মিলন উল্লাহ, কুষ্টিয়া প্রতিনিধি
চারটি সংসদীয় আসনের মধ্যে জেলার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আসন কুষ্টিয়া-৩। সদর ও ইবি থানা এবং পৌর এলাকা নিয়ে গঠিত এ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ।
দেশের অন্য সংসদীয় আসনের মতো এ আসনেও আসন্ন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এরই মধ্যে বড় দুই দলের সম্ভাব্য মনোনয়নপ্রত্যাশীদের তৎপরতা শুরু হয়ে গেছে। ক্ষমতাসীন দলের মনোনয়নপ্রত্যাশীরা অনেকটা প্রকাশ্যে প্রচার চালালেও দলীয় কর্মসূচির মাধ্যমে ভেতরে-ভেতরে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থীরা। ২০০৮ সালের আগে পর্যন্ত এই আসন ছিল বিএনপির দখলে। ২০০৮ সালের ওই নির্বাচনে বিজয়ী হন ১৪ দলীয় জোটের প্রার্থী কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি খন্দকার রশিদুজ্জামান দুদু। আগামী দ্বাদশ নির্বাচনে বিএনপি চাইবে হারানো আসনটি পুনরুদ্ধার করতে। অন্যদিকে আওয়ামী লীগও মরিয়া আসনটি ধরে রাখতে।
সর্বশেষ ২০১৮ সালের একাদশ নির্বাচনে বিএনপি প্রার্থী প্রকৌশলী জাকির হোসেন সরকারকে বিপুল ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করে এ আসনে দ্বিতীয়বারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন মাহবুব উল আলম হানিফ। কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা হানিফ কুষ্টিয়া-২ (মিরপুর-ভেড়ামারা) আসনের বাসিন্দা হলেও জোটগত নির্বাচনের কারণে ওই আসনটি জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনুকে ছেড়ে দিতে হয়। তাই তিনি নির্বাচন করেন কুষ্টিয়া-৩ আসনে। স্থানীয় নেতা-কর্মীরা বলছেন, আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও এ আসন থেকে হানিফের মনোনয়ন লাভের বিষয়টি একপ্রকার নিশ্চিত।
স্থানীয় ভোটাররা বলছেন, এমপি নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই নিজের আসনে ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন হানিফ। এই উন্নয়নযজ্ঞের কারণে দলের তৃণমূলে কিছু বিভেদ থাকলেও হানিফকেন্দ্রিক দলীয় নেতা-কর্মীরা সবাই এক কাতারে।
জানতে চাইলে মাহাবুব উল আলম হানিফ বলেন, ‘বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার পর সারা দেশে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। কুষ্টিয়ায়ও এর ব্যত্যয় ঘটেনি। নির্বাচনে আসার আগে আমি কুষ্টিয়াবাসীকে যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম, সংসদ সদস্য হওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মাধ্যমে তার সবটাই বাস্তবায়ন করতে পেরেছি। তাই উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে আগামী নির্বাচনে সাধারণ মানুষ বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার পক্ষে, নৌকার পক্ষে ভোট দেবেন।’
এরপরেও এ আসনে আওয়ামী লীগের মানোনয়নপ্রত্যাশী হিসেবে আরও দুজনের নাম শোনা যাচ্ছে। তাঁরা হলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আজগর আলী এবং জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি অধ্যক্ষ ডা. এ এফ এম আমিনুল হক রতন।
এদিকে একসময় বিএনপির ঘাঁটি বলে পরিচিত কুষ্টিয়া সদর আসন ফিরে পেতে আটঘাট বেঁধে মাঠে আছেন দলের দুই নেতা। বিএনপি থেকে এ আসনে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক এমপি অধ্যক্ষ সোহরাব উদ্দিন এবং কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক ও কুষ্টিয়া সদর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান প্রকৌশলী জাকির হোসেন সরকার মনোনয়ন চাইবেন বলে শোনা যাচ্ছে।
দলীয়ভাবে এখনো নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত না এলেও বিভিন্ন সভা-সমাবেশ এবং সামাজিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে বিএনপির এই দুই নেতা মাঠে তৎপর রয়েছেন। এমনকি বিভিন্ন সভা-সমাবেশে এই দুই নেতার অনুসারীদের মধ্যে প্রকাশ্যে বাগ্বিতণ্ডার মতো ঘটনাও ঘটতে দেখা গেছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যক্ষ সোহরাব উদ্দিন বলেন, ‘বিএনপি একটি বড় দল। এই দলে প্রতিযোগিতা তো থাকবেই, তবে আমাদের মধ্যে কোনো বিরোধ নেই। আমাদের এখন একমাত্র আন্দোলন সরকারের পতন নিয়ে। এই আন্দোলনের মধ্য দিয়েই আমরা জনসম্পৃক্ততা গড়ে তুলছি। সাধারণ মানুষ আমাদের সঙ্গে আছে। তাই নির্বাচনে তাদের সমর্থন আমরা পাব।’
অন্যদিকে জাতীয় পার্টির সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে আলোচনায় আছেন জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি নাফিজ আহমেদ খান টিটু। আবার জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ ইনু) প্রার্থী জেলা জাসদের সভাপতি গোলাম মহসিনও নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানা গেছে।
চারটি সংসদীয় আসনের মধ্যে জেলার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আসন কুষ্টিয়া-৩। সদর ও ইবি থানা এবং পৌর এলাকা নিয়ে গঠিত এ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ।
দেশের অন্য সংসদীয় আসনের মতো এ আসনেও আসন্ন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এরই মধ্যে বড় দুই দলের সম্ভাব্য মনোনয়নপ্রত্যাশীদের তৎপরতা শুরু হয়ে গেছে। ক্ষমতাসীন দলের মনোনয়নপ্রত্যাশীরা অনেকটা প্রকাশ্যে প্রচার চালালেও দলীয় কর্মসূচির মাধ্যমে ভেতরে-ভেতরে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থীরা। ২০০৮ সালের আগে পর্যন্ত এই আসন ছিল বিএনপির দখলে। ২০০৮ সালের ওই নির্বাচনে বিজয়ী হন ১৪ দলীয় জোটের প্রার্থী কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি খন্দকার রশিদুজ্জামান দুদু। আগামী দ্বাদশ নির্বাচনে বিএনপি চাইবে হারানো আসনটি পুনরুদ্ধার করতে। অন্যদিকে আওয়ামী লীগও মরিয়া আসনটি ধরে রাখতে।
সর্বশেষ ২০১৮ সালের একাদশ নির্বাচনে বিএনপি প্রার্থী প্রকৌশলী জাকির হোসেন সরকারকে বিপুল ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করে এ আসনে দ্বিতীয়বারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন মাহবুব উল আলম হানিফ। কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা হানিফ কুষ্টিয়া-২ (মিরপুর-ভেড়ামারা) আসনের বাসিন্দা হলেও জোটগত নির্বাচনের কারণে ওই আসনটি জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনুকে ছেড়ে দিতে হয়। তাই তিনি নির্বাচন করেন কুষ্টিয়া-৩ আসনে। স্থানীয় নেতা-কর্মীরা বলছেন, আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও এ আসন থেকে হানিফের মনোনয়ন লাভের বিষয়টি একপ্রকার নিশ্চিত।
স্থানীয় ভোটাররা বলছেন, এমপি নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই নিজের আসনে ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন হানিফ। এই উন্নয়নযজ্ঞের কারণে দলের তৃণমূলে কিছু বিভেদ থাকলেও হানিফকেন্দ্রিক দলীয় নেতা-কর্মীরা সবাই এক কাতারে।
জানতে চাইলে মাহাবুব উল আলম হানিফ বলেন, ‘বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার পর সারা দেশে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। কুষ্টিয়ায়ও এর ব্যত্যয় ঘটেনি। নির্বাচনে আসার আগে আমি কুষ্টিয়াবাসীকে যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম, সংসদ সদস্য হওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মাধ্যমে তার সবটাই বাস্তবায়ন করতে পেরেছি। তাই উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে আগামী নির্বাচনে সাধারণ মানুষ বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার পক্ষে, নৌকার পক্ষে ভোট দেবেন।’
এরপরেও এ আসনে আওয়ামী লীগের মানোনয়নপ্রত্যাশী হিসেবে আরও দুজনের নাম শোনা যাচ্ছে। তাঁরা হলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আজগর আলী এবং জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি অধ্যক্ষ ডা. এ এফ এম আমিনুল হক রতন।
এদিকে একসময় বিএনপির ঘাঁটি বলে পরিচিত কুষ্টিয়া সদর আসন ফিরে পেতে আটঘাট বেঁধে মাঠে আছেন দলের দুই নেতা। বিএনপি থেকে এ আসনে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক এমপি অধ্যক্ষ সোহরাব উদ্দিন এবং কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক ও কুষ্টিয়া সদর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান প্রকৌশলী জাকির হোসেন সরকার মনোনয়ন চাইবেন বলে শোনা যাচ্ছে।
দলীয়ভাবে এখনো নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত না এলেও বিভিন্ন সভা-সমাবেশ এবং সামাজিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে বিএনপির এই দুই নেতা মাঠে তৎপর রয়েছেন। এমনকি বিভিন্ন সভা-সমাবেশে এই দুই নেতার অনুসারীদের মধ্যে প্রকাশ্যে বাগ্বিতণ্ডার মতো ঘটনাও ঘটতে দেখা গেছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যক্ষ সোহরাব উদ্দিন বলেন, ‘বিএনপি একটি বড় দল। এই দলে প্রতিযোগিতা তো থাকবেই, তবে আমাদের মধ্যে কোনো বিরোধ নেই। আমাদের এখন একমাত্র আন্দোলন সরকারের পতন নিয়ে। এই আন্দোলনের মধ্য দিয়েই আমরা জনসম্পৃক্ততা গড়ে তুলছি। সাধারণ মানুষ আমাদের সঙ্গে আছে। তাই নির্বাচনে তাদের সমর্থন আমরা পাব।’
অন্যদিকে জাতীয় পার্টির সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে আলোচনায় আছেন জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি নাফিজ আহমেদ খান টিটু। আবার জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ ইনু) প্রার্থী জেলা জাসদের সভাপতি গোলাম মহসিনও নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানা গেছে।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৩ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৩ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৩ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৩ দিন আগে