বাসাইল প্রতিনিধি
বাসাইলে তাঁতে শাল-চাদর বোনার কর্মযজ্ঞে এখন ব্যস্ত এ শিল্পে যুক্ত মালিক-শ্রমিকেরা। এ এলাকার তাঁতিদের তৈরি শাল-চাদর গুণে, মানে ও বাহারি ডিজাইনের কারণে ক্রমেই জনপ্রিয় হয়ে উঠছে সারা দেশে। নানা সংকটেও সম্ভাবনাময় এ শিল্পের জনপ্রিয়তা বাড়ছে দিন দিন। এ অঞ্চলের সহস্রাধিক পরিবার শাল-চাদর তৈরি করে জীবিকা নির্বাহ করে।
শীতের পোশাকের তালিকায় সব বয়সী নারী-পুরুষের মনে স্থান করে নিয়েছে উপজেলার বাথুলী সাদী গ্রামের তাঁতে বোনা এসব শাল-চাদর। তাঁতের শাড়ির পাশাপাশি কদর বাড়ছে এসব পণ্যের। বাহারি রং, ডিজাইন আর নিপুণ কারুকার্যে আকর্ষণীয় এসব শাল-চাদর নজর কেড়েছে ক্রেতার। এসব শাল-চাদর পৌঁছে যাচ্ছে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলার বিক্রয়কেন্দ্রগুলোতে। বাহারি রঙের সুতায় হাত ও তাঁতকলে সুনিপুণ কারুকার্যে তৈরি করা হয় এসব শাল-চাদর। এর দৈর্ঘ্য চার থেকে পাঁচ হাত এবং দুই থেকে আড়াই হাত প্রস্থ হয়ে থাকে। দেশের বিভিন্ন এলাকার শ্রমিকেরা এ পল্লির কারখানাগুলোতে বাহারি নাম ও ডিজাইনের প্রায় ২৫ ধরনের চাঁদর তৈরি করেন। প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ও দক্ষ কারিগর দিয়ে ফ্যাশন উপযোগী করে তৈরি করা হয় বলে জানা গেছে। বাথুলী সাদী ছাড়াও এ অঞ্চলের গড়াসিন, হাবলা, আদাবাড়ির তাঁতপল্লিতেও তৈরি হচ্ছে এসব শাল-চাদর। এ অঞ্চলের সহস্রাধিক পরিবার শাল-চাদর তৈরি করে জীবিকা নির্বাহ করে।
বাথুলী সাদীর তাঁত মালিক-শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সারা বছর শাড়ির পাশাপাশি শাল-চাদর তৈরি করে মজুত রাখা হয়। তবে হেমন্তের শুরুর আগ থেকে শীত মৌসুমের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত শাল-চাদর তৈরির কাজে বেশি সময় পার হয়।
তাঁত শ্রমিকেরা জানান, একজন শ্রমিক দিনে তিন-চারটা শাল বা চাদর তৈরি করতে পারেন। এতে যা মজুরি পান, তাতে কোনো রকমে তাঁদের সংসার চলে।
তাঁতমালিকেরা জানান, এ অঞ্চলের তৈরি বাহারি শাল-চাদর রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় পাঠানো হচ্ছে। তবে সুতাসহ অন্যান্য উপকরণের দাম বেড়ে যাওয়া নানা প্রতিবন্ধকতা তৈরি হয়েছে।
বাথুলী সাদীর তাঁতমালিক লাইলী বেগম উচ্চবিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক শাহ আলম জানান, অর্থনৈতিক সংকট, কাঁচামালের দাম বৃদ্ধির পাশাপাশি বৈশ্বিক উষ্ণায়নের ফলে শীতের স্থায়িত্ব কমে যাওয়ায় কয়েক বছর ধরে চাদর বিক্রির লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হচ্ছে না।
বাথুলী সাদী তাঁত উন্নয়ন সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী এমবি এন্টারপ্রাইজের তাঁতি বাদল হক জানান, সারা বছর পুঁজি খাটিয়ে চাদর তৈরি করে মজুত করতে হয়। এতে যে পরিমাণ পুঁজির প্রয়োজন, তার জোগান দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। সরকারি-বেসরকারি উদ্যোক্তাদের সহায়তা পেলে ঐতিহ্যবাহী এ শিল্প দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
সমিতির সভাপতি মো. লাল মিয়া জানান, ঐতিহ্যবাহী এ শিল্প টিকিয়ে রাখতে সরকারিভাবে তাঁতমালিকদের স্বল্প সুদে ঋণসুবিধা দেওয়া এবং বিদেশে রপ্তানির সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে। এ ছাড়া দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে এ শিল্প।
টাঙ্গাইল তাঁত বোর্ডের লিয়াজোঁ কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম বলেন, তাঁতে তৈরি শাড়ির পাশাপাশি শাল-চাদর শিল্প সম্প্রসারণে কাজ করছে জেলা তাঁত বোর্ড। সুষ্ঠু বাজার ব্যবস্থাপনা, সরকারি-বেসরকারি প্রণোদনার পরিধি বাড়ানো এবং সরকারি পৃষ্ঠপোষকতার মাধ্যমে শীতপ্রধান দেশগুলোতে এসব পণ্য রপ্তানির উদ্যোগ নিলে আরও অনেক দূর এগিয়ে নেওয়া যাবে এ শিল্প।
বাসাইলে তাঁতে শাল-চাদর বোনার কর্মযজ্ঞে এখন ব্যস্ত এ শিল্পে যুক্ত মালিক-শ্রমিকেরা। এ এলাকার তাঁতিদের তৈরি শাল-চাদর গুণে, মানে ও বাহারি ডিজাইনের কারণে ক্রমেই জনপ্রিয় হয়ে উঠছে সারা দেশে। নানা সংকটেও সম্ভাবনাময় এ শিল্পের জনপ্রিয়তা বাড়ছে দিন দিন। এ অঞ্চলের সহস্রাধিক পরিবার শাল-চাদর তৈরি করে জীবিকা নির্বাহ করে।
শীতের পোশাকের তালিকায় সব বয়সী নারী-পুরুষের মনে স্থান করে নিয়েছে উপজেলার বাথুলী সাদী গ্রামের তাঁতে বোনা এসব শাল-চাদর। তাঁতের শাড়ির পাশাপাশি কদর বাড়ছে এসব পণ্যের। বাহারি রং, ডিজাইন আর নিপুণ কারুকার্যে আকর্ষণীয় এসব শাল-চাদর নজর কেড়েছে ক্রেতার। এসব শাল-চাদর পৌঁছে যাচ্ছে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলার বিক্রয়কেন্দ্রগুলোতে। বাহারি রঙের সুতায় হাত ও তাঁতকলে সুনিপুণ কারুকার্যে তৈরি করা হয় এসব শাল-চাদর। এর দৈর্ঘ্য চার থেকে পাঁচ হাত এবং দুই থেকে আড়াই হাত প্রস্থ হয়ে থাকে। দেশের বিভিন্ন এলাকার শ্রমিকেরা এ পল্লির কারখানাগুলোতে বাহারি নাম ও ডিজাইনের প্রায় ২৫ ধরনের চাঁদর তৈরি করেন। প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ও দক্ষ কারিগর দিয়ে ফ্যাশন উপযোগী করে তৈরি করা হয় বলে জানা গেছে। বাথুলী সাদী ছাড়াও এ অঞ্চলের গড়াসিন, হাবলা, আদাবাড়ির তাঁতপল্লিতেও তৈরি হচ্ছে এসব শাল-চাদর। এ অঞ্চলের সহস্রাধিক পরিবার শাল-চাদর তৈরি করে জীবিকা নির্বাহ করে।
বাথুলী সাদীর তাঁত মালিক-শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সারা বছর শাড়ির পাশাপাশি শাল-চাদর তৈরি করে মজুত রাখা হয়। তবে হেমন্তের শুরুর আগ থেকে শীত মৌসুমের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত শাল-চাদর তৈরির কাজে বেশি সময় পার হয়।
তাঁত শ্রমিকেরা জানান, একজন শ্রমিক দিনে তিন-চারটা শাল বা চাদর তৈরি করতে পারেন। এতে যা মজুরি পান, তাতে কোনো রকমে তাঁদের সংসার চলে।
তাঁতমালিকেরা জানান, এ অঞ্চলের তৈরি বাহারি শাল-চাদর রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় পাঠানো হচ্ছে। তবে সুতাসহ অন্যান্য উপকরণের দাম বেড়ে যাওয়া নানা প্রতিবন্ধকতা তৈরি হয়েছে।
বাথুলী সাদীর তাঁতমালিক লাইলী বেগম উচ্চবিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক শাহ আলম জানান, অর্থনৈতিক সংকট, কাঁচামালের দাম বৃদ্ধির পাশাপাশি বৈশ্বিক উষ্ণায়নের ফলে শীতের স্থায়িত্ব কমে যাওয়ায় কয়েক বছর ধরে চাদর বিক্রির লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হচ্ছে না।
বাথুলী সাদী তাঁত উন্নয়ন সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী এমবি এন্টারপ্রাইজের তাঁতি বাদল হক জানান, সারা বছর পুঁজি খাটিয়ে চাদর তৈরি করে মজুত করতে হয়। এতে যে পরিমাণ পুঁজির প্রয়োজন, তার জোগান দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। সরকারি-বেসরকারি উদ্যোক্তাদের সহায়তা পেলে ঐতিহ্যবাহী এ শিল্প দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
সমিতির সভাপতি মো. লাল মিয়া জানান, ঐতিহ্যবাহী এ শিল্প টিকিয়ে রাখতে সরকারিভাবে তাঁতমালিকদের স্বল্প সুদে ঋণসুবিধা দেওয়া এবং বিদেশে রপ্তানির সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে। এ ছাড়া দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে এ শিল্প।
টাঙ্গাইল তাঁত বোর্ডের লিয়াজোঁ কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম বলেন, তাঁতে তৈরি শাড়ির পাশাপাশি শাল-চাদর শিল্প সম্প্রসারণে কাজ করছে জেলা তাঁত বোর্ড। সুষ্ঠু বাজার ব্যবস্থাপনা, সরকারি-বেসরকারি প্রণোদনার পরিধি বাড়ানো এবং সরকারি পৃষ্ঠপোষকতার মাধ্যমে শীতপ্রধান দেশগুলোতে এসব পণ্য রপ্তানির উদ্যোগ নিলে আরও অনেক দূর এগিয়ে নেওয়া যাবে এ শিল্প।
পর্দার নায়িকারা নিজেদের বয়স আড়ালে রাখা পছন্দ করেন। এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম আজমেরী হক বাঁধন। প্রতিবছর নিজের জন্মদিনে জানান দেন তাঁর বয়স। গতকাল ছিল বাঁধনের ৪১তম জন্মদিন। সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেই জানালেন এই তথ্য।
২ দিন আগে১০ বছরের বেশি সময় ধরে শোবিজে কাজ করছেন অভিনেত্রী শবনম ফারিয়া। নাটকের পাশাপাশি ওটিটিতে দেখা গেছে তাঁকে। সরকারি অনুদানের ‘দেবী’ নামের একটি সিনেমায়ও অভিনয় করেছেন। প্রশংসিত হলেও সিনেমায় আর দেখা মেলেনি তাঁর। ছোট পর্দাতেও অনেক দিন ধরে অনিয়মিত তিনি। এবার শবনম ফারিয়া হাজির হচ্ছেন নতুন পরিচয়ে। কমেডি রিয়েলিটি
২ দিন আগেআমাদের লোকসংস্কৃতির অন্যতম ঐতিহ্য যাত্রাপালা। গণমানুষের সংস্কৃতি হিসেবে বিবেচিত এই যাত্রাপালা নিয়ে শিল্পকলা একাডেমি আয়োজন করছে ‘যাত্রা উৎসব-২০২৪’। আগামী ১ নভেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মুক্তমঞ্চে শুরু হবে ৭ দিনব্যাপী এই উৎসব।
২ দিন আগে‘বঙ্গবন্ধু’ পদবি বিলীন হবে না। হতে পারে না। যেমনটি ‘দেশবন্ধু’ চিত্তরঞ্জন দাশের পদবি বিলীন হয়নি। ইতিহাসে এসব পদবি অম্লান ও অক্ষয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ব্যক্তিত্ব ছিল অনন্যসাধারণ। আপনজনকে তো অবশ্যই, শত্রুপক্ষের লোকেরাও ব্যক্তিগত পর্যায়ে তাঁর প্রতি আকৃষ্ট হতেন। পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর উচ্চপদের
২ দিন আগে