আমানুর রহমান রনি, ঢাকা
অর্থ পাচার মামলা তদন্তের ক্ষমতা পেতে তিন বছর ধরে বিশেষভাবে চেষ্টা করছে পুলিশের আরও চারটি ইউনিট। এগুলো হচ্ছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব), পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই), অ্যান্টি টেররিজম ইউনিট (এটিইউ) ও ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট। তবে এখনো কেউ অনুমতি পায়নি। অ্যান্টি টেররিজম ইউনিট বিধিমালায় অর্থ পাচার মামলা তদন্তের ক্ষমতা দেওয়া হলেও মানি লন্ডারিং (অর্থ পাচার) প্রতিরোধ আইনে তাদের তদন্ত সংস্থা হিসেবে উল্লেখ করা হয়নি।
মানি লন্ডারিং মামলা নিয়ে পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের অতিরিক্ত আগ্রহ নিয়ে অনেকেই সমালোচনা করেছেন। কেউ কেউ বলছেন, মানি লন্ডারিং মামলা অনেক বড় মামলা। সেখানে অর্থের নাড়াচাড়া হয়। সে জন্য সবাই এটা তদন্ত করতে চায়। পয়সার গন্ধ পেলে সবাই সেখানে যেতে চায়।
জানতে চাইলে নিরাপত্তা বিশ্লেষক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দেশে ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা বেতনের চাকরিজীবী ব্যক্তির সন্তানেরাও আজ ফুল টিউশন ফি দিয়ে বিদেশে পড়াশোনা করছে, বিদেশে বাড়ি করছে, এই টাকা কীভাবে বিদেশে গেছে? সেগুলো কি কেউ দেখে? অতীতে যেসব মামলা হয়েছে, তার কতগুলোর বিচার হয়েছে? কেউ না কেউ তো এখন তদন্ত করছে, সেটার রেজাল্টটা কী? তাদের ফল দেখছি না। আবার নতুনরা তদন্ত করতে চায়। আমাদের দেশের তদন্ত হচ্ছে, যেখানে পয়সার গন্ধ পায় সেখানেই সবাই যেতে চায়।’
বর্তমানে ছয়টি সংস্থা এ ধরনের মামলার তদন্ত করে। র্যাব ও পুলিশের করা বেশির ভাগ মামলাই তদন্ত করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। সিআইডি ছাড়া এ-সংক্রান্ত মামলা তদন্তের এখতিয়ার আছে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর (ডিএনসি), পরিবেশ অধিদপ্তর, সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন এবং দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক)।
একসময় এখতিয়ার ছিল শুধু দুদকের। ২০১৫ সালে আইন সংশোধনের পর অন্য পাঁচটি প্রতিষ্ঠানকে এ-সংক্রান্ত ২৭টি অপরাধের তদন্ত ও মামলা পরিচালনার ক্ষমতা দেওয়া হয়। এর মধ্যে দুদক শুধু একটি অপরাধের (ঘুষ ও দুর্নীতি) তদন্ত ও মামলা পরিচালনা করছে।
পুলিশের একজন সাবেক কর্মকর্তা বলেন, মানি লন্ডারিং মামলা দুদক এককভাবে তদন্ত করতে চেয়েছিল একসময়। তারা অন্য কাউকে দিতে চায়নি। এ নিয়ে অনেক চিঠি-চালাচালি হয়েছে। এরপর কিছু সংস্থা তদন্তের সুযোগ পেয়েছে। তবে এখনো পুলিশের অন্যান্য ইউনিট এই মামলা তদন্তের ক্ষমতা পাচ্ছে না।
যে কারণে ক্ষমতা চায় র্যাব
২০১৯ সালে রাজধানীতে ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান শুরু করে র্যাব। তখন মাদক, জুয়া ও অবৈধ অর্থ উদ্ধারের ঘটনায় ৩২টি মামলা হয়; যার ১৩টি ছিল মানি লন্ডারিং আইনে। র্যাব তখন মানি লন্ডারিং মামলা তদন্তের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে বিষয়টি পুলিশ সদর দপ্তর ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে জানায়। পরে আরও কয়েক দফায় তারা এ-সংক্রান্ত মামলা তদন্তের অনুমতি চেয়েছে। র্যাবের যুক্তি, মাদক, অস্ত্র ও হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় অবৈধ অর্থ লেনদেন হয়।
র্যাবের মুখপাত্র খন্দকার আল মঈন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা কোনো মামলা তদন্ত করতে গিয়ে মানি লন্ডারিংয়ের কোনো ঘটনা পেলে সে বিষয়ে মামলা করি থানায়। এরপর নিয়ম অনুযায়ী যেসব সংস্থা মানি লন্ডারিং মামলা তদন্ত করতে পারে, তারা তদন্ত করে। এরপর ওই মামলায় কী হয়, তা আর আমাদের জানার সুযোগ থাকে না।’
আবেদন করেছিল পিবিআই
সম্প্রতি বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদ্ঘাটন হয়েছে। পিবিআই সূত্রে জানা যায়, কয়েকটি ঘটনায় দেশে-বিদেশে অবৈধ অর্থের লেনদেন হয়েছে। হত্যা মামলায় বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই অবৈধ অর্থের সংশ্লিষ্টতা থাকে। বিষয়টি মানি লন্ডারিং আইনে পড়ায় তদন্তে বিপাকে পড়তে হয়েছে পিবিআইকে।
অতিরিক্ত আইজিপি ও পিবিআইয়ের প্রধান বনজ কুমার মজুমদার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অপরাধের সঙ্গে অবৈধ অর্থের জোগান থাকে সব সময়। এ জন্য মানি লন্ডারিং আইন অনুযায়ী আমরা মামলা করতে পারি। তবে তদন্তের জন্য আলাদা সংস্থা রয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘মামলা তদন্তের জন্য পিবিআইয়ে বিশেষ প্রশিক্ষিত লোকবল, ফরেনসিক ল্যাব আছে। মামলার তদন্তভার চেয়ে যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করা হয়েছিল। তবে এখনো অনুমতি মেলেনি।’
আরও দুই সংস্থার আবেদন
জঙ্গি দমনে ডিএমপির সিটিটিসি ইউনিটের বিশেষ ভূমিকা আছে। জঙ্গিদের বিরুদ্ধে সব মামলায়ই অবৈধ অর্থ লেনদেনের অভিযোগ করা হয়েছে। জঙ্গিসংক্রান্ত মামলার তদন্ত এবং অবৈধ অর্থ লেনদেনের উৎস খুঁজতে মানি লন্ডারিং মামলা তদন্তের প্রয়োজনীয়তার কথা বারবার বলছে সংস্থাটি।
সিটিটিসি ইউনিটের প্রধান মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ‘জঙ্গিবাদে দেশি-বিদেশি অর্থায়নের বিষয়টি প্রায়ই তদন্তে উঠে আসে। সে ক্ষেত্রে বিষয়টি সংশ্লিষ্ট বিভাগকে জানাই। তাদের পরামর্শ অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হয়।’
একই বিষয়ে বছর দুয়েক আগে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অনুমতি চেয়েছিল এটিইউ। এরপর তারা পুলিশের অভ্যন্তরীণ সভায়ও বিষয়টি তুলেছে।
এটিইউর পুলিশ সুপার (মিডিয়া অ্যান্ড অ্যাওয়ারনেস উইং) মোহাম্মদ আসলাম খান জানান, এখনো মানি লন্ডারিংয়ের কোনো মামলার তদন্ত তাঁরা করেননি।
জানতে চাইলে পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) এ কে এম শহীদুল হক গতকাল শুক্রবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, মানি লন্ডারিংয়ের ধরন পরিবর্তন হয়েছে। সেই অনুযায়ী আইনও একাধিকবার পরিবর্তন ও সংশোধন হয়েছে। মামলার সংখ্যা অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। পুলিশের ইউনিটগুলো মামলা তদন্ত করতে গিয়ে মানি লন্ডারিংয়ের অনেক উপাদান পায়। কিন্তু তাদের ক্ষমতা না থাকায় সেগুলো তারা তদন্ত করতে পারে না। এতে ওই সব মামলার তদন্ত অসম্পূর্ণ থেকে যায়। তাই পুলিশের অন্য ইউনিটগুলোরও এই মামলা তদন্ত করার ক্ষমতা থাকা প্রয়োজন।
পুলিশের একাধিক সূত্র দাবি করেছে, পুলিশ ইউনিটগুলো দুদকের বাধার কারণে মানি লন্ডারিং মামলা তদন্ত পাচ্ছে না। তবে দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেছেন, দুদক আইনগতভাবে মামলা তদন্ত করে থাকে। পুলিশের একটি সংস্থাও মানি লন্ডারিং মামলা তদন্ত করছে। তবে সরকার যদি মনে করে আরও কোনো সংস্থাকে দিয়ে মামলা তদন্ত করাবে, তাহলে সেটা হতে পারে। তবে মামলা তদন্তের ক্ষমতা পাওয়ার ক্ষেত্রে দুদক কোনো বাধা নয়।
সাবেক আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ বলেন, মানি লন্ডারিং মামলা একটি বিশেষত মামলা। এই মামলা কারা তদন্ত করবেন, তা আইনে উল্লেখ করে দেওয়া হয়েছে। এরপর যদি কোনো বাহিনী বা সংস্থা অন্য কোনো মামলা তদন্ত করতে গিয়ে মানি লন্ডারিংয়ের কোনো ঘটনা পায়, তাহলে তারা লিখিতভাবে বিষয়টি আদালতকে জানিয়ে দিতে পারে। আদালত তখন সেটি তদন্তের জন্য বা আলাদা মামলা করার জন্য নির্দেশ দিতে পারেন। আলাদা মামলা হলে তখন আইনে যাদের তদন্তের ক্ষমতা দেওয়া আছে, তারা তদন্ত করবেন। ঢালাওভাবে সব সংস্থাকে মানি লন্ডারিং মামলা তদন্তের ক্ষমতা দেওয়া ঠিক হবে না।
অর্থ পাচার মামলা তদন্তের ক্ষমতা পেতে তিন বছর ধরে বিশেষভাবে চেষ্টা করছে পুলিশের আরও চারটি ইউনিট। এগুলো হচ্ছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব), পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই), অ্যান্টি টেররিজম ইউনিট (এটিইউ) ও ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট। তবে এখনো কেউ অনুমতি পায়নি। অ্যান্টি টেররিজম ইউনিট বিধিমালায় অর্থ পাচার মামলা তদন্তের ক্ষমতা দেওয়া হলেও মানি লন্ডারিং (অর্থ পাচার) প্রতিরোধ আইনে তাদের তদন্ত সংস্থা হিসেবে উল্লেখ করা হয়নি।
মানি লন্ডারিং মামলা নিয়ে পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের অতিরিক্ত আগ্রহ নিয়ে অনেকেই সমালোচনা করেছেন। কেউ কেউ বলছেন, মানি লন্ডারিং মামলা অনেক বড় মামলা। সেখানে অর্থের নাড়াচাড়া হয়। সে জন্য সবাই এটা তদন্ত করতে চায়। পয়সার গন্ধ পেলে সবাই সেখানে যেতে চায়।
জানতে চাইলে নিরাপত্তা বিশ্লেষক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দেশে ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা বেতনের চাকরিজীবী ব্যক্তির সন্তানেরাও আজ ফুল টিউশন ফি দিয়ে বিদেশে পড়াশোনা করছে, বিদেশে বাড়ি করছে, এই টাকা কীভাবে বিদেশে গেছে? সেগুলো কি কেউ দেখে? অতীতে যেসব মামলা হয়েছে, তার কতগুলোর বিচার হয়েছে? কেউ না কেউ তো এখন তদন্ত করছে, সেটার রেজাল্টটা কী? তাদের ফল দেখছি না। আবার নতুনরা তদন্ত করতে চায়। আমাদের দেশের তদন্ত হচ্ছে, যেখানে পয়সার গন্ধ পায় সেখানেই সবাই যেতে চায়।’
বর্তমানে ছয়টি সংস্থা এ ধরনের মামলার তদন্ত করে। র্যাব ও পুলিশের করা বেশির ভাগ মামলাই তদন্ত করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। সিআইডি ছাড়া এ-সংক্রান্ত মামলা তদন্তের এখতিয়ার আছে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর (ডিএনসি), পরিবেশ অধিদপ্তর, সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন এবং দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক)।
একসময় এখতিয়ার ছিল শুধু দুদকের। ২০১৫ সালে আইন সংশোধনের পর অন্য পাঁচটি প্রতিষ্ঠানকে এ-সংক্রান্ত ২৭টি অপরাধের তদন্ত ও মামলা পরিচালনার ক্ষমতা দেওয়া হয়। এর মধ্যে দুদক শুধু একটি অপরাধের (ঘুষ ও দুর্নীতি) তদন্ত ও মামলা পরিচালনা করছে।
পুলিশের একজন সাবেক কর্মকর্তা বলেন, মানি লন্ডারিং মামলা দুদক এককভাবে তদন্ত করতে চেয়েছিল একসময়। তারা অন্য কাউকে দিতে চায়নি। এ নিয়ে অনেক চিঠি-চালাচালি হয়েছে। এরপর কিছু সংস্থা তদন্তের সুযোগ পেয়েছে। তবে এখনো পুলিশের অন্যান্য ইউনিট এই মামলা তদন্তের ক্ষমতা পাচ্ছে না।
যে কারণে ক্ষমতা চায় র্যাব
২০১৯ সালে রাজধানীতে ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান শুরু করে র্যাব। তখন মাদক, জুয়া ও অবৈধ অর্থ উদ্ধারের ঘটনায় ৩২টি মামলা হয়; যার ১৩টি ছিল মানি লন্ডারিং আইনে। র্যাব তখন মানি লন্ডারিং মামলা তদন্তের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে বিষয়টি পুলিশ সদর দপ্তর ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে জানায়। পরে আরও কয়েক দফায় তারা এ-সংক্রান্ত মামলা তদন্তের অনুমতি চেয়েছে। র্যাবের যুক্তি, মাদক, অস্ত্র ও হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় অবৈধ অর্থ লেনদেন হয়।
র্যাবের মুখপাত্র খন্দকার আল মঈন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা কোনো মামলা তদন্ত করতে গিয়ে মানি লন্ডারিংয়ের কোনো ঘটনা পেলে সে বিষয়ে মামলা করি থানায়। এরপর নিয়ম অনুযায়ী যেসব সংস্থা মানি লন্ডারিং মামলা তদন্ত করতে পারে, তারা তদন্ত করে। এরপর ওই মামলায় কী হয়, তা আর আমাদের জানার সুযোগ থাকে না।’
আবেদন করেছিল পিবিআই
সম্প্রতি বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদ্ঘাটন হয়েছে। পিবিআই সূত্রে জানা যায়, কয়েকটি ঘটনায় দেশে-বিদেশে অবৈধ অর্থের লেনদেন হয়েছে। হত্যা মামলায় বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই অবৈধ অর্থের সংশ্লিষ্টতা থাকে। বিষয়টি মানি লন্ডারিং আইনে পড়ায় তদন্তে বিপাকে পড়তে হয়েছে পিবিআইকে।
অতিরিক্ত আইজিপি ও পিবিআইয়ের প্রধান বনজ কুমার মজুমদার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অপরাধের সঙ্গে অবৈধ অর্থের জোগান থাকে সব সময়। এ জন্য মানি লন্ডারিং আইন অনুযায়ী আমরা মামলা করতে পারি। তবে তদন্তের জন্য আলাদা সংস্থা রয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘মামলা তদন্তের জন্য পিবিআইয়ে বিশেষ প্রশিক্ষিত লোকবল, ফরেনসিক ল্যাব আছে। মামলার তদন্তভার চেয়ে যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করা হয়েছিল। তবে এখনো অনুমতি মেলেনি।’
আরও দুই সংস্থার আবেদন
জঙ্গি দমনে ডিএমপির সিটিটিসি ইউনিটের বিশেষ ভূমিকা আছে। জঙ্গিদের বিরুদ্ধে সব মামলায়ই অবৈধ অর্থ লেনদেনের অভিযোগ করা হয়েছে। জঙ্গিসংক্রান্ত মামলার তদন্ত এবং অবৈধ অর্থ লেনদেনের উৎস খুঁজতে মানি লন্ডারিং মামলা তদন্তের প্রয়োজনীয়তার কথা বারবার বলছে সংস্থাটি।
সিটিটিসি ইউনিটের প্রধান মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ‘জঙ্গিবাদে দেশি-বিদেশি অর্থায়নের বিষয়টি প্রায়ই তদন্তে উঠে আসে। সে ক্ষেত্রে বিষয়টি সংশ্লিষ্ট বিভাগকে জানাই। তাদের পরামর্শ অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হয়।’
একই বিষয়ে বছর দুয়েক আগে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অনুমতি চেয়েছিল এটিইউ। এরপর তারা পুলিশের অভ্যন্তরীণ সভায়ও বিষয়টি তুলেছে।
এটিইউর পুলিশ সুপার (মিডিয়া অ্যান্ড অ্যাওয়ারনেস উইং) মোহাম্মদ আসলাম খান জানান, এখনো মানি লন্ডারিংয়ের কোনো মামলার তদন্ত তাঁরা করেননি।
জানতে চাইলে পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) এ কে এম শহীদুল হক গতকাল শুক্রবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, মানি লন্ডারিংয়ের ধরন পরিবর্তন হয়েছে। সেই অনুযায়ী আইনও একাধিকবার পরিবর্তন ও সংশোধন হয়েছে। মামলার সংখ্যা অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। পুলিশের ইউনিটগুলো মামলা তদন্ত করতে গিয়ে মানি লন্ডারিংয়ের অনেক উপাদান পায়। কিন্তু তাদের ক্ষমতা না থাকায় সেগুলো তারা তদন্ত করতে পারে না। এতে ওই সব মামলার তদন্ত অসম্পূর্ণ থেকে যায়। তাই পুলিশের অন্য ইউনিটগুলোরও এই মামলা তদন্ত করার ক্ষমতা থাকা প্রয়োজন।
পুলিশের একাধিক সূত্র দাবি করেছে, পুলিশ ইউনিটগুলো দুদকের বাধার কারণে মানি লন্ডারিং মামলা তদন্ত পাচ্ছে না। তবে দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেছেন, দুদক আইনগতভাবে মামলা তদন্ত করে থাকে। পুলিশের একটি সংস্থাও মানি লন্ডারিং মামলা তদন্ত করছে। তবে সরকার যদি মনে করে আরও কোনো সংস্থাকে দিয়ে মামলা তদন্ত করাবে, তাহলে সেটা হতে পারে। তবে মামলা তদন্তের ক্ষমতা পাওয়ার ক্ষেত্রে দুদক কোনো বাধা নয়।
সাবেক আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ বলেন, মানি লন্ডারিং মামলা একটি বিশেষত মামলা। এই মামলা কারা তদন্ত করবেন, তা আইনে উল্লেখ করে দেওয়া হয়েছে। এরপর যদি কোনো বাহিনী বা সংস্থা অন্য কোনো মামলা তদন্ত করতে গিয়ে মানি লন্ডারিংয়ের কোনো ঘটনা পায়, তাহলে তারা লিখিতভাবে বিষয়টি আদালতকে জানিয়ে দিতে পারে। আদালত তখন সেটি তদন্তের জন্য বা আলাদা মামলা করার জন্য নির্দেশ দিতে পারেন। আলাদা মামলা হলে তখন আইনে যাদের তদন্তের ক্ষমতা দেওয়া আছে, তারা তদন্ত করবেন। ঢালাওভাবে সব সংস্থাকে মানি লন্ডারিং মামলা তদন্তের ক্ষমতা দেওয়া ঠিক হবে না।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
২ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
২ দিন আগে