মেলান্দহ (জামালপুর) প্রতিনিধি
জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে সেবা নিতে আসা গ্রাহকদের দুর্ভোগ বেড়েছে। দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হলেও মূল দলিল পাচ্ছেন না দলিল রেজিস্ট্রি করা গ্রহীতারা। এতে বাড়তি অর্থ খরচসহ ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন তাঁরা। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, এখানে হয়রানির সীমা নেই। মূল দলিল পেতে মাসের পর মাস ঘুরতে হচ্ছে। তাঁদের দুর্ভোগ দেখেও নীরব ভূমিকা পালন করছে কর্তৃপক্ষ।
উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রি অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ১১টি ইউনিয়ন ও দুইটি পৌরসভার মানুষ উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে তাঁদের কেনা-বেচা করা জমি রেজিস্ট্রি করতে আসেন। এ অফিসে প্রতিবছর ছয় থেকে সাড়ে ছয় হাজার দলিল রেজিস্ট্রি হয়। এসব দলিল ইনডেক্স ও ভলিয়মে লিপিবদ্ধ হওয়ার পরে দলিলের গ্রহীতাকে ফিসের মাধ্যমে মূল দলিল দেওয়া হয়। ২০১৯ সালের মার্চ মাসে রেজিস্ট্রি করা মূল দলিল গ্রহীতাদের দেওয়া হচ্ছে মাত্র।
সরেজমিনে সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে দেখা গেছে, অফিস চত্বরে জমি কেনা-বেচার রেজিস্ট্রি করতে আসা মানুষের ভিড়। এ ছাড়া অনেক মানুষ জমি-সংক্রান্ত বিভিন্ন সমস্যার পরামর্শ নিতে ও সহিমহরীর নকল তুলতে রেজিস্ট্রি অফিসে এসেছেন। অনেকেই আবার জমি রেজিস্ট্রি করে মূল দলিল নেওয়ার জন্য এসেছেন। অনেকে মূল দলিল না পেয়ে সহিমহরীর নকল তুলছেন। এ সময় দলিল রেজিস্ট্রি করার দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হওয়ার পরেও মূল দলিল না পাওয়ায় আর্থিক ক্ষতিসহ দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন বলে জানান সেবাপ্রার্থীরা।
দলিল গ্রহীতাদের অভিযোগ, সব জেনেশুনেও নীরব সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। তাঁরা দলিলের কাজ শেষ করে দ্রুত মূল দলিল দেওয়ার দাবি জানান।
সাব-রেজিস্ট্রি অফিস চত্বরে কথা হয় উপজেলার ঘোষেরপাড়া ইউনিয়নের বেলতৈল এলাকার ব্যবসায়ী আব্দুল রহমানের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমি ব্যবসায়ী মানুষ। জমি কেনার পরে পুঁজিতে টান পড়েছে। তাই ব্যাংক থেকে লোন নেওয়ার কথা ভাবছি। কিন্তু মূল দলিল না পেয়ে নকল তুলতে দিয়েছি। ২০১৯ সালের শেষের দিকে একটি দলিল রেজিস্ট্রি করা হলেও এখনো মূল দলিল পাচ্ছি না।’
পৌর শহরের আদিবাড়ি এলাকার শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘প্রায় ৪ বছর আগে জমি রেজিস্ট্রি করেছি। কিন্তু মূল দলিল এখনো পাইনি। ফলে নামজারি করতে পারছি না। তাই বাধ্য হয়ে এখন নকল তুলতে হবে। যত দেরি করে দলিল দেবে তত ফি বাড়বে। ফলে বাড়তি টাকা দিয়ে মূল দলিল নিতে হবে।’
উপজেলা দলিল লেখক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শাহিনুর ইসলাম শাহিন বলেন, মূল দলিল গ্রহীতাদের দিতে বিলম্ব করায় চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে দলিল লেখক ও গ্রহীতাদের। দলিল গ্রহীতারা মূল দলিল ফেরত পেতে প্রতিনিয়ত অফিসে ঘোরাঘুরি করছেন। এতে গ্রহীতাদের পাশাপাশি বিড়ম্বনায় পড়েছেন দলিল লেখকেরাও।
এ বিষয়ে উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের সাব-রেজিস্ট্রার পলাশ তালুকদার বলেন, ‘দলিল রেজিস্ট্রি হওয়ার পরে বালাম করতে হয়। মাঝে কিছু সময় বালাম-সংকট ছিল।
বালাম-সংকটের কারণে গ্রাহকদের মূল দলিল দিতে একটু বিলম্ব হচ্ছে। তবে এখন আর সেই সংকট নেই। নিয়মিত বালামের কাজ চলছে। খুব দ্রুত এসব সমস্যার সমাধান হবে বলে আশা করছেন তিনি।
জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে সেবা নিতে আসা গ্রাহকদের দুর্ভোগ বেড়েছে। দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হলেও মূল দলিল পাচ্ছেন না দলিল রেজিস্ট্রি করা গ্রহীতারা। এতে বাড়তি অর্থ খরচসহ ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন তাঁরা। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, এখানে হয়রানির সীমা নেই। মূল দলিল পেতে মাসের পর মাস ঘুরতে হচ্ছে। তাঁদের দুর্ভোগ দেখেও নীরব ভূমিকা পালন করছে কর্তৃপক্ষ।
উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রি অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ১১টি ইউনিয়ন ও দুইটি পৌরসভার মানুষ উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে তাঁদের কেনা-বেচা করা জমি রেজিস্ট্রি করতে আসেন। এ অফিসে প্রতিবছর ছয় থেকে সাড়ে ছয় হাজার দলিল রেজিস্ট্রি হয়। এসব দলিল ইনডেক্স ও ভলিয়মে লিপিবদ্ধ হওয়ার পরে দলিলের গ্রহীতাকে ফিসের মাধ্যমে মূল দলিল দেওয়া হয়। ২০১৯ সালের মার্চ মাসে রেজিস্ট্রি করা মূল দলিল গ্রহীতাদের দেওয়া হচ্ছে মাত্র।
সরেজমিনে সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে দেখা গেছে, অফিস চত্বরে জমি কেনা-বেচার রেজিস্ট্রি করতে আসা মানুষের ভিড়। এ ছাড়া অনেক মানুষ জমি-সংক্রান্ত বিভিন্ন সমস্যার পরামর্শ নিতে ও সহিমহরীর নকল তুলতে রেজিস্ট্রি অফিসে এসেছেন। অনেকেই আবার জমি রেজিস্ট্রি করে মূল দলিল নেওয়ার জন্য এসেছেন। অনেকে মূল দলিল না পেয়ে সহিমহরীর নকল তুলছেন। এ সময় দলিল রেজিস্ট্রি করার দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হওয়ার পরেও মূল দলিল না পাওয়ায় আর্থিক ক্ষতিসহ দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন বলে জানান সেবাপ্রার্থীরা।
দলিল গ্রহীতাদের অভিযোগ, সব জেনেশুনেও নীরব সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। তাঁরা দলিলের কাজ শেষ করে দ্রুত মূল দলিল দেওয়ার দাবি জানান।
সাব-রেজিস্ট্রি অফিস চত্বরে কথা হয় উপজেলার ঘোষেরপাড়া ইউনিয়নের বেলতৈল এলাকার ব্যবসায়ী আব্দুল রহমানের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমি ব্যবসায়ী মানুষ। জমি কেনার পরে পুঁজিতে টান পড়েছে। তাই ব্যাংক থেকে লোন নেওয়ার কথা ভাবছি। কিন্তু মূল দলিল না পেয়ে নকল তুলতে দিয়েছি। ২০১৯ সালের শেষের দিকে একটি দলিল রেজিস্ট্রি করা হলেও এখনো মূল দলিল পাচ্ছি না।’
পৌর শহরের আদিবাড়ি এলাকার শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘প্রায় ৪ বছর আগে জমি রেজিস্ট্রি করেছি। কিন্তু মূল দলিল এখনো পাইনি। ফলে নামজারি করতে পারছি না। তাই বাধ্য হয়ে এখন নকল তুলতে হবে। যত দেরি করে দলিল দেবে তত ফি বাড়বে। ফলে বাড়তি টাকা দিয়ে মূল দলিল নিতে হবে।’
উপজেলা দলিল লেখক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শাহিনুর ইসলাম শাহিন বলেন, মূল দলিল গ্রহীতাদের দিতে বিলম্ব করায় চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে দলিল লেখক ও গ্রহীতাদের। দলিল গ্রহীতারা মূল দলিল ফেরত পেতে প্রতিনিয়ত অফিসে ঘোরাঘুরি করছেন। এতে গ্রহীতাদের পাশাপাশি বিড়ম্বনায় পড়েছেন দলিল লেখকেরাও।
এ বিষয়ে উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের সাব-রেজিস্ট্রার পলাশ তালুকদার বলেন, ‘দলিল রেজিস্ট্রি হওয়ার পরে বালাম করতে হয়। মাঝে কিছু সময় বালাম-সংকট ছিল।
বালাম-সংকটের কারণে গ্রাহকদের মূল দলিল দিতে একটু বিলম্ব হচ্ছে। তবে এখন আর সেই সংকট নেই। নিয়মিত বালামের কাজ চলছে। খুব দ্রুত এসব সমস্যার সমাধান হবে বলে আশা করছেন তিনি।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৩ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৩ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৩ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৩ দিন আগে