জীবনবৃত্তান্তেই আটকে আছে ইবি ছাত্রলীগের কমিটি

পল্লব আহমেদ সিয়াম, ইবি
প্রকাশ : ১৫ মে ২০২২, ০৬: ২৪
আপডেট : ১৫ মে ২০২২, ১২: ৪৩

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের নতুন কমিটি গঠন করতে পাঁচ মাস আগে জীবনবৃত্তান্ত সংগ্রহ করা হয়েছিল। কিন্তু এখনো গঠন করা হয়নি কমিটি। এতে হতাশা বিরাজ করছে পদপ্রত্যাশীদের মধ্যে। এর আগে ৮ ডিসেম্বর বিলুপ্ত করা হয় শাখা ছাত্রলীগের কমিটি।

শাখা ছাত্রলীগ সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন সম্মেলন না হওয়ায় নতুন নেতৃত্ব আসছে না। যে কারণে হতাশা নিয়ে সাংগঠনিক অনেক নেতা-কর্মী ছাত্রলীগের রাজনীতি থেকে নিষ্ক্রিয় হয়ে গিয়েছেন। নেতৃত্বের গুণাবলি থাকার পরেও এত দিন পদ জোটেনি অনেকের। সর্বশেষ ২০১৯ সালের জুলাইয়ে কমিটি হয় ইবিতে। তৎকালীন ওই কমিটি ক্যাম্পাসে রাজনীতি করতে পারেনি। ফলে শাখা ছাত্রলীগের নেতা কর্মীরা বিশৃঙ্খলা অবস্থায় কাটিয়েছেন ওই সময়টা। গত ৮ ডিসেম্বর কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্ত করে। পরে সাংগঠনিক দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা ক্যাম্পাসে এসে জীবনবৃত্তান্ত সংগ্রহ করেন।

শাখা ছাত্রলীগের কর্মীরা বলেন, কেন্দ্রীয় সংসদ প্রত্যেক মাসে আশা দেখিয়েও কমিটি দিচ্ছে না। এটা আমাদের মতো কর্মীদের জন্য কষ্টের। কেন্দ্রীয় সংসদের কাছে দাবি, যত দ্রুত সম্ভব ইবি শাখা ছাত্রলীগের কমিটি দেওয়ার।

জানা গেছে, চলতি মাসে শাখা ছাত্রলীগের কমিটি দেওয়া হবে এমন আভাসে আশা দেখছেন পদপ্রত্যাশীরা। নতুন কমিটিতে সুযোগ পেলে ছাত্রলীগকে গতিশীল করার লক্ষ্যে কাজ করতে চান তাঁরা।

সভাপতি পদে নাম শোনা যাচ্ছে-সাবেক ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক ও অর্থনীতি বিভাগের এমফিল ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শেখ মিজানুর রহমান লালন, সাবেক কার্যনির্বাহী সদস্য ও ইংরেজি বিভাগের ২০১২-১৩ শিক্ষাবর্ষের তন্ময় কুমার সাহা, সাবেক সহসম্পাদক ও আইন বিভাগের ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষের ফয়সাল সিদ্দিক আরাফাত। আর সাধারণ সম্পাদক পদে আলোচনায় আছেন সাবেক প্রচার সম্পাদক ও অর্থনীতি বিভাগের ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষের ফাহমিদুর রহমান সেতু এবং একই বিভাগের ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষের নাসিম আহমেদ জয়।

সাধারণ সম্পাদক পদপ্রত্যাশী নাসিম আহমেদ জয় বলেন, ‘ছাত্রলীগ সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে চলা একটি গতিশীল সংগঠন। দীর্ঘদিন যাবৎ কমিটি না থাকায় সংগঠনের কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে। স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তি নিজেদের শক্তিমত্তা বৃদ্ধির জন্য কাজ করে যাচ্ছে। তাই কেন্দ্রীয় সংসদের কাছে প্রত্যাশা, যোগ্যদের দিয়ে কমিটি গঠনের মাধ্যমে সংগঠনের গতিশীলতা ফিরিয়ে আনার।’

এ বিষয়ে সাংগঠনিক দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সমাজসেবা সম্পাদক শেখ স্বাধীন শাহেদ বলেন, ‘কমিটি গঠনের জন্য একাধিক বৈঠক করেছি কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে। তাঁরাও বৈঠক করেছেন আঞ্চলিক নেতাদের সঙ্গে। কমিটি গঠনের সব প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে অনেক আগেই। কমিটি যাতে ক্যাম্পাসে রান করতে পারে সে জন্য সুপার কমিটি সুপারিশ করা হয়েছে। দ্রুতই কমিটি দেওয়া হবে।’

শাহেদা জানান, সভাপতি পদে তিনজন এবং সাধারণ সম্পাদক পদে চারজনের নাম প্রস্তাব করা হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ পদে অভিজ্ঞদের প্রাধান্য দেওয়া হবে।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত