বিয়ের চাপ দেওয়ায় খুন লাশ সেপটিক ট্যাংকে

ক্ষেতলাল (জয়পুরহাট) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৯ মে ২০২২, ০৮: ০৫
আপডেট : ২৯ মে ২০২২, ১৬: ০৭

নিখোঁজের এক মাস সাত দিন পর বিউটি বেগম নামের এক নারীর গলিত লাশ শৌচাগারের সেপটিক ট্যাংক থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে উজ্জ্বল নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে তিনি স্বীকার করেছেন, ঘনিষ্ঠতার সুবাদে বিউটি ২১ এপ্রিল রাতে তাঁর বাড়িতে যান। পরে বিয়ের জন্য চাপ দিলে কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে বিউটিকে তিনি শ্বাসরোধে হত্যা করেন।

উজ্জ্বলের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী গত শুক্রবার গভীর রাতে অভিযান চালিয়ে বিউটির লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বিউটি বেগমের বাড়ি বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার সৈয়দ দামগড়া গ্রামে। জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলার শিবপুর পূর্বপাড়া গ্রামের উজ্জ্বল হোসেনের সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠতা থাকায় ক্ষেতলালে ২১ এপ্রিল আসেন। ওই দিন বিউটি তাঁকে বিয়ে করার জন্য চাপ দিতে থাকলে তাঁদের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে বিউটিকে শ্বাসরোধে হত্যার পর সেপটিক ট্যাংকে লাশ ফেলে রাখেন।

সেদিন থেকে বিউটি নিখোঁজ হলে পরিবারের পক্ষ থেকে বগুড়ার শাজাহানপুর থানায় অভিযোগ করা হয়। এরপর বগুড়া জেলা পুলিশ বিউটির হারানো মোবাইল ফোনের কললিস্টের সূত্র ধরে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে উজ্জ্বলকে বগুড়া শহর থেকে শুক্রবার দিবাগত রাতে গ্রেপ্তার করে। উজ্জ্বলের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ওই দিন রাতে অভিযান চালিয়ে বগুড়া ও ক্ষেতলাল থানা-পুলিশ বিউটি বেগমের মরদেহ উদ্ধার করে।

এ সময় বগুড়া সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শরাফত ইসলামসহ একদল ডিবি পুলিশ সেখানে উপস্থিত ছিলেন।

ক্ষেতলাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রওশন ইয়াজদানী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘স্থানীয় থানা হিসেবে আমরা তাঁদের সহযোগিতা করেছি। পুরো অভিযান বগুড়া জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে করা হয়েছে। এ বিষয়ে ক্ষেতলাল থানায় বিউটি বেগমের ভাই বাবুল বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা করেন। উজ্জ্বলকে আগামীকাল (রোববার) আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হবে।’

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত