নাসিরনগর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরের পাবলিক লাইব্রেরিটি দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ রয়েছে। এর ফলে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে বইগুলো। লাইব্রেরি পরিচালনার কমিটির মেয়াদ পেরিয়েছে সাত বছর আগে। স্থানীয় পাঠকেরা বলছেন, বই পিপাসুদের পাঠতৃষ্ণা মেটানোর জন্য দ্রুত লাইব্রেরিটি চালু করা হোক। অন্যদিকে প্রশাসন বলছে, দ্রুতই পাঠাগারটি চালু করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ১৯৮৫ সালে উপজেলা সদরে ইউনিয়ন পরিষদ ভবনের সামনে একটি দোতলা ভবনের নিচতলায় গড়ে ওঠে এ পাঠাগার। পাঠাগারের বিভিন্ন ব্যয় মেটানোর জন্য দোতলা ভাড়া দেওয়া হয়েছে। পাঠাগার পরিচালনার জন্য দুই বছর মেয়াদি একটি কমিটি কাজ করে। সেই কমিটির মেয়াদ শেষ হয়েছে সাত বছর আগে। ১৪ সদস্যবিশিষ্ট এই কমিটির দু-একজন ছাড়া কেউই পাঠাগারের বিষয়ে কোনো খোঁজখবর রাখেন না।
সরেজমিন দেখা গেছে, পাঠাগারের প্রবেশপথে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা ময়লা ফেলছেন। এর ভেতরে দেখা গেছে টেবিলের ওপর পড়ে আছে ধুলাবালির স্তর। তিনটি টেবিল থাকলেও পাঠকের বসার জন্য নেই কোনো চেয়ার।
এ ছাড়া বই রাখার জন্য রয়েছে সাতটি আলমারি। পাঠাগারের সংগ্রহে রয়েছে প্রায় ১ হাজার ২০০ বই। পাঠকদের জন্য শৌচাগার থাকলেও সেটি ব্যবহারের নেই কোনো ব্যবস্থা। ভবনটির বিভিন্ন অংশে দেখা দিয়েছে ফাটল। বর্তমানে পাঠাগারটি উপজেলা প্রশাসনের দায়িত্বে রয়েছে। এর দেখাশোনার জন্য রয়েছেন একজন লাইব্রেরিয়ান। সম্প্রতি স্থানীয় সাংসদ পাঠাগারের সংস্কারের জন্য বরাদ্দ দিলেও এর সঠিক ব্যবহার হয়নি বলে অভিযোগ অনেকের।
পাঠাগারের নিয়মিত পাঠক মো. মুজিবুর রহমান বলেন, ‘আমি এখানে নিয়মিতই পত্রিকা ও বই পড়তাম। করোনা আসার পর দীর্ঘদিন এটি বন্ধ। পাঠাগারটি দ্রুত চালু হওয়ার জন্য আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পাঠক বলেন, ‘আমাদের দুর্ভাগ্য প্রতিষ্ঠার পর ৩৬ বছর পেরিয়ে গেলেও লাইব্রেরিটি পুর্নাঙ্গ হয়নি। পর্যাপ্ত চেয়ার টেবিল নাই। বইও বাড়ছে না। লাইব্রেরি সমাজকে আলোকিত করে। আমাদের এই এলাকার তরুণ প্রজম্নকে বিকশিত করতে এবং তাঁদের বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে দ্রুত লাইব্রেরী চালু কড়া হোক।’
লাইব্রেরিয়ান পরিমল দাস বলেন, ‘১০ বছর ধরে আমি লাইব্রেরিটির দেখাশোনা করছি। প্রতিদিন বিকেল ৪টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত এটি খোলা রাখা হয়। আমি এ দায়িত্ব পালনের জন্য প্রতি মাসে সামান্য সম্মানী পাই। করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় পাঠাগারের সংস্কারকাজ দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ রয়েছে।’
পাঠাগারের সাধারণ সম্পাদক জামিল ফোরকান বলেন, ‘আমিও চাই এটি আবার চালু হোক। তবে আমি অনেকবার পাঠাগারটি পুনরায় সচল করার জন্য চেষ্টা করেছি।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হালিমা খাতুন বলেন, ‘পাঠাগারে কী কী সমস্যা আছে—এ বিষয়ে লাইব্রেরিয়ানকে জানাতে বলেছি। দ্রুতই পাঠাগারটি চালু করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরের পাবলিক লাইব্রেরিটি দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ রয়েছে। এর ফলে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে বইগুলো। লাইব্রেরি পরিচালনার কমিটির মেয়াদ পেরিয়েছে সাত বছর আগে। স্থানীয় পাঠকেরা বলছেন, বই পিপাসুদের পাঠতৃষ্ণা মেটানোর জন্য দ্রুত লাইব্রেরিটি চালু করা হোক। অন্যদিকে প্রশাসন বলছে, দ্রুতই পাঠাগারটি চালু করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ১৯৮৫ সালে উপজেলা সদরে ইউনিয়ন পরিষদ ভবনের সামনে একটি দোতলা ভবনের নিচতলায় গড়ে ওঠে এ পাঠাগার। পাঠাগারের বিভিন্ন ব্যয় মেটানোর জন্য দোতলা ভাড়া দেওয়া হয়েছে। পাঠাগার পরিচালনার জন্য দুই বছর মেয়াদি একটি কমিটি কাজ করে। সেই কমিটির মেয়াদ শেষ হয়েছে সাত বছর আগে। ১৪ সদস্যবিশিষ্ট এই কমিটির দু-একজন ছাড়া কেউই পাঠাগারের বিষয়ে কোনো খোঁজখবর রাখেন না।
সরেজমিন দেখা গেছে, পাঠাগারের প্রবেশপথে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা ময়লা ফেলছেন। এর ভেতরে দেখা গেছে টেবিলের ওপর পড়ে আছে ধুলাবালির স্তর। তিনটি টেবিল থাকলেও পাঠকের বসার জন্য নেই কোনো চেয়ার।
এ ছাড়া বই রাখার জন্য রয়েছে সাতটি আলমারি। পাঠাগারের সংগ্রহে রয়েছে প্রায় ১ হাজার ২০০ বই। পাঠকদের জন্য শৌচাগার থাকলেও সেটি ব্যবহারের নেই কোনো ব্যবস্থা। ভবনটির বিভিন্ন অংশে দেখা দিয়েছে ফাটল। বর্তমানে পাঠাগারটি উপজেলা প্রশাসনের দায়িত্বে রয়েছে। এর দেখাশোনার জন্য রয়েছেন একজন লাইব্রেরিয়ান। সম্প্রতি স্থানীয় সাংসদ পাঠাগারের সংস্কারের জন্য বরাদ্দ দিলেও এর সঠিক ব্যবহার হয়নি বলে অভিযোগ অনেকের।
পাঠাগারের নিয়মিত পাঠক মো. মুজিবুর রহমান বলেন, ‘আমি এখানে নিয়মিতই পত্রিকা ও বই পড়তাম। করোনা আসার পর দীর্ঘদিন এটি বন্ধ। পাঠাগারটি দ্রুত চালু হওয়ার জন্য আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পাঠক বলেন, ‘আমাদের দুর্ভাগ্য প্রতিষ্ঠার পর ৩৬ বছর পেরিয়ে গেলেও লাইব্রেরিটি পুর্নাঙ্গ হয়নি। পর্যাপ্ত চেয়ার টেবিল নাই। বইও বাড়ছে না। লাইব্রেরি সমাজকে আলোকিত করে। আমাদের এই এলাকার তরুণ প্রজম্নকে বিকশিত করতে এবং তাঁদের বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে দ্রুত লাইব্রেরী চালু কড়া হোক।’
লাইব্রেরিয়ান পরিমল দাস বলেন, ‘১০ বছর ধরে আমি লাইব্রেরিটির দেখাশোনা করছি। প্রতিদিন বিকেল ৪টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত এটি খোলা রাখা হয়। আমি এ দায়িত্ব পালনের জন্য প্রতি মাসে সামান্য সম্মানী পাই। করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় পাঠাগারের সংস্কারকাজ দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ রয়েছে।’
পাঠাগারের সাধারণ সম্পাদক জামিল ফোরকান বলেন, ‘আমিও চাই এটি আবার চালু হোক। তবে আমি অনেকবার পাঠাগারটি পুনরায় সচল করার জন্য চেষ্টা করেছি।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হালিমা খাতুন বলেন, ‘পাঠাগারে কী কী সমস্যা আছে—এ বিষয়ে লাইব্রেরিয়ানকে জানাতে বলেছি। দ্রুতই পাঠাগারটি চালু করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
১০ বছর ধরে নিজের আত্মজীবনী লিখেছেন বরেণ্য অভিনেতা, নাট্যকার ও নির্মাতা আবুল হায়াত। নাম দিয়েছেন ‘রবি পথ’। অবশেষে প্রকাশ হচ্ছে তাঁর আত্মজীবনী। আগামী ২ নভেম্বর বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে আয়োজন করা হয়েছে রবি পথের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠান।
৩ ঘণ্টা আগেপর্দার নায়িকারা নিজেদের বয়স আড়ালে রাখা পছন্দ করেন। এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম আজমেরী হক বাঁধন। প্রতিবছর নিজের জন্মদিনে জানান দেন তাঁর বয়স। গতকাল ছিল বাঁধনের ৪১তম জন্মদিন। সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেই জানালেন এই তথ্য।
২ দিন আগে১০ বছরের বেশি সময় ধরে শোবিজে কাজ করছেন অভিনেত্রী শবনম ফারিয়া। নাটকের পাশাপাশি ওটিটিতে দেখা গেছে তাঁকে। সরকারি অনুদানের ‘দেবী’ নামের একটি সিনেমায়ও অভিনয় করেছেন। প্রশংসিত হলেও সিনেমায় আর দেখা মেলেনি তাঁর। ছোট পর্দাতেও অনেক দিন ধরে অনিয়মিত তিনি। এবার শবনম ফারিয়া হাজির হচ্ছেন নতুন পরিচয়ে। কমেডি রিয়েলিটি
২ দিন আগেআমাদের লোকসংস্কৃতির অন্যতম ঐতিহ্য যাত্রাপালা। গণমানুষের সংস্কৃতি হিসেবে বিবেচিত এই যাত্রাপালা নিয়ে শিল্পকলা একাডেমি আয়োজন করছে ‘যাত্রা উৎসব-২০২৪’। আগামী ১ নভেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মুক্তমঞ্চে শুরু হবে ৭ দিনব্যাপী এই উৎসব।
২ দিন আগে