মক্কা বিজয় ও ক্ষমার শিক্ষা

ইজাজুল হক, ঢাকা
প্রকাশ : ২২ এপ্রিল ২০২২, ০৬: ১০
আপডেট : ২২ এপ্রিল ২০২২, ১৫: ২৭

মক্কা বিজয় ইসলামের ইতিহাসের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। অষ্টম হিজরির ২০ রমজান মহানবী (সা.)-এর বিচক্ষণতা ও সামরিক দক্ষতায় রক্তপাতহীন এ বিজয় অর্জিত হয়। আট বছর আগে এই জন্মভূমিরই মায়া ত্যাগ করে শূন্য হাতে মদিনায় হিজরত করতে বাধ্য হয়েছিলেন তিনি। সময়ের ব্যবধানে তিনিই ১০ হাজার সৈন্যের বিশাল বাহিনী নিয়ে কোনো ধরনের বাধা ছাড়া মক্কায় প্রবেশ করেন। মহানবী (সা.)-এর প্রতি এটি আল্লাহ তাআলার একান্ত অনুগ্রহ। তাই তো সেদিন তিনি আল্লাহর প্রতি অশেষ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং অত্যন্ত বিনম্র ভঙ্গিমায় মক্কায় প্রবেশ করেন। যারা তাঁকে ও তাঁর অনুসারীদের বছরের পর বছর জুলুম-নির্যাতন করে আসছিল এবং মুসলমানদের ধ্বংসসাধনের চেষ্টায় রত ছিল, তাদের সবার জন্যই তিনি সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করেন। ঐতিহাসিক মক্কা বিজয় তাঁর এ মহানুভবতার সাক্ষী হয়ে আছে।

যখন তিনি মক্কায় প্রবেশ করছিলেন, তখন বিনয়াবত হয়ে পবিত্র কোরআনের সুরা ফাতহ তথা বিজয়ের সুরা পাঠ করছিলেন—‘নিশ্চয়ই আমি তোমাকে দিয়েছি সুস্পষ্ট বিজয়; যেন আল্লাহ তোমার আগের-পরের সকল গুনাহ ক্ষমা করেন, তোমার প্রতি তাঁর অনুগ্রহ পূর্ণ করেন এবং তোমাকে সরল পথে পরিচালিত করেন।…’ (সুরা ফাতহ: ১-২) সেদিন মক্কার সর্বস্তরের মানুষ ভীতসন্ত্রস্ত ছিল। মুসলমানদের প্রতি যারা অন্যায়-অবিচার করেছিল তারা শাস্তির প্রহর গুনছিল। কিন্তু দয়ার নবী মুহাম্মদ (সা.)-এর মনে কোনো ধরনের প্রতিশোধ-স্পৃহা ছিল না। তিনি সরাসরি কাবা চত্বরে চলে যান। পবিত্র কাবাঘরকে শিরকের সব উপকরণ থেকে মুক্ত করে কৃতজ্ঞতার নামাজ আদায় করেন। এরপর মক্কার অধিবাসীদের জন্য সাধারণ ক্ষমার ঘোষণা দিয়ে বলেন, ‘আমি তোমাদের তা-ই বলব, যা ইউসুফ (আ.) তাঁর ভাইদের বলেছিলেন—আজ তোমাদের বিরুদ্ধে আমার কোনো অভিযোগ নেই। যাও তোমরা আজ মুক্ত।’ (তাফসিরে কাশশাফ: ৬/ ৪৫১)

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত