নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
করোনাকালে দেশে রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয়ে রেকর্ড হলেও পরিস্থিতির উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে এর প্রবাহ কমতে থাকে। রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়াতে প্রণোদনা বৃদ্ধি করা হয় এবং বিভিন্ন দেশে অবস্থিত দূতাবাস ও মিশনেও তাগাদা দেয় সরকার।
তবে সদ্য বিদায়ী ২০২১-২২ অর্থবছরে (জুলাই-জুন) দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ২ হাজার ১০৩ কোটি ১৭ লাখ ডলার। তার আগের ২০২০-২১ অর্থবছরের রেমিট্যান্সে রেকর্ড সৃষ্টি হয়েছিল, যার পরিমাণ ছিল ২ হাজার ৪৭৭ কোটি ৭৭ লাখ ডলার। সেই হিসাবে এক বছরে রেমিট্যান্স কমেছে ৩৭৪ কোটি ৬০ লাখ ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৩৫ হাজার কোটি টাকা (ডলারপ্রতি ৯৩ টাকা ৫০ পয়সা ধরে)। এ ছাড়া শতকরা হিসাবে ১৫ দশমিক শূন্য ১১ শতাংশ। বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
রেমিট্যান্স কমার বিষয়ে বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিসের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্রবাসী আয় দেশের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। করোনায় রেমিট্যান্স অস্বাভাবিক বেড়েছিল। সেই তুলনায় এ বছর রেমিট্যান্স কমেছে। কিন্তু এটি করোনার আগের বছরের তুলনায় বেশি। আর প্রবাসীরা আয় কম পাঠিয়েছেন তা আমি মনে করি না। তবে, ব্যাংকিং চ্যানেলে প্রবাসী আয় কম আসার কারণ হিসেবে হুন্ডি মাধ্যম সচল হওয়াটাই দায়ী। এ ছাড়া, ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স এলে তার সঙ্গে নগদ প্রণোদনা দেওয়া হচ্ছে। এরপরও রেমিট্যান্স আশানুরূপ না আসার কারণ হলো হুন্ডির মাধ্যমে ডলারের রেট বেশি পাওয়া যাচ্ছে। কোনো কোনো সময় ব্যাংকিং চ্যানেলের চেয়ে ১০ টাকা বেশি পান। তাহলে কেন ব্যাংকিং চ্যানেলে পাঠাবেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘প্রবাসী শ্রমিক রপ্তানি বছরে এক লাখ ছাড়িয়েছে। তাঁরা যে দেশে থাকেন সেসব দেশে শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধি পাওয়ার কথা। এ জন্য বৈধ ও অবৈধ মিলে রেমিট্যান্স কমছে বলে মনে হয় না। বর্তমানে মুদ্রা বিনিময় হারে একপ্রকার অরাজকতা বিরাজ করছে। এটা পরিষ্কার না হলে সামনে বৈধ চ্যানেলে রেমিট্যান্স আসবে না। মুদ্রা বিনিময় নিয়ে অব্যবস্থাপনা দূর না হলে রেমিট্যান্স বাড়বে না।’
সংশ্লিষ্টরা বলেছেন, ২০২০-২১ অর্থবছরে রেমিট্যান্সে হঠাৎ যে উল্লম্ফন হয়েছিল, তার একটি ভিন্ন প্রেক্ষাপট ছিল। ওই বছরের পুরোটা সময় করোনার কারণে সমস্ত পৃথিবীতে অর্থনীতি প্রায় থমকে গিয়েছিল। সে কারণে হুন্ডির মাধ্যমে রেমিট্যান্স পাঠানোও বন্ধ ছিল। প্রবাসীরা সব টাকা পাঠিয়েছিলেন ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে। এ কারণে রেমিট্যান্স বেড়েছিল। আর করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসায় এবং কার্ব মার্কেটে ডলারের দাম বেশি থাকায় এখন আগের মতো অবৈধ হুন্ডির মাধ্যমে দেশে টাকা পাঠাচ্ছেন প্রবাসীরা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, ২০২১-২২ অর্থবছরের জুলাইতে ১৮৭ কোটি ডলার, আগস্টে ১৮১ কোটি ডলার, সেপ্টেম্বরে ১৭২ কোটি ডলার এবং সর্বশেষ জুন মাসে ১৮৪ কোটি ডলার দেশে পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘অর্থবছরের শুরু থেকেই রেমিট্যান্স কম আসছিল। এ ধারা অব্যাহত ছিল বছরের শেষ মাস পর্যন্ত। এমনকি মাঝে দুটি ঈদের সময়ও আশানুরূপ রেমিট্যান্স আসেনি। এ বছর প্রচুর শ্রমিক প্রবাসী হয়েছে। কয়েক মাসের মধ্যেই তাঁরা আয় পাঠানো শুরু করবেন। এতে আমরা আশাবাদী যে সামনের দিনগুলোতে রেমিট্যান্স বাড়বে।’
জানা গেছে, রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়াতে নানামুখী উদ্যোগ নিয়েছে সরকার ও বাংলাদেশ ব্যাংক। এরই মধ্যে চলতি বছরের জানুয়ারি মাস থেকে রেমিট্যান্সে প্রণোদনার হার ২ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে আড়াই শতাংশ করা হয়েছে। দেশে বড় অঙ্কের রেমিট্যান্স পাঠানোর শর্তও শিথিল করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
করোনাকালে দেশে রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয়ে রেকর্ড হলেও পরিস্থিতির উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে এর প্রবাহ কমতে থাকে। রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়াতে প্রণোদনা বৃদ্ধি করা হয় এবং বিভিন্ন দেশে অবস্থিত দূতাবাস ও মিশনেও তাগাদা দেয় সরকার।
তবে সদ্য বিদায়ী ২০২১-২২ অর্থবছরে (জুলাই-জুন) দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ২ হাজার ১০৩ কোটি ১৭ লাখ ডলার। তার আগের ২০২০-২১ অর্থবছরের রেমিট্যান্সে রেকর্ড সৃষ্টি হয়েছিল, যার পরিমাণ ছিল ২ হাজার ৪৭৭ কোটি ৭৭ লাখ ডলার। সেই হিসাবে এক বছরে রেমিট্যান্স কমেছে ৩৭৪ কোটি ৬০ লাখ ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৩৫ হাজার কোটি টাকা (ডলারপ্রতি ৯৩ টাকা ৫০ পয়সা ধরে)। এ ছাড়া শতকরা হিসাবে ১৫ দশমিক শূন্য ১১ শতাংশ। বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
রেমিট্যান্স কমার বিষয়ে বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিসের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্রবাসী আয় দেশের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। করোনায় রেমিট্যান্স অস্বাভাবিক বেড়েছিল। সেই তুলনায় এ বছর রেমিট্যান্স কমেছে। কিন্তু এটি করোনার আগের বছরের তুলনায় বেশি। আর প্রবাসীরা আয় কম পাঠিয়েছেন তা আমি মনে করি না। তবে, ব্যাংকিং চ্যানেলে প্রবাসী আয় কম আসার কারণ হিসেবে হুন্ডি মাধ্যম সচল হওয়াটাই দায়ী। এ ছাড়া, ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স এলে তার সঙ্গে নগদ প্রণোদনা দেওয়া হচ্ছে। এরপরও রেমিট্যান্স আশানুরূপ না আসার কারণ হলো হুন্ডির মাধ্যমে ডলারের রেট বেশি পাওয়া যাচ্ছে। কোনো কোনো সময় ব্যাংকিং চ্যানেলের চেয়ে ১০ টাকা বেশি পান। তাহলে কেন ব্যাংকিং চ্যানেলে পাঠাবেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘প্রবাসী শ্রমিক রপ্তানি বছরে এক লাখ ছাড়িয়েছে। তাঁরা যে দেশে থাকেন সেসব দেশে শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধি পাওয়ার কথা। এ জন্য বৈধ ও অবৈধ মিলে রেমিট্যান্স কমছে বলে মনে হয় না। বর্তমানে মুদ্রা বিনিময় হারে একপ্রকার অরাজকতা বিরাজ করছে। এটা পরিষ্কার না হলে সামনে বৈধ চ্যানেলে রেমিট্যান্স আসবে না। মুদ্রা বিনিময় নিয়ে অব্যবস্থাপনা দূর না হলে রেমিট্যান্স বাড়বে না।’
সংশ্লিষ্টরা বলেছেন, ২০২০-২১ অর্থবছরে রেমিট্যান্সে হঠাৎ যে উল্লম্ফন হয়েছিল, তার একটি ভিন্ন প্রেক্ষাপট ছিল। ওই বছরের পুরোটা সময় করোনার কারণে সমস্ত পৃথিবীতে অর্থনীতি প্রায় থমকে গিয়েছিল। সে কারণে হুন্ডির মাধ্যমে রেমিট্যান্স পাঠানোও বন্ধ ছিল। প্রবাসীরা সব টাকা পাঠিয়েছিলেন ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে। এ কারণে রেমিট্যান্স বেড়েছিল। আর করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসায় এবং কার্ব মার্কেটে ডলারের দাম বেশি থাকায় এখন আগের মতো অবৈধ হুন্ডির মাধ্যমে দেশে টাকা পাঠাচ্ছেন প্রবাসীরা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, ২০২১-২২ অর্থবছরের জুলাইতে ১৮৭ কোটি ডলার, আগস্টে ১৮১ কোটি ডলার, সেপ্টেম্বরে ১৭২ কোটি ডলার এবং সর্বশেষ জুন মাসে ১৮৪ কোটি ডলার দেশে পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘অর্থবছরের শুরু থেকেই রেমিট্যান্স কম আসছিল। এ ধারা অব্যাহত ছিল বছরের শেষ মাস পর্যন্ত। এমনকি মাঝে দুটি ঈদের সময়ও আশানুরূপ রেমিট্যান্স আসেনি। এ বছর প্রচুর শ্রমিক প্রবাসী হয়েছে। কয়েক মাসের মধ্যেই তাঁরা আয় পাঠানো শুরু করবেন। এতে আমরা আশাবাদী যে সামনের দিনগুলোতে রেমিট্যান্স বাড়বে।’
জানা গেছে, রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়াতে নানামুখী উদ্যোগ নিয়েছে সরকার ও বাংলাদেশ ব্যাংক। এরই মধ্যে চলতি বছরের জানুয়ারি মাস থেকে রেমিট্যান্সে প্রণোদনার হার ২ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে আড়াই শতাংশ করা হয়েছে। দেশে বড় অঙ্কের রেমিট্যান্স পাঠানোর শর্তও শিথিল করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৪ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৪ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৪ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৪ দিন আগে