গাজী আব্দুল কুদ্দুস, ডুমুরিয়া
নিষিদ্ধ হলেও মহাসড়কে দৌরাত্ম্য থামছে না তিন চাকার থ্রি হুইলার যানের। সড়ক দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ এ যানবাহনগুলো নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করেই চলছে।
জানা গেছে, খুলনা-সাতক্ষীরা মহাসড়কে গল্লামারী-চুকনগর পর্যন্ত অবাধে চলাচল করছে থ্রি হুইলার। মহাসড়কের ফুটপাত দখল করে স্ট্যান্ড তৈরি করেছে এ যানবাহন-সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
ফিটনেসহীন গাড়ি, ট্রাফিক আইনের কোনো ধারণা নেই—এমন চালক মহাসড়কে থ্রি হুইলার যানবাহন ও মাহেন্দ্র নিয়ে ঝুঁকির মধ্যে ফেলছে যাত্রীদের জীবন। কোনোভাবেই থামছে না তাঁদের দৌরাত্ম্য। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ডুমুরিয়া থেকে গল্লামারী পর্যন্ত প্রায় ১৫০টি মাহেন্দ্র প্রতিদিন চলাচল করে। এগুলো অবৈধভাবে মহাসড়কের ফুটপাত দখল করে স্ট্যান্ড তৈরি করে নিয়েছে ডুমুরিয়ায়। রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক আশীর্বাদে এসব যান চলাচল করছে বলে জানা গেছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে অনেক মাহেন্দ্রচালক বলেন, ‘ডুমুরিয়া থেকে গল্লামারী পর্যন্ত আমরা প্রায় ১৫০ জন মাহেন্দ্রচালক। প্রতিদিন গাড়ি প্রতি আপ-ডাউনে ৪০ টাকা করে চাঁদা দিতে হয়। এ ক্ষেত্রে প্রতি চালক তিন-চারটি ট্রিপ পায়। এতে প্রতিদিন চাঁদা ওঠে প্রায় ১৮ থেকে ২৪ হাজার টাকা। এ ছাড়া মাসিক চাঁদা দিতে হয় ১ হাজার টাকা। ১৫০টি গাড়ি থেকে মোট মাসিক চাঁদা আদায় হয় প্রায় দেড় লক্ষ টাকা।
‘এ ছাড়া রয়েছে প্রতিটি গাড়ির ভর্তি-বাণিজ্য। অর্থাৎ একটি গাড়ি রাস্তায় নামানোর শুরুতেই গাড়িপ্রতি ৫ থেকে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত চাঁদা দিতে হয়। যে দিতে পারে না তাকে গাড়ি চালাতে দেওয়া হয় না। এই চাঁদার টাকা কী হয়, কোথায় যায় চালকেরা কিছুই জানে না।’
তাঁরা আরও বলেন, ‘আমরা চালকেরা অসহায় ও গরিব মানুষ। ধারদেনা, কিস্তি করে গাড়ি কিনে আমাদের সংসার চলে না। অথচ প্রতিদিন স্ট্যান্ডের চাঁদা দিতে হয়। এরপরও রয়েছে পুলিশের ঝামেলা। মহাসড়কে চলাচল করতে গিয়ে পুলিশ মামলা দেয় এবং মাহেন্দ্র জব্দ করে। সে ক্ষেত্রে যেসব নেতা টাকা নেন তাঁদের বললে কোনো ফল হয় না।’
খুলনা থেকে ডুমুরিয়ায় চলাচলকারী যাত্রীদের সঙ্গে কথা বললে তাঁরা বলেন, ‘প্রতিনিয়ত জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আমাদের ডুমুরিয়া থেকে খুলনায় যাতায়াত করতে হচ্ছে। ডুমুরিয়া এখন সড়ক দুর্ঘটনার মৃত্যুকূপ হিসেবে পরিচিতি লাভ করছে। এখানে যেসব অবৈধ থ্রি হুইলার সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে মহাসড়কে চলাচল করছে, এগুলোকে সহযোগিতা করছেন একশ্রেণির অসাধু রাজনৈতিক নেতা ও পুলিশ প্রশাসন। আমরা এর প্রতিকার চাই।’
গত ২৬ সেপ্টেম্বর মহাসড়কে ট্রাকের ধাক্কায় একটি মাহেন্দ্র খাদে পড়ে ঘটনাস্থলে পাঁচজন নিহত হয়। এ ছাড়া ২৯ সেপ্টেম্বর বাসের ধাক্কায় থ্রি হুইলারের যাত্রী এক বৃদ্ধ মারা যান। ৫ অক্টোবর সড়কে একজন ফুটবল খেলোয়াড় এবং ১৬ অক্টোবর মোটরসাইকেল আরোহী প্রাণ হারান।
‘নিরাপদ সড়ক চাই’ ডুমুরিয়া উপজেলা শাখার আহ্বায়ক খান মহিদুল ইসলাম বলেন, ‘নিরাপদ সড়ক চাই একটি জাতীয় সামাজিক সংগঠন। আমরা প্রতিনিয়ত সড়ক দুর্ঘটনা রোধে কাজ করে চলেছি। কিন্তু কিছু স্বার্থান্বেষী মহল ব্যক্তিস্বার্থের জন্য সড়ক প্রশাসনের সঙ্গে যোগসাজশে সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে সড়কে অনিয়ম করে যাচ্ছে। যে কারণে মহাসড়কে অবৈধ থ্রি হুইলার যানবাহন চলাচল থামছে না। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাই। সঙ্গে সঙ্গে সবাইকে সতর্ক ও সচেতন হয়ে পথ চলার আহ্বান জানাই।’
নিষিদ্ধ হলেও মহাসড়কে দৌরাত্ম্য থামছে না তিন চাকার থ্রি হুইলার যানের। সড়ক দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ এ যানবাহনগুলো নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করেই চলছে।
জানা গেছে, খুলনা-সাতক্ষীরা মহাসড়কে গল্লামারী-চুকনগর পর্যন্ত অবাধে চলাচল করছে থ্রি হুইলার। মহাসড়কের ফুটপাত দখল করে স্ট্যান্ড তৈরি করেছে এ যানবাহন-সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
ফিটনেসহীন গাড়ি, ট্রাফিক আইনের কোনো ধারণা নেই—এমন চালক মহাসড়কে থ্রি হুইলার যানবাহন ও মাহেন্দ্র নিয়ে ঝুঁকির মধ্যে ফেলছে যাত্রীদের জীবন। কোনোভাবেই থামছে না তাঁদের দৌরাত্ম্য। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ডুমুরিয়া থেকে গল্লামারী পর্যন্ত প্রায় ১৫০টি মাহেন্দ্র প্রতিদিন চলাচল করে। এগুলো অবৈধভাবে মহাসড়কের ফুটপাত দখল করে স্ট্যান্ড তৈরি করে নিয়েছে ডুমুরিয়ায়। রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক আশীর্বাদে এসব যান চলাচল করছে বলে জানা গেছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে অনেক মাহেন্দ্রচালক বলেন, ‘ডুমুরিয়া থেকে গল্লামারী পর্যন্ত আমরা প্রায় ১৫০ জন মাহেন্দ্রচালক। প্রতিদিন গাড়ি প্রতি আপ-ডাউনে ৪০ টাকা করে চাঁদা দিতে হয়। এ ক্ষেত্রে প্রতি চালক তিন-চারটি ট্রিপ পায়। এতে প্রতিদিন চাঁদা ওঠে প্রায় ১৮ থেকে ২৪ হাজার টাকা। এ ছাড়া মাসিক চাঁদা দিতে হয় ১ হাজার টাকা। ১৫০টি গাড়ি থেকে মোট মাসিক চাঁদা আদায় হয় প্রায় দেড় লক্ষ টাকা।
‘এ ছাড়া রয়েছে প্রতিটি গাড়ির ভর্তি-বাণিজ্য। অর্থাৎ একটি গাড়ি রাস্তায় নামানোর শুরুতেই গাড়িপ্রতি ৫ থেকে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত চাঁদা দিতে হয়। যে দিতে পারে না তাকে গাড়ি চালাতে দেওয়া হয় না। এই চাঁদার টাকা কী হয়, কোথায় যায় চালকেরা কিছুই জানে না।’
তাঁরা আরও বলেন, ‘আমরা চালকেরা অসহায় ও গরিব মানুষ। ধারদেনা, কিস্তি করে গাড়ি কিনে আমাদের সংসার চলে না। অথচ প্রতিদিন স্ট্যান্ডের চাঁদা দিতে হয়। এরপরও রয়েছে পুলিশের ঝামেলা। মহাসড়কে চলাচল করতে গিয়ে পুলিশ মামলা দেয় এবং মাহেন্দ্র জব্দ করে। সে ক্ষেত্রে যেসব নেতা টাকা নেন তাঁদের বললে কোনো ফল হয় না।’
খুলনা থেকে ডুমুরিয়ায় চলাচলকারী যাত্রীদের সঙ্গে কথা বললে তাঁরা বলেন, ‘প্রতিনিয়ত জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আমাদের ডুমুরিয়া থেকে খুলনায় যাতায়াত করতে হচ্ছে। ডুমুরিয়া এখন সড়ক দুর্ঘটনার মৃত্যুকূপ হিসেবে পরিচিতি লাভ করছে। এখানে যেসব অবৈধ থ্রি হুইলার সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে মহাসড়কে চলাচল করছে, এগুলোকে সহযোগিতা করছেন একশ্রেণির অসাধু রাজনৈতিক নেতা ও পুলিশ প্রশাসন। আমরা এর প্রতিকার চাই।’
গত ২৬ সেপ্টেম্বর মহাসড়কে ট্রাকের ধাক্কায় একটি মাহেন্দ্র খাদে পড়ে ঘটনাস্থলে পাঁচজন নিহত হয়। এ ছাড়া ২৯ সেপ্টেম্বর বাসের ধাক্কায় থ্রি হুইলারের যাত্রী এক বৃদ্ধ মারা যান। ৫ অক্টোবর সড়কে একজন ফুটবল খেলোয়াড় এবং ১৬ অক্টোবর মোটরসাইকেল আরোহী প্রাণ হারান।
‘নিরাপদ সড়ক চাই’ ডুমুরিয়া উপজেলা শাখার আহ্বায়ক খান মহিদুল ইসলাম বলেন, ‘নিরাপদ সড়ক চাই একটি জাতীয় সামাজিক সংগঠন। আমরা প্রতিনিয়ত সড়ক দুর্ঘটনা রোধে কাজ করে চলেছি। কিন্তু কিছু স্বার্থান্বেষী মহল ব্যক্তিস্বার্থের জন্য সড়ক প্রশাসনের সঙ্গে যোগসাজশে সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে সড়কে অনিয়ম করে যাচ্ছে। যে কারণে মহাসড়কে অবৈধ থ্রি হুইলার যানবাহন চলাচল থামছে না। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাই। সঙ্গে সঙ্গে সবাইকে সতর্ক ও সচেতন হয়ে পথ চলার আহ্বান জানাই।’
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
৫ ঘণ্টা আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৪ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৪ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৪ দিন আগে