আবু বকর ছিদ্দিক, চট্টগ্রাম
সীতাকুণ্ডের বিএম কনটেইনার ডিপোতে বিস্ফোরিত হাইড্রোজেন পার অক্সাইড রপ্তানিতে চট্টগ্রাম বন্দরের ডিজি কার্গো বা বিপজ্জনক পণ্য (ডেঞ্জারস কার্গো) পরিবহনে নিয়ম মানা হয়নি। ইন্টারন্যাশনাল মেরিটাইম ডেঞ্জারস গুডস (আইএমডিজি) নীতিমালা অনুযায়ী বিপজ্জনক ও বিস্ফোরক জাতীয় মালামাল/ কনটেইনার সংরক্ষণ/হ্যান্ডেলিং করতে আইএমডিজি নীতিমালা মানতে হয়। গত বছর জাতীয় রাজস্ব বোর্ড থেকে বেসরকারি আইসিডি স্থাপন ও নীতিমালায়ও আইএমডিজি নীতিমালা গুরুত্বসহ মানতে বলা আছে।
এর আগে ২০১৬ সালে চট্টগ্রাম বন্দর প্রণীত বেসরকারি আইসিডি নীতিমালায়ও আইএমডিজি নীতিমালা প্রতিপালনের জন্য বলা হয়েছে। আইএমডিজি নীতিমালার আলোকে চট্টগ্রাম বন্দরের ট্রাফিক বিভাগ থেকে ১২টি নির্দেশনা দিয়ে বিপজ্জনক পণ্য পরিবহনের বিষয়ে গত বছরের ২৩ জুন একটি অফিস আদেশ জারি করা হয়। ওই চিঠিতে বিপজ্জনক পণ্য পরিবাহিত কনটেইনারে আইএমও লেবেল (ডিজি স্টিকার) থাকা ও সঠিকভাবে মেনে চলতে বলা হয়।
ওই আদেশে বলা হয়, শিপিং এজেন্ট এবং ফ্রেইট ফরোয়ার্ডার্স বিপজ্জনক পণ্য বুকিং করার ক্ষেত্রে পণ্যের প্রকৃতি, ধরন বিশদভাবে আইএমও ইনস্ট্রাকশন অনুযায়ী পণ্য/কন্টেইনার লোডিং ও তদারকি করবে। লোডিং পয়েন্ট থেকে বিপজ্জনক পণ্য পরিবাহিত কনটেইনারে আইএমও লেবেল (ডিজি স্টিকার) লাগিয়ে পণ্য জাহাজিকরণ করতে হবে। আইএমডিজিভুক্ত পণ্য পরিবাহিত পণ্যে কনটেইনারের রিস্ক রেসপনসিবিলিটি এজেন্ট হিসেবে শিপিং এজেন্ট ও ফ্রেইট ফরোয়ার্ডের ওপর বর্তাবে।
এ ছাড়া ড্রামে কনটেইনারে বিপজ্জনক পণ্য পরিবহনের স্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে। ডিজি কার্গো কন্টেইনার দ্রুততম (৭২ ঘণ্টা) সময়ের মধ্যে ডেলিভারি নিশ্চিত করার কথা বলা হয়েছে। বিপজ্জনক পণ্য (ডিজি) পরিবাহিত কনটেইনার বিলম্বে ডেলিভারির কারণে কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে সংশ্লিষ্ট শিপিং এজেন্ট/ফ্রেইট ফরোয়ার্ডার্স ও কনসাইনি দায়ী থাকবে।
বিএম ডিপো ইন্টারন্যাশনাল মেরিটাইম ডেঞ্জারস গুডস (আইএমডিজি) নীতিমালার কোনোটাই প্রতিপালন করেনি। যেভাবে ডিজি কার্গো খালাস হয়, কোনো জাহাজে বিপজ্জনক পণ্য এলে চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে সংশ্লিষ্ট শিপিং এজেন্ট আইজিএম (ইমপোর্ট জেনারেল মেনু পেস্ট) দেয়। যাতে কাস্টমসের এসাইকুডা ওয়ার্ল্ড সিস্টেমে ডিজি কার্গোর মার্ক থাকে এবং নৌবাহিনীর ব্লক থাকে।
সে অনুযায়ী চট্টগ্রাম বন্দর সতর্কতার বিপজ্জনক পণ্য হ্যান্ডেলিং করে। সেভাবে পণ্যগুলো বন্দরের ফায়ার বিভাগ ও নৌবাহিনীর বিশেষ নজরদারিতে থাকে। ডেলিভারি পর্যায়েও বন্দরের ফায়ার ও নৌবাহিনীর ছাড়পত্র নিতে হয়।
বিএম ডিপোতে কর্মরত চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের সহকারী কমিশনার উত্তম চাকমা এ বিষয়ে আজকের পত্রিকাকে বলেন, বিএম ডিপোতে রপ্তানির জন্য মজুত করা হাইড্রোজেন পার অক্সাইড শুল্কায়ন করা ছিল না। তিনি আরও বলেন, অনেকবার বলার পরও খুব কমসংখ্যক শিপিং এজেন্ট ইজিএম (এক্সপোর্ট জেনারেল মেনু পেস্ট) দাখিল করে। ফলে রপ্তানিতে বিপজ্জনক পণ্যের বর্ণনা বা মার্কা ডিজি কার্গো চিহ্ন প্রদর্শন করে না।
চট্টগ্রাম বন্দর সচিব ওমর ফারুক বলেন, হাইড্রোজেন পার অক্সাইড ডিজি কার্গো কিনা তা জানতে হবে। ডিজি কার্গো হয়ে থাকলে আইএমডিজি নীতিমালা মানতে বাধ্য। এ ছাড়া বেসরকারি অফ ডকে চট্টগ্রাম বন্দরের জনবল ও সেটআপ নেই।
বিএম ডিপোর মহাব্যবস্থাপক মেজর (অব.) শামসুল হায়দার সিদ্দিকী আইএমডিজি নীতিমালা বিএম ডিপোতে পতিপালিত হয়েছে কিনা তা সুস্পষ্ট করে কিছু বলতে পারেননি। তিনি দাবি করেন, পণ্যগুলো কাস্টমসের কার্যাদি সম্পন্ন করা ছিল। পণ্যগুলো শিপমেন্ট কেন দেরি হলো এ প্রশ্নের জবাবে হায়দার বলেন, ডিজি কার্গো হওয়ার কারণে জাহাজগুলো পণ্য নিতে চায় না। ফলে শিপমেন্ট দেরি হয়েছে।
সীতাকুণ্ডের বিএম কনটেইনার ডিপোতে বিস্ফোরিত হাইড্রোজেন পার অক্সাইড রপ্তানিতে চট্টগ্রাম বন্দরের ডিজি কার্গো বা বিপজ্জনক পণ্য (ডেঞ্জারস কার্গো) পরিবহনে নিয়ম মানা হয়নি। ইন্টারন্যাশনাল মেরিটাইম ডেঞ্জারস গুডস (আইএমডিজি) নীতিমালা অনুযায়ী বিপজ্জনক ও বিস্ফোরক জাতীয় মালামাল/ কনটেইনার সংরক্ষণ/হ্যান্ডেলিং করতে আইএমডিজি নীতিমালা মানতে হয়। গত বছর জাতীয় রাজস্ব বোর্ড থেকে বেসরকারি আইসিডি স্থাপন ও নীতিমালায়ও আইএমডিজি নীতিমালা গুরুত্বসহ মানতে বলা আছে।
এর আগে ২০১৬ সালে চট্টগ্রাম বন্দর প্রণীত বেসরকারি আইসিডি নীতিমালায়ও আইএমডিজি নীতিমালা প্রতিপালনের জন্য বলা হয়েছে। আইএমডিজি নীতিমালার আলোকে চট্টগ্রাম বন্দরের ট্রাফিক বিভাগ থেকে ১২টি নির্দেশনা দিয়ে বিপজ্জনক পণ্য পরিবহনের বিষয়ে গত বছরের ২৩ জুন একটি অফিস আদেশ জারি করা হয়। ওই চিঠিতে বিপজ্জনক পণ্য পরিবাহিত কনটেইনারে আইএমও লেবেল (ডিজি স্টিকার) থাকা ও সঠিকভাবে মেনে চলতে বলা হয়।
ওই আদেশে বলা হয়, শিপিং এজেন্ট এবং ফ্রেইট ফরোয়ার্ডার্স বিপজ্জনক পণ্য বুকিং করার ক্ষেত্রে পণ্যের প্রকৃতি, ধরন বিশদভাবে আইএমও ইনস্ট্রাকশন অনুযায়ী পণ্য/কন্টেইনার লোডিং ও তদারকি করবে। লোডিং পয়েন্ট থেকে বিপজ্জনক পণ্য পরিবাহিত কনটেইনারে আইএমও লেবেল (ডিজি স্টিকার) লাগিয়ে পণ্য জাহাজিকরণ করতে হবে। আইএমডিজিভুক্ত পণ্য পরিবাহিত পণ্যে কনটেইনারের রিস্ক রেসপনসিবিলিটি এজেন্ট হিসেবে শিপিং এজেন্ট ও ফ্রেইট ফরোয়ার্ডের ওপর বর্তাবে।
এ ছাড়া ড্রামে কনটেইনারে বিপজ্জনক পণ্য পরিবহনের স্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে। ডিজি কার্গো কন্টেইনার দ্রুততম (৭২ ঘণ্টা) সময়ের মধ্যে ডেলিভারি নিশ্চিত করার কথা বলা হয়েছে। বিপজ্জনক পণ্য (ডিজি) পরিবাহিত কনটেইনার বিলম্বে ডেলিভারির কারণে কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে সংশ্লিষ্ট শিপিং এজেন্ট/ফ্রেইট ফরোয়ার্ডার্স ও কনসাইনি দায়ী থাকবে।
বিএম ডিপো ইন্টারন্যাশনাল মেরিটাইম ডেঞ্জারস গুডস (আইএমডিজি) নীতিমালার কোনোটাই প্রতিপালন করেনি। যেভাবে ডিজি কার্গো খালাস হয়, কোনো জাহাজে বিপজ্জনক পণ্য এলে চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে সংশ্লিষ্ট শিপিং এজেন্ট আইজিএম (ইমপোর্ট জেনারেল মেনু পেস্ট) দেয়। যাতে কাস্টমসের এসাইকুডা ওয়ার্ল্ড সিস্টেমে ডিজি কার্গোর মার্ক থাকে এবং নৌবাহিনীর ব্লক থাকে।
সে অনুযায়ী চট্টগ্রাম বন্দর সতর্কতার বিপজ্জনক পণ্য হ্যান্ডেলিং করে। সেভাবে পণ্যগুলো বন্দরের ফায়ার বিভাগ ও নৌবাহিনীর বিশেষ নজরদারিতে থাকে। ডেলিভারি পর্যায়েও বন্দরের ফায়ার ও নৌবাহিনীর ছাড়পত্র নিতে হয়।
বিএম ডিপোতে কর্মরত চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের সহকারী কমিশনার উত্তম চাকমা এ বিষয়ে আজকের পত্রিকাকে বলেন, বিএম ডিপোতে রপ্তানির জন্য মজুত করা হাইড্রোজেন পার অক্সাইড শুল্কায়ন করা ছিল না। তিনি আরও বলেন, অনেকবার বলার পরও খুব কমসংখ্যক শিপিং এজেন্ট ইজিএম (এক্সপোর্ট জেনারেল মেনু পেস্ট) দাখিল করে। ফলে রপ্তানিতে বিপজ্জনক পণ্যের বর্ণনা বা মার্কা ডিজি কার্গো চিহ্ন প্রদর্শন করে না।
চট্টগ্রাম বন্দর সচিব ওমর ফারুক বলেন, হাইড্রোজেন পার অক্সাইড ডিজি কার্গো কিনা তা জানতে হবে। ডিজি কার্গো হয়ে থাকলে আইএমডিজি নীতিমালা মানতে বাধ্য। এ ছাড়া বেসরকারি অফ ডকে চট্টগ্রাম বন্দরের জনবল ও সেটআপ নেই।
বিএম ডিপোর মহাব্যবস্থাপক মেজর (অব.) শামসুল হায়দার সিদ্দিকী আইএমডিজি নীতিমালা বিএম ডিপোতে পতিপালিত হয়েছে কিনা তা সুস্পষ্ট করে কিছু বলতে পারেননি। তিনি দাবি করেন, পণ্যগুলো কাস্টমসের কার্যাদি সম্পন্ন করা ছিল। পণ্যগুলো শিপমেন্ট কেন দেরি হলো এ প্রশ্নের জবাবে হায়দার বলেন, ডিজি কার্গো হওয়ার কারণে জাহাজগুলো পণ্য নিতে চায় না। ফলে শিপমেন্ট দেরি হয়েছে।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৩ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৩ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৩ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৩ দিন আগে