জিয়াউল হক, যশোর
আগামী তিন মাসের মধ্যে যশোর আওয়ামী লীগের সব উপজেলা ইউনিটসহ শহর কমিটির সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। দীর্ঘ সময় ধরে এসব কমিটির মেয়াদ উত্তীর্ণ থাকায়, দলে গতিশীলতা আনতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
তবে এসব কমিটিতে স্থান পাবেন না সদ্য সমাপ্ত ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে বহিষ্কৃত হওয়া নেতা-কর্মীরা। এমনকি দলের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে কারণ দর্শানোর নোটিশ পাওয়া নেতা-কর্মীরাও সন্তোষজনক উত্তর দিতে না পারলে পড়বেন বিপাকে।
এমন সিদ্ধান্ত দলকে কিছুটা হলেও সাংগঠনিকভাবে দুর্বল করবে, বলছেন সাধারণ নেতা-কর্মীরা। যদিও এমন মন্তব্য উড়িয়ে দিয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের নেতারা।
যশোর জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মীর জহুরুল হক বলেন, ‘যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সাতটি উপজেলা ইউনিটের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে বেশ আগেই। কোনো কোনো কমিটির মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে প্রায় দুই থেকে আড়াই বছর আগে।’
জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মীর জহুরুল হক বলেন, ‘শুধু যশোর সদর ও শহর আওয়ামী লীগ কমিটির মেয়াদ আছে চলতি বছরের নভেম্বর মাস পর্যন্ত। তবে ওই দুটি ইউনিটের পূর্ণাঙ্গ কমিটির ঘোষণা করা হয়নি আজও।’
যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মীর জহুরুল হক বলেন, ‘করোনা মহামারির কারণে রাজনীতিসহ দেশের সব খাতেই স্থবিরতা নেমে আসে। যে কারণে কমিটিগুলোর মেয়াদ উত্তীর্ণ হলেও, করোনার সময়ে নতুন করে সম্মেলনের উদ্যোগ নেওয়া সম্ভব হয়নি। তেমনি পূর্ণাঙ্গ কমিটিও ঘোষণা করা যায়নি।’
মীর জহুরুল হক বলেন, ‘এখন যেহেতু করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে, তাই কেন্দ্র থেকেই সম্মেলনের ব্যাপারে বলা হয়েছে।’
এদিকে, গত বুধবার সম্মেলন প্রস্তুতির বিষয়ে ভার্চুয়াল সভায় কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে মিলিত হন যশোর জেলা আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ। ওই সভায় সদ্য সমাপ্ত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দলের বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে বহিষ্কৃত হওয়া নেতা-কর্মীদের ব্যাপারে কঠোর অবস্থানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
জেলা আওয়ামী লীগের একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে, বিদ্রোহী প্রার্থী ও তাঁদের সমর্থক হিসেবে যাঁদের বহিষ্কার করা হয়েছে, তাঁদের আসন্ন সম্মেলনে অংশগ্রহণ করতে দেওয়া হবে না। একই কারণে শোকজ পাওয়া নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধেও এই সিদ্ধান্ত বহাল থাকবে।
যদি তাঁরা সন্তোষজনক উত্তর দিতে পারেন, সে ক্ষেত্রে জেলা কমিটি বিষয়টি বিবেচনায় আনবে। তবে নির্বাচনে দলকে সমর্থন জানিয়ে সরে আসা নেতা-কর্মীদের কমিটিতে ঠাঁই পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে এবার।
জেলা আওয়ামী লীগের তথ্য অনুযায়ী, সদ্য সমাপ্ত ইউপি নির্বাচনে দলের বিরুদ্ধ আচরণ করায় সবচেয়ে বেশি ৩১ জন বহিষ্কৃত হয়েছে মনিরামপুর থেকে। এ ছাড়া যশোর সদরে ২৯, শার্শায় ১৫, বাঘারপাড়ায় ১৪, চৌগাছায় ১৩, কেশবপুরে ১০, ঝিকরগাছায় ৯ এবং অভয়নগরে ৩ জন বহিষ্কৃত হয়েছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক নেতা-কর্মী জানিয়েছেন, নির্বাচন ঘিরে যেসব নেতা-কর্মী বহিষ্কৃত হয়েছেন, তাঁদের একটি বড় অংশই দলের কান্ডারি হিসেবে স্ব-স্ব এলাকায় বিবেচিত হয়ে আসছেন।
ত্যাগী ও দলের একনিষ্ঠ হওয়ায় জনমত নিয়ে তাঁদের অনেকেই নির্বাচিতও হয়েছেন। এসব নেতা দলে উপেক্ষিত হলে, স্থানীয় আওয়ামী লীগ সাংগঠনিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়বে; যাঁর বিরূপ প্রভাব পড়বে জেলা আওয়ামী লীগেও।
তবে এ বিষয়টি উড়িয়ে দিয়েছেন যশোর জেলা আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ।
জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি এ এস এম হুমায়ূন কবির কবু বলেন, ‘আমরা কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত অনুসরণ করছি। নির্বাচনকালীন সব বিষয়ই কেন্দ্র অবহিত রয়েছে। সুতরাং তাঁদের নির্দেশনা বাস্তবায়ন করা হবে সব ক্ষেত্রে।’
সহসভাপতি এ এস এম হুমায়ূন কবির কবু আরও বলেন, ‘করোনা মহামারির কারণে দীর্ঘদিন ধরে দলীয় কার্যক্রম শুধু জনসেবা কেন্দ্রিক ছিল। ইতিমধ্যেই পরিস্থিতির উন্নতি হতে শুরু করেছে। সেই সঙ্গে আমরা কমিটিগুলো সক্রিয় করার উদ্যোগ নিয়েছি।’
এ এস এম হুমায়ূন কবির কবু আরও বলেন, ‘কেন্দ্রের নির্দেশনা অনুযায়ী আগামী তিন মাসের মধ্যে যশোরের মেয়াদ উত্তীর্ণ সব কমিটি সম্পন্নের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। এতে দলে গতিশীলতা ফিরবে।’
আগামী তিন মাসের মধ্যে যশোর আওয়ামী লীগের সব উপজেলা ইউনিটসহ শহর কমিটির সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। দীর্ঘ সময় ধরে এসব কমিটির মেয়াদ উত্তীর্ণ থাকায়, দলে গতিশীলতা আনতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
তবে এসব কমিটিতে স্থান পাবেন না সদ্য সমাপ্ত ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে বহিষ্কৃত হওয়া নেতা-কর্মীরা। এমনকি দলের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে কারণ দর্শানোর নোটিশ পাওয়া নেতা-কর্মীরাও সন্তোষজনক উত্তর দিতে না পারলে পড়বেন বিপাকে।
এমন সিদ্ধান্ত দলকে কিছুটা হলেও সাংগঠনিকভাবে দুর্বল করবে, বলছেন সাধারণ নেতা-কর্মীরা। যদিও এমন মন্তব্য উড়িয়ে দিয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের নেতারা।
যশোর জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মীর জহুরুল হক বলেন, ‘যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সাতটি উপজেলা ইউনিটের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে বেশ আগেই। কোনো কোনো কমিটির মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে প্রায় দুই থেকে আড়াই বছর আগে।’
জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মীর জহুরুল হক বলেন, ‘শুধু যশোর সদর ও শহর আওয়ামী লীগ কমিটির মেয়াদ আছে চলতি বছরের নভেম্বর মাস পর্যন্ত। তবে ওই দুটি ইউনিটের পূর্ণাঙ্গ কমিটির ঘোষণা করা হয়নি আজও।’
যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মীর জহুরুল হক বলেন, ‘করোনা মহামারির কারণে রাজনীতিসহ দেশের সব খাতেই স্থবিরতা নেমে আসে। যে কারণে কমিটিগুলোর মেয়াদ উত্তীর্ণ হলেও, করোনার সময়ে নতুন করে সম্মেলনের উদ্যোগ নেওয়া সম্ভব হয়নি। তেমনি পূর্ণাঙ্গ কমিটিও ঘোষণা করা যায়নি।’
মীর জহুরুল হক বলেন, ‘এখন যেহেতু করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে, তাই কেন্দ্র থেকেই সম্মেলনের ব্যাপারে বলা হয়েছে।’
এদিকে, গত বুধবার সম্মেলন প্রস্তুতির বিষয়ে ভার্চুয়াল সভায় কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে মিলিত হন যশোর জেলা আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ। ওই সভায় সদ্য সমাপ্ত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দলের বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে বহিষ্কৃত হওয়া নেতা-কর্মীদের ব্যাপারে কঠোর অবস্থানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
জেলা আওয়ামী লীগের একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে, বিদ্রোহী প্রার্থী ও তাঁদের সমর্থক হিসেবে যাঁদের বহিষ্কার করা হয়েছে, তাঁদের আসন্ন সম্মেলনে অংশগ্রহণ করতে দেওয়া হবে না। একই কারণে শোকজ পাওয়া নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধেও এই সিদ্ধান্ত বহাল থাকবে।
যদি তাঁরা সন্তোষজনক উত্তর দিতে পারেন, সে ক্ষেত্রে জেলা কমিটি বিষয়টি বিবেচনায় আনবে। তবে নির্বাচনে দলকে সমর্থন জানিয়ে সরে আসা নেতা-কর্মীদের কমিটিতে ঠাঁই পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে এবার।
জেলা আওয়ামী লীগের তথ্য অনুযায়ী, সদ্য সমাপ্ত ইউপি নির্বাচনে দলের বিরুদ্ধ আচরণ করায় সবচেয়ে বেশি ৩১ জন বহিষ্কৃত হয়েছে মনিরামপুর থেকে। এ ছাড়া যশোর সদরে ২৯, শার্শায় ১৫, বাঘারপাড়ায় ১৪, চৌগাছায় ১৩, কেশবপুরে ১০, ঝিকরগাছায় ৯ এবং অভয়নগরে ৩ জন বহিষ্কৃত হয়েছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক নেতা-কর্মী জানিয়েছেন, নির্বাচন ঘিরে যেসব নেতা-কর্মী বহিষ্কৃত হয়েছেন, তাঁদের একটি বড় অংশই দলের কান্ডারি হিসেবে স্ব-স্ব এলাকায় বিবেচিত হয়ে আসছেন।
ত্যাগী ও দলের একনিষ্ঠ হওয়ায় জনমত নিয়ে তাঁদের অনেকেই নির্বাচিতও হয়েছেন। এসব নেতা দলে উপেক্ষিত হলে, স্থানীয় আওয়ামী লীগ সাংগঠনিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়বে; যাঁর বিরূপ প্রভাব পড়বে জেলা আওয়ামী লীগেও।
তবে এ বিষয়টি উড়িয়ে দিয়েছেন যশোর জেলা আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ।
জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি এ এস এম হুমায়ূন কবির কবু বলেন, ‘আমরা কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত অনুসরণ করছি। নির্বাচনকালীন সব বিষয়ই কেন্দ্র অবহিত রয়েছে। সুতরাং তাঁদের নির্দেশনা বাস্তবায়ন করা হবে সব ক্ষেত্রে।’
সহসভাপতি এ এস এম হুমায়ূন কবির কবু আরও বলেন, ‘করোনা মহামারির কারণে দীর্ঘদিন ধরে দলীয় কার্যক্রম শুধু জনসেবা কেন্দ্রিক ছিল। ইতিমধ্যেই পরিস্থিতির উন্নতি হতে শুরু করেছে। সেই সঙ্গে আমরা কমিটিগুলো সক্রিয় করার উদ্যোগ নিয়েছি।’
এ এস এম হুমায়ূন কবির কবু আরও বলেন, ‘কেন্দ্রের নির্দেশনা অনুযায়ী আগামী তিন মাসের মধ্যে যশোরের মেয়াদ উত্তীর্ণ সব কমিটি সম্পন্নের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। এতে দলে গতিশীলতা ফিরবে।’
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
৭ ঘণ্টা আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৪ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৪ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৪ দিন আগে