সাজিদ মোহন
বর্ষা এলেই সবার আগে খুঁজে নিতে হয় ছাতা। ছাতার সবচেয়ে বেশি ব্যবহার হয় বৃষ্টির দিনে। অথচ ইতিহাস বলে, বৃষ্টি নয়, রোদ ঠেকানোর কাজে ব্যবহারের জন্যই মূলত ছাতা আবিষ্কৃত হয়েছিল।
কেউ বলেন মিসর, কেউ বলেন চীন ছাতা আবিষ্কার করেছে। প্রায় চার হাজার বছর আগের ইতিহাস বলছে, মিসর, গ্রিস ও চীনের চিত্রকর্মে ছাতার নিদর্শন রয়েছে। মিসরীয় চিত্রলিপিতে এবং সমাধি-মন্দিরে আঁকা থেকে বোঝা যায়, ২৫০০ থেকে ২৪০০ খ্রিষ্টপূর্বের দিকে রাজা ও দেবতাদের ছায়াদানের জন্য ছাতা ব্যবহার করা হতো। আজকের মতো সেগুলো অবশ্য গোলগাল ছিল না। ছিল চার কোনা সমতল। তেল মাখানো বা মোম দেওয়া কাগজ দিয়ে ছাতাকে পানিরোধক করার কর্মটি প্রথম করেছিল চীন। সে সময় ছাতার কাঠামো হিসেবে ব্যবহৃত হতো বাঁশ বা মালবেরিগাছের বাকল।
ছাতার ইতিহাসের সঙ্গে রাজকীয় বিষয়-আশয় জড়িত। অতীতে কেবল অভিজাত ব্যক্তিরাই ছাতা ব্যবহার করতে পারত। বাংলাদেশেও অতীতে আমজনতা ছাতা ব্যবহারের অধিকার রাখত না। বৃষ্টি-বাদলার দিনে তাদের ভরসা হতো মাথাল, টোকা বা কচুর পাতা। গ্রামের বিত্ত ও ক্ষমতাবানেরাই কেবল ছাতা ব্যবহার করতে পারত। জমিদারবাড়ির সামনে দিয়ে ছাতা মাথায় যেতে পারত না সাধারণ মানুষ। ছাতা ভাঁজ করে বগলের নিচে রেখে, জুতা হাতে নিয়ে মাথা নিচু করে হেঁটে যেতে হতো। ধনী ও অভিজাত সম্প্রদায়ের ধন ও আভিজাত্যের প্রতীক ছাতা থাকলেও, বাঙালি মধ্যবিত্তের শিক্ষিত সন্তানেরা একালে ছাতা বহন করতে লজ্জা পায়—ছাতা হাতে নিলে গেঁয়ো গেঁয়ো লাগে।
নারী-পুরুষ সবাই এখন ছাতা ব্যবহার করলেও মাত্র ৩০০ বছর আগে লন্ডনে ছাতা ছিল নারীদের ব্যবহার্য, এটা পুরুষকে মানায় না। এই প্রথাকে ইতর প্রথা বলে মনে করত রাজতন্ত্রের ছাতার ছায়ায় বেড়ে ওঠা ইংল্যান্ডের গণতান্ত্রিক মানুষেরা। ফ্রান্স ঘুরে এসে বিশিষ্ট ভ্রমণকারী, লেখক জোনাস হ্যানওয়ে ইংল্যান্ডের কুসংস্কারকে ঠেলে ছাতা মাথায় প্রথম পুরুষ হিসেবে রাস্তায় নামলেন। সমালোচনার ঝড় উঠল বিভিন্ন মহল থেকে। ধর্ম ও চার্চের অনুগতরা মনে করলেন, ছাতা মেলে দিয়ে হ্যানওয়ে ঈশ্বরের সঙ্গে একটা দূরত্ব সৃষ্টি করে ফেলেছেন। ঈশ্বর প্রদত্ত রোদ ও বৃষ্টি নিজের পায়ে ধারণ না করে তা প্রতিহত করা ঈশ্বরের আদেশ তামিল না করার তুল্য অপরাধ!
ছাতা মাথায় চলছেন নাসিরুদ্দিন হোজ্জা। সঙ্গে তাঁর এক বন্ধু। ছাতা হোজ্জার। কওয়া নেই, বলা নেই, বৃষ্টি এল ঝমঝমিয়ে। বেগতিক দেখে বন্ধু ছুটলেন। হোজ্জা তাঁকে থামালেন, ‘বৃষ্টি আল্লাহর রহমত না?’ বন্ধু হ্যাঁ-সূচক মাথা নাড়লেন। ‘তাহলে ভাগছ কেন?’ এবার বললেন হোজ্জা। বন্ধু নিরুত্তর। ভিজতে ভিজতে চললেন।
সব দিন সমান যায় না। কদিন পরের কথা। ছাতা বন্ধুর। তাঁর সঙ্গে চলছেন হোজ্জা। আবারও বৃষ্টি এল। এবার পাগড়ি সামাল নিয়ে দৌড় দিলেন হোজ্জা। বন্ধু তাঁকে থামানোর চেষ্টা করলেন, ‘হোজ্জা করো কী? বৃষ্টি দেখে ভাগছ কেন? ও কী আল্লাহর রহমত নয়?’
‘ভাই রে, সে জন্যই তো এই দৌড়। আল্লাহর রহমত যত পায়ের নিচে কম পড়ে, ততই ভালো। তাই না?’ না থেমেই হোজ্জার জবাব।
মানবজাতি এখন দুই ভাগে বিভক্ত, যারা ছাতা কেনে, আর যারা ছাতা কেনে না। জীবনে একবারও ছাতা হারায়নি এমন মানুষ পৃথিবীতে বিরল। আবার ভুল করে অন্যের ছাতা নিয়ে আসার ঘটনাও প্রতিনিয়ত ঘটে। বর্ষণ সামলাতে ছাতা ধার নিয়ে ফেরত দিতেই যত আলসেমি। বিখ্যাত কবি ও রম্যলেখক তারাপদ রায়ের অনবদ্য গল্প ছাতা। মেঘনাদবাবুকে চিঠিতে ঘনশ্যাম লিখেছেন,
প্রিয় মেঘনাদবাবু,
গত শনিবার রাতে খুব বৃষ্টির সময় আমাদের বাড়ি থেকে ফিরে যাওয়ার জন্য আমাদের চাকর পাশের বাড়ি থেকে যে ছাতাটি আপনাকে চেয়ে এনে দিয়েছিল, সেই ছাতাটি পাশের বাড়ির ভদ্রলোক আজ চাইতে এসেছিলেন। ভদ্রলোক বললেন, ছাতাটি তিনি তাঁর অফিসের বড়বাবুর কাছ থেকে নিয়ে এসেছিলেন, বড়বাবুকে বড়বাবুর ভায়রাভাই খুব চাপ দিচ্ছেন ছাতাটির জন্য, কারণ বড়বাবুর ভায়রাভাই যে বন্ধুর কাছ থেকে ছাতাটি আনেন, সেই বন্ধুর মামা তাঁর ছাতাটি ফেরত চাইছেন।
দয়া করে মনে কিছু করবেন না। আমাদের নিজের ছাতা না থাকায় পাশের বাড়ি থেকে ছাতাটা ধার করে নিয়ে এসেছিলাম। তাই এই জটিলতার জন্য আমরা নিজেরাও খুব সংকোচ বোধ করছি। এই সামান্য ব্যাপারে আপনাকে নিশ্চয়ই তাগাদা দিতাম না।ছাতাটি পত্রবাহকের হাতে ফেরত দিয়ে বাধিত করবেন। আবারও বলছি, মনে কিছু করবেন না। এইমাত্র পাশের বাড়ির ভদ্রলোক আবার তাঁর চাকর পাঠিয়ে তাগাদা দিলেন।
ইতি
আপনাদের ঘনশ্যাম
বলা বাহুল্য, মেঘনাদবাবুর পক্ষে ছাতাটি ফেরত দেওয়া সম্ভব হয়নি। কারণ ওই ছাতা নিয়ে পরের দিন সকালে মেঘনাদবাবুর ছেলে বাজারে যায় এবং ফেরার পথে যখন বৃষ্টি থেমে গেছে, বাজারের পাশের চায়ের স্টলে এক কাপ চা খেতে গিয়ে সেখানে ফেলে আসে। পরে অবশ্য চায়ের দোকানদার ছাতার কথা অস্বীকার করেননি, কিন্তু সেদিনই দুপুরে আবার যখন বৃষ্টি আসে, তখন দোকানদার মশাই সেটা মাথায় দিয়ে বাড়ি যান ভাত খেতে। বিকেলে সেই ছাতা নিয়ে দোকানদার মশাইয়ের ভাই খেলার মাঠে যান। খেলার মাঠ থেকে ফেরার পথে ভাইটি তাঁর বান্ধবীর বাড়ি যান। সেখানে ছাতাটি রেখে আসেন, কিন্তু এখন সেই বান্ধবীর বাড়িতে ছাতাটি খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। কোথায় গেল কিছুই বোঝা যাচ্ছে না।
লেখক: শিশুসাহিত্যিক
বর্ষা এলেই সবার আগে খুঁজে নিতে হয় ছাতা। ছাতার সবচেয়ে বেশি ব্যবহার হয় বৃষ্টির দিনে। অথচ ইতিহাস বলে, বৃষ্টি নয়, রোদ ঠেকানোর কাজে ব্যবহারের জন্যই মূলত ছাতা আবিষ্কৃত হয়েছিল।
কেউ বলেন মিসর, কেউ বলেন চীন ছাতা আবিষ্কার করেছে। প্রায় চার হাজার বছর আগের ইতিহাস বলছে, মিসর, গ্রিস ও চীনের চিত্রকর্মে ছাতার নিদর্শন রয়েছে। মিসরীয় চিত্রলিপিতে এবং সমাধি-মন্দিরে আঁকা থেকে বোঝা যায়, ২৫০০ থেকে ২৪০০ খ্রিষ্টপূর্বের দিকে রাজা ও দেবতাদের ছায়াদানের জন্য ছাতা ব্যবহার করা হতো। আজকের মতো সেগুলো অবশ্য গোলগাল ছিল না। ছিল চার কোনা সমতল। তেল মাখানো বা মোম দেওয়া কাগজ দিয়ে ছাতাকে পানিরোধক করার কর্মটি প্রথম করেছিল চীন। সে সময় ছাতার কাঠামো হিসেবে ব্যবহৃত হতো বাঁশ বা মালবেরিগাছের বাকল।
ছাতার ইতিহাসের সঙ্গে রাজকীয় বিষয়-আশয় জড়িত। অতীতে কেবল অভিজাত ব্যক্তিরাই ছাতা ব্যবহার করতে পারত। বাংলাদেশেও অতীতে আমজনতা ছাতা ব্যবহারের অধিকার রাখত না। বৃষ্টি-বাদলার দিনে তাদের ভরসা হতো মাথাল, টোকা বা কচুর পাতা। গ্রামের বিত্ত ও ক্ষমতাবানেরাই কেবল ছাতা ব্যবহার করতে পারত। জমিদারবাড়ির সামনে দিয়ে ছাতা মাথায় যেতে পারত না সাধারণ মানুষ। ছাতা ভাঁজ করে বগলের নিচে রেখে, জুতা হাতে নিয়ে মাথা নিচু করে হেঁটে যেতে হতো। ধনী ও অভিজাত সম্প্রদায়ের ধন ও আভিজাত্যের প্রতীক ছাতা থাকলেও, বাঙালি মধ্যবিত্তের শিক্ষিত সন্তানেরা একালে ছাতা বহন করতে লজ্জা পায়—ছাতা হাতে নিলে গেঁয়ো গেঁয়ো লাগে।
নারী-পুরুষ সবাই এখন ছাতা ব্যবহার করলেও মাত্র ৩০০ বছর আগে লন্ডনে ছাতা ছিল নারীদের ব্যবহার্য, এটা পুরুষকে মানায় না। এই প্রথাকে ইতর প্রথা বলে মনে করত রাজতন্ত্রের ছাতার ছায়ায় বেড়ে ওঠা ইংল্যান্ডের গণতান্ত্রিক মানুষেরা। ফ্রান্স ঘুরে এসে বিশিষ্ট ভ্রমণকারী, লেখক জোনাস হ্যানওয়ে ইংল্যান্ডের কুসংস্কারকে ঠেলে ছাতা মাথায় প্রথম পুরুষ হিসেবে রাস্তায় নামলেন। সমালোচনার ঝড় উঠল বিভিন্ন মহল থেকে। ধর্ম ও চার্চের অনুগতরা মনে করলেন, ছাতা মেলে দিয়ে হ্যানওয়ে ঈশ্বরের সঙ্গে একটা দূরত্ব সৃষ্টি করে ফেলেছেন। ঈশ্বর প্রদত্ত রোদ ও বৃষ্টি নিজের পায়ে ধারণ না করে তা প্রতিহত করা ঈশ্বরের আদেশ তামিল না করার তুল্য অপরাধ!
ছাতা মাথায় চলছেন নাসিরুদ্দিন হোজ্জা। সঙ্গে তাঁর এক বন্ধু। ছাতা হোজ্জার। কওয়া নেই, বলা নেই, বৃষ্টি এল ঝমঝমিয়ে। বেগতিক দেখে বন্ধু ছুটলেন। হোজ্জা তাঁকে থামালেন, ‘বৃষ্টি আল্লাহর রহমত না?’ বন্ধু হ্যাঁ-সূচক মাথা নাড়লেন। ‘তাহলে ভাগছ কেন?’ এবার বললেন হোজ্জা। বন্ধু নিরুত্তর। ভিজতে ভিজতে চললেন।
সব দিন সমান যায় না। কদিন পরের কথা। ছাতা বন্ধুর। তাঁর সঙ্গে চলছেন হোজ্জা। আবারও বৃষ্টি এল। এবার পাগড়ি সামাল নিয়ে দৌড় দিলেন হোজ্জা। বন্ধু তাঁকে থামানোর চেষ্টা করলেন, ‘হোজ্জা করো কী? বৃষ্টি দেখে ভাগছ কেন? ও কী আল্লাহর রহমত নয়?’
‘ভাই রে, সে জন্যই তো এই দৌড়। আল্লাহর রহমত যত পায়ের নিচে কম পড়ে, ততই ভালো। তাই না?’ না থেমেই হোজ্জার জবাব।
মানবজাতি এখন দুই ভাগে বিভক্ত, যারা ছাতা কেনে, আর যারা ছাতা কেনে না। জীবনে একবারও ছাতা হারায়নি এমন মানুষ পৃথিবীতে বিরল। আবার ভুল করে অন্যের ছাতা নিয়ে আসার ঘটনাও প্রতিনিয়ত ঘটে। বর্ষণ সামলাতে ছাতা ধার নিয়ে ফেরত দিতেই যত আলসেমি। বিখ্যাত কবি ও রম্যলেখক তারাপদ রায়ের অনবদ্য গল্প ছাতা। মেঘনাদবাবুকে চিঠিতে ঘনশ্যাম লিখেছেন,
প্রিয় মেঘনাদবাবু,
গত শনিবার রাতে খুব বৃষ্টির সময় আমাদের বাড়ি থেকে ফিরে যাওয়ার জন্য আমাদের চাকর পাশের বাড়ি থেকে যে ছাতাটি আপনাকে চেয়ে এনে দিয়েছিল, সেই ছাতাটি পাশের বাড়ির ভদ্রলোক আজ চাইতে এসেছিলেন। ভদ্রলোক বললেন, ছাতাটি তিনি তাঁর অফিসের বড়বাবুর কাছ থেকে নিয়ে এসেছিলেন, বড়বাবুকে বড়বাবুর ভায়রাভাই খুব চাপ দিচ্ছেন ছাতাটির জন্য, কারণ বড়বাবুর ভায়রাভাই যে বন্ধুর কাছ থেকে ছাতাটি আনেন, সেই বন্ধুর মামা তাঁর ছাতাটি ফেরত চাইছেন।
দয়া করে মনে কিছু করবেন না। আমাদের নিজের ছাতা না থাকায় পাশের বাড়ি থেকে ছাতাটা ধার করে নিয়ে এসেছিলাম। তাই এই জটিলতার জন্য আমরা নিজেরাও খুব সংকোচ বোধ করছি। এই সামান্য ব্যাপারে আপনাকে নিশ্চয়ই তাগাদা দিতাম না।ছাতাটি পত্রবাহকের হাতে ফেরত দিয়ে বাধিত করবেন। আবারও বলছি, মনে কিছু করবেন না। এইমাত্র পাশের বাড়ির ভদ্রলোক আবার তাঁর চাকর পাঠিয়ে তাগাদা দিলেন।
ইতি
আপনাদের ঘনশ্যাম
বলা বাহুল্য, মেঘনাদবাবুর পক্ষে ছাতাটি ফেরত দেওয়া সম্ভব হয়নি। কারণ ওই ছাতা নিয়ে পরের দিন সকালে মেঘনাদবাবুর ছেলে বাজারে যায় এবং ফেরার পথে যখন বৃষ্টি থেমে গেছে, বাজারের পাশের চায়ের স্টলে এক কাপ চা খেতে গিয়ে সেখানে ফেলে আসে। পরে অবশ্য চায়ের দোকানদার ছাতার কথা অস্বীকার করেননি, কিন্তু সেদিনই দুপুরে আবার যখন বৃষ্টি আসে, তখন দোকানদার মশাই সেটা মাথায় দিয়ে বাড়ি যান ভাত খেতে। বিকেলে সেই ছাতা নিয়ে দোকানদার মশাইয়ের ভাই খেলার মাঠে যান। খেলার মাঠ থেকে ফেরার পথে ভাইটি তাঁর বান্ধবীর বাড়ি যান। সেখানে ছাতাটি রেখে আসেন, কিন্তু এখন সেই বান্ধবীর বাড়িতে ছাতাটি খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। কোথায় গেল কিছুই বোঝা যাচ্ছে না।
লেখক: শিশুসাহিত্যিক
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৩ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৩ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৩ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৩ দিন আগে