হলে আসছে মান্নার শেষ সিনেমা

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রকাশ : ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১৪: ২৮
আপডেট : ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১৪: ৩০

ক্যারিয়ারের তুঙ্গে থাকা অবস্থায় ২০০৮ সালে মারা যান চিত্রনায়ক মান্না। মৃত্যুর ১৫ বছর পর রুপালি পর্দায় আসছে তাঁর নতুন সিনেমা। আগামী ডিসেম্বরে মুক্তি পাবে মান্না অভিনীত শেষ সিনেমা ‘জীবন যন্ত্রণা’। এমনটাই জানিয়েছেন প্রযোজক খোরশেদ আলম খসরু।

মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক এ সিনেমায় মান্নার সঙ্গে আছেন মৌসুমী ও পপি। পরিচালনা করেছেন জাহিদ হোসেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় যৌনকর্মীদের দুই দলের বিরোধ নিয়ে সিনেমার গল্প।

পুরান ঢাকার এক পতিতালয়ে পাকিস্তানি এক মেজর আসে মুজরা দেখতে। তখন মৌসুমী ও পপি তাকে পায়েসের সঙ্গে বিষ খাইয়ে মেরে ফেলার পরিকল্পনা করে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এগিয়ে যায় গল্প। সিনেমাটি নির্মিত হয়েছিল ‘লীলামন্থন’ নামে। পরবর্তী সময়ে সেন্সর বোর্ডের আপত্তির মুখে নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় ‘জীবন যন্ত্রণা’। নাম বদলেই হলে আসছে সিনেমাটি। প্রযোজক খসরু বলেন, ‘জীবন যন্ত্রণা নির্মিত হয়েছে মুক্তিযুদ্ধের কাহিনি নিয়ে। তাই আমরা চাচ্ছি, ডিসেম্বর মাসে সিনেমাটি দর্শকদের দেখাতে। সর্বোচ্চ চেষ্টা থাকবে ১৫ ডিসেম্বর প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি দেওয়ার।’

মান্না।এত দিন সিনেমাটি আটকে থাকার কারণ জানিয়ে খসরু বলেন, ‘২০০৮ সালে মান্না মারা যাওয়ার পরপরই সিনেমাটি সেন্সর বোর্ডে জমা দিয়েছিলাম। সে সময় মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সিনেমাগুলো সেন্সর বোর্ডের সদস্যদের সঙ্গে দেখতেন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের দুজন সদস্য। প্রথমে তাঁরা নাম নিয়ে আপত্তি জানান। যেহেতু সিনেমাটি যৌনকর্মীদের নিয়ে, তাই আমরা এ নামটি রাখতে চেয়েছিলাম। পরবর্তীকালে তাঁরা আপত্তি জানান সিনেমার গল্প নিয়ে। বলেন, এখানে যৌনকর্মীদের দেখানো হয়েছে, এটা অনুমতি দেওয়া যাবে না।  তখন সেন্সর বোর্ডও আমাদের ছাড় দেয়নি। কয়েক বছর পর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের কাউকে সেন্সর বোর্ডে ডাকা হবে না। সিনেমার ছাড়পত্র প্রদানে তাঁদের অংশগ্রহণ উচিতও ছিল না। এমনটা কিন্তু নীতিমালায়ও নেই। পরবর্তী সময়ে যখন আমরা সিনেমাটি জমা দিই, তখন বিনা কর্তনে ছাড়পত্র পাই। তাদের একটাই শর্ত ছিল, সিনেমাটির নাম জীবন যন্ত্রণা দিতে হবে। এর মধ্যে পার হয়ে যায় সাত-আট বছর। ২০২১ সালের দিকে সিনেমাটি মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। তবে করোনার কারণে তা সম্ভব হয়নি। এবার আর মিস করতে চাই না।’

প্রযোজক খসরু আরও জানান, জীবন যন্ত্রণা সিনেমার দৃশ্যধারণের কাজ শেষ করলেও মান্না পুরো ডাবিং শেষ করতে পারেননি। ৭০ ভাগ ডাবিং করার পর মারা যান মান্না। বাকি ডাবিং সম্পন্ন করেন রাতিন। মান্নার জীবদ্দশাতেও তিনি ব্যস্ততার কারণে ডাবিংয়ে সময় দিতে না পারলে তাঁর হয়ে রাতিন ডাবিং করতেন বলে জানান খসরু।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত