সহসম্পাদকের পদে ‘বিবাহিত’ রিটন

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
প্রকাশ : ১৫ জানুয়ারি ২০২২, ০৭: ৫১
আপডেট : ১৫ জানুয়ারি ২০২২, ১৩: ০৮

ছাত্রলীগের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী বিবাহিত কেউ ছাত্রলীগের পদে আসতে পারবেন না। তবে সেই নিয়মের ব্যত্যয় ঘটিয়েছে চট্টগ্রাম নগর ছাত্রলীগ। ওই শাখার সহসম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বিবাহিত রেজাউল করিম রিটনকে। বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে সমালোচনায় মেতে উঠেছেন নেতা-কর্মীরা।

গত ৪ জানুয়ারি নগর ছাত্রলীগের সভাপতি ইমরান আহম্মেদ ইমু ও সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া দস্তগীরের সই করা প্যাডে রেজাউল করিম রিটনকে ওই পদে মনোনীত করা হয়। তবে বিষয়টি গত বুধবার রাতে জানা যায়। এরপর রিটনকে অনেকে অভিনন্দন জানাতে শুরু করেন। তবে কেউ কেউ তাঁর বিয়ের বিষয়টি সামনে আনেন।

রিটন নগরের রাজনীতিতে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের অনুসারী হিসেবে পরিচিত। তবে তাঁর এভাবে পদ পাওয়ার সমালোচনায় প্রতিপক্ষ আ জ ম নাছির উদ্দীনের অনুসারী নেতা-কর্মীরাই বেশি সোচ্চার। তবে বাদ যাচ্ছেন না নিজ পক্ষের নেতা-কর্মীরাও।

প্রথমে ফারজানা আক্তার মিশু নামের এক যুবলীগ কর্মী রিটনের বিয়ে ও মনোনয়ন পাওয়ার প্যাডের ছবি তুলে নিজের ফেসবুক প্রোফাইলে পোস্ট দেন। ওপরে ক্যাপশন দেন, ‘বিবাহিত হওয়ার পরেও, চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের কমিটির নয় বছর অতিবাহিত সময়ে এসে সহসম্পাদক পদ পাওয়াটা সৌভাগ্যের বিষয়।’ পরে সেই পোস্টের স্ক্রিনশট ছড়িয়ে পড়ে।

ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নগরীর ওমর গণি এমইএস কলেজের সাবেক ছাত্র রিটন ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত দীর্ঘদিন। তবে বিয়ের পর যুবলীগের রাজনীতিতে মন দেন তিনি। ওই সংগঠনের বিভিন্ন কর্মসূচিতে শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে নিয়মিত অংশ নিতেও শুরু করেন। কিন্তু আকস্মিক আবার ছাত্রলীগের পদ পাওয়ায় তাঁরা বিস্মিত হয়েছেন। অনেকের অভিযোগ, নগর ছাত্রলীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক মনোনয়ন বাণিজ্য করছেন। তাঁরা বলছেন, সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক অন্য নেতাদের সঙ্গে পরামর্শ কিংবা আলোচনা না করে নিজেদের ইচ্ছেমতো পদ দিচ্ছেন।

তবে এ বিষয়ে কথা বলতে নগর ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের মুঠোফোনে যোগাযোগ করেও মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত