শিকলে বাঁধা হৃদয়

ঝালকাঠি প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০১ জুন ২০২২, ০৬: ১৭
আপডেট : ০১ জুন ২০২২, ১৪: ৫৫

স্বজনদের আশা ছিল লেখাপড়া শেষ করে সংসারের হাল ধরবে হৃদয় হোসেন মীর। কিন্তু ২০১৮ সালে এইচএসসি পরীক্ষার সময় কথা-কাটাকাটির জেরে কয়েকজন সহপাঠী তাঁকে মাথায় আঘাত করেন। এতে গুরুতর চোট পান হৃদয়। তিনি হয়ে পড়েন মানসিক ভারসাম্যহীন। এরপর দীর্ঘ চিকিৎসায় সুস্থ হন। কিন্তু মাঝেমধ্যেই মানসিক ভারসাম্য হারান। এখন অবস্থা এমন যে তাঁকে শিকলে বেঁধে রাখতে হয়।

হৃদয় ঝালকাঠি সদর উপজেলার রাজাপুর গ্রামের রংমিস্ত্রি মোহাম্মদ তানজের আলী মীরের ছোট ছেলে।

তানজের আলী বলেন, ‘হৃদয় ২০১৬ সালে গ্রামের স্কুল থেকে এসএসসি পাস করে ভর্তি হয় জেলা শহরের একটি বেসরকারি কলেজে। ২০১৮ সালে এইচএসসি পরীক্ষার সময় কথা-কাটাকাটির জেরে কয়েকজন সহপাঠী তাকে মাথায় আঘাত করে। খবর পেয়ে তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু মানসিকভাবে ভারসাম্য হারিয়ে ফেলে সে।’ তিনি আরও বলেন, ‘বরিশালে দীর্ঘ চিকিৎসায় সেরে উঠে ২০১৮ সালে এইচএসসি পরীক্ষায়ও পাস করে হৃদয়। কিন্তু মাঝেমধ্যেই অসুস্থ হয়ে পড়ত। পরিবারকে আর্থিক সহযোগিতা করতে ৪ মাস আগে ঢাকায় যায় চাকরির সন্ধানে। কিন্তু সেখানে লোকজনের কাছে মার খেয়ে অসুস্থ হয়ে ফিরে আসতে হয় গ্রামের বাড়িতে। আর তখন থেকেই আবার মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলে হৃদয়।’

হৃদয়ের মা তাজনেহার বেগম বলেন, ‘বেঁধে না রাখলে হৃদয় সবাইকে মারধর করে। আশপাশের সবকিছু ভেঙে ফেলে। বাধ্য হয়ে ওর পায়ে শিকল দিয়ে বেঁধে রাখতে হয়েছে। চিকিৎসা করানোর মতো টাকা নাই।’

হৃদয়ের চিকিৎসার সহযোগিতায় এগিয়ে আসার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন হৃদয়ের মা-বাবা।

ঝালকাঠি সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক এইচ এম জহিরুল ইসলাম বলেন, ‘ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে এ মুহূর্তে হৃদয়ের সুচিকিৎসার ব্যবস্থা নেই।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত