নাগরপুর প্রতিনিধি
নাগরপুরে পাইপলাইনের গ্যাসের কোনো সংযোগ নেই। ফলে বাসাবাড়ি ও বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে রান্নার জন্য এলপি গ্যাসের সিলিন্ডারের ওপর নির্ভরশীল উপজেলাবাসী। চাহিদা থাকায় যেখানে-সেখানে বিক্রি হচ্ছে গ্যাসের সিলিন্ডার। বিস্ফোরক অধিদপ্তরের অনুমোদন ও নিরাপত্তাব্যবস্থা ছাড়াই দোকানগুলোতে বিক্রি হচ্ছে গ্যাসভর্তি সিলিন্ডার। এর ফলে যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা সচেতন মহলের।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, লাভের আশায় ডিলার ও একশ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী দেদার গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রি করে চলেছেন। নিরাপত্তার বিষয়ে ক্রেতাদের মধ্যেও খুব একটা সচেতনতা নেই। অন্যদিকে সরকার নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বাড়তি দামে সিলিন্ডার বিক্রি করছেন এসব ব্যবসায়ী। সরকার নির্ধারিত ১২ কেজি এলপি গ্যাস সিলিন্ডারের মূল্য ১ হাজার ৩৩৫ টাকা থাকলেও এখানে তা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৪০০ টাকা থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকায়।
সরেজমিনে দেখা গেছে, মুদি দোকান, পান, চা, রড-সিমেন্ট, ওষুধের দোকান, বিকাশ-ফ্লেক্সিলোডের দোকানে বিক্রি হচ্ছে সিলিন্ডার। এমনকি লন্ড্রির দোকানেও বিক্রি হচ্ছে। অত্যন্ত সংবেদনশীল ও দাহ্য পদার্থ হওয়া সত্ত্বেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে নেই কোনো তদারকি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিস্ফোরক পরিদপ্তরের অনুমতি ছাড়া কেউ গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রি করতে পারেন না। কোনো ডিলার বা ব্যবসায়ী গ্যাস বা তৈলাক্ত পদার্থ বিক্রির জন্য আবেদন করলে বিস্ফোরক পরিদপ্তরের প্রতিনিধি দল বিক্রির স্থান পরিদর্শন করে। প্রতিনিধি দল দোকান ও গুদামের নিরাপত্তাসহ সার্বিক বিষয়ে প্রতিবেদন দেয়। পরে স্থানীয় প্রশাসনের ছাড়পত্র পেলে তবেই ব্যবসা করতে পারেন তাঁরা। কিন্তু অধিকাংশ বিক্রেতার ক্ষেত্রেই এসব নিয়ম মানা হয়নি বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
নাগরপুর বাজারের ব্যবসায়ী সুজন মিয়া বলেন, ‘সিলিন্ডার একটি বিস্ফোরক দ্রব্য। যেকোনো সময় এতে বিস্ফোরণ ঘটে মানুষের প্রাণহানি হতে পারে। অথচ এদিকে কারও নজর নেই। লাভের আশায় যেখানে-সেখানে সিলিন্ডার গ্যাস বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা।
ব্যবসায়ী জুয়েল রানা বলেন, অনেক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী রয়েছেন, সিলিন্ডারের বিষয়ে যাঁদের ন্যূনতম জ্ঞান নেই। তাঁরা অনেকটা আগুন নিয়ে খেলা করছেন।
নাগরপুর বাজারে সিলিন্ডার কিনতে আসা মনির হোসেন বলেন, ‘হাতের কাছে পাই। দূরে যেতে হয় না। তাই বাড়ির পাশের মুদি দোকান থেকেই সিলিন্ডার কিনি। সিলিন্ডারেরও মেয়াদ থাকে, এটি জানা ছিল না। এখন থেকে বড় দোকান থেকেই কিনব।’ তিনি আরও বলেন, চাহিদা থাকায় একশ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী যেখানে-সেখানে সিলিন্ডারের বোতল ফেলে রেখে বিক্রি করছেন। ঝুঁকিপূর্ণ এ জ্বালানির যথাযথ নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেই এসব দোকানে।
বেশি দামে গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রির বিষয়ে জানতে চাইলে বিক্রেতারা ডিলারের ওপর এবং ডিলাররা গ্যাস সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের ওপর দায় চাপান। খুচরা বিক্রেতারা বলছেন, ডিলারদের কাছ থেকে বেশি দামে কিনতে হয়েছে, তাই সিলিন্ডারের দাম বেশি। তবে ডিলাররা বলছেন, কোম্পানির কাছ থেকে বেশি দামে কেনার কারণে তাঁদেরও বেশি দামেই বিক্রি করতে হচ্ছে।
তবে গ্যাস বিক্রির অনুমোদন নিতে ভোগান্তির কথা জানিয়েছেন গ্যাস সিলিন্ডারের দুজন ব্যবসায়ী। নাম প্রকাশ না করার শর্তে তাঁরা বলেন, এই ব্যবসা অনেকটা বোমার মতো। গ্যাস বিক্রি করতে হলে অবশ্যই ট্রেড লাইসেন্স, বিস্ফোরক লাইসেন্স ও অগ্নিনির্বাপক যন্ত্রের ব্যবস্থা থাকতে হবে। তা না হলে সিলিন্ডার বিক্রি করা যাবে না। বিস্ফোরক লাইসেন্স নিতে অনেক টাকা খরচ হয়। কিন্তু অবৈধ ব্যবসায়ীদের কারণে বৈধ ব্যবসায়ীদের বিক্রি কমে গেছে।
উপজেলা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল স্টেশন কর্মকর্তা মেহেদী হাসান বলেন, কেউ গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রি করলে যথাযথ অগ্নিনির্বাপণের ব্যবস্থা থাকতে হবে। তা না হলে যেকোনো ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। এ ব্যাপারে প্রশাসনের নজরদারি বাড়ানো উচিত।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, দাহ্য পদার্থ বিক্রির সুনির্দিষ্ট বিধিমালা আছে। যত্রতত্র বিক্রির কোনো সুযোগ নেই। এ ধরনের কর্মকাণ্ডে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নাগরপুরে পাইপলাইনের গ্যাসের কোনো সংযোগ নেই। ফলে বাসাবাড়ি ও বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে রান্নার জন্য এলপি গ্যাসের সিলিন্ডারের ওপর নির্ভরশীল উপজেলাবাসী। চাহিদা থাকায় যেখানে-সেখানে বিক্রি হচ্ছে গ্যাসের সিলিন্ডার। বিস্ফোরক অধিদপ্তরের অনুমোদন ও নিরাপত্তাব্যবস্থা ছাড়াই দোকানগুলোতে বিক্রি হচ্ছে গ্যাসভর্তি সিলিন্ডার। এর ফলে যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা সচেতন মহলের।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, লাভের আশায় ডিলার ও একশ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী দেদার গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রি করে চলেছেন। নিরাপত্তার বিষয়ে ক্রেতাদের মধ্যেও খুব একটা সচেতনতা নেই। অন্যদিকে সরকার নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বাড়তি দামে সিলিন্ডার বিক্রি করছেন এসব ব্যবসায়ী। সরকার নির্ধারিত ১২ কেজি এলপি গ্যাস সিলিন্ডারের মূল্য ১ হাজার ৩৩৫ টাকা থাকলেও এখানে তা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৪০০ টাকা থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকায়।
সরেজমিনে দেখা গেছে, মুদি দোকান, পান, চা, রড-সিমেন্ট, ওষুধের দোকান, বিকাশ-ফ্লেক্সিলোডের দোকানে বিক্রি হচ্ছে সিলিন্ডার। এমনকি লন্ড্রির দোকানেও বিক্রি হচ্ছে। অত্যন্ত সংবেদনশীল ও দাহ্য পদার্থ হওয়া সত্ত্বেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে নেই কোনো তদারকি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিস্ফোরক পরিদপ্তরের অনুমতি ছাড়া কেউ গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রি করতে পারেন না। কোনো ডিলার বা ব্যবসায়ী গ্যাস বা তৈলাক্ত পদার্থ বিক্রির জন্য আবেদন করলে বিস্ফোরক পরিদপ্তরের প্রতিনিধি দল বিক্রির স্থান পরিদর্শন করে। প্রতিনিধি দল দোকান ও গুদামের নিরাপত্তাসহ সার্বিক বিষয়ে প্রতিবেদন দেয়। পরে স্থানীয় প্রশাসনের ছাড়পত্র পেলে তবেই ব্যবসা করতে পারেন তাঁরা। কিন্তু অধিকাংশ বিক্রেতার ক্ষেত্রেই এসব নিয়ম মানা হয়নি বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
নাগরপুর বাজারের ব্যবসায়ী সুজন মিয়া বলেন, ‘সিলিন্ডার একটি বিস্ফোরক দ্রব্য। যেকোনো সময় এতে বিস্ফোরণ ঘটে মানুষের প্রাণহানি হতে পারে। অথচ এদিকে কারও নজর নেই। লাভের আশায় যেখানে-সেখানে সিলিন্ডার গ্যাস বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা।
ব্যবসায়ী জুয়েল রানা বলেন, অনেক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী রয়েছেন, সিলিন্ডারের বিষয়ে যাঁদের ন্যূনতম জ্ঞান নেই। তাঁরা অনেকটা আগুন নিয়ে খেলা করছেন।
নাগরপুর বাজারে সিলিন্ডার কিনতে আসা মনির হোসেন বলেন, ‘হাতের কাছে পাই। দূরে যেতে হয় না। তাই বাড়ির পাশের মুদি দোকান থেকেই সিলিন্ডার কিনি। সিলিন্ডারেরও মেয়াদ থাকে, এটি জানা ছিল না। এখন থেকে বড় দোকান থেকেই কিনব।’ তিনি আরও বলেন, চাহিদা থাকায় একশ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী যেখানে-সেখানে সিলিন্ডারের বোতল ফেলে রেখে বিক্রি করছেন। ঝুঁকিপূর্ণ এ জ্বালানির যথাযথ নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেই এসব দোকানে।
বেশি দামে গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রির বিষয়ে জানতে চাইলে বিক্রেতারা ডিলারের ওপর এবং ডিলাররা গ্যাস সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের ওপর দায় চাপান। খুচরা বিক্রেতারা বলছেন, ডিলারদের কাছ থেকে বেশি দামে কিনতে হয়েছে, তাই সিলিন্ডারের দাম বেশি। তবে ডিলাররা বলছেন, কোম্পানির কাছ থেকে বেশি দামে কেনার কারণে তাঁদেরও বেশি দামেই বিক্রি করতে হচ্ছে।
তবে গ্যাস বিক্রির অনুমোদন নিতে ভোগান্তির কথা জানিয়েছেন গ্যাস সিলিন্ডারের দুজন ব্যবসায়ী। নাম প্রকাশ না করার শর্তে তাঁরা বলেন, এই ব্যবসা অনেকটা বোমার মতো। গ্যাস বিক্রি করতে হলে অবশ্যই ট্রেড লাইসেন্স, বিস্ফোরক লাইসেন্স ও অগ্নিনির্বাপক যন্ত্রের ব্যবস্থা থাকতে হবে। তা না হলে সিলিন্ডার বিক্রি করা যাবে না। বিস্ফোরক লাইসেন্স নিতে অনেক টাকা খরচ হয়। কিন্তু অবৈধ ব্যবসায়ীদের কারণে বৈধ ব্যবসায়ীদের বিক্রি কমে গেছে।
উপজেলা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল স্টেশন কর্মকর্তা মেহেদী হাসান বলেন, কেউ গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রি করলে যথাযথ অগ্নিনির্বাপণের ব্যবস্থা থাকতে হবে। তা না হলে যেকোনো ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। এ ব্যাপারে প্রশাসনের নজরদারি বাড়ানো উচিত।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, দাহ্য পদার্থ বিক্রির সুনির্দিষ্ট বিধিমালা আছে। যত্রতত্র বিক্রির কোনো সুযোগ নেই। এ ধরনের কর্মকাণ্ডে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৬ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৬ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৬ দিন আগে