Ajker Patrika

মহাসড়কে খানাখন্দ, দুর্ভোগ

শাহাদাত হোসেন, ভেদরগঞ্জ (শরীয়তপুর)
আপডেট : ১৬ আগস্ট ২০২২, ১০: ০৪
মহাসড়কে খানাখন্দ, দুর্ভোগ

পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পরেই খুলে গেছে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ভাগ্যের চাকা। বেড়েছে খেটে খাওয়া মানুষের ব্যস্ততা। শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলার ওপর দিয়ে গেছে শরীয়তপুর-চাঁদপুর আঞ্চলিক মহাসড়ক। খুলনা-চট্টগ্রাম যাতায়াতে এটিই একমাত্র মাধ্যম।

শরীয়তপুর-চাঁদপুর মহাসড়কের ভেদরগঞ্জ ও সখীপুরের বিভিন্ন অংশের খানাখন্দে সামান্য বৃষ্টি হলেই পানি জমে যায়। বৃষ্টি কমলে নিম্নমানের বিটুমিন দিয়ে দায়সারা সংস্কার করা হয় বলে অভিযোগ। ফলে বৃষ্টি হলে আবারও আগের অবস্থা তৈরি হয়।

গত তিন দিনের টানা বৃষ্টিতে মহাসড়কের বিভিন্ন অংশে অসংখ্য নতুন ছোট-বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। গর্তের কারণে যানবাহন এঁকেবেঁকে চলাচল করছে। যেকোনো মুহূর্তে ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। এতে গাড়িতে থাকা যাত্রীরা যেমন ঝুঁকিতে রয়েছে, তেমনি পথচারীরাও।

গত রোববার সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ টেকের বাজার ন্যাশনাল ব্যাংক মোড় এলাকায় সড়কে প্রায় ২০০ গণপরিবহন ও ট্রাকের সারি। গত শনিবার সড়কে বালু ও মাটি দেওয়ায় কাদা হয়ে গেছে। এ মোড়ের উভয় পাশে সৃষ্টি হয়েছে অসংখ্য গর্ত। ফলে ঝুঁকিপূর্ণ মোড়েও এঁকেবেঁকে যানবাহন চলাচল করতে হয়।

শুধু তা-ই নয়, উপজেলার টেকেরহাট থেকে শুরু হয়ে আলুর বাজার ফেরিঘাট পর্যন্ত মহাসড়কের বিভিন্ন অংশজুড়ে শত শত গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এ ছাড়া অনেক সময় যানবাহনের চাকা গর্তে পড়ায় জমে থাকা কাদা-পানি পথচারীদের শরীরে ছিটকে পড়ছে।

সোহেল সরদার নামের এক ব্যক্তি বলেন, রোববার সকাল থেকে ছয় ঘণ্টা যানজট। হেঁটে যাওয়াও কষ্টকর। দিনে যেমন তেমন, রাত হলেই মোটরসাইকেল নিয়ে এ সড়ক দিয়ে চলাচল করা আরও কষ্টকর হয়ে পড়ে। গর্তের আকার বোঝাই মুশকিল। বেশ কয়েকবার গর্তে পড়ে দুর্ঘটনার শিকার হয়েছেন।

ঢাকার গুলিস্তান-ফুলবাড়িয়া থেকে ভেদরগঞ্জ বাসস্ট্যান্ডে আসা বিআরটিসির বাসচালক ইয়াকুব হোসেন বলেন, ‘পদ্মা সেতু থেকে নামলেই বোঝা যায় কত ধানে কত চাল। রাস্তা এত ছোট যে একটা বাস এলে আরেকটা বাস পাস করা কষ্টকর। অনেক বাস খাদে পড়ে দুর্ঘটনা ঘটে। শরীয়তপুর পার হলে শরীয়তপুর-চাঁদপুর মহাসড়ক তো আরও বেহাল। অনেক কষ্টে চালাইয়া আসলাম ভেদরগঞ্জ।’

ট্রাকচালক কবির বলেন, সামান্য বৃষ্টি হলেই শরীয়তপুর-চাঁদপুর মহাসড়কের ভেদরগঞ্জে দুর্ভোগের শেষ থাকে না। সড়ক সংস্কার করলেও বেশি দিন ভালো থাকে না। সড়কে আবারও গর্ত হয়।

জেলা সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী ভুইয়া রেদওয়ানুল রহমান বলেন, নতুন করে শরীয়তপুর-চাঁদপুর চার লেন মহাসড়ক সংস্কারের কাজ চলমান রয়েছে। তাই এই সড়কের কোনো বরাদ্দ হয়নি। পদ্মা সেতু চালু হয়েছে, তাই সড়কে একটু যানজট বেশি দেখা যাচ্ছে। তিন বছর মেয়াদি উন্নয়নের সীমিত বরাদ্দ এলে এই সড়ক সংস্কার করা হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত