রাসেল মাহমুদ, ঢাকা
গতকাল মঙ্গলবার দুপুরের ঘটনা। রাজধানীর বকশীবাজার মোড়ে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের কাজ করছিলেন কনস্টেবল সাখাওয়াত। হঠাৎ করেই পেছন থেকে কয়েকজন লোক এসে তাঁর পিঠে-মাথায় কিলঘুষি মেরে দ্রুত পালিয়ে যায়। হামলায় মাথায় বেশ আঘাত পান সাখাওয়াত। এর আগে ১৩ সেপ্টেম্বর রাতে রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে ট্রাফিক ওয়ারী বিভাগের পুলিশ সদস্য আশরাফ আলীকে (৪৭) ছুরি মেরে আহত করে দুর্বৃত্তরা। এ ছাড়াও ট্রাফিক আইন ও শৃঙ্খলা মানতে কড়াকড়ি করলে মাঝেমধ্যেই দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যদের ওপর চড়াও হওয়ার ঘটনা ঘটছে।
ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে এমন চিত্র দেখা যাচ্ছে। দায়িত্বরত ট্রাফিক পুলিশ সদস্যদের ওপর এমন একের পর এক হামলার ঘটনা ঘটছে। হাসিনা সরকারের পতনের পরপরই থানাসহ পুলিশের বিভিন্ন স্থাপনায় ব্যাপক হামলা-ভাঙচুর করা হয়। আক্রান্ত হন পুলিশ সদস্যরাও। নিরাপত্তাহীনতায় কাজ থেকে দীর্ঘ সময় অনুপস্থিত ছিলেন ট্রাফিকসহ পুলিশ বাহিনীর সব সদস্য। টানা কয়েক দিন রাজধানীর ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ করেন স্বেচ্ছাসেবী শিক্ষার্থী ও জনতা। আগস্টের মাঝামাঝি থেকে রাজধানীতে আবার ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে নামেন পুলিশের সদস্যরা। তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিকের পথে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে অনাকাঙ্ক্ষিত এসব হামলার ঘটনা।
ট্রাফিক পুলিশের ওপর হামলার বিষয়ে ডিএমপির লালবাগ বিভাগের (ট্রাফিক) অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার আবু সাঈদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব পালনকালে এভাবে হামলা চালালে মাঠপর্যায়ের পুলিশের মনোবল দুর্বল হয়ে যায়। এসব কাম্য নয়।’
হাসিনা সরকারের পতনের আগে ও পরে থানাসহ পুলিশের বিভিন্ন স্থাপনায় হামলা-ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এসব হামলায় ট্রাফিক পুলিশের বিভিন্ন স্থাপনার ব্যাপক ক্ষতি হয়। আন্দোলনের সময় বিক্ষুব্ধ জনতার পাশাপাশি দুর্বৃত্তরা নানা ধ্বংসযজ্ঞ চালায়। ডিএমপি জানিয়েছে, এ সময় ৬৯টি পুলিশ বক্স ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ, ২টি উপপুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) কার্যালয়, ৪টি সহকারী পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) কার্যালয়, ২টি পুলিশ ফাঁড়িতে তাণ্ডব চালানো হয়। এতে পুলিশ সদস্যদের মধ্যে ব্যাপক ভীতির সঞ্চার হয়।
ডিএমপি সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে রাজধানীতে ৪ হাজার ১১৪ জন ট্রাফিক পুলিশ সদস্য কর্মরত। এর মধ্যে নানা কারণে এক-চতুর্থাংশ ছুটিতে থাকে। প্রতিদিন সকাল ৬টা থেকে বেলা ২টা, ২টা থেকে রাত ১০টা এবং ১০টা থেকে রাত ২টা পর্যন্ত তিন ভাগে কাজ করেন ট্রাফিক পুলিশ সদস্যরা। সকাল থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত রাজধানীর ৩৩৯টি স্থানে দায়িত্ব পালন করলেও রাত ১০টার পর পুলিশ ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ করে ৩২টি স্থানে।
পুলিশ ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বে ফিরে এলেও রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে প্রায়ই যানজট লেগে থাকছে। গত কয়েক দিনে রাজধানীর শাহবাগ, বাংলামোটর, পান্থপথ, মৎস্যভবন মোড়, হাইকোর্ট মোড়, গুলিস্তান, মতিঝিল, কাকরাইল, মালিবাগ, রামপুরা ইত্যাদি এলাকা ঘুরে দেখা যায় ট্রাফিক পুলিশ সদস্যরা কর্মরত থাকলেও কমছে না যানজট। যেসব সড়কে রিকশা চলা নিষিদ্ধ ছিল, সেখানেও চলছে পায়ে টানা ও ব্যাটারিচালিত রিকশা। কোনো কোনো গাড়ির চালক মানছেন না ট্রাফিক পুলিশের নির্দেশনা। কয়েক দিন আগে অবশ্য দুয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক থেকে ব্যাটারিচালিত রিকশা আটক করতে দেখা যায় পুলিশকে।
গতকাল দুপুরে রাজধানীর মতিঝিলে বাস কোম্পানি মিডলাইন পরিবহনের হেলপার মোস্তফা বলেন, সড়কে ট্রাফিক পুলিশ আছে। তবে আগের মতো কড়াকড়ি নাই।
গতকাল দুপুরে হাইকোর্টের সামনের সড়কে দীর্ঘ যানজটে কথা হয় ব্যাটারিচালিত রিকশার চালক মো. আলতাব হোসেনের সঙ্গে। আইন অমান্য করে মূল সড়কে এ রিকশা চালানোর বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আন্দোলনের সময় সব সড়কে এ রিকশা চলেছে। এখনো কোথাও আটকায় না। তাই যে সড়কেই ভাড়া পাই, সেখানে নিয়ে যাই।’
সড়কে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচলের বিষয়ে ডিএমপি বলেছে, যানজট কমাতে রাজধানীর মতিঝিল, কাকরাইল, শাহবাগ, বাংলামোটর, পান্থপথ, ধানমন্ডি, পল্লবী, মিরপুরসহ বেশ কিছু জায়গায় অটোরিকশা ও রিকশা চলাচল বন্ধে অভিযান চালানো হয়েছে। এখন পর্যন্ত ৬০ ভাগ রাস্তায় এসব যান চলাচল কমেছে। বাকিটা কিছুদিনের মধ্যেই কমে আসবে।
রাজধানীর বিভিন্ন সড়কের মোড়ে ৩ থেকে ৬ জন ট্রাফিক পুলিশ সদস্য দায়িত্ব পালন করছেন। এরপরও যানজট হওয়ার পেছনে নানা কারণের কথা বলেছেন পুলিশ ও চালকেরা। পুলিশ বলছে, আন্দোলনের পরপর কয়েকদিন রাজধানীর সড়কে গাড়ির চাপ কম ছিল। ধীরে ধীরে তা বেড়েছে, যানজটও বেড়েছে। আন্দোলনের পর ট্রাফিক আইন মানায় কড়াকড়ি না থাকায় মূল সড়কে বিভিন্ন ধরনের রিকশা চলাচল করেছে। অটোরিকশা চলাচল নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গিয়েছিল।
বাসচালকেরা বলছেন, মূল সড়কে অনেক রিকশা চলায় যানজট এড়াতে অনেক সময় এক রুটের গাড়ি অন্য রুটে চলে যায়। রুট এলোমেলো হয়ে যাওয়ায় এতে বরং যানজট বেড়ে যায়। ট্রাফিক পুলিশ আগের মতো জোর দিয়ে কিছু বলতে পারছে না।
মৎস্য ভবন মোড়ে ফজল নামের এক বাসের হেলপার বলেন, সড়কের এখন মা-বাপ নাই। যে যেভাবে পারছে চলছে। সব রাস্তায় রিকশা চলে। এতে গাড়ি চালাতেও সমস্যা হয়। সব রাস্তায় জ্যাম লাগে।
হাইকোর্ট মোড়ে দায়িত্বরত ট্রাফিক সার্জেন্ট শামীম আহমেদ বলেন, ‘ধীরে ধীরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হচ্ছে। সড়কে দায়িত্ব পালন করতে আগের মতো ভয় ও হুমকি নেই।’
সড়কে যানবাহনের শৃঙ্খলা না ফেরার পাশাপাশি মিছিল, অবস্থান, সভা-সমাবেশের কারণেও প্রতিদিন কমবেশি যানজটে পড়তে হচ্ছে নগরবাসীকে।
রাজধানীর ট্রাফিক ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার খোন্দকার নজমুল হাসান বলেন, ‘ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে পুলিশ কাজ করছে। নাগরিকদের ট্রাফিক আইন মেনে চলতে হবে। এতে যেমন নগরবাসীর চলাচল সহজ হবে, আমাদের কাজটাও সহজ হয়ে যাবে।’
দায়িত্বরত ট্রাফিক পুলিশের ওপর হামলার বিষয়ে অতিরিক্ত কমিশনার বলেন, যারা হামলা করেছে তাদেরকে চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার চেষ্টা করছে পুলিশ। ছিনতাইয়ের জন্য, নাকি পুলিশের মনোবল ভাঙার জন্য হামলা হচ্ছে—তা তদন্ত করে দেখা হবে। কারণ জানার পর ব্যবস্থা নেওয়া যাবে।
গতকাল মঙ্গলবার দুপুরের ঘটনা। রাজধানীর বকশীবাজার মোড়ে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের কাজ করছিলেন কনস্টেবল সাখাওয়াত। হঠাৎ করেই পেছন থেকে কয়েকজন লোক এসে তাঁর পিঠে-মাথায় কিলঘুষি মেরে দ্রুত পালিয়ে যায়। হামলায় মাথায় বেশ আঘাত পান সাখাওয়াত। এর আগে ১৩ সেপ্টেম্বর রাতে রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে ট্রাফিক ওয়ারী বিভাগের পুলিশ সদস্য আশরাফ আলীকে (৪৭) ছুরি মেরে আহত করে দুর্বৃত্তরা। এ ছাড়াও ট্রাফিক আইন ও শৃঙ্খলা মানতে কড়াকড়ি করলে মাঝেমধ্যেই দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যদের ওপর চড়াও হওয়ার ঘটনা ঘটছে।
ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে এমন চিত্র দেখা যাচ্ছে। দায়িত্বরত ট্রাফিক পুলিশ সদস্যদের ওপর এমন একের পর এক হামলার ঘটনা ঘটছে। হাসিনা সরকারের পতনের পরপরই থানাসহ পুলিশের বিভিন্ন স্থাপনায় ব্যাপক হামলা-ভাঙচুর করা হয়। আক্রান্ত হন পুলিশ সদস্যরাও। নিরাপত্তাহীনতায় কাজ থেকে দীর্ঘ সময় অনুপস্থিত ছিলেন ট্রাফিকসহ পুলিশ বাহিনীর সব সদস্য। টানা কয়েক দিন রাজধানীর ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ করেন স্বেচ্ছাসেবী শিক্ষার্থী ও জনতা। আগস্টের মাঝামাঝি থেকে রাজধানীতে আবার ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে নামেন পুলিশের সদস্যরা। তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিকের পথে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে অনাকাঙ্ক্ষিত এসব হামলার ঘটনা।
ট্রাফিক পুলিশের ওপর হামলার বিষয়ে ডিএমপির লালবাগ বিভাগের (ট্রাফিক) অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার আবু সাঈদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব পালনকালে এভাবে হামলা চালালে মাঠপর্যায়ের পুলিশের মনোবল দুর্বল হয়ে যায়। এসব কাম্য নয়।’
হাসিনা সরকারের পতনের আগে ও পরে থানাসহ পুলিশের বিভিন্ন স্থাপনায় হামলা-ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এসব হামলায় ট্রাফিক পুলিশের বিভিন্ন স্থাপনার ব্যাপক ক্ষতি হয়। আন্দোলনের সময় বিক্ষুব্ধ জনতার পাশাপাশি দুর্বৃত্তরা নানা ধ্বংসযজ্ঞ চালায়। ডিএমপি জানিয়েছে, এ সময় ৬৯টি পুলিশ বক্স ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ, ২টি উপপুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) কার্যালয়, ৪টি সহকারী পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) কার্যালয়, ২টি পুলিশ ফাঁড়িতে তাণ্ডব চালানো হয়। এতে পুলিশ সদস্যদের মধ্যে ব্যাপক ভীতির সঞ্চার হয়।
ডিএমপি সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে রাজধানীতে ৪ হাজার ১১৪ জন ট্রাফিক পুলিশ সদস্য কর্মরত। এর মধ্যে নানা কারণে এক-চতুর্থাংশ ছুটিতে থাকে। প্রতিদিন সকাল ৬টা থেকে বেলা ২টা, ২টা থেকে রাত ১০টা এবং ১০টা থেকে রাত ২টা পর্যন্ত তিন ভাগে কাজ করেন ট্রাফিক পুলিশ সদস্যরা। সকাল থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত রাজধানীর ৩৩৯টি স্থানে দায়িত্ব পালন করলেও রাত ১০টার পর পুলিশ ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ করে ৩২টি স্থানে।
পুলিশ ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বে ফিরে এলেও রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে প্রায়ই যানজট লেগে থাকছে। গত কয়েক দিনে রাজধানীর শাহবাগ, বাংলামোটর, পান্থপথ, মৎস্যভবন মোড়, হাইকোর্ট মোড়, গুলিস্তান, মতিঝিল, কাকরাইল, মালিবাগ, রামপুরা ইত্যাদি এলাকা ঘুরে দেখা যায় ট্রাফিক পুলিশ সদস্যরা কর্মরত থাকলেও কমছে না যানজট। যেসব সড়কে রিকশা চলা নিষিদ্ধ ছিল, সেখানেও চলছে পায়ে টানা ও ব্যাটারিচালিত রিকশা। কোনো কোনো গাড়ির চালক মানছেন না ট্রাফিক পুলিশের নির্দেশনা। কয়েক দিন আগে অবশ্য দুয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক থেকে ব্যাটারিচালিত রিকশা আটক করতে দেখা যায় পুলিশকে।
গতকাল দুপুরে রাজধানীর মতিঝিলে বাস কোম্পানি মিডলাইন পরিবহনের হেলপার মোস্তফা বলেন, সড়কে ট্রাফিক পুলিশ আছে। তবে আগের মতো কড়াকড়ি নাই।
গতকাল দুপুরে হাইকোর্টের সামনের সড়কে দীর্ঘ যানজটে কথা হয় ব্যাটারিচালিত রিকশার চালক মো. আলতাব হোসেনের সঙ্গে। আইন অমান্য করে মূল সড়কে এ রিকশা চালানোর বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আন্দোলনের সময় সব সড়কে এ রিকশা চলেছে। এখনো কোথাও আটকায় না। তাই যে সড়কেই ভাড়া পাই, সেখানে নিয়ে যাই।’
সড়কে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচলের বিষয়ে ডিএমপি বলেছে, যানজট কমাতে রাজধানীর মতিঝিল, কাকরাইল, শাহবাগ, বাংলামোটর, পান্থপথ, ধানমন্ডি, পল্লবী, মিরপুরসহ বেশ কিছু জায়গায় অটোরিকশা ও রিকশা চলাচল বন্ধে অভিযান চালানো হয়েছে। এখন পর্যন্ত ৬০ ভাগ রাস্তায় এসব যান চলাচল কমেছে। বাকিটা কিছুদিনের মধ্যেই কমে আসবে।
রাজধানীর বিভিন্ন সড়কের মোড়ে ৩ থেকে ৬ জন ট্রাফিক পুলিশ সদস্য দায়িত্ব পালন করছেন। এরপরও যানজট হওয়ার পেছনে নানা কারণের কথা বলেছেন পুলিশ ও চালকেরা। পুলিশ বলছে, আন্দোলনের পরপর কয়েকদিন রাজধানীর সড়কে গাড়ির চাপ কম ছিল। ধীরে ধীরে তা বেড়েছে, যানজটও বেড়েছে। আন্দোলনের পর ট্রাফিক আইন মানায় কড়াকড়ি না থাকায় মূল সড়কে বিভিন্ন ধরনের রিকশা চলাচল করেছে। অটোরিকশা চলাচল নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গিয়েছিল।
বাসচালকেরা বলছেন, মূল সড়কে অনেক রিকশা চলায় যানজট এড়াতে অনেক সময় এক রুটের গাড়ি অন্য রুটে চলে যায়। রুট এলোমেলো হয়ে যাওয়ায় এতে বরং যানজট বেড়ে যায়। ট্রাফিক পুলিশ আগের মতো জোর দিয়ে কিছু বলতে পারছে না।
মৎস্য ভবন মোড়ে ফজল নামের এক বাসের হেলপার বলেন, সড়কের এখন মা-বাপ নাই। যে যেভাবে পারছে চলছে। সব রাস্তায় রিকশা চলে। এতে গাড়ি চালাতেও সমস্যা হয়। সব রাস্তায় জ্যাম লাগে।
হাইকোর্ট মোড়ে দায়িত্বরত ট্রাফিক সার্জেন্ট শামীম আহমেদ বলেন, ‘ধীরে ধীরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হচ্ছে। সড়কে দায়িত্ব পালন করতে আগের মতো ভয় ও হুমকি নেই।’
সড়কে যানবাহনের শৃঙ্খলা না ফেরার পাশাপাশি মিছিল, অবস্থান, সভা-সমাবেশের কারণেও প্রতিদিন কমবেশি যানজটে পড়তে হচ্ছে নগরবাসীকে।
রাজধানীর ট্রাফিক ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার খোন্দকার নজমুল হাসান বলেন, ‘ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে পুলিশ কাজ করছে। নাগরিকদের ট্রাফিক আইন মেনে চলতে হবে। এতে যেমন নগরবাসীর চলাচল সহজ হবে, আমাদের কাজটাও সহজ হয়ে যাবে।’
দায়িত্বরত ট্রাফিক পুলিশের ওপর হামলার বিষয়ে অতিরিক্ত কমিশনার বলেন, যারা হামলা করেছে তাদেরকে চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার চেষ্টা করছে পুলিশ। ছিনতাইয়ের জন্য, নাকি পুলিশের মনোবল ভাঙার জন্য হামলা হচ্ছে—তা তদন্ত করে দেখা হবে। কারণ জানার পর ব্যবস্থা নেওয়া যাবে।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
২ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
২ দিন আগে