উপবৃত্তির টাকা তুলতে ভোগান্তি পিন নম্বর জটিলতায়

হোমনা প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৪ জুন ২০২২, ০৭: ৪৪
আপডেট : ২৪ জুন ২০২২, ১৩: ৩০

কুমিল্লার হোমনায় পিন নম্বর জটিলতায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির টাকা তুলতে পারছেন না অভিভাবকেরা। ডাক বিভাগের মোবাইল ব্যাংকিং ‘নগদ’ অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠানো সময় মেসেজ পিন নম্বর তৈরি হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

অভিভাবকেরা জানান, নগদ-এ উপবৃত্তির টাকা পাঠানোর সময় উত্তোলনের পিন নম্বর মেসেজে দেওয়া হয়নি। এতে টাকা তুলতে পারছেন না তাঁরা। কারও পিন নম্বর জানা থাকলেও, তা সঠিক নয় বলে ফিরতি মেসেজ আসছে। পিন নম্বর পুনরায় দিতে (রিসেট) গেলে শেষ ৩ মাসের লেনদেনের মোবাইল সিম নম্বর জানতে চায়। কিন্তু অনেকের নগদ অ্যাকাউন্টে কোনো লেনদেন করা হয়নি। তাই বিকল্প প্রস্তাবে (অপশন টু) গেলে ‘সামথিং ওয়ান্ট রং, প্লিজ কল ১৬১৬৭ ফর ইনফরমেশন’ দেখাচ্ছে। কিন্তু ওই নম্বরে বহুবার চেষ্টা করেও কল যায় না, ব্যস্ত দেখায়।

হোমনার ২ নম্বর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক আমেনা হক জানান, তাঁর মোবাইল ফোনে নগদ অ্যাকাউন্ট করা থাকলেও মেসেজে পিন নম্বর আসে নাই। পিন নম্বর পুনরায় (রিসেট) দিতে গেলে ভুল দেখিয়ে কাস্টমার কেয়ারে যোগাযোগ করতে বলে। কিন্তু কাস্টমার কেয়ারের নম্বরে ঘণ্টার পর ঘণ্টা চেষ্টা করেও সংযোগ পাওয়া যায় না। একই অভিযোগ করেন হোমনা পূর্বপাড়া গ্রামের অভিভাবক আবদুল হক সরকারের।

এদিকে ভোগান্তির শিকার অনেক অভিভাবক বিদ্যালয়ে ভিড় করছেন। অনেক সময় অভিভাবকের সঙ্গে শিক্ষকের বাগ্‌বিতণ্ডার ঘটনাও ঘটছে। এতে বিদ্যালয়ে লেখাপড়ার পরিবেশ বিঘ্নিত হচ্ছে। অনেক অভিভাবক পোস্ট অফিস ও নগদ এজেন্টের কাছে গিয়ে পুনরায় পিন নম্বর (রিসেট) তৈরি করতে পারছেন না।

উপজেলা শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, গত কয়েক বছর মোবাইল ব্যাংকিং শিওর ক্যাশের মাধ্যমে উপবৃত্তির টাকা বিতরণ করা হয়েছে। গত বছরের ডিসেম্বর উপবৃত্তির টাকা উত্তোলনে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রায় দেড় কোটি শিক্ষার্থীকে নগদ-এ উপবৃত্তির টাকা দেওয়ার উদ্যোগ নেয় সরকার। এ জন্য চাহিদা অনুযায়ী প্রত্যেক বিদ্যালয় থেকে শিক্ষার্থীদের মোবাইল ফোন নম্বরসহ তথ্য পাঠানো হয়। সেই নম্বরে নগদ অ্যাকাউন্টও খোলা হয়।

চলতি বছরের শুরু থেকে নগদ-এর মাধ্যমে টাকা পাঠানো শুরু করে সরকার। উদ্দেশ্য ছিল, সুবিধাভোগীরা সহজেই বাড়ির পাশের এজেন্টদের কাছ থেকে টাকা তুলতে পারবেন। কিন্তু বর্তমানে টাকাই তুলতে পারছে না বলে অভিযোগ করছেন অভিভাবকেরা।

শিক্ষা কর্মকর্তা অফিসার মো. আহসান জানান, ‘অভিযোগ পেয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি। যাঁরা টাকা তুলতে পারেননি, তাঁদের তালিকা দিতে বলেছে নগদ কোম্পানি।’

নগদ-এর আঞ্চলিক কর্মকর্তা মাধব দে মোবাইল ফোনে বলেন, ‘এ ধরনের অভিযোগ শুনেছি। শিক্ষা অফিসের মাধ্যমে নতুন করে তথ্য চেয়ে পাঠিয়েছি। তথ্য পেলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

কুমিল্লা জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আব্দুল মান্নানের এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে জানান, তিনি ভাইভা বোর্ডে আছেন, পরে কথা বলবেন। পরে যোগাযোগ করা হলেও একই তথ্য পাওয়া যায়।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

টাঙ্গাইলে দুই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান র‍্যাবের হাতে গ্রেপ্তার

পুলিশ ফাঁড়ি দখল করে অফিস বানিয়েছেন সন্ত্রাসী নুরু

ঢাকার রাস্তায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালকদের বিক্ষোভ, জনদুর্ভোগ চরমে

শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ সুরক্ষায় নতুন উদ্যোগ

জাতিকে ফ্রি, ফেয়ার অ্যান্ড ক্রেডিবল নির্বাচন উপহার দিতে চাই: নতুন সিইসি

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত