গাজী আব্দুল কুদ্দুস, ডুমুরিয়া
খুলনার ডুমুরিয়ায় দুটি খালে অবৈধভাবে বাঁধ ও নেটপাটা দিয়ে মাছ চাষের অভিযোগ উঠেছে প্রভাবশালীদের বিরুদ্ধে। এভাবে মাছ চাষে পানি নিষ্কাশনের পথ বন্ধ হওয়ায় ধান চাষ ব্যাহত হচ্ছে। উপজেলার আটলিয়া ও মাগুরাঘোনা ইউনিয়নভুক্ত ওড়াবুনিয়া বিলের মধুমারী ও বিষের খাল নামের দুটি খালের চিত্র এটি।
এ ঘটনায় এলাকার ভুক্তভোগী রবিউল ইসলাম মিঠুসহ লিখিত অভিযোগ ও সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ওড়াবুনিয়া বিলে এলাকার সাধারণ মানুষের অন্তত ২ হাজার একর ফসলি জমি রয়েছে। ওই জমিতে তাঁরা ধান ও মাছ চাষ করে জীবিকা নির্বাহ করেন। বিলের ভেতর দিয়ে বর্ষা মৌসুমে এলাকার পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা এবং শুষ্ক মৌসুমে ধান ও মাছ চাষাবাদের জন্য মধুমারী ও বিষের খাল নামক দুটি খাল রয়েছে।
কিন্তু কয়েক বছর ধরে মাগুরাঘোনা ইউনিয়ন পরিষদের ২ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো. মতিয়ার রহমান সরদার, দক্ষিণ চুকনগর গ্রামের প্রভাবশালী ব্যক্তি আলতাপ হোসেন শেখ, চাকুন্দিয়া গ্রামের আলমগীর শেখ, নরনিয়া গ্রামের সিরাজুল ইসলাম শেখ, মালতিয়া গ্রামের জব্বার মল্লিক ও আব্দুল হালিম মোড়ল, মাগুরাঘোনা গ্রামের সোহেল শেখসহ কতিপয় জমির মালিক তাঁদের জমির পাশ দিয়ে প্রবাহিত খাল দুটির বিভিন্ন অংশে অবৈধভাবে বাঁধ, পাটা দিয়ে ঘের তৈরি করে মাছ চাষ করছেন।
এতে খাল দিয়ে পানি সরবরাহে বাধাগ্রস্ত হওয়ায় বর্ষা মৌসুমে বিলের মৎস্যঘের তলিয়ে ভেসে যাওয়া এবং ধানের চাষ ব্যাহত হচ্ছে। অপরদিকে মাগুরাঘোনা ইউনিয়নের বেতাগ্রাম, ঘোষড়া, কাঞ্চনপুর, হোগলাডাঙ্গা, মাগুরাঘোনা গ্রামসহ পার্শ্ববর্তী তালা উপজেলার কয়েকটি গ্রামের পানি নিষ্কাশনের একমাত্র পথ খাল দুটিতে বাঁধ থাকায় পানি বের হতে না পারায় নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে আসছে।
এ ছাড়া শুষ্ক মৌসুমে বিলের হাজার হাজার কৃষক তাঁদের উৎপাদিত ধান ও মাছ চাষাবাদের জন্য পানি পাওয়া থেকে বঞ্চিত হয়ে আসছেন। ফলে বিলে ফসল উৎপাদন মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে ভুক্তভোগী মাগুরাঘোনা এলাকার রবিউল ইসলাম মিঠু, বিমল চন্দ্র দাস, মো. আসাদুজ্জামানসহ আরও অনেকে জানান, ২০০৩ সালের দিকে এলাকায় সন্ত্রাসী বাহিনীর দাপট দেখিয়ে কতিপয় অসাধু ব্যক্তি সরকারি নদী-খাল জবর-দখল করে অবৈধভাবে ঘের তৈরি করে ভোগদখল করে আসছে। ২০১৮ সালের দিকে অতি বর্ষণে এলাকা প্লাবিত হওয়ার কারণে পানি নিষ্কাশনের জন্য স্থানীয় সংসদ সদস্য নারায়ণ চন্দ্র চন্দের নির্দেশনায় জেলা ও উপজেলা প্রশাসন দুটি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও এলাকার সাধারণ মানুষের স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে বাঁধ অপসারণ করে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করা হয়। কিছুদিন যেতে না যেতে আবারও সেই সব লোকজন খালে বাঁধ দিয়ে মাছ চাষ করে আসছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঘের মালিক আলতাপ শেখ বলেন, ‘বিলে আমার অনেক জমি। তাই যাতে খাল দিয়ে লবণ পানি উঠে ধানের ক্ষতি করতে না পারে, তার জন্য আমি খালে বাঁধ দিয়েছি। চার বছর আগে একবার এলাকার লোকজন বাঁধ কেটে দেওয়ায় বিলে লবণপানি ঢুকে ধানের ক্ষতি হয়েছিল।
বিষয়টি নিয়ে আমি এমপি স্যারকে জানালে তিনি খাল আবারও বেঁধে দিতে বলেন।’ সরকারি খালের জমি বৈধ কোনো বন্দোবস্ত নিয়েছেন কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমার কোনো বন্দোবস্ত নেওয়া নেই। আমার পূর্বপুরুষেরা এখানে ঘের দিয়ে মাছ চাষ করে আসছিল। আমিও সেই ধারাবাহিকতায় দখলে আছি।’
