালের মোহনায় নদীর গভীরতা মিলেছে মাত্র দুই ফুট। রাজাখালী খালের মোহনায় পাওয়া গেছে চার ফুট। কর্ণফুলী শাহ আমানত সেতুর ৩ নম্বর পিলারের কাছে গভীরতা প্রায় ৬১ ফুট।
এ অবস্থা চলতে থাকলে বড় জলোচ্ছ্বাস বা অতি বর্ষণে পানির স্রোতে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে শাহ আমানত সেতু। ধসে যেতে পারে সেতুর দক্ষিণ পাশের গাইড ওয়াল।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ৬ দফা সুপারিশ তুলে ধরেন আলীউর রহমান। তাঁরা কর্ণফুলী নদী রক্ষায় ২০২০ সালে তৎকালীন জেলা প্রশাসক ইলিয়াস হোসেন প্রদত্ত উচ্ছেদ নোটিশ (৪৭/২০১৯) অনুযায়ী হাইকোর্টের নির্দেশমতো চাক্তাই খালের মোহনায় গড়ে ওঠা মাছবাজারসহ ৪৭ ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানের অধীনে থাকা আঠারো শতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করতে বলেন। কর্ণফুলী শাহ আমানত সেতুর নিচ থেকে চাক্তাই খালের মোহনা পর্যন্ত তিন কিলোমিটারব্যাপী জেগে ওঠা চর খনন করে নদীর স্বাভাবিক গতিপ্রবাহ ফিরিয়ে আনার পরামর্শ দেওয়া হয়। এর পাশাপাশি সঠিক খনন ও শাসনের মাধ্যমে কর্ণফুলীর স্বাভাবিক গতিধারা বজায় রাখতে হবে।
আজ থেকে ২০ বছর আগে কর্ণফুলী নদীর অভয় মিত্র ঘাটে যেখানে নৌকা ভিড়ত, এখন সেখানে নদীর কোনো চিহ্নই নেই। পুরোনো যাত্রীছাউনি পেরিয়ে অনেক দূর যাওয়ার পর এখন যেখান থেকে নৌকায় উঠতে হয়, সেই জায়গাটা মাঝনদী ছিল দুই দশক আগে।
শুধু অভয় মিত্র ঘাট নয়, নদী ভরাটে একই হাল হয়েছে সদরঘাট, ফিরিঙ্গিবাজার ফেরিঘাট, বাংলাবাজারঘাটসহ কর্ণফুলীর প্রায় প্রতিটি খেয়াঘাটে। নদীর দক্ষিণ তীরেও একই চিত্র। ২১ বছরের ব্যবধানে বাণিজ্যিক দিক থেকে দেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নদী কর্ণফুলীর প্রশস্ততা অর্ধেকের বেশি কমেছে।
চট্টগ্রাম নদী ও খাল রক্ষা আন্দোলন সংগঠনের ব্যানারে পরিচালিত এক জরিপের তথ্য বলছে, ২০০০ সালে যেখানে কর্ণফুলী নদীর প্রস্থ ছিল ৯৩০ মিটার, সেখানে ২১ বছর পর ২০২২ সালে প্রস্থ কমে দাঁড়িয়েছে ৪১০ মিটারে। অর্থাৎ দুই দশকে ৫২০ মিটার প্রস্থ কমেছে কর্ণফুলীর। এর পাশাপাশি দখল-দূষণের কারণে নদীর গভীরতা কমে বিভিন্ন পয়েন্টে তৈরি হয়েছে চর।
গতকাল রোববার চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে জরিপ প্রতিবেদনের তথ্য তুলে ধরে সংগঠনটি। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আলীউর রহমান। এতে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন নদী গবেষক প্রফেসর ড. ইদ্রিস আলী, সমুদ্র বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক নোমান আহমেদ সিদ্দিকি ও বাংলাদেশ পরিবেশ ফোরাম, চট্টগ্রামের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক প্রদীপ কুমার দাশ।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, গুগলের টাইমলেপস ম্যাপে ১৯৮৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর ধারণ করা চিত্রে দেখা যায়, চাক্তাই খালের মোহনায় নদীর প্রশস্ততা ৯৫২ দশমিক ২৮ মিটার, গ্রাউন্ড লেংথ ৯৫২ দশমিক ২৯ মিটার। ২০০০ সালের ২ ডিসেম্বর একই জায়গায় নদীর প্রশস্ততা ৯৩০ দশমিক ৩১ মিটার, গ্রাউন্ড লেংথ ৯৩০ দশমিক ৩২ মিটার। এরপর ২০১৩ সালের ১৫ এপ্রিল বর্তমান চাক্তাই খাল ও রাজাখালীর মুখে চর জেগে ওঠার কারণে ম্যাপ লেংথ ৬৬৬ দশমিক ৫৬ মিটার, গ্রাউন্ড লেংথ ৬৬৬ দশমিক ৫৬ মিটার। অন্যদিকে, ২০২১ সালের ১২ অক্টোবর ধারণ করা চিত্রে দেখা যায়, কর্ণফুলী শাহ আমানত সেতুর নিচে রাজাখালী খালের মোহনায় কর্ণফুলীর প্রস্থ ৪৪৭ দশমিক ৩৭ মিটার, গ্রাউন্ড লেংথ ৪৪৬ দশমিক ৩৭ মিটার।
এ দুই দশকে ৪৮৪ মিটার নদী দখল করে মাছবাজার, ভেড়া মার্কেট, মেরিনার্স পার্ক ইত্যাদি গড়ে তোলা হয়েছে। পাশাপাশি খনন না করায় শাহ আমানত সেতুর নিচ থেকে চাক্তাই খালের মোহনা এলাকা পর্যন্ত তিন কিলোমিটার চর জেগে সংকীর্ণ হয়ে গেছে কর্ণফুলীর গতিধারা। সংকীর্ণ গতিধারায় পানির স্রোতের কারণে শাহ আমানত সেতুর চার ও পাঁচ নম্বর পিলারের নিচে ৭৮.৬ ফুট গর্তের সৃষ্টি হয়েছে, যা শিকলবাহা খালের মোহনা থেকে ফিরিঙ্গি বাজার পর্যন্ত তিন কিলোমিটার নদীর তলদেশের সর্বোচ্চ গভীরতা। ফ্যাদোমিটারের মাধ্যমে ভাটার সময় নদীর গভীরতা পরিমাপ করা হয়। তাতে চর পাথরঘাটা ব্রিজঘাট থেকে উত্তর পাশে গভীরতা পাওয়া যায় ২৫ ফুট। চাক্তাই খালের মোহনায় নদীর গভীরতা মিলেছে মাত্র দুই ফুট। রাজাখালী খালের মোহনায় পাওয়া গেছে চার ফুট। কর্ণফুলী শাহ আমানত সেতুর ৩ নম্বর পিলারের কাছে গভীরতা প্রায় ৬১ ফুট।
এ অবস্থা চলতে থাকলে বড় জলোচ্ছ্বাস বা অতি বর্ষণে পানির স্রোতে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে শাহ আমানত সেতু। ধসে যেতে পারে সেতুর দক্ষিণ পাশের গাইড ওয়াল।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ৬ দফা সুপারিশ তুলে ধরেন আলীউর রহমান। তাঁরা কর্ণফুলী নদী রক্ষায় ২০২০ সালে তৎকালীন জেলা প্রশাসক ইলিয়াস হোসেন প্রদত্ত উচ্ছেদ নোটিশ (৪৭/২০১৯) অনুযায়ী হাইকোর্টের নির্দেশমতো চাক্তাই খালের মোহনায় গড়ে ওঠা মাছবাজারসহ ৪৭ ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানের অধীনে থাকা আঠারো শতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করতে বলেন। কর্ণফুলী শাহ আমানত সেতুর নিচ থেকে চাক্তাই খালের মোহনা পর্যন্ত তিন কিলোমিটারব্যাপী জেগে ওঠা চর খনন করে নদীর স্বাভাবিক গতিপ্রবাহ ফিরিয়ে আনার পরামর্শ দেওয়া হয়। এর পাশাপাশি সঠিক খনন ও শাসনের মাধ্যমে কর্ণফুলীর স্বাভাবিক গতিধারা বজায় রাখতে হবে।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৩ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৩ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৩ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৩ দিন আগে