বাগাতিপাড়া (নাটোর) প্রতিনিধি
আমের ন্যায্যমূল্য না পেয়ে ক্রমাগত লোকসানে পড়েছেন নাটোরের বাগাতিপাড়ায় আমচাষিরা। তাঁরা নিরুপায় হয়ে একের পর এক আমবাগান কেটে ফেলছেন। এ অবস্থা থেকে বাঁচতে আম পাড়ার ওপর প্রশাসনিক বিধিনিষেধ বন্ধসহ সরকারি উদ্যোগে আম সংরক্ষণাগার ও বিদেশে রপ্তানির ব্যবস্থা করার দাবি জানান আমচাষিরা।
তবে এর সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করেছে স্থানীয় কৃষি বিভাগ। তাদের দাবি, আধুনিক কোনো ফল বা ফসল চাষের মাধ্যমে অধিক লাভের আশায় আমচাষিরা বাগান কাটছেন।
সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, চক গোয়াস গ্রামের নূর ইসলাম তাঁর নয় বিঘা জমির ফজলি ও আশ্বিনা আমবাগান কাটছেন, যা এখনো চলমান রয়েছে। আবার তকিনগর এলাকার ইসকেন্দার ছয় বিঘা জমির, আফাজ উদ্দিন দেড় বিঘা, সুজন আলী দুই বিঘা, চকতকিনগর এলাকার বাচ্চু আলী তিন বিঘা, রহিমানপুর এলাকার সাইফুল ইসলাম দেড় বিঘাসহ অনেকেই সম্প্রতি আমবাগান কেটেছেন।
স্থানীয় আমচাষিরা জানিয়েছেন, আমবাগান থেকে বছরে যা আয় হয় তার অর্ধেক বা তার বেশি টাকা পরিচর্যা বাবদ খরচ হয়ে যায়। আবার গত কয়েক বছরে সার, কীটনাশক ও শ্রমিকের মজুরি বৃদ্ধি পাওয়ায় পরিচর্যা খরচ কয়েক গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। অপরদিকে আমের দাম দিন দিন কমছে। ১২-১৩ বছর আগে যে আম ১ হাজার থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা প্রতি মণ বিক্রি হয়েছে, সেই আম কয়েক বছর ধরে বিক্রি হচ্ছে ৪০০ থেকে ৬০০ টাকায়। তাই সমপরিমাণ জমিতে আমবাগানের চেয়ে অন্য যেকোনো ফসল চাষে লাভবান হচ্ছেন কৃষকেরা। তাই বাগানের জমিগুলো এখন মাঠে পরিণত হচ্ছে।
রহিমানপুর এলাকার সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘আমবাগানের পরিচর্যার খরচ দিন দিন বৃদ্ধি পেয়েছে। পক্ষান্তরে আমের দাম কমেছে। তাই বড় গাছগুলো কেটে সবজি চাষের প্রস্তুতি নিয়েছি।’
তকিনগরের ইসকেন্দার রহমান বলেন, চাহিদার তুলনায় উৎপাদন বেশি হওয়ায় আমের দাম কমে গেছে। অপরদিকে সার, কীটনাশক ও শ্রমিকের মজুরি এত পরিমাণে বৃদ্ধি পেয়েছে যে আমবাগান থেকে লাভ হচ্ছে না। তাই বাগান কেটে জমি লিজ দিয়েছেন।
তকিনগর এলাকার আমচাষি মারিফ উর রহমান বলেন, এভাবে লোকসান গুনতে থাকলে এক সময় আম চাষে আগ্রহ হারিয়ে ফেলবেন চাষিরা।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোমরেজ আলী বলেন, আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার না করে যে সব কৃষক পুরোনো পদ্ধতিতে এখনো আম চাষ করছেন তাঁরা দাম কম পাচ্ছেন। তাই আধুনিক কোনো ফসল চাষের আশায় হয়তো গাছ কাটছেন।
এ ব্যাপারে রাজশাহী ফল গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা আলীম উদ্দিন বলেন, সরকারিভাবে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আম রপ্তানির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এই বছর জাপানসহ কয়েকটি দেশে আম রপ্তানি হবে। গত কয়েক বছরের তুলনায় এ বছর আমের দাম বেশি হবে বলেও আশাবাদী তিনি। তাই কৃষকদের বাগান না কাটার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
আমের ন্যায্যমূল্য না পেয়ে ক্রমাগত লোকসানে পড়েছেন নাটোরের বাগাতিপাড়ায় আমচাষিরা। তাঁরা নিরুপায় হয়ে একের পর এক আমবাগান কেটে ফেলছেন। এ অবস্থা থেকে বাঁচতে আম পাড়ার ওপর প্রশাসনিক বিধিনিষেধ বন্ধসহ সরকারি উদ্যোগে আম সংরক্ষণাগার ও বিদেশে রপ্তানির ব্যবস্থা করার দাবি জানান আমচাষিরা।
তবে এর সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করেছে স্থানীয় কৃষি বিভাগ। তাদের দাবি, আধুনিক কোনো ফল বা ফসল চাষের মাধ্যমে অধিক লাভের আশায় আমচাষিরা বাগান কাটছেন।
সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, চক গোয়াস গ্রামের নূর ইসলাম তাঁর নয় বিঘা জমির ফজলি ও আশ্বিনা আমবাগান কাটছেন, যা এখনো চলমান রয়েছে। আবার তকিনগর এলাকার ইসকেন্দার ছয় বিঘা জমির, আফাজ উদ্দিন দেড় বিঘা, সুজন আলী দুই বিঘা, চকতকিনগর এলাকার বাচ্চু আলী তিন বিঘা, রহিমানপুর এলাকার সাইফুল ইসলাম দেড় বিঘাসহ অনেকেই সম্প্রতি আমবাগান কেটেছেন।
স্থানীয় আমচাষিরা জানিয়েছেন, আমবাগান থেকে বছরে যা আয় হয় তার অর্ধেক বা তার বেশি টাকা পরিচর্যা বাবদ খরচ হয়ে যায়। আবার গত কয়েক বছরে সার, কীটনাশক ও শ্রমিকের মজুরি বৃদ্ধি পাওয়ায় পরিচর্যা খরচ কয়েক গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। অপরদিকে আমের দাম দিন দিন কমছে। ১২-১৩ বছর আগে যে আম ১ হাজার থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা প্রতি মণ বিক্রি হয়েছে, সেই আম কয়েক বছর ধরে বিক্রি হচ্ছে ৪০০ থেকে ৬০০ টাকায়। তাই সমপরিমাণ জমিতে আমবাগানের চেয়ে অন্য যেকোনো ফসল চাষে লাভবান হচ্ছেন কৃষকেরা। তাই বাগানের জমিগুলো এখন মাঠে পরিণত হচ্ছে।
রহিমানপুর এলাকার সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘আমবাগানের পরিচর্যার খরচ দিন দিন বৃদ্ধি পেয়েছে। পক্ষান্তরে আমের দাম কমেছে। তাই বড় গাছগুলো কেটে সবজি চাষের প্রস্তুতি নিয়েছি।’
তকিনগরের ইসকেন্দার রহমান বলেন, চাহিদার তুলনায় উৎপাদন বেশি হওয়ায় আমের দাম কমে গেছে। অপরদিকে সার, কীটনাশক ও শ্রমিকের মজুরি এত পরিমাণে বৃদ্ধি পেয়েছে যে আমবাগান থেকে লাভ হচ্ছে না। তাই বাগান কেটে জমি লিজ দিয়েছেন।
তকিনগর এলাকার আমচাষি মারিফ উর রহমান বলেন, এভাবে লোকসান গুনতে থাকলে এক সময় আম চাষে আগ্রহ হারিয়ে ফেলবেন চাষিরা।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোমরেজ আলী বলেন, আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার না করে যে সব কৃষক পুরোনো পদ্ধতিতে এখনো আম চাষ করছেন তাঁরা দাম কম পাচ্ছেন। তাই আধুনিক কোনো ফসল চাষের আশায় হয়তো গাছ কাটছেন।
এ ব্যাপারে রাজশাহী ফল গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা আলীম উদ্দিন বলেন, সরকারিভাবে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আম রপ্তানির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এই বছর জাপানসহ কয়েকটি দেশে আম রপ্তানি হবে। গত কয়েক বছরের তুলনায় এ বছর আমের দাম বেশি হবে বলেও আশাবাদী তিনি। তাই কৃষকদের বাগান না কাটার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৬ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৬ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৬ দিন আগে