খুলনার ডুমুরিয়ায় দুটি খালে অবৈধভাবে বাঁধ ও নেটপাটা দিয়ে মাছ চাষের অভিযোগ উঠেছে প্রভাবশালীদের বিরুদ্ধে। এভাবে মাছ চাষে পানি নিষ্কাশনের পথ বন্ধ হওয়ায় ধান চাষ ব্যাহত হচ্ছে। উপজেলার আটলিয়া ও মাগুরাঘোনা ইউনিয়নভুক্ত ওড়াবুনিয়া বিলের মধুমারী ও বিষের খাল নামের দুটি খালের চিত্র এটি।
এ ঘটনায় এলাকার ভুক্তভোগী রবিউল ইসলাম মিঠুসহ লিখিত অভিযোগ ও সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ওড়াবুনিয়া বিলে এলাকার সাধারণ মানুষের অন্তত ২ হাজার একর ফসলি জমি রয়েছে। ওই জমিতে তাঁরা ধান ও মাছ চাষ করে জীবিকা নির্বাহ করেন। বিলের ভেতর দিয়ে বর্ষা মৌসুমে এলাকার পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা এবং শুষ্ক মৌসুমে ধান ও মাছ চাষাবাদের জন্য মধুমারী ও বিষের খাল নামক দুটি খাল রয়েছে।
কিন্তু কয়েক বছর ধরে মাগুরাঘোনা ইউনিয়ন পরিষদের ২ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো. মতিয়ার রহমান সরদার, দক্ষিণ চুকনগর গ্রামের প্রভাবশালী ব্যক্তি আলতাপ হোসেন শেখ, চাকুন্দিয়া গ্রামের আলমগীর শেখ, নরনিয়া গ্রামের সিরাজুল ইসলাম শেখ, মালতিয়া গ্রামের জব্বার মল্লিক ও আব্দুল হালিম মোড়ল, মাগুরাঘোনা গ্রামের সোহেল শেখসহ কতিপয় জমির মালিক তাঁদের জমির পাশ দিয়ে প্রবাহিত খাল দুটির বিভিন্ন অংশে অবৈধভাবে বাঁধ, পাটা দিয়ে ঘের তৈরি করে মাছ চাষ করছেন।
এতে খাল দিয়ে পানি সরবরাহে বাধাগ্রস্ত হওয়ায় বর্ষা মৌসুমে বিলের মৎস্যঘের তলিয়ে ভেসে যাওয়া এবং ধানের চাষ ব্যাহত হচ্ছে। অপরদিকে মাগুরাঘোনা ইউনিয়নের বেতাগ্রাম, ঘোষড়া, কাঞ্চনপুর, হোগলাডাঙ্গা, মাগুরাঘোনা গ্রামসহ পার্শ্ববর্তী তালা উপজেলার কয়েকটি গ্রামের পানি নিষ্কাশনের একমাত্র পথ খাল দুটিতে বাঁধ থাকায় পানি বের হতে না পারায় নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে আসছে।
এ ছাড়া শুষ্ক মৌসুমে বিলের হাজার হাজার কৃষক তাঁদের উৎপাদিত ধান ও মাছ চাষাবাদের জন্য পানি পাওয়া থেকে বঞ্চিত হয়ে আসছেন। ফলে বিলে ফসল উৎপাদন মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে ভুক্তভোগী মাগুরাঘোনা এলাকার রবিউল ইসলাম মিঠু, বিমল চন্দ্র দাস, মো. আসাদুজ্জামানসহ আরও অনেকে জানান, ২০০৩ সালের দিকে এলাকায় সন্ত্রাসী বাহিনীর দাপট দেখিয়ে কতিপয় অসাধু ব্যক্তি সরকারি নদী-খাল জবর-দখল করে অবৈধভাবে ঘের তৈরি করে ভোগদখল করে আসছে। ২০১৮ সালের দিকে অতি বর্ষণে এলাকা প্লাবিত হওয়ার কারণে পানি নিষ্কাশনের জন্য স্থানীয় সংসদ সদস্য নারায়ণ চন্দ্র চন্দের নির্দেশনায় জেলা ও উপজেলা প্রশাসন দুটি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও এলাকার সাধারণ মানুষের স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে বাঁধ অপসারণ করে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করা হয়। কিছুদিন যেতে না যেতে আবারও সেই সব লোকজন খালে বাঁধ দিয়ে মাছ চাষ করে আসছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঘের মালিক আলতাপ শেখ বলেন, ‘বিলে আমার অনেক জমি। তাই যাতে খাল দিয়ে লবণ পানি উঠে ধানের ক্ষতি করতে না পারে, তার জন্য আমি খালে বাঁধ দিয়েছি। চার বছর আগে একবার এলাকার লোকজন বাঁধ কেটে দেওয়ায় বিলে লবণপানি ঢুকে ধানের ক্ষতি হয়েছিল।
বিষয়টি নিয়ে আমি এমপি স্যারকে জানালে তিনি খাল আবারও বেঁধে দিতে বলেন।’ সরকারি খালের জমি বৈধ কোনো বন্দোবস্ত নিয়েছেন কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমার কোনো বন্দোবস্ত নেওয়া নেই। আমার পূর্বপুরুষেরা এখানে ঘের দিয়ে মাছ চাষ করে আসছিল। আমিও সেই ধারাবাহিকতায় দখলে আছি।’
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৩ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৩ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৩ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৩ দিন আগে