ইলিয়াস কমল, ঢাকা
ফুটবল-পৃথিবী এখন ডুবে আছে পিনপতন নীরবতায়। ফুটবল সম্রাটকে হারিয়ে শোকাহত ফুটবলপ্রেমীরা। ফুটবল মাঠে তুলির আঁচড় দেওয়া এদসন আরান্তেস দো নাসিমেন্তো—পেলে শুধুই একটি নাম নয়, ফুটবলের বড় শুভেচ্ছাদূত।
ফুটবলের সবচেয়ে গৌরবোজ্জ্বল ও বর্ণাঢ্য জীবন তাঁকে এমন উচ্চতায় নিয়ে গেছে, তাঁকে স্পর্শ করা প্রায় অসম্ভব। একজন মানুষ কর্মসাফল্যে কত বড় ব্র্যান্ড হতে পারেন, পেলে সেটির সেরা উদাহরণ। যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রিগ্যান এমনি এমনি বলেননি, ‘আমি রোনাল্ড রিগ্যান, আমেরিকার প্রেসিডেন্ট। আপনার পরিচয় দেওয়ার দরকার নেই। কারণ, সবাই জানে পেলে কে।’ সাও পাওলোর বাউরুতে বেড়ে ওঠা দারিদ্র্যপীড়িত শৈশবে কিছুটা বাড়তি আয়ের জন্য কাজ করতেন চায়ের দোকানে। স্কুলের দিনগুলোয় ডাকনাম ‘পেলে’ পেয়েছিলেন। পরে এ পেলে নামটাই যেন হয়ে গেল ‘রাজা’র সমার্থক শব্দ!
ছেলেবেলায় স্ট্রাইকার হিসেবে তিনি এতটাই ভালো ছিলেন, অনেক সময় দুই দলের শক্তির ভারসাম্য রাখতে তাঁকে গোলকিপিংয়ে দাঁড় করানো হতো। ছেলেবেলায় আসল ফুটবল কিনতে না পেরে অনেক সময় মোজার ভেতর কাগজ পুরেও ফুটবল বানিয়ে খেলেছেন।শৈশব-কৈশোরে অনেক অপেশাদার ক্লাবে খেলার সময়ই ছড়িয়ে পড়ে তাঁর প্রতিভার স্ফুরণ।
১৪ বছর বয়সে বড়দের সঙ্গে এক টুর্নামেন্টে খেলে সর্বোচ্চ গোলদাতা হয়েছিলেন। এখান থেকেই শুরু হয় তাঁর পেশাদার ফুটবলে পথচলা। ১৯৫৬ সালে বাউরুর স্থানীয় কোচ ওয়ালদেমার দে ব্রিটো পেলেকে নিয়ে গেলেন সান্তোস ফুটবল ক্লাবে। অনুশীলনে সান্তোসের কোচ লুইস আলোন্সো পেরেস ১৫ বছর বয়সী কিশোর ফুটবলারকে দারুণ পছন্দ করেন। ওই বছরের জুনে সান্তোসের সঙ্গে পেশাদার চুক্তি হয় পেলের।
পেলের সেরা উক্তি
আমার জন্মই হয়েছে ফুটবল খেলার জন্য, যেমন বেটোফেন জন্মেছিলেন সংগীত সৃষ্টির জন্য আর মিকেলেঞ্জেলো ছবি আঁকার জন্য।
ফুটবল খেলা পৃথিবীর সকল শিশুই পেলে হতে চায়। তাদের প্রতি আমার সর্বোচ্চ দায়বদ্ধতা রয়েছে, শুধু খেলোয়াড় হিসেবেই নয় মানুষ হিসেবেও।
পৃথিবীতে যা আছে সবই খেলা। শেষ হয়ে যায়। মৃত্যুতে আমাদের শেষ হবে। আমাদের সবারই শেষ হবে মৃত্যু দিয়ে, তাই নয় কি?
জুনিয়র দল থেকে দ্রুতই তাঁকে সিনিয়র দলে তুলে আনা হয় এবং ১৯৫৬ সালের ৭ সেপ্টেম্বর সিনিয়র দলের হয়ে অভিষেক হয়ে যায় তাঁর। করিন্থিয়ান্সের বিপক্ষে ৭-১ গোলের জয়ে সেদিন প্রথম গোলটি করেন পেলেই। মাত্র ১৫ বছর বয়সে সান্তোসের হয়ে পেশাদারি ফুটবলে অভিষেক হয় পেলের। বিস্ময়বালক শুঁয়াপোকা থেকে ডানা মেলা প্রজাপতি হয়ে ওঠেন তিনি। সান্তোসের হয়ে অভিষেকের দুই বছর পর ব্রাজিলের জার্সিতে শুরু হয় যাত্রা। ১৯৫৮ তাঁর প্রথম বিশ্বকাপ। সে বিশ্বকাপে গড়েন সর্বকনিষ্ঠ (১৭ বছর ২৩৯ দিন) ফুটবলার হিসেবে গোলের রেকর্ড। ১৯৫৯ সালে দক্ষিণ আমেরিকান চ্যাম্পিয়নশিপে (বর্তমানে যা কোপা আমেরিকা নামে পরিচিত) সর্বোচ্চ গোলদাতা ও সেরা ফুটবলার হন পেলে। ১৯৬১ সালে সান্তোসের হয়ে ফ্লুমিনেন্সের বিপক্ষে এমন এক গোল করেন, অবিশ্বাস্য ও অসাধারণ সেই গোলকে অনেকে মনে করেন ফুটবল ইতিহাসেরই সুন্দরতম গোল।
মেক্সিকোয় ১৯৭০ বিশ্বকাপের ফাইনালে প্রথম গোলটি করার পর সতীর্থ জেয়ারজিনহোর কাঁধে চড়ে বসেন তিনি, যেটি ফুটবলেরই এক আইকনিক ছবি। ২১ বছরের খেলোয়াড়ি জীবনে অসংখ্য অর্জন তাঁর ঝুলিতে। ১ হাজার ৩৬৩ ম্যাচ খেলে ১ হাজার ২৮১ গোল করেছেন। একমাত্র ফুটবলার হিসেবে জিতেছেন তিনটি বিশ্বকাপ। ২০০০ সালে শতাব্দীর সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হন তিনি।
এত এত কীর্তি যাঁর, গত পরশু মৃত্যুর পর তাঁকে নিয়ে স্পেনের এল পাইস পত্রিকা যথার্থই শিরোনাম করেছে, ‘পেলে, চার অক্ষরে বিশ্ব ফুটবল।’
কিংবদন্তির এক জীবন
জন্ম: ২৩ অক্টোবর ১৯৪০, মৃত্যু: ২৯ ডিসেম্বর ২০২২
পেশাদার ক্যারিয়ার শুরু: ১৯৫৬ সালে সান্তোসের হয়ে।
জাতীয় দলে অভিষেক: ১৯৫৭ সালে আর্জেন্টিনার বিপক্ষে।
অবসর: সব ধরনের ফুটবল থেকে ১৯৭৭ সালে।
তিনবার বিশ্বকাপ জয়: একমাত্র ফুটবলার হিসেবে রয়েছে তিনবার বিশ্বকাপ জয়ের রেকর্ড। ১৯৫৮, ১৯৬২ ও ১৯৭২ বিশ্বকাপ জিতে ফুটবল ইতিহাসে নিজেকে অনন্য উচ্চতায় তোলেন এই কিংবদন্তি।
সর্বকনিষ্ঠ হিসেবে আন্তর্জাতিক গোল: ১৯৫৭ সালের ৭ জুলাই মারাকানায় আর্জেন্টিনার বিপক্ষে প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেন পেলে। সেই ম্যাচে ১৬ বছর ৯ মাস বয়সে ব্রাজিলের হয়ে নিজের প্রথম গোল করেন তিনি।
বিশ্বকাপে সর্বকনিষ্ঠ খেলোয়াড় হিসেবে গোল: ১৯৫৮ বিশ্বকাপে কোয়ার্টার ফাইনালে ওয়েলসের বিপক্ষে গোল করার সময় তাঁর বয়স ছিল ১৭ বছর ২৩৯ দিন। ওই গোলের সুবাদেই ম্যাচ জিতেছিল ব্রাজিল।
সর্বকনিষ্ঠ হিসেবে বিশ্বকাপ জয়: কনিষ্ঠতম খেলোয়াড় হিসেবে ১৯৫৮ বিশ্বকাপের ফাইনালে সুইডেনকে ৫-২ গোলে হারায় ব্রাজিল। পেলে নিজেও করেছিলেন দুটি গোল। সেই সময় তাঁর বয়স ছিল ১৭ বছর ২৪৯ দিন।
বিশ্বকাপে সর্বকনিষ্ঠ হিসেবে হ্যাটট্রিক: ১৯৫৮ সালের বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে ফ্রান্সের বিপক্ষে হ্যাটট্রিক করেন ‘কালো মানিক’। সেই সময় তাঁর বয়স ছিল ১৭ বছর ২৪৪ দিন।
আইকনিক ছবি ও উদ্যাপন: ১৯৭০ বিশ্বকাপের ফাইনালে ইতালির বিপক্ষে প্রথম গোল করার পর ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তি জেয়ারজিনহোর কোলে উঠে গোল উদ্যাপন করেন পেলে। যা ফুটবল ইতিহাসে আইকনিক উদ্যাপন ও ছবি হিসেবে তকমা পায়।
পেলের গোল: ২০১৫ সালে পেলে এক টুইটে জানান, তাঁর গোলের সংখ্যা ১ হাজার ২৮৩। তবে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে ১ হাজার ৩৬৩ ম্যাচে ১ হাজার ২৭৯ গোল করেছেন বলে উল্লেখ আছে। পেলের গোল নিয়ে বিতর্কও রয়েছে। তাঁর অফিশিয়াল গোল ৭৫৭টি।
ব্রাজিলের হয়ে গোল: ব্রাজিলের জার্সিতে করেছেন ৯২ ম্যাচে ৭৭ গোল। কাতার বিশ্বকাপে সেই রেকর্ড ছুঁয়েছেন নেইমার।
বিশ্বকাপ গোল: বিশ্বকাপে ব্রাজিলের হয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১২ গোল করেছেন পেলে। আটটি অ্যাসিস্টও আছে তাঁর।
ক্লাবের হয়ে গোল: ১৯৫৬-১৯৭৪ পর্যন্ত সান্তোসের হয়ে ৬৩৬ ম্যাচ খেলে ৬১৮ গোল করেন পেলে। ১৯৭৫ সালে যোগ দেন কসমসে। মার্কিন ক্লাবটির হয়ে ১১১ ম্যাচে তাঁর ৬৫ গোল।
একই ম্যাচে দুই দলের হয়ে খেলেছেন: ১৯৭৭ সালে নিজের ফুটবল ক্যারিয়ারে শেষ ম্যাচ খেলেন পেলে। দীর্ঘদিন ব্রাজিলের ক্লাব সান্তোসের হয়ে খেলার পর ১৯৭৫ সালে নিউইয়র্ক কসমসে যোগ দেন তিনি। কসমস এবং সান্তোসের মধ্যে একটি প্রদর্শনী ম্যাচই ছিল পেলের শেষ ম্যাচ। সেই ম্যাচে কসমসের হয়ে প্রথমার্ধ এবং সান্তোসের হয়ে দ্বিতীয়ার্ধ খেলেন এই কিংবদন্তি।
ফুটবল-পৃথিবী এখন ডুবে আছে পিনপতন নীরবতায়। ফুটবল সম্রাটকে হারিয়ে শোকাহত ফুটবলপ্রেমীরা। ফুটবল মাঠে তুলির আঁচড় দেওয়া এদসন আরান্তেস দো নাসিমেন্তো—পেলে শুধুই একটি নাম নয়, ফুটবলের বড় শুভেচ্ছাদূত।
ফুটবলের সবচেয়ে গৌরবোজ্জ্বল ও বর্ণাঢ্য জীবন তাঁকে এমন উচ্চতায় নিয়ে গেছে, তাঁকে স্পর্শ করা প্রায় অসম্ভব। একজন মানুষ কর্মসাফল্যে কত বড় ব্র্যান্ড হতে পারেন, পেলে সেটির সেরা উদাহরণ। যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রিগ্যান এমনি এমনি বলেননি, ‘আমি রোনাল্ড রিগ্যান, আমেরিকার প্রেসিডেন্ট। আপনার পরিচয় দেওয়ার দরকার নেই। কারণ, সবাই জানে পেলে কে।’ সাও পাওলোর বাউরুতে বেড়ে ওঠা দারিদ্র্যপীড়িত শৈশবে কিছুটা বাড়তি আয়ের জন্য কাজ করতেন চায়ের দোকানে। স্কুলের দিনগুলোয় ডাকনাম ‘পেলে’ পেয়েছিলেন। পরে এ পেলে নামটাই যেন হয়ে গেল ‘রাজা’র সমার্থক শব্দ!
ছেলেবেলায় স্ট্রাইকার হিসেবে তিনি এতটাই ভালো ছিলেন, অনেক সময় দুই দলের শক্তির ভারসাম্য রাখতে তাঁকে গোলকিপিংয়ে দাঁড় করানো হতো। ছেলেবেলায় আসল ফুটবল কিনতে না পেরে অনেক সময় মোজার ভেতর কাগজ পুরেও ফুটবল বানিয়ে খেলেছেন।শৈশব-কৈশোরে অনেক অপেশাদার ক্লাবে খেলার সময়ই ছড়িয়ে পড়ে তাঁর প্রতিভার স্ফুরণ।
১৪ বছর বয়সে বড়দের সঙ্গে এক টুর্নামেন্টে খেলে সর্বোচ্চ গোলদাতা হয়েছিলেন। এখান থেকেই শুরু হয় তাঁর পেশাদার ফুটবলে পথচলা। ১৯৫৬ সালে বাউরুর স্থানীয় কোচ ওয়ালদেমার দে ব্রিটো পেলেকে নিয়ে গেলেন সান্তোস ফুটবল ক্লাবে। অনুশীলনে সান্তোসের কোচ লুইস আলোন্সো পেরেস ১৫ বছর বয়সী কিশোর ফুটবলারকে দারুণ পছন্দ করেন। ওই বছরের জুনে সান্তোসের সঙ্গে পেশাদার চুক্তি হয় পেলের।
পেলের সেরা উক্তি
আমার জন্মই হয়েছে ফুটবল খেলার জন্য, যেমন বেটোফেন জন্মেছিলেন সংগীত সৃষ্টির জন্য আর মিকেলেঞ্জেলো ছবি আঁকার জন্য।
ফুটবল খেলা পৃথিবীর সকল শিশুই পেলে হতে চায়। তাদের প্রতি আমার সর্বোচ্চ দায়বদ্ধতা রয়েছে, শুধু খেলোয়াড় হিসেবেই নয় মানুষ হিসেবেও।
পৃথিবীতে যা আছে সবই খেলা। শেষ হয়ে যায়। মৃত্যুতে আমাদের শেষ হবে। আমাদের সবারই শেষ হবে মৃত্যু দিয়ে, তাই নয় কি?
জুনিয়র দল থেকে দ্রুতই তাঁকে সিনিয়র দলে তুলে আনা হয় এবং ১৯৫৬ সালের ৭ সেপ্টেম্বর সিনিয়র দলের হয়ে অভিষেক হয়ে যায় তাঁর। করিন্থিয়ান্সের বিপক্ষে ৭-১ গোলের জয়ে সেদিন প্রথম গোলটি করেন পেলেই। মাত্র ১৫ বছর বয়সে সান্তোসের হয়ে পেশাদারি ফুটবলে অভিষেক হয় পেলের। বিস্ময়বালক শুঁয়াপোকা থেকে ডানা মেলা প্রজাপতি হয়ে ওঠেন তিনি। সান্তোসের হয়ে অভিষেকের দুই বছর পর ব্রাজিলের জার্সিতে শুরু হয় যাত্রা। ১৯৫৮ তাঁর প্রথম বিশ্বকাপ। সে বিশ্বকাপে গড়েন সর্বকনিষ্ঠ (১৭ বছর ২৩৯ দিন) ফুটবলার হিসেবে গোলের রেকর্ড। ১৯৫৯ সালে দক্ষিণ আমেরিকান চ্যাম্পিয়নশিপে (বর্তমানে যা কোপা আমেরিকা নামে পরিচিত) সর্বোচ্চ গোলদাতা ও সেরা ফুটবলার হন পেলে। ১৯৬১ সালে সান্তোসের হয়ে ফ্লুমিনেন্সের বিপক্ষে এমন এক গোল করেন, অবিশ্বাস্য ও অসাধারণ সেই গোলকে অনেকে মনে করেন ফুটবল ইতিহাসেরই সুন্দরতম গোল।
মেক্সিকোয় ১৯৭০ বিশ্বকাপের ফাইনালে প্রথম গোলটি করার পর সতীর্থ জেয়ারজিনহোর কাঁধে চড়ে বসেন তিনি, যেটি ফুটবলেরই এক আইকনিক ছবি। ২১ বছরের খেলোয়াড়ি জীবনে অসংখ্য অর্জন তাঁর ঝুলিতে। ১ হাজার ৩৬৩ ম্যাচ খেলে ১ হাজার ২৮১ গোল করেছেন। একমাত্র ফুটবলার হিসেবে জিতেছেন তিনটি বিশ্বকাপ। ২০০০ সালে শতাব্দীর সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হন তিনি।
এত এত কীর্তি যাঁর, গত পরশু মৃত্যুর পর তাঁকে নিয়ে স্পেনের এল পাইস পত্রিকা যথার্থই শিরোনাম করেছে, ‘পেলে, চার অক্ষরে বিশ্ব ফুটবল।’
কিংবদন্তির এক জীবন
জন্ম: ২৩ অক্টোবর ১৯৪০, মৃত্যু: ২৯ ডিসেম্বর ২০২২
পেশাদার ক্যারিয়ার শুরু: ১৯৫৬ সালে সান্তোসের হয়ে।
জাতীয় দলে অভিষেক: ১৯৫৭ সালে আর্জেন্টিনার বিপক্ষে।
অবসর: সব ধরনের ফুটবল থেকে ১৯৭৭ সালে।
তিনবার বিশ্বকাপ জয়: একমাত্র ফুটবলার হিসেবে রয়েছে তিনবার বিশ্বকাপ জয়ের রেকর্ড। ১৯৫৮, ১৯৬২ ও ১৯৭২ বিশ্বকাপ জিতে ফুটবল ইতিহাসে নিজেকে অনন্য উচ্চতায় তোলেন এই কিংবদন্তি।
সর্বকনিষ্ঠ হিসেবে আন্তর্জাতিক গোল: ১৯৫৭ সালের ৭ জুলাই মারাকানায় আর্জেন্টিনার বিপক্ষে প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেন পেলে। সেই ম্যাচে ১৬ বছর ৯ মাস বয়সে ব্রাজিলের হয়ে নিজের প্রথম গোল করেন তিনি।
বিশ্বকাপে সর্বকনিষ্ঠ খেলোয়াড় হিসেবে গোল: ১৯৫৮ বিশ্বকাপে কোয়ার্টার ফাইনালে ওয়েলসের বিপক্ষে গোল করার সময় তাঁর বয়স ছিল ১৭ বছর ২৩৯ দিন। ওই গোলের সুবাদেই ম্যাচ জিতেছিল ব্রাজিল।
সর্বকনিষ্ঠ হিসেবে বিশ্বকাপ জয়: কনিষ্ঠতম খেলোয়াড় হিসেবে ১৯৫৮ বিশ্বকাপের ফাইনালে সুইডেনকে ৫-২ গোলে হারায় ব্রাজিল। পেলে নিজেও করেছিলেন দুটি গোল। সেই সময় তাঁর বয়স ছিল ১৭ বছর ২৪৯ দিন।
বিশ্বকাপে সর্বকনিষ্ঠ হিসেবে হ্যাটট্রিক: ১৯৫৮ সালের বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে ফ্রান্সের বিপক্ষে হ্যাটট্রিক করেন ‘কালো মানিক’। সেই সময় তাঁর বয়স ছিল ১৭ বছর ২৪৪ দিন।
আইকনিক ছবি ও উদ্যাপন: ১৯৭০ বিশ্বকাপের ফাইনালে ইতালির বিপক্ষে প্রথম গোল করার পর ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তি জেয়ারজিনহোর কোলে উঠে গোল উদ্যাপন করেন পেলে। যা ফুটবল ইতিহাসে আইকনিক উদ্যাপন ও ছবি হিসেবে তকমা পায়।
পেলের গোল: ২০১৫ সালে পেলে এক টুইটে জানান, তাঁর গোলের সংখ্যা ১ হাজার ২৮৩। তবে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে ১ হাজার ৩৬৩ ম্যাচে ১ হাজার ২৭৯ গোল করেছেন বলে উল্লেখ আছে। পেলের গোল নিয়ে বিতর্কও রয়েছে। তাঁর অফিশিয়াল গোল ৭৫৭টি।
ব্রাজিলের হয়ে গোল: ব্রাজিলের জার্সিতে করেছেন ৯২ ম্যাচে ৭৭ গোল। কাতার বিশ্বকাপে সেই রেকর্ড ছুঁয়েছেন নেইমার।
বিশ্বকাপ গোল: বিশ্বকাপে ব্রাজিলের হয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১২ গোল করেছেন পেলে। আটটি অ্যাসিস্টও আছে তাঁর।
ক্লাবের হয়ে গোল: ১৯৫৬-১৯৭৪ পর্যন্ত সান্তোসের হয়ে ৬৩৬ ম্যাচ খেলে ৬১৮ গোল করেন পেলে। ১৯৭৫ সালে যোগ দেন কসমসে। মার্কিন ক্লাবটির হয়ে ১১১ ম্যাচে তাঁর ৬৫ গোল।
একই ম্যাচে দুই দলের হয়ে খেলেছেন: ১৯৭৭ সালে নিজের ফুটবল ক্যারিয়ারে শেষ ম্যাচ খেলেন পেলে। দীর্ঘদিন ব্রাজিলের ক্লাব সান্তোসের হয়ে খেলার পর ১৯৭৫ সালে নিউইয়র্ক কসমসে যোগ দেন তিনি। কসমস এবং সান্তোসের মধ্যে একটি প্রদর্শনী ম্যাচই ছিল পেলের শেষ ম্যাচ। সেই ম্যাচে কসমসের হয়ে প্রথমার্ধ এবং সান্তোসের হয়ে দ্বিতীয়ার্ধ খেলেন এই কিংবদন্তি।
পর্দার নায়িকারা নিজেদের বয়স আড়ালে রাখা পছন্দ করেন। এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম আজমেরী হক বাঁধন। প্রতিবছর নিজের জন্মদিনে জানান দেন তাঁর বয়স। গতকাল ছিল বাঁধনের ৪১তম জন্মদিন। সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেই জানালেন এই তথ্য।
২ দিন আগে১০ বছরের বেশি সময় ধরে শোবিজে কাজ করছেন অভিনেত্রী শবনম ফারিয়া। নাটকের পাশাপাশি ওটিটিতে দেখা গেছে তাঁকে। সরকারি অনুদানের ‘দেবী’ নামের একটি সিনেমায়ও অভিনয় করেছেন। প্রশংসিত হলেও সিনেমায় আর দেখা মেলেনি তাঁর। ছোট পর্দাতেও অনেক দিন ধরে অনিয়মিত তিনি। এবার শবনম ফারিয়া হাজির হচ্ছেন নতুন পরিচয়ে। কমেডি রিয়েলিটি
২ দিন আগেআমাদের লোকসংস্কৃতির অন্যতম ঐতিহ্য যাত্রাপালা। গণমানুষের সংস্কৃতি হিসেবে বিবেচিত এই যাত্রাপালা নিয়ে শিল্পকলা একাডেমি আয়োজন করছে ‘যাত্রা উৎসব-২০২৪’। আগামী ১ নভেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মুক্তমঞ্চে শুরু হবে ৭ দিনব্যাপী এই উৎসব।
২ দিন আগে‘বঙ্গবন্ধু’ পদবি বিলীন হবে না। হতে পারে না। যেমনটি ‘দেশবন্ধু’ চিত্তরঞ্জন দাশের পদবি বিলীন হয়নি। ইতিহাসে এসব পদবি অম্লান ও অক্ষয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ব্যক্তিত্ব ছিল অনন্যসাধারণ। আপনজনকে তো অবশ্যই, শত্রুপক্ষের লোকেরাও ব্যক্তিগত পর্যায়ে তাঁর প্রতি আকৃষ্ট হতেন। পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর উচ্চপদের
২ দিন আগে