শামিমুজ্জামান, খুলনা
করোনাকালের প্রণোদনার টাকা এখনো পাননি খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নার্সরা। দফায় দফায় নার্সিং অধিদপ্তরে তালিকা পাঠিয়েও তাঁরা এ টাকা পাননি। এ নিয়ে করোনাকালে দায়িত্ব পালনকারী ৬০৩ জন নার্স রয়েছেন হতাশায়।
২০২০ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে নিরবচ্ছিন্নভাবে করোনা রোগীদের সেবা দিয়ে যাচ্ছেন খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নার্সরা। বিভিন্ন সময় হাসপাতালের ৪৮৫ জন এবং অন্য হাসপাতাল থেকে সংযুক্ত হয়ে আরও ১১৮ মোট ৬০৩ জন নার্স গত বছর থেকে এখন পর্যন্ত করোনাকালীন দায়িত্ব পালন করছেন।
ঝুঁকি নিয়ে তাঁরা সময়ে-অসময়ে দায়িত্ব পালন করছেন। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ১২ ঘণ্টাও কাজ করেছেন অনেকে। কিন্তু কোনো নার্স এখন পর্যন্ত করোনাকালীন প্রণোদনা বা ভাতা বলে কিছুই পাননি। এ নিয়ে নার্সরা রয়েছেন হতাশায়।
এ ব্যাপারে হাসপাতালের নার্স হোসনেয়ারা খাতুন বলেন, গত বছর করোনার শুরুতে মানুষ যে সময় সবচেয়ে আতঙ্কগ্রস্ত ছিল, তখনই নার্সরা সেবা দিয়ে গেছেন। বছরের শুরুতে করোনা যখন মহামারি আকার ধারণ করেছে, সে সময় অনেকে সেবা দিতে পিছিয়ে থাকলেও নার্সরা পিছিয়ে থাকেননি। রোগী সুস্থ করতে রাত-দিন পরিশ্রম করেছেন। এমন অনেক দিন গেছে, কেউ কেউ ১২ ঘণ্টার বেশিও দায়িত্ব পালন করেছেন। কিন্তু এত দিনে প্রণোদনার টাকা না পাওয়ায় নার্সরা হতাশ হয়ে পড়েছেন।
হাসপাতালের নার্স গুলশান আরা বলেন, খুলনা আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতাল, নড়াইল, বাগেরহাটের হাসপাতালের নার্সরা করোনাকালীন দায়িত্ব পালনের ভাতা বা প্রণোদনার টাকা পেয়েছেন বহু আগে। কিন্তু খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নার্সরা এখনো টাকা পাননি। করোনাকালীন দায়িত্ব পালনকারী আরেক নার্স মৌসুমি জেরিন বলেন, চিকিৎসক ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীরা সবাই করোনাকালীন টাকা পেয়েছেন, কিন্তু নার্সরা পাননি। এ নিয়ে নার্সদের মধ্যে এক ধরনের হতাশা কাজ করছে।
হাসপাতালের সেবা তত্ত্বাবধায়ক (ভারপ্রাপ্ত) রাবেয়া পারভিন জানান, এ বছরের এপ্রিল মাসে মাত্র ১০ জন নার্সের জন্য বরাদ্দ করা হয় ২ মাসের মূল বেতনের সমপরিমাণ প্রণোদনার অর্থ। তবে ৬০৩ জন নার্সের মধ্যে কোন ১০ জন এই অর্থ পাবেন, সে বিষয়ে জানতে হাসপাতাল থেকে নার্সিং অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের কার্যালয়ে চিঠি দেওয়া হয়। সেই চিঠির উত্তর আসার আগে অর্থবছর শেষ হওয়ায় সেই অর্থও ফেরত চলে যায় অর্থ মন্ত্রণালয়ে।
এরপর আবার তালিকা চাওয়া হলে নার্সিং অধিদপ্তরে তালিকা পাঠানো হয়েছে। এই নিয়ে মোট পাঁচ দফা তালিকা পাঠানো হলো। কিন্তু এখন পর্যন্ত প্রণোদনার টাকা দেওয়া হয়নি।
খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. রবিউল হাসান বলেন, নার্সরা স্বাস্থ্যসেবার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ। কয়েকবার তালিকা পাঠানো হয়েছে। একবার মাত্র ১০ জনের অর্থ বরাদ্দ হলেও তাতে নাম উল্লেখ না থাকায় তা বরাদ্দ দেওয়া সম্ভব হয়নি। এ নিয়ে নার্সদের মধ্যে এক ধরনের হতাশা কাজ করছে। সামনে আবার করোনার তৃতীয় ঢেউ ওমিক্রনের জন্য আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছি। চেষ্টা করা হচ্ছে নার্সদের প্রণোদনার টাকা দ্রুত দিয়ে দেওয়ার। আশা করি অতি দ্রুত টাকা পেয়ে যাবেন তাঁরা।
করোনাকালের প্রণোদনার টাকা এখনো পাননি খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নার্সরা। দফায় দফায় নার্সিং অধিদপ্তরে তালিকা পাঠিয়েও তাঁরা এ টাকা পাননি। এ নিয়ে করোনাকালে দায়িত্ব পালনকারী ৬০৩ জন নার্স রয়েছেন হতাশায়।
২০২০ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে নিরবচ্ছিন্নভাবে করোনা রোগীদের সেবা দিয়ে যাচ্ছেন খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নার্সরা। বিভিন্ন সময় হাসপাতালের ৪৮৫ জন এবং অন্য হাসপাতাল থেকে সংযুক্ত হয়ে আরও ১১৮ মোট ৬০৩ জন নার্স গত বছর থেকে এখন পর্যন্ত করোনাকালীন দায়িত্ব পালন করছেন।
ঝুঁকি নিয়ে তাঁরা সময়ে-অসময়ে দায়িত্ব পালন করছেন। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ১২ ঘণ্টাও কাজ করেছেন অনেকে। কিন্তু কোনো নার্স এখন পর্যন্ত করোনাকালীন প্রণোদনা বা ভাতা বলে কিছুই পাননি। এ নিয়ে নার্সরা রয়েছেন হতাশায়।
এ ব্যাপারে হাসপাতালের নার্স হোসনেয়ারা খাতুন বলেন, গত বছর করোনার শুরুতে মানুষ যে সময় সবচেয়ে আতঙ্কগ্রস্ত ছিল, তখনই নার্সরা সেবা দিয়ে গেছেন। বছরের শুরুতে করোনা যখন মহামারি আকার ধারণ করেছে, সে সময় অনেকে সেবা দিতে পিছিয়ে থাকলেও নার্সরা পিছিয়ে থাকেননি। রোগী সুস্থ করতে রাত-দিন পরিশ্রম করেছেন। এমন অনেক দিন গেছে, কেউ কেউ ১২ ঘণ্টার বেশিও দায়িত্ব পালন করেছেন। কিন্তু এত দিনে প্রণোদনার টাকা না পাওয়ায় নার্সরা হতাশ হয়ে পড়েছেন।
হাসপাতালের নার্স গুলশান আরা বলেন, খুলনা আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতাল, নড়াইল, বাগেরহাটের হাসপাতালের নার্সরা করোনাকালীন দায়িত্ব পালনের ভাতা বা প্রণোদনার টাকা পেয়েছেন বহু আগে। কিন্তু খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নার্সরা এখনো টাকা পাননি। করোনাকালীন দায়িত্ব পালনকারী আরেক নার্স মৌসুমি জেরিন বলেন, চিকিৎসক ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীরা সবাই করোনাকালীন টাকা পেয়েছেন, কিন্তু নার্সরা পাননি। এ নিয়ে নার্সদের মধ্যে এক ধরনের হতাশা কাজ করছে।
হাসপাতালের সেবা তত্ত্বাবধায়ক (ভারপ্রাপ্ত) রাবেয়া পারভিন জানান, এ বছরের এপ্রিল মাসে মাত্র ১০ জন নার্সের জন্য বরাদ্দ করা হয় ২ মাসের মূল বেতনের সমপরিমাণ প্রণোদনার অর্থ। তবে ৬০৩ জন নার্সের মধ্যে কোন ১০ জন এই অর্থ পাবেন, সে বিষয়ে জানতে হাসপাতাল থেকে নার্সিং অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের কার্যালয়ে চিঠি দেওয়া হয়। সেই চিঠির উত্তর আসার আগে অর্থবছর শেষ হওয়ায় সেই অর্থও ফেরত চলে যায় অর্থ মন্ত্রণালয়ে।
এরপর আবার তালিকা চাওয়া হলে নার্সিং অধিদপ্তরে তালিকা পাঠানো হয়েছে। এই নিয়ে মোট পাঁচ দফা তালিকা পাঠানো হলো। কিন্তু এখন পর্যন্ত প্রণোদনার টাকা দেওয়া হয়নি।
খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. রবিউল হাসান বলেন, নার্সরা স্বাস্থ্যসেবার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ। কয়েকবার তালিকা পাঠানো হয়েছে। একবার মাত্র ১০ জনের অর্থ বরাদ্দ হলেও তাতে নাম উল্লেখ না থাকায় তা বরাদ্দ দেওয়া সম্ভব হয়নি। এ নিয়ে নার্সদের মধ্যে এক ধরনের হতাশা কাজ করছে। সামনে আবার করোনার তৃতীয় ঢেউ ওমিক্রনের জন্য আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছি। চেষ্টা করা হচ্ছে নার্সদের প্রণোদনার টাকা দ্রুত দিয়ে দেওয়ার। আশা করি অতি দ্রুত টাকা পেয়ে যাবেন তাঁরা।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৩ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৩ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৩ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৩ দিন আগে