এইচ এম মাইনুল ইসলাম, মোরেলগঞ্জ (বাগেরহাট)
বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে গুরুত্বপূর্ণ সরকারি খাল ও রাস্তা দখল করে ঘের করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। খালে বাঁধ দিয়ে তাঁরা মাছ ছেড়েছেন। রাস্তাগুলো ব্যবহার হচ্ছে ঘেরের পাড় হিসেবে। আবার যে যাঁর সুবিধামতো রাস্তা কেটে তৈরি করেছেন পানি নিষ্কাশনের পথ।
উপজেলার জিউধরা, বহরবুনিয়া ও তেলিগাতী ইউনিয়নে ঘের মালিকদের এমন দখলদারির কারণে খালগুলোতে পানি প্রবাহ বন্ধ হয়ে গেছে। রাস্তায় চলতে পারছে না দ্রুত গতির যানবাহন। পানির অভাবে মাঠে একাধিক ফসল চাষ সম্ভব হচ্ছে না। ঘের ব্যবসায়ীদের কাছে জমির মালিক ও কৃষকেরা জিম্মি হয়ে পড়েছেন বলে অভিযোগ।
জানা গেছে, বহরবুনিয়া ইউনিয়নে ৩০ থেকে ৩৫টি সরকারি খাল রয়েছে। যার সবগুলোই প্রায় এক যুগ ধরে বেদখল হয়ে আছে। প্রতিটি খালে কমপক্ষে ৮-১০টি স্থানে বাঁধ দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় ঘের ব্যবসায়ীরা এসব খাল তাঁদের ঘেরের সঙ্গে মিলিয়ে মাছ চাষ করছেন।
এ এলাকায় লবণ পানির মাছ চাষে সাফল্য পাওয়ায় বহিরাগত অনেক মানুষও নানাভাবে প্রভাব খাঁটিয়ে এখানে ঘের ব্যবসা করছেন। ফলে জমির মালিকেরা ইচ্ছে করলেই একাধিক ফসল চাষ করতে পারছেন না। ঘের ব্যবসায়ীদের কারণে অনেক জমি অনাবাদি রাখতে হয়। আবার অনেকে ইচ্ছে করলেও লবণ সহিষ্ণু (হিরা-২ জাতের) উচ্চ ফলনশীল বোরো ধান চাষ করতে পারছেন না।
একই অবস্থা জিউধরা ইউনিয়নেও। ঘের ব্যবসায়ীরা এ ইউনিয়নে কমপক্ষে ১০টি খাল দখল করে করেছেন বলে অভিযোগ। খালগুলো সরকারি হওয়া সত্ত্বেও এর নিয়ন্ত্রণ দখলকারীদের হাতে। ক্ষমতাসীন দলের স্থানীয় ও বহিরাগত অনেক নেতা এখানে খাল দখল করে ঘের ব্যবসা করছেন। জমির মালিকানা না থাকলেও তাঁরা নানা কৌশলে শত শত একর জমির ঘেরের মালিক। কোনো কোনো ইউনিয়নে পরিষদের চেয়ারম্যানও এসব অবৈধ ঘের ব্যবসার সঙ্গে জড়িত বলে অভিযোগ রয়েছে।
বহরবুনিয়া ইউনিয়নে ঘেরের পাড় হিসেবে ব্যবহার করে অনেক কাচা রাস্তা ধ্বংস করা হয়েছে। জিউধরা ইউনিয়নে ইট সলিং ও ঢালাই রাস্তাও ঘেরের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এসব ঘের মালিকেরা রাস্তা কেটে পাইপ ও কাঠের বাক্স বসিয়ে ঘেরে পানি ওঠানামা করাচ্ছেন। বহরবুনিয়া ইউনিয়নে এক ইঞ্চিও পিচ ঢালাই সড়ক নেই। নেই একটি পরিপূর্ণ পাকা সড়কও। বর্ষা মৌসুমে এ ইউনিয়নে নৌকা ছাড়া যাতায়াতের কোনো পথ থাকে না।
উপজেলা পরিষদের আইনশৃঙ্খলাবিষয়ক সভায় দখল হওয়া এসব খাল ও ঘেরের পাড় হিসেবে ব্যবহৃত রাস্তাগুলো রক্ষার জন্য সিদ্ধান্ত নেওয়া হলেও তা এখনো কার্যকর হয়নি।
বহরবুনিয়া ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য ফরিদ ফকির বলেন, এলাকার উন্নয়নের জন্য তাঁরা যতটুকু রাস্তা সংস্কার করেন তা ঘেরে ভেঙে যায়। ঘের মালিকেরা প্রভাবশালী হওয়ায় তাঁরা বাধা দিতেও ভয় পান।
জিউধরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. জাহাঙ্গীর আলম বাদশা বলেন, জিউধরা ইউনিয়নে কমপক্ষে ১০টি খাল স্থানীয় ঘের ব্যবসায়ীরা বাঁধ দিয়ে বন্ধ করে দিয়েছেন।
বহরবুনিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. রিপন তালুকদার বলেন, এ ইউনিয়নে ৩০-৩৫টি খাল রয়েছে। যার সবগুলোই ঘের ব্যবসায়ীরা অসংখ্য বাঁধ দিয়ে তাঁদের সুবিধামতো ব্যবহার করছেন।
ঘের ব্যবসায়ী মালেক কাজী, রফিকুল মাস্টার, মাসুম ফকির ও বেদার সিকদার বলেন, তাঁরা অন্যায়ভাবে ঘের করেন না, হাড়ির (ইজারা) টাকা দিয়ে ঘের করেন। তাঁরা রাস্তা কেটে ঘের করেন না।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, বেসরকারিভাবে বন্ধ করে দেওয়া খালগুলোর তথ্য সংগ্রহ চলছে। শিগগিরই এগুলো উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে। ঘেরের পাড় হিসেবে যাতে আর কোনো রাস্তা ব্যবহার না হয় সে জন্যও পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এসব ক্ষেত্রে প্রয়োজনে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হবে।
বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে গুরুত্বপূর্ণ সরকারি খাল ও রাস্তা দখল করে ঘের করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। খালে বাঁধ দিয়ে তাঁরা মাছ ছেড়েছেন। রাস্তাগুলো ব্যবহার হচ্ছে ঘেরের পাড় হিসেবে। আবার যে যাঁর সুবিধামতো রাস্তা কেটে তৈরি করেছেন পানি নিষ্কাশনের পথ।
উপজেলার জিউধরা, বহরবুনিয়া ও তেলিগাতী ইউনিয়নে ঘের মালিকদের এমন দখলদারির কারণে খালগুলোতে পানি প্রবাহ বন্ধ হয়ে গেছে। রাস্তায় চলতে পারছে না দ্রুত গতির যানবাহন। পানির অভাবে মাঠে একাধিক ফসল চাষ সম্ভব হচ্ছে না। ঘের ব্যবসায়ীদের কাছে জমির মালিক ও কৃষকেরা জিম্মি হয়ে পড়েছেন বলে অভিযোগ।
জানা গেছে, বহরবুনিয়া ইউনিয়নে ৩০ থেকে ৩৫টি সরকারি খাল রয়েছে। যার সবগুলোই প্রায় এক যুগ ধরে বেদখল হয়ে আছে। প্রতিটি খালে কমপক্ষে ৮-১০টি স্থানে বাঁধ দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় ঘের ব্যবসায়ীরা এসব খাল তাঁদের ঘেরের সঙ্গে মিলিয়ে মাছ চাষ করছেন।
এ এলাকায় লবণ পানির মাছ চাষে সাফল্য পাওয়ায় বহিরাগত অনেক মানুষও নানাভাবে প্রভাব খাঁটিয়ে এখানে ঘের ব্যবসা করছেন। ফলে জমির মালিকেরা ইচ্ছে করলেই একাধিক ফসল চাষ করতে পারছেন না। ঘের ব্যবসায়ীদের কারণে অনেক জমি অনাবাদি রাখতে হয়। আবার অনেকে ইচ্ছে করলেও লবণ সহিষ্ণু (হিরা-২ জাতের) উচ্চ ফলনশীল বোরো ধান চাষ করতে পারছেন না।
একই অবস্থা জিউধরা ইউনিয়নেও। ঘের ব্যবসায়ীরা এ ইউনিয়নে কমপক্ষে ১০টি খাল দখল করে করেছেন বলে অভিযোগ। খালগুলো সরকারি হওয়া সত্ত্বেও এর নিয়ন্ত্রণ দখলকারীদের হাতে। ক্ষমতাসীন দলের স্থানীয় ও বহিরাগত অনেক নেতা এখানে খাল দখল করে ঘের ব্যবসা করছেন। জমির মালিকানা না থাকলেও তাঁরা নানা কৌশলে শত শত একর জমির ঘেরের মালিক। কোনো কোনো ইউনিয়নে পরিষদের চেয়ারম্যানও এসব অবৈধ ঘের ব্যবসার সঙ্গে জড়িত বলে অভিযোগ রয়েছে।
বহরবুনিয়া ইউনিয়নে ঘেরের পাড় হিসেবে ব্যবহার করে অনেক কাচা রাস্তা ধ্বংস করা হয়েছে। জিউধরা ইউনিয়নে ইট সলিং ও ঢালাই রাস্তাও ঘেরের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এসব ঘের মালিকেরা রাস্তা কেটে পাইপ ও কাঠের বাক্স বসিয়ে ঘেরে পানি ওঠানামা করাচ্ছেন। বহরবুনিয়া ইউনিয়নে এক ইঞ্চিও পিচ ঢালাই সড়ক নেই। নেই একটি পরিপূর্ণ পাকা সড়কও। বর্ষা মৌসুমে এ ইউনিয়নে নৌকা ছাড়া যাতায়াতের কোনো পথ থাকে না।
উপজেলা পরিষদের আইনশৃঙ্খলাবিষয়ক সভায় দখল হওয়া এসব খাল ও ঘেরের পাড় হিসেবে ব্যবহৃত রাস্তাগুলো রক্ষার জন্য সিদ্ধান্ত নেওয়া হলেও তা এখনো কার্যকর হয়নি।
বহরবুনিয়া ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য ফরিদ ফকির বলেন, এলাকার উন্নয়নের জন্য তাঁরা যতটুকু রাস্তা সংস্কার করেন তা ঘেরে ভেঙে যায়। ঘের মালিকেরা প্রভাবশালী হওয়ায় তাঁরা বাধা দিতেও ভয় পান।
জিউধরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. জাহাঙ্গীর আলম বাদশা বলেন, জিউধরা ইউনিয়নে কমপক্ষে ১০টি খাল স্থানীয় ঘের ব্যবসায়ীরা বাঁধ দিয়ে বন্ধ করে দিয়েছেন।
বহরবুনিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. রিপন তালুকদার বলেন, এ ইউনিয়নে ৩০-৩৫টি খাল রয়েছে। যার সবগুলোই ঘের ব্যবসায়ীরা অসংখ্য বাঁধ দিয়ে তাঁদের সুবিধামতো ব্যবহার করছেন।
ঘের ব্যবসায়ী মালেক কাজী, রফিকুল মাস্টার, মাসুম ফকির ও বেদার সিকদার বলেন, তাঁরা অন্যায়ভাবে ঘের করেন না, হাড়ির (ইজারা) টাকা দিয়ে ঘের করেন। তাঁরা রাস্তা কেটে ঘের করেন না।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, বেসরকারিভাবে বন্ধ করে দেওয়া খালগুলোর তথ্য সংগ্রহ চলছে। শিগগিরই এগুলো উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে। ঘেরের পাড় হিসেবে যাতে আর কোনো রাস্তা ব্যবহার না হয় সে জন্যও পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এসব ক্ষেত্রে প্রয়োজনে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হবে।
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
৬ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