নওগাঁ প্রতিনিধি
নওগাঁ ধান-চাল উৎপাদনের জেলা হিসেবে পরিচিত হলেও বর্তমানে এখানে বিভিন্ন ফল চাষে ঝুঁকছেন চাষিরা। এর মধ্যে স্বল্প পরিশ্রম ও সময়ে অধিক ফলন হওয়ায় পানিফল চাষে আগ্রহ বেড়েছে চাষিদের মধ্যে। উৎপাদন খরচ কম এবং বাজারে ভালো দাম পেয়ে খুশি কৃষকেরা।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, কৃষিপ্রধান এ জেলায় নিচু জলাবদ্ধ জমি এবং বিলে হাঁটুপানি সারা বছরই থাকে। সেসব জমিতে শীতকাল এলেই পানিফল চাষে ব্যস্ত হয়ে পড়েন কৃষকেরা। খরচ কম এবং লাভজনক হওয়ায় এখন অনেকেই এই ফল চাষ করছেন। স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে এসব ফল ঢাকাসহ আশপাশের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করছেন ব্যবসায়ীরা।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে জেলায় প্রায় ৬০ হেক্টর জমিতে পানিফলের চাষ করা হয়েছে। এর মধ্যে সদর উপজেলায় সর্বোচ্চ ৫৫ হেক্টর জমিতে এ ফলের চাষ করা হয়েছে।
সরেজমিন জেলার দুর্গাপুর বিলসহ বেশ কয়েকটি এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, পানিতে ভেসে থাকা শাপলার মতো গাছগুলোতে থোকায় থোকায় পানিফল ভেসে আছে। মৌসুমের শুরুতে ফল কম এলেও বর্তমানে এর উৎপাদন বেড়েছে। শীতের কুয়াশামাখা ভোরে পানিফল সংগ্রহ করতে জলাশয় ও বিলে নামছেন কৃষকেরা। সেখানে দুপুর পর্যন্ত দফায় দফায় চলছে ফল সংগ্রহ। পরে ফলগুলো সেখান থেকেই পাইকারেরা কিনে নিয়ে যাচ্ছেন।
কৃষকেরা জানান, অঞ্চলভেদে এই ফলের নাম ভিন্ন রকমের হয়ে থাকে। তবে নওগাঁয় সিংড়া বা পানিফল নামেই পরিচিত। মূলত লাল, কালচে ও সবুজ রঙের হয় এই ফল। পানিফলের শাঁস সুস্বাদু ও পুষ্টিকর। বর্তমানে প্রতি কেজি পানিফল পাইকারিতে বিক্রি হচ্ছে ১৫-১৮ টাকা।
চকমুক্তার এলাকার পানিফলচাষি আজিজুল হক বলেন, ১৬ বিঘা জমি এক বছরের জন্য লিজ নিয়ে পানিফল চাষ করছেন তিনি। সব মিলিয়ে এ বছর চাষ করতে প্রায় ২ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। প্রথম থেকেই ভালো দাম পেয়েছেন তিনি। কিন্তু নওগাঁর বাজারে এ ফলের চাহিদা কম। তবে ঢাকাসহ আশপাশের বিভিন্ন জেলাতে চাহিদা ভালো আছে।
ওই এলাকার সবুজ হোসেন নামের এক যুবক বলেন, এ বছর পরীক্ষামূলকভাবে অল্প জমিতে চাষ শুরু করেছেন তিনি। বেশ ভালো লাভ হয়েছে। আগামী বছরে বড় পরিসরে উদ্যোগ নেবেন।
নওগাঁ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবিদ শামছুল ওয়াদুদ বলেন, জেলায় এ বছর ৬০ হেক্টর জমিতে পানিফলের চাষ হয়েছে। নিচু জমিতে ধানের আবাদ বা অন্য কোনো ফসল হয় না। পানি জমে থাকা পতিত জমি কাজে লাগিয়ে পানিফল চাষ করা গুরুত্বপূর্ণ একটা ব্যাপার। গত বছরের তুলনায় এ বছর পানিফল চাষ বেড়েছে। ফলন এবং উৎপাদনও ভালো। বর্তমানে ১৫-২০ টাকা কেজি দরে চাষিরা পানিফল বিক্রি করছেন।
নওগাঁ ধান-চাল উৎপাদনের জেলা হিসেবে পরিচিত হলেও বর্তমানে এখানে বিভিন্ন ফল চাষে ঝুঁকছেন চাষিরা। এর মধ্যে স্বল্প পরিশ্রম ও সময়ে অধিক ফলন হওয়ায় পানিফল চাষে আগ্রহ বেড়েছে চাষিদের মধ্যে। উৎপাদন খরচ কম এবং বাজারে ভালো দাম পেয়ে খুশি কৃষকেরা।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, কৃষিপ্রধান এ জেলায় নিচু জলাবদ্ধ জমি এবং বিলে হাঁটুপানি সারা বছরই থাকে। সেসব জমিতে শীতকাল এলেই পানিফল চাষে ব্যস্ত হয়ে পড়েন কৃষকেরা। খরচ কম এবং লাভজনক হওয়ায় এখন অনেকেই এই ফল চাষ করছেন। স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে এসব ফল ঢাকাসহ আশপাশের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করছেন ব্যবসায়ীরা।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে জেলায় প্রায় ৬০ হেক্টর জমিতে পানিফলের চাষ করা হয়েছে। এর মধ্যে সদর উপজেলায় সর্বোচ্চ ৫৫ হেক্টর জমিতে এ ফলের চাষ করা হয়েছে।
সরেজমিন জেলার দুর্গাপুর বিলসহ বেশ কয়েকটি এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, পানিতে ভেসে থাকা শাপলার মতো গাছগুলোতে থোকায় থোকায় পানিফল ভেসে আছে। মৌসুমের শুরুতে ফল কম এলেও বর্তমানে এর উৎপাদন বেড়েছে। শীতের কুয়াশামাখা ভোরে পানিফল সংগ্রহ করতে জলাশয় ও বিলে নামছেন কৃষকেরা। সেখানে দুপুর পর্যন্ত দফায় দফায় চলছে ফল সংগ্রহ। পরে ফলগুলো সেখান থেকেই পাইকারেরা কিনে নিয়ে যাচ্ছেন।
কৃষকেরা জানান, অঞ্চলভেদে এই ফলের নাম ভিন্ন রকমের হয়ে থাকে। তবে নওগাঁয় সিংড়া বা পানিফল নামেই পরিচিত। মূলত লাল, কালচে ও সবুজ রঙের হয় এই ফল। পানিফলের শাঁস সুস্বাদু ও পুষ্টিকর। বর্তমানে প্রতি কেজি পানিফল পাইকারিতে বিক্রি হচ্ছে ১৫-১৮ টাকা।
চকমুক্তার এলাকার পানিফলচাষি আজিজুল হক বলেন, ১৬ বিঘা জমি এক বছরের জন্য লিজ নিয়ে পানিফল চাষ করছেন তিনি। সব মিলিয়ে এ বছর চাষ করতে প্রায় ২ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। প্রথম থেকেই ভালো দাম পেয়েছেন তিনি। কিন্তু নওগাঁর বাজারে এ ফলের চাহিদা কম। তবে ঢাকাসহ আশপাশের বিভিন্ন জেলাতে চাহিদা ভালো আছে।
ওই এলাকার সবুজ হোসেন নামের এক যুবক বলেন, এ বছর পরীক্ষামূলকভাবে অল্প জমিতে চাষ শুরু করেছেন তিনি। বেশ ভালো লাভ হয়েছে। আগামী বছরে বড় পরিসরে উদ্যোগ নেবেন।
নওগাঁ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবিদ শামছুল ওয়াদুদ বলেন, জেলায় এ বছর ৬০ হেক্টর জমিতে পানিফলের চাষ হয়েছে। নিচু জমিতে ধানের আবাদ বা অন্য কোনো ফসল হয় না। পানি জমে থাকা পতিত জমি কাজে লাগিয়ে পানিফল চাষ করা গুরুত্বপূর্ণ একটা ব্যাপার। গত বছরের তুলনায় এ বছর পানিফল চাষ বেড়েছে। ফলন এবং উৎপাদনও ভালো। বর্তমানে ১৫-২০ টাকা কেজি দরে চাষিরা পানিফল বিক্রি করছেন।
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
৩ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৭ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৭ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৭ দিন আগে